হুমায়ূন মালিক
মুখটি তার আর দোলনচাঁপার মতো গৌর চিকন নেই – একদা রবিঠাকুর থেকে যে-উপমাটি ধার করে আমি তাকে চিঠিতে লিখি, তা তখন তার জন্য যথার্থই ছিল; কিন্তু পঁচিশ বছর পর ও এখন এক গোলাপে প্রস্ফুটিত – গোলাপি আভায় অভিজাত। আগে মুখটি তার ছিল একটুখানি ওভাল শেপে, এখন তা গোল, ভরাট। তাকে দেখে ধারণা করা যায়, অন্তত দশ বছর গোলাপটি ফোটার পর তার মধ্যে সময় থেমে গেছে, না হলে এতদিনে তা নেতিয়ে যেত। আমি তাকে চিনতেই পারতাম না, যদি-না ফোনের সিদ্ধান্তমতো ও পরত পিঙ্ক কামিজ আর জলপাই রঙের সালোয়ার। কিন্তু তাকে আমার চিনতে
না পারা তার চেহারার এমন পরিবর্তনের জন্যই কি! আমার 888sport sign up bonusশক্তির দায়ও আছে নিশ্চয়ই। আমি যখন তাকে বলছিলাম, আমার পরনে থাকবে কফি কালারের… আমার কথা উড়িয়ে দিয়ে ও বলে, বামন, তোমারে চিনতে আমার পৈতা লাগবে! আমি কফিরং বেস্নজার দূরে, কোনো বেস্নজারই পরিনি; তবু আমাকে দেখলে ওর চিনে ফেলা অসম্ভব নয়। ইউনিভার্সিটিতে যে স্বাতিকে আমার টাইপ বোধ হওয়ায় তা তাকে বললে (আদতে সেক্স-টাইপ!) ও বিষয়টাকে আমার-তার প্রেমলাভের চালাকি বলে পরিহাস করে বহু বছর পর দুবাই এয়ারপোর্টে সেই স্বাতির ভরাট শরীর আমাকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেও আমি তাকে ততক্ষণই চিনে উঠতে পারি না, যতক্ষণ না ও তার পরিচয় দেয়; যদিও ততদিনে ও এই মেঘলার মতো এতটা পালটে যায়নি। মেঘলা এখন তীব্র প্রতীক্ষার মধ্যে তার আড়ালে থাকা আমাকে কলের পর কল দিচ্ছে আর তার দশ গজের মধ্যে আমার সেটটি মিউট। কিন্তু তার সঙ্গে আমার এহেন আচরণ কেন! প্রেমিক স্বভাব বড় ধূর্ত – কৃষ্ণের লক্ষ্য দক্ষিণে হলে তিনি পশ্চিমমুখী হয়ে দাঁড়াতেন এবং চলতে শুরু করতেন উত্তরদিকে! অথচ আমার কাছে মেঘলার বহু বছর আগের একটি চুম্বনের প্রতিদান পাওনা আছে এবং তাকে তা দিতেই মূলত এবার আমার এই শহরে আসা। ও এমন এক চুম্বনের দাবি না করলেও মনে করে আমার কাছে তার জীবনের পরম জিম্মি রয়ে গেছে। আমারও কি তার কাছে কিছু পাওয়ার নেই, শুধুই প্রতিদান দিতে আসা! এদিকে তাকে দূরে, দীর্ঘ জীবনে একটা পরিপূর্ণ চুম্বন কাউকেই কি দেওয়া সম্ভব হয়েছে আমার! সে জ্যৈষ্ঠের এক ঝড়ো সন্ধ্যা। এমন না বলে আসা দুর্যোগই বরং তখন মেঘলাকে যুক্তি দেখায় যে, এই দশা কোনো অভিসার অন্যের চোখে পড়ার আশঙ্কা কমিয়ে দিলো, ওই প্রাকৃতিক আর অবশিষ্ট সামাজিক ঝুঁকির মধ্যে সে এক অ্যাডভেঞ্চার। ঝড়ে-বৃষ্টিতে দুর্লভ স্পর্শে জড়িয়ে থাকার ভেতর বিদ্যুৎ চমকে সে আমার মুখ-গাল এক পলক দেখল। দেখে আমার পুরো ডান গালটি বাজ পড়ার তুমুল শব্দের মধ্যে তার অধরোষ্ঠে পোরার প্রয়াসে যে-চুম্বন করে তা নিছক পরিপূর্ণ নয়, পূর্ণতা ছাড়িয়ে। অদ্ভুত এক আবেশ-শিহরণের মধ্যে আমি বুঝি, চুম্বনই হতে পারে অনুভূতি প্রকাশের যথার্থ মাধ্যম। কিন্তু আমি তাকে তার চুম্বনের প্রতিদান দিতে গেলে (তার প্রকৃতি কী হতো কে জানে!) চোখে পড়ে অদূরে তার বাবা, হাতে দশাসই রামদা-উদ্যত। আমি দে দৌড় – ন্যারো এসকেপ। আমার ব্যাপারে তার বাবার বিশ্বাস, তথাকথিত বড়লোকের পোলা তার সুন্দরী মেয়ের দেহের জন্য প্রেমিকের ভেক নিছে। তার ওপর আমার মা ভদ্রলোককে সরাসরি ছেলেধরার অপবাদ দেওয়ায় তিনি এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ যে, আমাকে জায়গামতো পেয়ে গেলে খুনখারাবি ঘটান। এদিকে আমি তার নাগালের বাইরে থাকতে পারলেও মেঘলা তো আর পারে না। সেই সন্ধ্যায়ই তিনি তার অচরিতার্থ ক্রোধ ঢালেন মেয়ের শরীরে এবং তা চলতে থাকে। অতঃপর তা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধামেত্ম গিয়ে চূড়া ছোঁয়। মেঘলা তার বাবা-মার প্রবল চাপের মুখেও তাতে নারাজ থাকার কথা আমাকে গোপন চিঠিতে জানায়। ও আমাকে পরিপূর্ণভাবে পেতে আমাদের বিয়েকেই অপরিহার্য জ্ঞান করে; কিন্তু সবে যৌবনপুষ্ট এক অনাঘ্রাত শরীর আমাকে মাতাল করে তুললেও তাকে তখন বিয়ে করার চিন্তা দূরে, ভবিষ্যতেও তাকে নিয়ে ঘর করার স্বপ্ন দেখতে পারি না। অবশ্য এরই মধ্য আমি তার প্রেমে দিশেহারা। এর মধ্যে অবশ্য মেঘলার নানা প্ররোচনাও ছিল, যেমন ওই চুম্বন, যেমন বহু প্রতিকূলতার মধ্যে যে দু-তিনবার মেঘলার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছে ও প্রতিবারই আমার হাত নিয়ে তার বুকে রেখেছে – হয়তো তার যা কিছু পরমধন তা আমাকে দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া। তবে জেনেটিক্যাল বা পরিবেশগত যে-কোনো কারণেই হোক, আমার বিশ্বাস, আমার মধ্যে অনন্য এক কামুক পুরুষ আত্মগোপন করে আছে। সে-পুরুষের কৈশোর নিজে-নিজেই পুলকের সন্ধান পেয়ে যাওয়ার পর থেকে দিনে কয়েকবার হস্তমৈথুন করে। তখন স্খলনের বয়স হয়নি। এরই মধ্যে বয়ঃসন্ধি পার হই এবং লোকমুখে শুনে-শুনে এ-কর্মের জন্য পাপ ও স্বাস্থ্যচিন্তায় মগজ আক্রান্ত। কিন্তু সে-ভয়ে তা না করলে, যদিও ভয়ের কঠিন বাঁধটি হামেশাই ভাঙে, কখনো না ভাঙলে অতৃপ্তি স্বপ্নদোষে গড়ায় আর তার মাত্রা অস্বাভাবিক ঠেকলে কবিরাজ-ডাক্তার, তাবিজ-কবজে উদ্ধার খুঁজে-খুঁজে আমি হতাশ। তারই মধ্যে সবে যখন আমি কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে, তখন আমার সামনে মেঘলা এক সেক্স-আইকন হিসেবে উদিত।
কিন্তু আমার পক্ষে তখন তার ওই এক চুম্বনের প্রতিদানই দেওয়া সম্ভব হয় না। চাপে কিংবা এমন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে, এমনও হতে পারে, এর মধ্যে পাত্রের গাড়ি-বাড়ির ডাকে দশম শ্রেণির ছাত্রী মেঘলার স্বপ্নও বাঁক বদল করে। কিন্তু দুর্লভ সেই সেক্স-আইকন অন্যের ভোগ্যা হবে – তীব্র ঈর্ষায় আমি জ্বলি। অ্যাসিড মেরে তা বিনাশের ভূত আমাতে আছর করে, নেশা করে দেবদাসের মতো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আত্মপীড়নেও আক্রান্ত হই। কখনো 888sport live chatী, লেখক বা সুরকার হয়ে কালজয়ী এক ট্র্যাজিক সৃষ্টির অঙ্গীকারেও রক্ত তোলপাড়। আমি তাকে লিখি, বিয়ে যদি বসো আমি তোমার চিঠিপত্র-ছবি সব তোমার বরকে দেখিয়ে তোমার সংসার ধ্বংস করে দেবো। জবাব আসে, আমি জানি তুমি কখনো আমাকে বিয়ে করবে না, তুমি আমাকে একটা পশুর মতো শুধু তোমার ভালোবাসার বলি করবে। তো তাই করো – সত্যি আমার বাঁচিবার আর সাধ নাই। ওই চিঠিতে তার মনের কথা প্রকাশ করতে যে-গান ও লেখে তার 888sport sign up bonus মনে এলে তার সঙ্গে আজো সেই গান আসে – বড় দাগা পেয়ে কামনা ভুলেছি, বড় দাগা পেয়ে বাসনা তেজেছি… এর জবাবে কী লেখা? ঠিক করতে-করতে ওর বিয়ে হয়ে যায়। এর পর আমি দ্য গ্রেট গ্যাটসবাইর বাই হয়ে ডেইজি কিংবা লাভ ইন দ্য টাইম অব কলেরার এরিজা হয়ে ফার্মিনার জন্য চির বা দীর্ঘকাল কুমার থাকতে পারতাম। আমি তেমন কোনো পথে যাই না বা যেতে পারি না কিন্তু তখন আমার, এমনকি মেঘলা তোমারও নিশ্চয়ই জানা ছিল না কোনো প্রেম কোনো এক টাইম-লাইনে শেষ হয়ে যেতে পারে আবার নাও পারে। এরই মধ্যে আমার জীবনে এমন কোনো মুহূর্ত আসেনি যখন আমি তোমাকে ভুলে ছিলাম – তুমি আছ আমার চেতনায় নিরবচ্ছিন্ন। ভেতরে-ভেতরে হয়তো তোমার জন্য আমার মধ্যে এক প্রতীক্ষা কিংবা এক চিরকুমারের বসবাস; অন্তত দিবা – আমার স্ত্রীর পর্যবেক্ষণ তেমনটাই বলে। তাকে চুমোয়-চুমোয় খুশি করতে গেলে সে কখনো বলে এসব তুমি মনতে না ঠোঁটতে দিতাছ, কখনো কয় – এই চুমাটা তুমি মনতে দিলেও আমারে দেও নাই, দিছ মেগস্নারে।
ধীরে-ধীরে দিবা সন্দেহবাতিকগ্রস্তই হয়ে পড়ে। গান শুনলে, 888sport app download apk পড়লে ভাবত, আমি চলে গেছি তার ওই সতীনের কাছে। 888sport app download apk পড়ছি, অকস্মাৎ বইটা টেনে নিয়ে ছুড়ে ফেলে, লাইটের সুইচ অফ করে বলল, আমি এখন ঘুমাব। ল্যাপটপে কাজ করতে-করতে গান শুনছি চটা গলায় বলল, গান বন্ধ করো।
কেন!
আমার পড়ার ডিস্টার্ব হচ্ছে।
আমি কি তবে গানও শুনতে পারব না?
অত গান শোনার শখ হলে কানে ইয়ারফোন লাগায়া শোন।
এরপর যখন ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনছি হঠাৎ – কই শুনছ না, স্যালাইন আনো। আনবা কেন! তুমি তো চাও আমি মরি, বলে ছোঁ মেরে ইয়ারফোন টেনে নিতে গিয়ে তা ছিঁড়েই ফেলে।
এদিকে এমন আচরণ, তার ওপর দিনে-দিনে তার শরীর আমার কাছে যেমন নিয়মিত আহারের ডাল-ভাত হয়ে যাচ্ছিল, তাতে আমার অবচেতন হয়তো মেঘলাকেই, নয়তো তৃতীয় শরীর বা বৈচিত্র্যের সন্ধানে ছিল। কিন্তু একটি পূর্ণ চুম্বনের ঠোঁট, গাল তথা দেহ সত্যি দুর্লভ। এক্ষেত্রে শুধু অঙ্গই নিশ্চয় শেষ কথা নয়, তা-ই হলে দিবার যে-শরীর তাতে ও-ই তার আধার হয়ে উঠতে পারত। এদিকে ও সঙ্গে থাকার পরও পথেঘাটে আমার দৃষ্টি যেমন নানা 888sport promo codeর বুক-পাছার মতো বিশেষ অঙ্গের টানে অনিয়ন্ত্রিত আর আমার দু-এক ছাত্রী যখন আমার প্রণোদনা কিংবা স্বতঃস্ফূর্ত সাড়ায় বাসায় আসে বা ফোনে খোঁজখবর করে, তখন ও ক্রমে প্রচ- বদরাগী হয়ে ওঠে। ও আমাতে এক বহুচারী পুরুষের সন্ধান পায়। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দশদিনের এসকারশন থেকে মধ্যরাতে ফিরে তার পাশে শুয়েছি, ও আমাকে জড়িয়ে চুমো খেতে থাকে। তাতে আমার ক্লান্ত শরীর সাড়া না দিলে সে বলে, কোনো ছাত্রী তোমারে তৃপ্ত করছে আমি জানি।
রাস্তাঘাট, মার্কেট, অনুষ্ঠানাদিতে সুযোগ পেলেই ও তরুণ থেকে মধ্যবয়সী পুরুষের সঙ্গে গল্প জমাতে সচেষ্ট। দু-তিনবার এমন হয় যে, বাসার ফোনে রিং হলো কিন্তু আমি রিসিভার তুলে হ্যালো বলতেই কাট। আমার অনুপস্থিতিতে বাসা থেকে কোথাও গিয়ে সময় কাটিয়ে দু-একবার আমার কাছে ও ধরাও পড়ে। দিবা কি ব্যভিচারী হয়ে উঠল! নাকি এ প্রতিহিংসা দেখানোর পাতানো খেলা! নিজেকে কেমন ওথেলো-ওথেলো লাগে!
এদিকে পাড়া-পড়শিও ঠাহর পাচ্ছিল, এক পুরুষ তার ঘরে অনবরত 888sport promo codeর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তারা হয়তো এর এক জঘন্য পরিণতি দেখার প্রতীক্ষায়। তবে এক সময় আমার বিশ্বাস জন্মে, এই আচরণ দিবার শেষ অস্ত্র এবং দিনে-দিনে তা ভোঁতা হয়ে আসবে।
কিন্তু এক সকালে সে তার নিজের জিনিসপত্র দুটি লাগেজে গোছগাছ করে আমার মুখোমুখি দাঁড়ায়, আমি যাচ্ছি। চাইলে তুমি অনিন্দিতাকে রাখতে পারো।
এরই মধ্যে দিবা যে তাকে একতরফা ভালোবেসে এতকাল কুমারী হয়ে তারই প্রতীক্ষায় থাকা প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করেছে তা আমি টেরই পাইনি।
আমি আমাদের মেয়ে অনিন্দিতাকে আমার মাকে গছিয়ে কেমন সর্বস্বান্ত হয়ে যাই!
দিবার পেছনে পড়ে থাকে আমার সাধ্য-সাধনায় কেনা কখানি শাড়ি-গয়না-ফার্নিচারের দশ বছরের একটা দুর্বহ সংসার। আর থাকে প্রায় প্রথম থেকে অসংলগ্ন, অসম, ছেঁড়াফাঁড়া, ছুঁইছুঁই করে ছুঁতে না পারা এক দেহজ সম্পর্কের খ–বিখ-।
মেঘলার শরীর, শরীরের আবেগ, চুম্বন সবই এখন তার ওই প্রেমিকের – এই দুঃসহ যন্ত্রণা, তীব্র দেহজ তিয়াস, অপমান-গস্নানি-পরিতাপ-অনুশোচনা-অভিমান-ক্ষোভ যখন আমায় ছিঁড়ে-খুঁড়ে খাচ্ছে আর তাতে জীবনের অবসান ছাড়া মুক্তির আর কোনো পথ দেখা যায় না অথচ সেটা আমার পক্ষে অসম্ভব তো তখন আমি মেঘলাকেই খুঁজলাম, সম্পূর্ণ অনাস্থা, অনিশ্চয়তা নিয়ে।
এঘাট-ওঘাট ছুটে তার ফোন নম্বর জোগাড় করে যখন কথা বলার শুরু, তখন থেকে শেষের 888sport app download apkর বউ ঘরের ঘটিভরা প্রয়োজনের জল আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা প্রেমিকা পুকুরভরা জলে অবাধ আনন্দ-সাঁতারের দর্শনটার ভাঙচুর হতে থাকে। রবিবাবু, যার দেহ না আগে পাওয়া গেল, না ভবিষ্যতে পাওয়ার কথা আছে তেমন ফানুসে তৈরি 888sport promo codeকে চেতনে লালনের আদর্শ নিয়ে বাঁচার মতো পরিহাস আর কী হতে পারে!
এখন মেঘলায় এ শুধু আমার সম্পন্ন এক চুম্বনের আধার তথা যৌনদেবীকে খোঁজা নয়, শেষ আশ্রয়েরও সন্ধান যেন।
যে-মেঘলা এখন আমার আওতার মধ্যে, সে বাস্তবত কেমন আশ্রয়! আদৌ কি আশ্রয়! আমার সঙ্গে একবার দেখা – দেখার মধ্য দিয়ে যা কিছুই ঘটুক তাকে আবার তার সংসারে ফিরে যেতে হবে। মাধ্যমিকে পড়া ছেলে, উচ্চমাধ্যমিকে পড়া মেয়েকে তার পরকীয়ার কলঙ্কে ভাসিয়ে সে তো এখন নতুন করে ঘর বাঁধতে পারে না। তা পারা উচিত কি! এদিকে মেঘলার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ হওয়ার পর থেকে দিবার সঙ্গে আমার দশ বছরের সম্পর্ক অদ্ভুত সব প্রশ্নে বিদ্ধ হতে থাকে। পরিশেষে যা জবাব আসে তার মর্ম যেন এই, যে বিয়ে এমন দীর্ঘ সময়েও একটা পরিপূর্ণ যৌনসুখ দিতে অসমর্থ তা কোনো বিয়েই নয়। এক পরিপূর্ণ দাম্পত্য সম্পর্ক আমার জীবনের কাছে পাওনা আছে।
এখন তবে মেঘলা থেকে আমি কী পেতে পারি? ওই শরীর! হ্যাঁ। আর যাই হোক এতদিনে এ কখন যৌনতার এক উর্বর ক্ষেত্র হয়ে আমার জন্য প্রতীক্ষমাণ। আদৌ কি তা! দিবার মধ্যে গত দশ বছরে যা পাইনি, এখন মেঘলাতে তা পাওয়া কি সম্ভব! আর মেঘলাই কি শুধু একজনা মানে তার হাজবেন্ডের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে? কোনো অতৃপ্তি থেকে কিংবা বৈচিত্র্যের পিয়াসে কি কারো সঙ্গে মজেনি? অথবা দেয়নি সাড়া কোনো পরম পুরুষে? তারপরও সে যে চরম ও পরম সুখটি পেয়েছে তা কি নিশ্চয় করে বলা যায়!
কোথায় যেন পড়েছে একদা বিমল কর, সম্ভবত বিমল কর সমরেশ কী সুনীলকে একামেত্ম ডেকে কন, জানিস সারাজীবনেও পরিপূর্ণ তৃপ্তির একটা সেক্স করতে পারলাম না। এমন অতৃপ্তি – যেন তা খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের মতো এক মৌলিক দাবি, পরম চাহিদা, যা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা ও অনেকের কাছেই শুনেছে। শ্রেণিচেতনা নিয়ে মতভেদ থাকলেও শ্রেণি মূলত দুটিই – শোষক ও শোষিত, পাপী ও পুণ্যবান, তাজমহল দেখার আগের ও পরের মানুষ, যারা কোকিলের গানের মর্ম উপলব্ধি করতে পারে আর যারা পারে না, যারা দেহভোগে পরমকে পেয়েছে এবং যারা পায়নি। তার মনে কয় বিষয়টা নিয়ে জাতিসংঘের সংশিস্নষ্ট কোনো সংস্থা বা কোনো এনজিওর মতো একটা জরিপ ও করে বসে আছে। এ আশ্চর্য বৈচিত্র্যময় বটে। যেমন – রোকন তার জীবনের সবচেয়ে তৃপ্ত যৌন-সুখটা পেয়েছে পাড়ার সুন্দরতমা বাবলিতে, কিন্তু আশ্চর্য, তা কিনা বাস্তবে নয়, স্বপ্নে।
রফিকুলস্না তার বৈচিত্র্যময় যৌনজীবনে পরমানন্দকে পেয়েছে গেলমানের মতো সুন্দর এক বালকে।
আমি আমার বান্ধবী দীনাকে আমার সঙ্গে একবেলা শোয়ার প্রস্তাব দিলে ও চোখেমুখে কৌতূহল ফুটিয়ে কয়, তোর বউরে পাঠায়ে দিস। আমার জীবনে পরমানন্দগুলো আমি পাইছি আমাদের ফ্রেন্ড রশিদের মেয়ে জিনিয়ার সঙ্গে মিলনে – বস্নু, দ্য ওয়ারমেস্ট কালার।
আর রশিদ তো এক নাদুসনুদুস হিজড়ার সঙ্গে লেগেছিল পাগলের মতো।
সাইফুলের প্রিয় পেশন মাস্টারবেসন, বিয়ের মধ্য দিয়ে কল্পনায় দীর্ঘকাল যাকে ইচ্ছা তাকে ভোগ এক ক্ষীণকায় 888sport promo codeতে স্কুইচ হয়ে পড়ে।
তার বন্ধুদের মধ্যে এক জটিল দেহচেতনাদারি মেহেদী। সেই কৈশোরেই সে তার সমবয়সী কাজের মেয়েকে পাছবাড়ির ঝোপে ডেকে নিয়ে সেক্স করার চেষ্টা করে কিন্তু গায়েগতরে সেভাবে কাবু করতে না পারা কিংবা আয়ত্তে আনা সম্ভব হলেও মেয়েটির হরমোনাল সাপোর্ট না পাওয়ায় তা সম্ভব হয় না। তবে শ্রেণিবন্ধু রঞ্জুকে পাল্টা সুযোগ দেওয়ার শর্তে একতরফা মজা লুটে কথা না রাখায় আর তাকে বাগে পায় না। নানা অচরিতার্থতার মধ্যে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে আনন্দের 888sport sign up bonusটা তার পতিতালয়ের। তার স্ত্রীর কাছ থেকে যে-যে কারণে পরম সুখটা ও পায়নি, তার একটি চুম্বন-সংকট – মুখে দুর্গন্ধ। আর পতিতালয়ে তার অভিজ্ঞতাটা এমন যে, কোনো বণিতাই তাকে রিল্যাক্স দশায় মিলিত হতে দিতে নারাজ। এর পেছনে হয়তো মাসিদের চাপই প্রধান। কিন্তু রিয়া নামের বা নামদারি টসটসে যুবতী তার অধীরতাকে থমকে দিয়ে বলে, এরই মধ্যে নিশ্চয়ই বহু 888sport promo code নিংড়ে অনেক মধু আপনে খাইছেন, আজ আপনারে আমি আপনার মুখে তুলে এমন মধু খাওয়াব –
যখন আমি কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে, আমার সৎমার ভাই অনার্সের ছাত্র রাসেল আমাকে বাড়িতে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরে। আমাকে কোনো জবরদসিত্ম করে না ও। যুবতী মেহেদীর ঠোঁটে চুমো খেতে-খেতে তার নিজের কথা এমন অবলীলায় বলে চলে, যেন সে এতদিনে এমন কাউকে পেয়েছে যাকে ও তার সব খুলে বলতে পারে। রিয়া মেহেদীর শার্ট-গেঞ্জি, তার নিজের বস্নাউজ-ব্রা খোলে – অতঃপর তার উন্মুক্ত স্তন মেহেদীর খালি বুকে চেপে দুই হাতে তাকে জড়িয়ে ধরে। তাদের গভীর ভালোলাগার মাঝে দুজনার সম্পর্ক তৈরি হওয়ার অন্তরায় যে সৎ মামা-ভাগ্নির এক কৃত্রিম দেয়াল রাসেল তা তাকে বুঝিয়ে বলে। সেও তা বোঝে কিন্তু বাস্তবের জাল অতিক্রম করতে বাধে, আবার দিনে-দিনে গোপন স্পর্শ ও কথায় গলতেও থাকে। গল্পটা এই পর্যন্ত পৌঁছতে-পৌঁছতে রিয়া তার নিজের শাড়ি-পেটিকোট, মেহেদীর প্যান্ট, আন্ডার-প্যান্ট খুলে ফেলে।
এক পর্যায়ে রাসেলের সঙ্গে সে পালায়। কিন্তু গাঁটের টাকা শেষ হলে তাকে হোটেলে ফেলে সে পালায়। ও পড়ে হোটেলের লোক, পুলিশ আর 888sport promo code দালালের খপ্পরে। এভাবে মান-সম্মান হারা তারও যেন আর সৎমার সংসার, আপন গাঁয়ে ফেরার উপায় থাকে না। কয়েক মাস আগে তার ঠাঁই হলো এখানে। আর এতদিনে ও মেহেদীর মধ্যে সুঠামদেহী এক যথার্থ কামুককে পেল।
এদিকে মেঘলা শুধু আমার কাছ থেকে কেন একটি সম্পন্ন চুম্বন হয়তো তার হাজবেন্ড বা অন্য কারো কাছ থেকেও পায়নি। পেলে এত বছর পর আমার ডাকে আজ এমন সাড়া দিত! কিন্তু ইতোমধ্যে মেঘলার কতবার কতজনার সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে, আদৌ শুধু তার স্বামীর সঙ্গে অতৃপ্ত সম্পর্কের মধ্য দিয়ে জীবন পার হচ্ছে কিনা এ নিয়ে সে কোনো কূলেও পৌঁছতে পারে না। অবশ্য এর সঙ্গে আরো কত জটিল অনুষঙ্গই না থাকতে পারে।
এখন তার ত্যক্ত-বিরক্ত মুখে যা ফুটছে তা আমাকে মহাকর্ষে টানে। কিন্তু কী তা – ভেদ করতে গিয়ে তার কাম-লাবণ্য-পেটা বাহু, বুক, নিতম্বের বিপরীতে তলপেটাঞ্চলের সঙ্গে এর এক কামজ ঐক্য খুঁজে পায়। সব মিলিয়ে মনে হয় সে এখন দারুণ উপভোগ্য হতে পারে, কারণ দোলনচাঁপার কুমারী শরীর, চোখে-মুখে বাঁধ ভাঙার একটা আকাঙক্ষা থাকলেও অভিজ্ঞতাপুষ্ট না হওয়ায় ও-দেহে এমন তোলপাড় করা নদী ছিল না। তখন হয়তো জীবনের ঝুঁকি নিলেও দোলনচাঁপাকে আমি পেতাম না; কিন্তু এখন তা পূর্ণ প্রস্ফুটিত গোলাপ হয়ে আমার নাগালের মধ্যে অথচ তাকে কিনা তুচ্ছ, অর্থহীন করে দুর্বার এক আকর্ষণে টানছে সুবর্ণা।
দশটা থেকে একটা সুবর্ণার পরীক্ষা, তাই এর সকালের অংশটাকেই মেঘলার অভিসারের সুযোগ হিসেবে নেই। মেঘে-মেঘে আর যানজটে তা যে বারোটা বাজাবে কে জানত! আর পরীক্ষা শেষে ফেরার পর তার ভাই ও ভাবি না ফেরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেঘলা বাসায় একা। অথচ এখন মেঘলার সঙ্গে দেখা করলেই এই সুযোগের সময় সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। তো মেঘলা, এতকাল ধরে তোমার জন্য বয়ে আনা আমার চুম্বন এরই মধ্যে কোনো জাদুকাঠির ছোঁয়ায় শুধু একবার তোমাকে দেখার মধ্য নিঃশেষ হয়ে গেল!
সুবর্ণার পছন্দ টি-শার্ট, ফতুয়া – আমি আকাশরং নীলের মধ্যে মেঘের বিচিত্র ছোপ টি-শার্ট পরে এসেছি মেঘলার কাছে। কিন্তু সুবর্ণা এখনো এক সাধনা মাত্র। এই সাধনায় সাফল্য বাস্তবের বিবেচনায় অসম্ভব, আর এখানে অস্বাভাবিক কিছু সুযোগ যদি আসে তাতেও আমার মূল লক্ষ্য ভেদ হওয়া অনিশ্চিত। তো এই অনিশ্চয়তারই পথে যদি যাত্রা করতে হয় তবে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, শুধু সময় অপরচুনিটিকে অসম্ভবের ওপারে ঠেলে দিতে পারে।
তো আমি মেঘলাকে দেখা না দিয়েই সুবর্ণার উদ্দেশে রিকশায় চড়ি।
প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর রিকশা থেকে নামার সময় সে অস্বসিত্ম বোধ করে – এখনো যদি মেঘলা আসাদ মার্কেটের মুখে অপেক্ষায় থেকে থাকে, তবে তার প্রতীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা পেরোল। এ কেমন বিবেকহীনতা!
মেঘলা…
কও!
আমি ডিসিশন চেঞ্জ করেছি।
মানে!
মেঘলার কণ্ঠ থেকে একটা ধাক্কা আমাতে প্রশ্ন জাগায় – এভাবে সরাসরি বলা ঠিক হচ্ছে! আবার সিদ্ধান্ত আমি পালটেছি সেটা ঠিক কিন্তু এই পালটানো তো শেষ কথা নাও হতে পারে। সুবর্ণাকে নিয়ে যা ভাবছি তা অচিরেই এক উদ্ভট ধারণা বলে প্রমাণ হতে পারে। কিংবা একটা সুন্দর ফানুস কোন খোঁচায় যে চুপসে যাবে! আর তাতে মেঘলাকে এভাবে প্রত্যাখ্যান হতে পারে হঠকারিতা – বড় অনুশোচনার। তবে ভালোবাসার, যৌনতার নিজস্ব এক শক্তি আছে যা আপাত অসম্ভবকে জয় করতে সমর্থ। তবু মেঘলার বিস্ময়ের জবাবে আমি ঝুঁকি নিই না –
মানে… একটা ঝামেলা হইছে।
আমি টেনশনে ছিলাম – কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হইলো কিনা! তো ঝামেলাডা কী?
ওই অ্যাক্সিডেন্টের মতোই; এখনো আমি তার চক্করে। ডোন্ট ওরি – পরে আমি তোমারে সব বলব।
আমারে কিন্তু দুর্ভাবনায় রাখলা।
মনে হচ্ছে আমি মেঘলাকে শূন্যে ঝুলিয়ে এ-বেলায়, এ-বয়সে সুবর্ণা নামের এক দিবাস্বপ্নের ঘোরে সিঁড়ি ভাঙছি।
ডোর-বেল বাজাতে হাত বাড়াচ্ছি এরই মধ্যে দরজা খোলে সুবর্ণা। আমি কলের পর কল দিচ্ছি কিন্তু রিসিভ করছেন না, টেনশন হচ্ছিল ভারি।
আমি কোনো জবাব দিতে পারছিলাম না, কারণ আমি এমনভাবেই তার দৃষ্টিবিদ্ধ ছিলাম যেমনটি পাখির দুই ঠোঁটের করাতে ধরা পড়া একটি প্রজাপতি।
ফোন ধরেন নাই কেন! কী হইছিল?
আমি যে তার জন্য কী ফেলে কীভাবে ছুটছি তা কি সুবর্ণা জানে!
আমার দৃষ্টি মার্বেলের মতো তার চোখ থেকে ভরাট বুকে গড়িয়ে ক্ষণিক স্থির হতে না হতেই ও ঘুরে ভেতরের দিকে এগোয়। এই বেহায়া-দৃষ্টি তার গলা, বুক, বাহু, নিতম্ব, ঊরু চষে তাকে ক্রমশ জাগরিত করে – তার দেহভঙ্গি আমাকে তাই জানান দেয় বুঝি!
আমার দেহচেতন কি জন্ম-জন্মান্তর ধরে এরই তেষ্টায় জ্বলছে!
খাবেন তো?
হ্যাঁ।
হাত-মুখ ধুয়ে আসেন।
বুয়া রান্নাবান্না সেরে, খেয়ে এরই মধ্যে বিদায় হয়েছে। রকিব, তার বউ দুজনই যথারীতি অফিসে। এ সময় তারও এভাবে এখানে ফেরার কথা ছিল না আর তার ফেরার এই দুরভিসন্ধিতে সুবর্ণার কোনো যোগসাজশও নেই কিন্তু কাল বিকেলে এ-বাসায় এসে আজ সকাল পর্যন্ত থাকার সময়টুকুতে এই যুবতীকে দেখে-দেখে তার দেহে যে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয় তাতে সেও আক্রান্ত বলেই ও-ও নিশ্চয়ই চেয়েছিল তার ভাই-ভাবির অলক্ষে সে এভাবেই আসুক, সেজন্যই তাকে তার বারবার ফোন।
খাবার টেবিলে চামিচ ধরা তার ডান হাতটা আমি বাঁ-হাতে চেপে ধরার সুযোগ নিয়ে বলি, আর দিও না, আর…
একটা শিহরণ আমি তার মধ্যে টের পাই। খাওয়ায় ওঠা-বসা-হাত ধোয়া ইত্যাদির মধ্যে আমি একবার তার ঊরু, একবার বুক ঘেঁষার সুযোগ নিই।
ও কি মেঘলা কিংবা দিবার চেয়ে সুন্দরী? সুবর্ণার সৌন্দর্যে অন্য এক মহিমা – নিপুণ 888sport live chatীর গড়া দেবী প্রতিমা ও, 888sport live chatী তাকে প্রাণের মহিমাও দিয়েছে – তাতে শি ইজ আউটস্ট্যান্ডিং!
ও কোন তলস্নাটের সে-ই যুবতী যার জন্য বুড়োরা ক্লিন সেভ করে পাকা চুলে কালি দেয়, তারা সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যসচেতন হয় – তাতে তাদের আয়ু বাড়ে, যুবক বিষপানের মতো নেশা করে দেবদাস হয়, কেউ কোকিলকণ্ঠ হয়, তাকে নিয়ে লেখা কারো 888sport app download apk খ্যাতি পেয়ে সংক্রামক ব্যাধির মতো হৃদয়ে-হৃদয়ে ছড়ায় – কবি অমর হয়। আমার কী হবে!
খাওয়ার পর ভাতঘুমের অজুহাতে বিছানায় গিয়ে পুরুষের সেই পুরনো ছল। দাও, তোমার হাতটা দেখি।
কী দেখবেন! ও হাতটা ঠিক বাড়ায়, নিশ্চই হস্তরেখা নয়!
আমি তার হাতটা ধরতেই জ্বরের কাঁপুনির মতো একটা শিহরণ তার শরীরে ছড়িয়ে যায় – আমি তাতে সংক্রমিত।
এরই মধ্যে সে কেমন তটস্থও – সমস্ত প্রাণিজগতে যেমন, ভেতরে মিলনের প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও স্ত্রী প্রাণীরা এসকেপ করতে ছোটে, অচেতনে এই ভয় যে কন্সিভের দায়টা তো তাকেই বহন করতে হবে।
দায়মুক্তির চাবি যে আমি বহন করে এনেছি সে-কথা সহসাই সুবর্ণাকে বলতে সংকোচ লাগে! আমাকে আতঙ্ক তাড়া করে, যে-কোনো সময় রকিব বা তার বউ চলে আসতে পারে। সুবর্ণা জানিয়েছে, তারই বিয়ে-সংক্রান্ত কাজে সন্ধ্যার ট্রেনে আজ ভাই-ভাবি 888sport app যাচ্ছে।
এরপর আমি একটি চুম্বনের অনুমতি চাইলে ও না, না, না বলে সামান্য সরে যায়। আমি হাত বাড়িয়ে তার নাক টিপে ধরে নাড়া দিই। এরপর কাছে সরে গিয়ে তার দুই কাঁধে দুই হাত রেখে গলার পেছনভাগ আঙুলে জড়িয়ে মুখটি আমার মুখ বরাবর টেনে এনে ঠোঁটে চুমো খাই। তার অধর আমার অধরোষ্ঠে নেই, তারপর ওপরের ঠোঁট। এর মধ্য দিয়ে আমার অবাধ চুমোর উপদ্রব – এমন উপদ্রবের তীব্র আবেশে ও আমাতে ঢলে পড়ে।
আমি তাকে শুইয়ে দিই।
আমি তার কামিজের বোতাম খুলতে থাকলে সে বাধা দিতে পারে না। কিন্তু যে-কারণে খোলা – তার বুক উদাম করা তাতে লজ্জা-ভয়ে ও অদ্ভুত সুন্দরে সংকুচিত।
স্তনের আকৃতি গম্বুজের – প্রাচীন বাৎসায়ন থেকে অদ্যাবধি এ-কথা সচল কিন্তু তা যে এমন এক অসাধারণ স্থাপত্য হতে পারে তার প্রমাণ তার বুকে।
সুবর্ণা হয়তো কামকলায় অভিজ্ঞ কোনো 888sport promo code নয়। আদৌ সে বাৎসায়ন পড়েছে কিনা!
বাৎসায়ন কিংবা তার নামে সমন্বিত প্রজ্ঞায় পুরুষচৈতন্যের আধিপত্যের ঊর্ধ্বে আমি সুবর্ণার সুখকে সমান গুরুত্ব দিতে চাই।
কামকলায় এমন অভিজ্ঞ নিশ্চয়ই সুবর্ণা নয় যে, প্রথম দফায়ই তেমন এক সম্পন্ন সুখের যৌথ উদ্যাপন সম্ভব।
কিন্তু এ কি তার প্রথম দফা? ইজ শি ভার্জিন?
এটাই কি তোমার প্রথম? সুবর্ণাকে ও প্রশ্ন করতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবও সত্য হবে, না মিথ্যা তা বলা অসম্ভব বরং তা তাকে একটা চোবান দিয়ে এক বিব্রতকর দশায় ফেলে দেওয়া হতে পারে। তাই প্রশ্নটা না করে ও অন্যদিকে –
আমি তার পাজামা খুলে দেখি গোপনাঙ্গের প্রদীপে শিখা লেলিহান। তা থেকে আমার গোপন – সারা অঙ্গে পুলকের আগুন ধরে যাক।
তার প্রদীপশিখায় আমার ক্ষুদ্রাঙ্গ স্পর্শ করার সঙ্গে-সঙ্গে গভীর এক ধ্বনিতে সুবর্ণা আহ্ বলে উঠলে আমি আতঙ্কিত কিংবা বিব্রত – এ কি সতিচ্ছদ ফাঁড়ার যন্ত্রণা! না – এ নিশ্চয়ই গোপন প্রদেশে প্রথম বা উন্মুখ স্পর্শ-উদ্ভূত এক পরম শীৎকার।
আমি তাকে এক স্বাভাবিক দশায় নিতে তৎপর। আমি তার তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে আমার বৃদ্ধাঙুল রেখে তার যোনির পেশি সংকুচিত-প্রসারিত করার পদ্ধতি বোঝাই। কিন্তু চেষ্টা করেও ও তা পারে না, দিবা ওই মুদ্রায় অপূর্ব এক পুলক আমাতে ছড়িয়ে দিত। পূর্বসূরির হারানো চরিত্রের পুনরাবির্ভাব ঘটায় শুধু গুটিকয় মানুষই যেমন তার কান নাড়াতে পারে এটা হয়তো তেমন কোনো ব্যাপার। কিংবা সুবর্ণা আনাড়ি বলে…
তবু আমি তথা আমরা পরম আত্মতৃপ্তির সাধনা করি – ধরতে-ধরতে তা ধরা দিচ্ছে না যে! তার পরও এরই মধ্যে আমি যেখানে পৌঁছি সে এক অভিনব গন্তব্য, নতুনতর প্রাপ্তি। হয়তো জগতের আয়তনের মতো এ-সুখটাই অনন্ত, যার শেষ নেই, শেষ বলে তাই সেটিকে পরিপূর্ণতার আয়ত্তে আনা যায় না। এই সুখের প্রশ্নে পারফেকশনিস্ট হওয়া বাতুলতা মাত্র। কিংবা স্বপ্নে বা কল্পনায়ই কেবল এর চূড়া স্পর্শ করা যেতে পারে।
রকিব বাসায় ঢুকে তাকে দেখে এরই মধ্যে সুবর্ণার সর্বনাশ হয়ে গেল কিনা তেমন এক আশঙ্কায় বেচয়েন।
মেঘলার সঙ্গে দেখা করতে আসছি বিষয়টা আমি কয়েকদিন আগে রকিবকে জানিয়ে তার বাসায় আশ্রয় পাওয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে ও আমাকে স্বাগত জানায়। এখন তার বেচয়েন দশার বিপরীতে আমি স্বাভাবিক থাকায় সচেষ্ট। তাকে জানাই, সকালে স্বামী বাসায় থাকায় মেঘলা অ্যাপয়েন্টমেন্টটা পিছিয়ে নিয়েছে বিকেলে। তো বিকেলে তার সঙ্গে আমার দেখা হোক আর না-ই হোক সন্ধ্যার বাসে আজ আমাকে ফিরতেই হচ্ছে, কারণ মেয়ে আমার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আমি মেঘলাকে নিয়ে আকুলতা, অনিশ্চয়তা, টেনশন দেখিয়ে বিকেলে রকিব, তার বউয়ের কাছ থেকে বিদায় হই।
ওরা সন্ধ্যার ট্রেন ধরতে বাসা থেকে বেরোনোর পরপর সুবর্ণা আমায় ফোন করে।
সুবর্ণা, আমি একটু সময় নিচ্ছি – ট্রেনটা স্টেশন ছাড়ুক।
আমি যখন সুবর্ণার উদ্দেশে হোটেল থেকে বেরোচ্ছি তখন সন্ধ্যা সাড়ে আটটা। এখন অনাহূত কেউ ওই বাসায় না এলেই আমাদের মোক্ষ লাভ।
ড্রইংরুমে ঢুকে সুবর্ণাকে দেখেই বুঝি ফ্ল্যাটে আজ ও একা বলে স্বাধীন, স্বতঃস্ফূর্ত, পরম এক আনন্দ উদ্যাপনের জন্য উদগ্রীব। এক সম্পন্ন সুখের জন্য আমি সারাক্ষণ নানা আসন-কামকলায় হাবুডুবু খাচ্ছিলাম। তার সুগঠিত নিতম্ব দেখে আমি পশুদের সম্ভোগকলায় তাড়িত। একদা দিবার নিতম্বও আমাকে পশ্চাদাব্দ হয়ে, এমনকি গরু-ঘোড়ার কায়দায় রমণে প্ররোচিত করে। কিন্তু বাস্তবে কোনো বৈচিত্র্য বা বাড়তি কোনো সুখ তাতে মেলেনি; হয়তো তা এজন্য যে, সেই সময়টাতেও আমরা ভেতরে-ভেতরে সন্দেহ, অসমেত্মাষ নিয়ে বিবদমান। সুবর্ণার ক্ষেত্রে প্রথমবার তেমন কোনো পরিকল্পনা দূরে, খুব একটা চিন্তা-ভাবনারই অবকাশ ছিল না। আমি তার শরীর ও সৌন্দর্যের ঘোরে পড়ি। ঘোরের মধ্যে শঙ্কাও – যদি ধরা পড়ে যাই! হয়তো ভয়-ভালোবাসা মিলিয়ে সে এক অভিনব সুখও।
এরই মধ্যে আমি বারকয়েক তাকে জড়িয়ে ধরি, চুমো খাই, ব্রার ভেতর দিয়ে হাত দিয়ে নগ্ন সুঢৌল বুকের স্বাদ নিই।
খাওয়া-দাওয়া-দাঁত ব্রাশ ইত্যাদি সারা হলে ও আমাকে তার ভাই-ভাবির বেডরুমে নিয়ে যায়। খাটে চোখ যেতেই বুঝি পিঙ্ক প্রিন্টের গোলাপে আকীর্ণ বিছানা-বালিশে ফ্রেশ শয্যাটি ওরই পাতা। কিন্তু আমার কেন পাটক্ষেত, বাঁশবনে নিবিড় দৃশ্যের কথা মনে আসে!
বিছানায় পাটক্ষেতের নিবিড়তা আনতে আমার অচেতন থেকে হাত বাড়িয়ে কেউ লাইট অফ করে। অতঃপর এক সান্ধ্য আঁধারে তা সুবর্ণাকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে।
তোমার গায়ের কোথায় হাত দিলে তুমি সবচেয়ে বেশি মজা পাও।
যেখানেই হাত দাও। তুমি যেখানেই হাত দাও সেখান থেকে এক গভীর পুলক এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যেন তোমার হাতে জাদু আছে!
কেমিস্ট্রি অব সেক্স। হয়তো আমার স্পর্শ তার বড়ই কাঙিক্ষত তাই এমনটি ঘটে। কিংবা –
আমার হাত কোমল নয়, হয়তো এ জন্মগত কিংবা ছোটবেলায় বালতি টেনে বাগানে পানি ঢালা বা রিং ঝুলে লম্বা হওয়ার সাধনা থেকে এ হতে পারে; কিন্তু এই কঠিন হাত যখন তার বুক, ঊরু,
বাহু, পেট মর্দন-মন্থন করে, দেহের যত্রতত্র হাতড়ে ফেরে ও পুলকে খেইহারা, বুঝে উঠতে পারে না তার সবচেয়ে সুখের উৎস কোথায়! মেঘলা নিশ্চয়ই সবচেয়ে সুখ পেত বুকে হাত পড়লে যে-কারণে সুযোগ পেলেই সে আমার হাত নিয়ে…
কিন্তু অর্গাজম!
আমি জানি স্থূহল পুরুষের মতো 888sport promo code দ্রুত সে চূড়ায় উঠতে পারে না, চায় না কিংবা তার কাছে পথের আনন্দ, বাঁকে-বাঁকে সৌন্দর্য উপভোগ ততোধিক চাওয়ার। আমি ভালোবাসার কথা বলতে-বলতে আবার পাহাড়ের পাদদেশে নেমে যাত্রা শুরু করি – বহুদূর আসিয়া মর্দ রওনা হইল।
এ পর্যায়ে আমার মনে হয়, সুবর্ণার 888sport cricket BPL rate বছরের চূড়ান্ত যৌবন কামকলায় অভিজ্ঞ এমনই এক পুরুষ চেয়েছিল, অনাড়ি তরুণ, যুবক নয়।
সুখের গিরিপথ বাইতে-বাইতে আমার মনে কয় আসলে এ এমন এক সুখ যা অশেষ এবং কেউ বলতে পারবে না আমি তাকে সম্পূর্ণ পেয়েছি। সুবর্ণার দেহের অন্ধিসন্ধি খুলে দেখতে-দেখতে আমি উপলব্ধি করি, এই দেহ এমন এক 888sport live chat যে, এই 888sport live chatদর্শন কখনো শেষ হওয়ার নয়। এভাবে দেখতে-দেখতে বিগত অভিজ্ঞতার আলোকে আমার মনে হয় রূপে-কামে ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠা। এমন এক সুন্দরীকে চুম্বনে, পীড়নে, মর্দনে, মন্থনে এক মাতাল লীলার মগ্নতায় আমার মনে হতে থাকে এ এমন এক রস, যা যতই পান করো সাধ মেটার নয়। বাস্তবে তাই কারো মধ্যে পূর্ণ তৃপ্তি বা শেষ না-পাওয়াই এই সাধনার সার।
সুবর্ণা তুমি আসলে এক হুর।
আপনে!
আপনে না, তুমি।
তুমি তবে জান্নাতি পুরুষ।
কোন পুণ্যবলে যে আমি বেহেশত আর তোমারে পাইলাম!
আর আমি যে এমন ভোগ্যা হুর জন্ম পেলাম!
কেন, তুমি কি সমান এনজয় করছো না!
নিশ্চয়ই!
যেহেতু তুমি হুর আর আমি জান্নাতবাসী সেহেতু জানো নিশ্চয়ই আমদের এই সুখ কোনো অর্গাজমে নিঃশেষ হওয়ার নয়।
কিন্তু এ আমাদের ইহজনম।
আমরা অন্তত আজ রাতভর তা উদ্যাপন করব।
দিবা ও আমি দু-একবার এটা সারারাত দীর্ঘায়িত করতে গিয়ে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে হয় তৃপ্ত, না হয় ক্লান্ত হয়ে ইতি টেনেছি।
আজো হয়তো তা ভোররাত পর্যন্তত্ম ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু এরই ভেতর আমরা যে-পর্যায়ে পৌঁছেছি তাতে সুবর্ণাতে-আমাতে এখন এক পরিপূর্ণ সুখ উদ্যাপন নিশ্চয়ই সম্ভব।
এরই মধ্যে ও আমার গালে এমনভাবে অধরোষ্ঠ চেপে চুমো খায় যে, জোঁকের মতো সে আমা থেকে জীবনের পরম শুষে নিচ্ছে! তাহলে…
আমি সুবর্ণার ঠোঁটে, গালে তথা মুখে চুমো খেতে থাকি। এসব তা-ই যা আমি বহু বছর আগের জ্যৈষ্ঠের এক ঝড়ো সন্ধ্যা থেকে অধরোষ্ঠে বইয়ে বেড়াচ্ছি – এ আমার এক বড় অপ্রাপ্তি, তৃষ্ণা উদ্ভূত অমিয়।
আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত চুম্বন-পীড়ন-কম্পন-মন্থনের মধ্য দিয়ে আমার অধিত, অর্জিত, ব্যবহৃত – পরিকল্পিত কামকলা হারিয়ে যায়। অবশ্য বাৎসায়ন এমন স্বতঃস্ফূর্ত, স্বাভাবিক মিলনকেই উত্তম বিবেচনা করেন। দিবার ক্ষেত্রে আমি তার দেহে আমার কোনো প্রিয় সেক্সি নায়িকা বা পথেঘাটে দেখা 888sport promo codeর স্তন-বাহু-পাছা-ঊরু সংস্থাপন করে নিতাম কিন্তু সুবর্ণার কামজ দেহ, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যা নিয়ে এখন আমি মত্ত তার কাছে সেসবও নস্যি। আমরা এগোই। কখনো উড়ে, কখনো ছুটে, কখনো ধীরে ফুলফাগুনের মৌসুম আলোরিত করে, কখনো উত্তাল এক নদীর ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আনার প্রয়াসের অশেষ পুলকে আমরা এমন এক পরম সুখের জগতে পৌঁছি যেখান থেকে কেউ কোনোভাবেই ফিরে আসতে চায় না, চাইতে পারে না।
সম্মোহনের জগৎ থেকে আমাদের ধোঁয়া-ধূলির দুনিয়ায় ফিরে আসতে হয়।
সুবর্ণা, আমরা নিশ্চয়ই বিয়ে করতে পারি।
কেন!
এই পরম পাওয়াকে আমি অব্যাহত রাখতে চাই।
নো, তোমার সঙ্গে আমার বিয়েকে বাস্তবতার সিংহভাগ সূচকই সাপোর্ট করে না। আর তুমি জানো, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। আমার হবু বরকে রিসিভ করতেই ভাইয়া-ভাবি এখন এয়ারপোর্টে।
তুমি এসব প- করে আমার সঙ্গে পালাও।
অ্যাবসার্ড। তুমি যে কেন জীবনের এমন দুর্লভ পাওয়াকে বিনাশ করে দিতে চাও! r

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.