আমাদের উচ্চশিক্ষা-প্রসঙ্গে

888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন-উৎসবে আমাকে সমাবর্তন-বক্তার আসন দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, এখানে শিক্ষকতা করেছি, অবসরগ্রহণের পরেও ১৫ বছর শিক্ষকতার একাধিক পদে কাটিয়েছি এবং জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেই যুক্ত আছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার অশেষ গর্ব। তাই এর সমাবর্তন-উৎসবে একটি সম্মানের আসন লাভ করা আমার পক্ষে শ্লাঘার বিষয়। তবে ভয় হয়, আমি যা বলব, তা হয়তো উপলক্ষ্যের উপযুক্ত হবে না।

পৃথিবীতে শিক্ষার – এমনকি উচ্চশিক্ষারও – এমন বিস্তারলাভ হয়েছে যে, উচ্চশিক্ষার ধ্যানধারণায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। শুনতে পাই, ইউরোপের কোনো কোনো দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথাগত বিষয়ের জায়গায় অথবা তার পাশাপাশি আমাদের সমকালীন বিশ্বের বাস্তব সমস্যার বিষয়ে অধ্যয়ন-অধ্যাপনার ব্যবস্থা হয়েছে। যেমন, জলবায়ু-পরিবর্তন বা বৈশ্বিক উষ্ণতা কিংবা সুপেয় পানির সংকট। এর পশ্চাদ্বর্তী যুক্তি এই যে, শুধু জ্ঞানের জন্যে জ্ঞান আহরণ না করে যেসব সমস্যা প্রতিনিয়ত মানবজীবনকে স্পর্শ করছে, সেসব সমস্যা সম্পর্কে এখনই চিন্তা করা দরকার। আমাদের দেশে অবশ্য এ-ধরনের সংকটের বিষয় উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা সহজ নয়। প্রথমেই প্রশ্ন উঠবে, এসব বিষয় যারা পড়বে, তারা চাকরি পাবে কোথায় এবং কী সুবাদে। যেখানে অন্নচিন্তা নেই, সেখানে এসব চলবে, এখানে চলবে না। কথাটা অবশ্য একেবারে ফেলে দেওয়ার নয়। তবে উপরে যে-চিন্তাগত পরিবর্তনের বিষয়ে বলেছি, তারও সারবত্তা ভেবে দেখা দরকার।

গত পঞ্চাশ-ষাট বছরে আমরাও নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনসব বিষয় অধ্যয়নের জন্যে যুক্ত করেছি, বাজারে যার তাৎক্ষণিক চাহিদা ছিল না। যেমন, পরি888sport free betন বা সমাজ888sport apk। কিন্তু দেখা গেল যে, খানিকটা প্রয়াসের ফলে, এসব বিভাগের ডিগ্রিধারীরা ঠিকই কাজ পেয়ে যাচ্ছেন। ১৯২১ সালে যে-রসায়ন বিভাগ ছিল, তার শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হয়েছে এখনকার মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিভাগ, ক্লিনিকাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ, থিওরেটিকাল অ্যান্ড কম্পিউটেশনাল কেমিস্ট্রি বিভাগ, ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগ এবং পুষ্টি ও খাদ্য888sport apk ইনসটিটিউটে। যা তখন ছিল এক অর্থনীতি ও রাষ্ট্র888sport apk বিভাগ, তা থেকেও অনেক বিভাগের সৃষ্টি হয়েছে। কলা অনুষদের অন্তর্গত এক বাণিজ্য বিভাগ থেকে এখন নটি বিভাগ-সংবলিত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ গঠিত হয়েছে। দর্শন বিভাগ থেকে ছেঁটে মনো888sport apk বিভাগ করা হয়েছিল – এখন তার থেকে হয়েছে ক্লিনিকাল সাইকোলজি বিভাগ এবং এডুকেশনাল ও কাউনসেলিং সাইকোলজি বিভাগ।

এমনকি হালের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগ ভেঙে গঠিত হয়েছে থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্মিং স্টাডিজ বিভাগ, সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগ। এ থেকে বোঝা যায় যে, বড় একটা বিষয়কে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত করে বিশেষায়িত অনুশীলন করতে আমরা কার্পণ্য করিনি। অন্যদিকে আমাদের পরি888sport free betন বিভাগ আছে, আবার পরি888sport free betন গবেষণা ও শিক্ষণ ইনসটিটিউট আছে; ফার্মেসি বিভাগ এবং ক্লিনিকাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ আছে, আবার ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগ আছে; ভাষা888sport apk বিভাগ আছে, আবার কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ হয়েছে; দুর্যোগ 888sport apk ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ আছে, আবার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারোবিলিটি ইনসটিটিউট আছে। আপনারা যেন কেউ মনে করবেন না যে, আমি এর মধ্যে কোনো বিভাগ বা ইনসটিটিউটের আবশ্যকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। আমি বলতে চাই যে, সব সময়ে আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করে বিদ্যায়তনিক বিষয় বা অ্যাকাডেমিক ডিসিপ্লিনের প্রবর্তন করি না। এমনই হওয়া উচিত, তবে আমাদের সামর্থ্যরে স্বল্পতার কারণে পুনরাবৃত্তি এড়ানো দরকার।

অন্যদিকে যেসব বিদ্যায়তনিক বিষয় আমরা অধ্যয়নের জন্যে গ্রহণ করেছি সেগুলি যে জ্ঞানের রাজ্যে এক-একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দ্বীপ নয়, তাও মনে রাখতে হবে। ভাষার সঙ্গে 888sport live footballের, 888sport live footballের সঙ্গে ইতিহাসের, ইতিহাসের সঙ্গে ভূগোলের, ভূগোলের সঙ্গে পরিবেশ 888sport apkের, পরিবেশ 888sport apkের সঙ্গে স্থাপত্য ও উদ্যানতত্ত্বের, চিত্রকলার সঙ্গে চিত্রিত পা-ুলিপি, ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের, নাট্যকলার সঙ্গে নৃত্যগীতবাদ্যের যে-স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে, তা কিছুতেই ভুলে যাওয়া যায় না। আমার বন্ধু, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, রন ইনডেনকে দেখেছি আধুনিক ভারতের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে ভারতীয় live chat 888sport বিষয়ে পড়াতে। যদি প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানতে নৃত্যগীতবাদ্য ও ভাস্কর্যের পঠন-পাঠন করতে হয়, যদি মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাসের ক্ষেত্রে চিত্রকলা ও স্থাপত্য সম্পর্কে জানতে হয়, তবে আধুনিক ভারতের জনজীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত live chat 888sportের বিষয়ে জানব না কেন?

আপনারা যদি আমার কথায় সংগতি না পান, সে-দোষ আমারই। বিদ্যায়তনিক শৃঙ্খলায় বড় বিষয় ভেঙে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র বিষয়ে বিশেষজ্ঞের জ্ঞানলাভ উচ্চশিক্ষার একটি উদ্দেশ্যও বটে। আমি বলতে চাই, ঐক্য দরকার, আমার বিভক্তিরও প্রয়োজন আছে। ফরাসি দর্শনবিদ ও 888sport apkী পাসকাল অন্য বিষয়ে যা বলেছিলেন, এ-ক্ষেত্রে আমি তা তুলে ধরতে চাই : ‘যে-বহুত্ব ঐক্যে উপনীত হয় না, তা বিশৃঙ্খলা; যে-ঐক্য বহুত্বের ওপরে প্রতিষ্ঠিত নয়, তা জুলুম।’ আমি দুয়ের মিলন আকাক্সক্ষা করি।

এইসঙ্গে সেই সনাতন প্রশ্নটি নতুন করে উত্থাপন করি : শিক্ষার উদ্দেশ্য কী? আপনারা জানেন যে, এ-বিষয়ে মোটামুটি দুটি দৃষ্টিভঙ্গি ক্রিয়াশীল : একটির মতে, ব্যক্তির দেহমনের উন্নয়ন, তার ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের বিকাশ, কোনো একটি পেশায় নিয়োজিত হতে তাকে প্রস্তুত করা, সেইসঙ্গে তার আত্মপরিচয়ের একটি ভিত্তি তৈরি করা; অপরটির মতে, ভালো নাগরিক হিসেবে তাকে গড়ে তোলা, যাতে সে সমাজের কাজে আসে, তা নিশ্চিত করা, সে যেন উৎপাদনশীল মানুষ হিসেবে সমাজের উন্নয়নে অংশ নিতে পারে, তার জন্যে তাকে পর্যাপ্ত জ্ঞান দেওয়া, সেইসঙ্গে সে যেন সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়, তা দেখা। আমি বলব, এই দুই দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরকে বাতিল করে না, এর যোগফলই শিক্ষার – বিশেষ করে উচ্চশিক্ষার – উদ্দেশ্য। আমি খুব জোর দেবো শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধের বিকাশে। উচ্চশিক্ষা লাভ করে সে যদি ভালোমন্দ বিচার করতে না পারে এবং ভালোর পক্ষে দাঁড়িয়ে মন্দকে প্রতিরোধ করতে না পারে, তাহলে তার উচ্চশিক্ষা বৃথা। জীবনে আহরিত মূল্যবোধ সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধ নাও হতে পারে; শিক্ষার্থী যদি মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মূল্যবোধের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, সর্বাগ্রে আমি তাকেই স্বাগত জানাবো।

আপনারা জানেন, ইংরেজিতে উচ্চশিক্ষার একটি সমার্থ হলো র্টাশিয়ারি এডুকেশন অর্থাৎ তৃতীয়স্তরের শিক্ষা। তার মানে, দুটি স্তর (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা – আমাদের দেশে প্রচলিত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাও তার অন্তর্গত) অতিক্রম করে এই তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করতে হয়। উচ্চশিক্ষা স্বয়ম্ভূ নয়, এর ভিত্তি আগের দুই স্তরের শিক্ষা। সেই দুই স্তরের শিক্ষা সম্পর্কে কিছু না বলে শুধু উচ্চশিক্ষার কথা বলা বাগবিস্তার মাত্র। কিন্তু এত কথা বলার সময় কই? আমি শুধু বলব, আমাদের দেশে নিম্নস্তরের শিক্ষার যে অনেকগুলি ভাগ রয়েছে, তা আমাদের দুর্ভাগ্য। 888sport apps রাষ্ট্রই একাধিক ধরনের শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে। নির্ধন শিশু ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষায় প্রবেশ করার কথা কল্পনা করতে পারে না, ধনী পরিবারের সন্তান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার কথা ভাবতেই পারে না (যদিও সরকারিভাবে একটি ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাধারাও পাশাপাশি চলছে)। তারপর রয়েছে দু ধরনের মাদ্রাসা-শিক্ষা – সাধারণত গরিব ছেলেমেয়েই সেখানে যায়, এমনকি যাঁরা সওয়াব হাসিল করতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন, তাঁরাও নিজেদের সন্তানকে সেখানে পাঠান না। মাদ্রাসার বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে চিন্তার বাইরে রাখা রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়, উচিতও নয়। অনেকেই মাদ্রাসা-শিক্ষার সংস্কার বা আধুনিকীকরণের কথা বলছেন। আপনারা আমাকে মাফ করবেন, জ্ঞান হওয়া অবধি আমি মাদ্রাসা-শিক্ষার আধুনিকীকরণের কথা শুনে আসছি, আজো তা হয়ে উঠল না।

শিক্ষাব্যবস্থাটা হওয়া উচিত পিরামিডের মতো – এর ভিত্তিটা চওড়া হবে, উচ্চশিক্ষা হবে তার চূড়া। সকলে যাতে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করতে পারে, সর্বাগ্রে তা দেখা দরকার।

আমি আসলে অন্য কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমাদের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা যে-হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, শিক্ষাবিস্তারের জন্যে তা আবশ্যক, কিন্তু এই ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে উপযুক্ত শিক্ষক পাওয়া যায় না। ফলে, শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রে – বিশেষত বাংলা ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে – প্রার্থিত মানে উন্নীত হতে পারছে না। তারা যখন শিক্ষার তৃতীয় স্তরে অর্থাৎ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশ করে, তখন এই দুর্বলতা আর দূর করে ওঠার সম্ভাবনা থাকে না। অবশ্য উনিশ শতকের শেষদিক থেকে বলা হতে থাকে যে, এদেশে শিক্ষার মানের অবনমন ঘটছে। তবে উচ্চশিক্ষার মানের অবনমন সম্পর্কে কর্মে নিয়োগকর্তারা এখন যেভাবে সমস্বরে কথা বলছেন, তা আগে শোনা যায়নি। আমাদের উচিত, বিষয়টি বিবেচনা করা এবং তার প্রতিকার খুঁজে পাওয়া।

পৃথিবীতে জ্ঞানের যে-বিস্ফোরণ ঘটছে, তা অন্য যে-কোনো সময়ের থেকে বেশি। ফলে আমাদের লব্ধ জ্ঞানের অনেকটাই প্রতিনিয়ত বাতিল হয়ে যাচ্ছে, সেখানে নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হচ্ছে। জ্ঞানের সৃষ্টিতে আমরা তেমন অগ্রসর হতে পারিনি, তবে যে-নতুন জ্ঞান সৃষ্ট হচ্ছে, তা আয়ত্ত করতে আমরা চেষ্টা করছি, সে-প্রয়াস তীব্র না হলে আমাদের শিক্ষার্থীরা সত্যি সত্যি পিছিয়ে পড়বে।

তবে আমি জোর গলায় বলব, এখনকার ভালো ছাত্রছাত্রীরা আমাদের কালের ভালো শিক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক ভালো। শ্রেণিকক্ষের বাইরে জ্ঞানাহরণের যে-সুযোগ তারা পেয়েছে, আমাদের কালে তা ছিল না। এমনি কিছু উজ্জ্বল ছেলেমেয়ে এই সমাবর্তনে ডিগ্রিলাভের উৎসব করতে এসেছে। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই, অভিনন্দন জানাই তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের। গ্রাজুয়েটদের কাছে আমার একটাই নিবেদন, তোমরা ভুলে যেয়ো না, তোমাদের আজকের

কৃতিত্বের মূলে আছে তোমাদের পরিবার, তোমাদের শিক্ষায়তন, তোমাদের এই গরিব দেশ। তোমরা পৃথিবীর যেখানেই থাকো, যে-অবস্থায় থাকো, পরিবার ও দেশের কাছে তোমাদের ঋণের কথা ভুলে যেয়ো না, সাধ্যমতো চেষ্টা কোরো সে-ঋণ পরিশোধ করতে। এ-কথা জেনো, তোমরা 888sport appsের সেই স্বল্প সৌভাগ্যের মানুষদের মধ্যে স্থানলাভ করেছ, যারা উচ্চশিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছে। মনে রেখো, দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখনো সাক্ষরতার সুযোগবঞ্চিত। পারলে তাদের জন্যে কিছু কোরো। তারা তোমাদেরই ভাইবোন।

[৬ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন-উৎসবে প্রদত্ত সমাবর্তন-বক্তৃতা]