অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক যখন ছাত্র হিসেবে 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন, তখন এই প্রতিষ্ঠানের সবে শৈশব। এর পরে এখানেই তাঁর পেশাজীবন শুরু ও শেষ। আমৃত্যু প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন শিক্ষা আর অধ্যাপনার কাজে। দুটি হারিয়ে যাওয়া 888sport app download apk latest version, একটি অসমাপ্ত বই, কিছু চিঠি, দুটি বক্তৃতা, আর সুপারিশনামা – এর বাইরে তাঁর লিখিত উপস্থিতি কোথাও পাওয়া যায় না। দেখতে এমন দেবপ্রতিম ছিলেন না যে তাঁকে দেখামাত্র মানুষ তাঁর ভক্ত হয়ে উঠবে, ছিলেন না ভালো বক্তা যে শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শুনবে তাঁর কথা। কখনো গ্রহণ করেননি বা প্রত্যাশা করেননি আলোকিত কোনো আসন, অথচ ত্রিকালের (ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও 888sport apps) জ্ঞানসাধনার ইতিহাসে এখনো অধ্যাপক রাজ্জাক প্রাসঙ্গিক ও কিংবদন্তি।
অসমাপ্ত পিএইচ.ডি.র গবেষণা সুপারভাইজর প্রফেসর হ্যারল্ড লাস্কির বিশেষত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজ্জাক স্যার যে-কথা বলেছিলেন সেটা তাঁর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, ‘মি. লাস্কি অন্য মানুষদের এমন সব বিষয়ে চিন্তা করতে প্ররোচিত করতে পারতেন নরমালি তারা যেটাতে অভ্যস্ত না।’
দৃষ্টিভঙ্গির স্বচ্ছতানির্মাণে, নিষ্কাম জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে প্রচলিত জনমত উপেক্ষা করে নিজের বিশ্বাসের প্রতি স্থির থেকেছেন আজীবন। প্রাচীন ঋষিদের মতো তিনি সমগ্র জীবন ব্যয় করেছেন জ্ঞান আহরণে আর অবলীলায় অগ্রাহ্য করে গেছেন পার্থিব সাফল্য। এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে আর কোনো জীবিত বা মৃত মানুষ এদেশের জ্ঞানজগতে এতো আলোচিত আর প্রভাবশালী ছায়াদানকারী হিসেবে থাকেননি। তিনি অর্জন করেছেন মহত্ব, অর্জনে আর ত্যাগে হয়ে উঠেছেন অসাধারণ।
রাজ্জাক স্যার বেশিরভাগ কথাই বলতেন খুব সরল সাধারণ করে; কিন্তু এর মাঝে ঠিকই ধরা পড়ত তাঁর ঐকান্তিক উপলব্ধি। অধ্যাপক রাজ্জাক ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে প্রায় পাঁচ দশক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। খুব কাছ থেকে দেখেছেন এদেশের শিক্ষার কাঠামোবিন্যাস, স্থিতি, উচাটন, দুর্বলতা, সামর্থ্য ও বাহুল্য। সারাজীবন সংস্পর্শে এসেছেন দেশি-বিদেশি নানা গুণী ও পণ্ডিতজনের। তাঁদের উপস্থিতি আর কার্যক্রম গবেষক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে, শিক্ষাবিদ হিসেবে দেখেছেন। দুর্ভাগ্য হলো, শিক্ষা নিয়েও রাজ্জাক স্যারের কোনো লিখিত বক্তব্য পাই না আমরা। তবে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে খুব স্বাভাবিকভাবেই এদেশের শিক্ষার বিভিন্ন স্তরের অবস্থান সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করেছেন নিরাভরণ রূপে।
দুই
এই উপমহাদেশের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা আর তার বিস্তারের অসামঞ্জস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বহুবার তাঁর অনুগামীদের বলেছেন। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা ও প্রভাব অনস্বীকার্য, আর তা হতে হবে ধারাবাহিক। উচ্চশিক্ষার প্রতি যোগসূত্রহীন উন্মাদনা যেখানে শুধু ডিগ্রি বা সার্টিফিকেটের মোহ তৈরি করতে পারে, জ্ঞানসৃষ্টি সেখানে অসম্ভব। এক 888sport sign up bonusচারণায় অধ্যাপক রাজ্জাক উল্লেখ করেছিলেন, কাজী মোতাহার হোসেন কবি নজরুল ইসলামকে বলেছিলেন, ‘মডার্ন এডুকেশন আর কিছু না, লাউয়ের মাচার মত জিনিস। মাচা না থাকলে লাউ গাছ ত বাড়তে পারে না।’ নজরুল ইসলাম শুনে বলেছিলেন, ‘তোমার কথা ঠিক কাজী। তবে লাউগাছের চেয়ে মাচার ওজন এখানে বেশি।’ এর ব্যাখ্যায় রাজ্জাক স্যার বলছেন, ‘বেঙ্গলের এন্টায়ার এডুকেশন সিসটেমটাই টপহেভি। এখানে সাপোর্টিং কলেজ তৈয়ার করণের আগে ১৮৫৭ ক্যালকাটা ইউনিভারসিটি তৈয়ার অইছে। একইরকম সাপোর্টিং স্কুল ছাড়া কলেজগুলো তৈয়ার অইছে। তখন গ্রামেগঞ্জে যেখানে যাইবেন দেখবেন কলেজ অইতাছে। এইগুলা কোনো কামে আইব না। আমাগো দরকার শক্তিশালী মিডল স্কুল। শিক্ষার আসল জায়গাটাতেই নজর পড়তেছে না কারো, হের লাইগ্যা এইখানে ডিগ্রীর লাইগ্যা মানুষের একটা ক্রেজ জন্মাইছে। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বাইরে ইন্ডিয়ার অন্য কোন অঞ্চলে এই ক্রেজ পাইবেন না।’
রাজ্জাক স্যার পড়াশোনার খাতিরে বেশ কবছর ব্রিটেনে ছিলেন। সেই আলোকে স্কুল এডুকেশন প্রসঙ্গে আরো একটি কথা বলেন, ‘গ্রেট বৃটেনের বাজেটে ডিফেন্সের চাইতে এডুকেশনে বেশি অর্থ অ্যালট করা হয়। এখন দেখতে পারবেন, এভারেজ ইংলিশ চিলড্রেনরে স্কুলে বাধ্যতামূলকভাবে এক পাউন্ড দুধ খাইতে অয়। হের লাইগ্যা এভারেজ ইংলিশ চিলড্রেনের হেলথ মাচ বেটার দ্যান ওয়াজ ইন দ্যা টাইম অব এম্পায়ার।’ প্রসঙ্গটি বর্তমান বাস্তবতায় 888sport appsে যেন আরো বেশি জীবন্ত। এখানে সবচেয়ে অবহেলিত প্রাথমিক আর মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে পুষ্টির সম্পর্ক যে প্রশ্নাতীত – সেই বুঝ এদেশের নীতিনির্ধারকদের কাছে এখনো অনুপস্থিত। এদেশে এখনো সামরিক ব্যয়ের চেয়ে শিক্ষার বরাদ্দ চোখে পড়ার মতো কম।
রাজ্জাক স্যার তাঁর সময়ের শিক্ষকদের পাণ্ডিত্য নিয়ে যতটা না উচ্চকিত ছিলেন তার চেয়ে বেশি ছিলেন সেই সময়ের শিক্ষকদের নৈতিকতার প্রশ্নে। জ্ঞান-888sport apk ব্যক্তির সাধনায় বিকশিত হয়; কিন্তু সমাজের মধ্যে জ্ঞানের প্রয়োজন অনুভূত হওয়া চাই। বৃহত্তর অর্থে জ্ঞান-888sport apkের সাধনাও সমাজ-প্রক্রিয়ার একটি অংশ। সমাজের মানুষের চিন্তার ও নৈতিকতার ছাপ পড়ে শিক্ষকমানসে। তারপরে তা বর্তায় ছাত্রদের ওপরেও। জাগতিক প্রলোভনের হাতছানিকে যিনি সহজতায় অগ্রাহ্য করতে পারেন, শিক্ষক অভিধা তাঁকেই মানায়।
রাজ্জাক স্যারের এম. এ. পরীক্ষা ডিউ ছিল ১৯৩৫-এ। দিয়েছিলেন পরের বছর। এর কারণ উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমি বললাম বাবাকে, যদি ভাইভা দিতে কন দিতে পারি। কিন্তু সেকেন্ড ক্লাস পাব। কম্পিটিটিভ পরীক্ষা দিলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সামনের বছর ভাইভা দিলে ফার্স্ট ক্লাস পাইতে পারি। আর তারপর ইউনিভার্সিটিতে চাকরি পাইলে ২০০ টাকার বেশি মায়না হইব না। সংসারে এর বেশি তাইলে তো আমি সাহায্য করতে পারুম না। এখন আপনি যা বলেন।’
রাজ্জাক স্যার খুব গর্বের সঙ্গে সেইসব শিক্ষককে 888sport app download for android করেছেন, আজীবন যাঁরা চারপাশের জাগতিক লোভের হাতছানি উপেক্ষা করেছেন। যেমন : এক আলোচনায় স্যার উল্লেখ করেছেন অর্থনীতির অধ্যাপক অমিয় দাশগুপ্তের প্রসঙ্গ – যিনি পরবর্তীকালে ভারতে বেনারস হয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হন। তিনি ১৯৪০ সালে বেঙ্গল গভর্নমেন্টের সেক্রেটারি অব অ্যাগ্রিকালচার পদ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস টু লেকচারার হয়েছিলেন। এটা অন্তর্গত ভালোবাসা আর নৈতিকতার সুউচ্চ বোধ ছাড়া অনুভব করা সম্ভব নয়। অধ্যাপক রাজ্জাকের মতে, ‘বাইরে অন্য চাকরির আকর্ষণ তো কম ছিল না। তখন আমাদের ক্লাস টু মাস্টারের সর্বোচ্চ মাইনে ২০০ টাকা। আর একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পেত সাতশ-আটশ টাকা। এরা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হতে পারতেন। কিন্তু সেই প্রপেনসিটিটা ছিল না।’ অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন ২০০ টাকা বেতনের ক্লাস টু লেকচারার। এই সব শিক্ষক পার্থিব লোভের ওপরে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নৈতিক মানদ-।
তিন
রাজ্জাক স্যার যে-বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হিসেবে ভর্তি হন সে-বছরই 888sport appয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। কিন্তু হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে সেই সংঘাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলত না। জ্ঞানচর্চা ও তার মূল্যায়নে শিক্ষক সমাজ ছিলেন সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে। রাজ্জাক স্যারের ভাষ্যমতে, ‘ইউনিভার্সিটির মধ্যে হিন্দু-মুসলমান ছাত্রদের দাঙ্গা হতো না, ছাত্র শিক্ষকদের মধ্যে এর প্রভাব দেখিনি। হিন্দু শিক্ষকদের 888sport free betই ছিল বেশি। কিন্তু তারা যে সাম্প্রদায়িকভাবে মুসলমান ছাত্রদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ভিকটিম করবে তা ছিল না। এমন কোন রেকর্ড নেই। মুসলমান ছেলে বলে যে ফার্স্ট ক্লাসের যোগ্য হলেও সেকেন্ড ক্লাস দেবে, টু মাই নলেজ, এমন দৃষ্টান্ত আমি দেখি না। এটা তারা করতো না। একদম না। মুসলমান ছাত্রদের যে অসুবিধা ছিল সেটা হচ্ছে এই যে, হিন্দু ভাল ছাত্রদের সঙ্গে তাদের শিক্ষকদের যে সামাজিক সম্পর্ক ছিল, মুসলমান ছেলেদের সেটা ছিল না। শিক্ষক বেশিরভাগ হিন্দু ছিল। হিন্দু ছেলেদের বেশিভাগেরই এদের সঙ্গে সামাজিক এবং আত্মীয়গত একটা পরিচয় ছিল; কেউ আত্মীয়, কেউবা আত্মীয়ের বন্ধু। এই সূত্রে শিক্ষকদের বাড়িতে এই ছাত্রদের একটা স্বাভাবিক যাতায়াতও ছিল। এ ক্ষেত্রে মুসলিম স্টুডেন্টস ওয়েরার কমপ্লিটলি আউট। আর্থিক শ্রেণিগত পার্থক্যটাও কম নয়। যে শ্রেণি থেকে হিন্দু শিক্ষক হতো, সে ক্লাসের ছাত্র তো মুসলিম নয়। তবে মুসলিম ছেলে ভালো করলে হিন্দু শিক্ষক অবশ্যই খুশি হতেন। তার কৃতিত্ব স্বীকার করতেন। হরিদাস বাবু, মানে হরিদাস ভট্টাচার্য দর্শনের অধ্যাপক ছিলেন। তার কমিউনাল বলে পরিচয় ছিল। টিকিধারী ব্রাহ্মণ। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে, ছাত্রদের বিদ্যার বিচারে কখনো তিনি কম্যুনাল হননি।’ এখন হয়তো এই দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় না। কিন্তু সংকীর্ণ দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ছাত্রদের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের উপস্থিতি এদেশের শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে। শুধু তাই নয় সামান্য ‘গ্রেড উন্নতি’ বা ‘প্র্যাকটিক্যাল মার্কস’কে জিম্মি করে ছাত্রদের কাছ থেকে অর্থ আদায়, এমনকি অনৈতিক সুবিধা আদায়ের প্রচেষ্টা (বিশেষত ছাত্রীদের ক্ষেত্রে) এদেশে আকছার দেখা যায়।
পরীক্ষা, এর মূল্যায়ন ও পুরো প্রক্রিয়া ছিল শিক্ষকদের কাছে খুব পবিত্র এক বিষয়। এ-বিষয়ে শিক্ষকদের কোনো শৈথিল্য বা উদাসীনতা তখন ছিল অকল্পনীয়। স্যারের মতে, ‘পরীক্ষার আইন ছিলো এদের কাছে অলঙ্ঘনীয়। পরীক্ষার ব্যাপারটা ছিল সিকরেড। এই বোধ তাদের রক্তমাংসে ছিল। কিন্তু সেই সিরিয়াসনেস তো আজকাল একেবারে উঠে গেছে।’ তাঁর নিজের সমকালের শিক্ষকদের নৈতিকতার বিষয়ে অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের উচ্চ ধারণা ছিল। এর অর্থ এই নয় যে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানকে বা যোগ্যতায় তিনি খাটো করে দেখছেন। বরং তুলনামূলক ভাষ্যে বর্তমান শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক গড় যোগ্যতা সেকালের শিক্ষকদের চেয়ে তিনি এগিয়েই রাখছেন। তাঁর মতে, ‘ভালোর ক্ষেত্রে আমি যদি বর্তমানকে সেদিনের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে আমি মনে করি না যে, বর্তমান আগের চেয়ে খারাপ। এভারেজ অফ দি ফ্যাকাল্টি ইজ হাইয়ার নাউ। খুব ভালো শিক্ষক তখন দু’একজন নামকরা ছিলেন। প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টেই। তবে এভাবেই এখন অনেক হাইয়ার, সেটা এই সেন্সে যে, পিএইচডি করা শিক্ষক তখন 888sport free betয় কম ছিলেন। ডিপার্টমেন্টে দু’একজন করে। আর এখন, ইউ উইল হ্যাভ হোল ডিপার্টমেন্ট। যেখানে সকলেই পিএইচডি এটা তখন ছিল না।’
চার
ঠিক এভাবে স্যার ভাবতেন এখনকার ছাত্রদের ক্ষেত্রেও। কিন্তু যে-জায়গায় তিনি ঘাটতি পেতেন তা হলো টেক্সটবুক পড়া ও লাইব্রেরি ব্যবহার করা এবং দায়িত্ববোধের ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে আবার পুরনো কথাই বলতে হয়, বৃহত্তর সমাজের নৈতিকতার শৃঙ্খলহীনতা ও শিক্ষাকে সামাজিক স্বার্থে ব্যবহারের হীন বোধ – সবটা দ্বারাই এই শিক্ষক ও ছাত্র সমাজ প্রভাবিত। অধ্যাপক রাজ্জাক বলছেন, ‘একেবারেই কিছু করা যাচ্ছে না এবং ক্যামনে হবে, আই ডু নট নো, যে ঐ সেন্স ও রেসপনসিবিলিটি নেই। ঐ যে একটা সেন্স অব সেম সেকালে দেখেছি ফর নট হ্যাভিং টেকেন এ ক্লাস, নট হ্যাভিং ডান এনি ডিউটি; দিস সিমস টু হ্যাভ ভ্যানিসড। বাট দিস ইস নট পিকুলিয়অর টু দি ইউনিভার্সিটি। এটা তো কেবল ইউনিভার্সিটির বৈশিষ্ট্য নয়। এই যে লুজেনিং অব বাউন্ডস, শৃঙ্খল মুক্তির স্বাধীনতা, শিকল বলেন, বন্ধন বলেন, তার থেকে মুক্তির ভাব; দিস কামস ফার্স্ট ইন দি সোসাইটি এট লার্জ।’
যদিও আমরা আশা করছি যে, যেহেতু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেখানে শিক্ষার চর্চা চলে, সুতরাং সেখানকার পরিবেশে উচ্চমাত্রার নৈতিকতা থাকবে, থাকবে একাগ্র ও সংযুক্ত যোগাযোগ কৌশল। রাজ্জাক স্যারের অভিমত হলো, ‘এমন চাওয়াটাও বাস্তবসম্মত নয়। যেখানে উচ্চশিক্ষার আগের পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা ভালো নয়। ‘দি ইউনিভার্সিটি উইল মিয়ারলি শো ইন মোর মার্কড ফর্ম সেইম কাইন্ড অব ভ্যালু হুইচ উইলস ইন দি সোসাইটি। এটা নিকট ভবিষ্যতে যাবে না। আমার ধারণা সেকেন্ডারি স্কুলিং ভালো না হলে এটা হবে না। সেকেন্ডারি স্কুলিং ভালো হতে বহু সময় লাগবে। ইন দি মিনহোয়াইল যা হবার হবে।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস, নৈতিক স্খলন যেখানে খুব ব্যতিক্রম কোনো ঘটনা নয়, সেখানে সে-যুগের পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা আর শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষকদের নৈতিক দায়িত্ববোধ (কমিটমেন্ট) এখন বিস্ময়কর। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষকের স্ব-বিভাগে শিক্ষাদান সেকেন্ডারি ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। কনসালটেন্সি করতে গিয়ে তাঁর প্রাথমিক দায়িত্বে অবহেলা শিক্ষকদের মধ্যে কোনোরূপ পাপবোধ সৃষ্টি করে না এখন। আর এটাই সবচেয়ে ভয়ের কারণ!
এর অর্থ এই নয় যে, আগের দিনের সবকিছু কুসুমাস্তীর্ণ ছিল। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পদপ্রাপ্তি ও অন্তর্কলহ যেন চিরকালীনতা লাভ করেছে। এ-বিষয়ে রাজ্জাক স্যারের সরল স্বীকারোক্তি, ‘এক্ষেত্রে মোড অব অপারেশন আজকালকার থেকে খুব যে ডিফারেন্ট ছিলো এমন নয়। বিষয়বস্তু একই, তবে অপারেশনটা একটু মোর সাবটল ছিল।’
তিনি আরো বলছেন, ‘আগের দিনে ঝগড়াঝাঁটি ইউনিভার্সিটিতে ছিলো না, তা নয়। তবে দেখা যায় পয়সা-কড়ির প্রতি আসক্তিটা একটু কম ছিলো, অন্যদের তুলনায়। ফলে অন্যরা এদের কাছে একটু বিব্রত, একটু অকওয়ার্ড ফিল করতো।’
এই পয়সা-কড়ির প্রতি আসক্তি বা চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে রাজ্জাক স্যার খুব তাৎপর্যপূর্ণ এক অভিমত দিয়েছেন। স্যার মনে করেন যে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার
ছয়-সাত দশকে ধীরে ধীরে মুসলমান শিক্ষকদের 888sport free bet স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই বিকাশমান মুসলিম মধ্যবিত্ত তাদের ফেলে আসা সামাজিক ক্লাসের আত্মীয়দের সাথে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। শুধু তাই নয়, এই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় নিজের আত্মীয়তাভুক্ত সম্প্রদায়কে আপন উত্তরীত ক্লাসে অংশগ্রহণের নিমিত্তে নিজেকে দায়িত্ব নিতে হয়। এই দায়িত্ব আর দরকার পুরাতন সময়ের শিক্ষক বিশেষত হিন্দু মধ্যবিত্ত শিক্ষকদের অধিকাংশের জন্য ছিলো না।’
পাঁচ
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক শুধু উচ্চশিক্ষার বিরাজমান অব্যবস্থাপনা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, উপাচার্য নিয়োগ, বিভিন্ন শ্রেণির 888sport free betভারী কর্মচারীদের কাজ, 888sport free betর র্যাশনালাইজেশন বা যুক্তিসংগত বিন্যাসের সমস্যার কথা বিভিন্ন আলাপে প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের নথির পেছনে বিপুল অর্থ ও বেশিরভাগ সময় নষ্টকে অপ্রয়োজনীয় দেখছেন এই প্রবীণ অধ্যাপক। তাঁর মতে – ‘এই এন্টায়ার, এক্সারসাইজ ইজ আননেসেসারী। আমাদের ৫০০-৬০০ কেরানী। এদের ছাত্রদের সঙ্গে কনট্যাক্টটা কি দেখুন : ছাত্রদের তারিখ মতো মায়না দিতে হবে, তারিখ মতো মায়না না দিলে জরিমানা দিতে হবে, তারিখ নির্ধারণ, তারিখ বর্ধন, নাম কাটন, নাম তোলা, এ্যাডমিশন, রি-এ্যাডমিশন ইত্যাদি, ইত্যাদি এর জন্য এই বিপুল ব্যবস্থা। এই রেজিস্টার স্কলারশিপ দেন, স্কলারশিপ নিতে হলে অমুক তারিখে আসতে হবে, না হলে অমুক হবে, তমুক হবে, ইত্যাদি। এর কোনটারই দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। এগুলো তো বুক ট্রানসাকশন, খাতা লেখা, ছাত্রদের মাইনে নেওয়া, সিটরেন্ট আদায় করা ইত্যাদি। এর প্রত্যেকের জন্য আপনি স্টাফ রাখছেন, কর্মচারী লাগাচ্ছেন।’
শুধু তাই নয়, রাজ্জাক স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপেয়ার খাতে নিয়োজিত যে-ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আছে তার ন্যায্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই বিভাগের পেছনে যত টাকা বাৎসরিক ব্যয় হয়, তত টাকার নির্মাণ তো প্রতিবছর হয় না। অথচ এই বিভাগে শত শত কর্মচারী। এছাড়া কর্মচারীদের (বিশেষত চতুর্থ শ্রেণির) নিয়োগ ও শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের বেতনের অনুপাতে চরম বৈষম্যের উল্লেখ করেন।
রাজ্জাক স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিষয়ে যেসব কথা বলেছেন প্রতিটিই যুক্তিসংগত এবং এর সমাধানে যেসকল খুব সরল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করেছেন সেগুলো বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের উচ্চশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত করা হয়। তিনি যে-সময়ের উল্লেখ করেছেন, তার তুলনায় বর্তমানে কর্মচারীর 888sport free bet নিশ্চয় আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে আনুপাতিক হারে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যয় (রাজ্জাক স্যার তাঁর সময়ে মোট বাজেটের প্রায় ২০-২৫ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে উন্নত বিশ্বে এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যয় কথাটাই অপরিচিত)। কিন্তু স্যারের যুক্তিসংগত মতামত যে এই দেশে অনুসারিত হবে না এর কারণ আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিন্যাসের এবং বিকাশের ধরনটাই অযৌক্তিক আর অসংগতিতে ভরা। এ-কারণে শিক্ষা-গবেষণায় 888sport appsের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনাতেও অকিঞ্চিৎকর এবং 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত রাজধানী শহর 888sport appর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয়তন আর কাঠামোগতভাবে যে-উন্নতি, জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে তার ভয়ানক দুর্বলতার চিত্র চোখে পড়ার মতো।
আহমদ ছফা লিখছেন, ‘জ্ঞান চর্চার সামাজিক প্রেক্ষিতটির কথা অবশ্যই ধর্তব্যের মধ্যে আনতে হবে। 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়ে থাকে। কেন এই তুলনাটা করা হয় তার হেতু অদ্যাবধি আমি আবিষ্কার করতে পারিনি। ঘর, বাড়ি, অট্টালিকা এসকল ভৌত কাঠামোগত কারণে যদি 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়কে অক্সফোর্ডের সাথে তুলনা করা হয়, আমার বলার কিছু থাকে না …। 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে কেউ কেউ ছিলেন, যারা জ্ঞানচর্চার নানা ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছিলেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তারা ছিলেন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোডাক্ট। 888sport app বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে সকল ছাত্র পাশ করেছেন তারা জ্ঞানচর্চার কোন ক্ষেত্রটিতে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন সেই জিনিসটি নতুন করে যাচিয়ে দেখা প্রয়োজন। উনিশশো 888sport cricket BPL rate সালে 888sport app বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। উনিশশো 888sport cricket BPL rate থেকে সাতচল্লিশ সালের মধ্যবর্তী সময়ে 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রও আইসিএস পাশ করেনি। একথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলার উপায় নেই।’
ছয়
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন আলাপে জানিয়েছিলেন, তাঁর শিক্ষকজীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর সবচেয়ে বড় 888sport app download bd কী। ‘আমরা শিক্ষকেরা প্রতি বছরই বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু প্রতিটি নতুন বছরে আমাদের কাছে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এসে হাজির হয়। এই তরুণদের চাহিদা, চাওয়া-পাওয়ার খবর আমাদের মতো লোলচর্ম বৃদ্ধদের জানার কথা নয়, এটাই হল শিক্ষক জীবনের সবচাইতে বড় ট্রাজেডি’ – অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের অভিমত।
আর 888sport app download bd বলতে যে-বিষয়টি স্যার উল্লেখ করেন, তা অনুভবের জন্যও উচ্চ মানসিকতাসম্পন্ন বোধ প্রয়োজন। রাজ্জাক স্যার মনে করতেন, ‘শিক্ষক যা ছিলেন তাই থাকেন। যেখানে ছিলেন সেখানেই থাকেন। তাঁর ছাত্ররা তাকে ছাড়িয়ে যায়, তারা ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। তারপর জীবনের সড়কে অতর্কিতে যখন আপাতভাবে অপরিচিত কোনো বয়স্ক কিংবা যুবক, কোন মানী কিংবা গুণী শিক্ষকের সামনে এসে নতমস্তকে দাঁড়ায় আর ডাক দেয় স্যার সম্বোধনে এবং বলে আপনি আমায় চিনতে পারলেন না স্যার? আমি আপনার ছাত্র ছিলাম। তখন শিক্ষক পুরস্কৃত বোধ করেন, নিজেকে ধন্য মনে করেন।’
গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডারের সময়ের স্বনামধন্য দার্শনিক ছিলেন ডায়োজিনিস। নগরের উপকণ্ঠে নীরবে-নিভৃতে একাকী খুব সরল জীবনযাপন করতেন। না ছিল তাঁর পার্থিব জীবনের কোনো মোহ, না ছিল সম্রাট উজিরদের প্রিয়ভাজন হওয়ার দূরতম প্রয়াস। একদিন রাজা-উজিরদের ঘনিষ্ঠ এক ধনী ব্যক্তি যাকে পরোক্ষভাবে সম্রাট পাঠিয়েছিলেন বলে জানা যায়, গেলেন ডায়োজিনিসের বাড়ি। গিয়ে দেখলেন এক দীর্ণ কুটিরের সামনে জ্বলন্ত উনুনে বন থেকে কেটে আনা কাঠের সাহায্যে ডায়োজিনিস কিছু শাক সেদ্ধ করছেন। ধনী ব্যক্তিটি (আগন্তুক) খুব বিস্ময়ের সঙ্গে ডায়োজিনিসকে বলেন যে, ‘কেন আপনার মতো বড় পণ্ডিত মানুষ এত কষ্ট করবে! আপনি যদি সম্রাট-উজিরদের সঙ্গে একটু সুসম্পর্ক রাখতেন, তবে আজ ঐশ্বর্যশালী থাকতেন।’ একথা শুনে ডায়োজিনিস উত্তরে বলেছিলেন, ‘ঠিকই বলেছ। তবে তুমি যদি আমার মতো শাক সেদ্ধ খাওয়া শিখতে তবে সম্রাট আর উজিরদের তোষামোদী করে পরাধীন জীবন কাটাতে হতো না। নিজে স্বাধীন থাকতে।’
দিল্লি থেকে প্রকাশিত ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া পত্রিকার প্রখ্যাত শিখ লেখক খুশবন্ত সিং অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে গ্রিক দার্শনিক ডায়োজিনিসের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। খুব ন্যায্যত আর যুক্তিসম্পন্ন এই তুলনা। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ ছাত্রদের একজন। সারাজীবন খুব কম বেতনে পদোন্নতির কোনো আকাক্সক্ষা ছাড়াই বিদ্যাচর্চা করে গেছেন। জীবন চলার পথে সংস্পর্শে এসেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের নানা স্তরের মানুষের। তাঁর ছাত্ররাও দেশে-বিদেশে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও রাজ্জাক স্যারের পরিচিতি বা শুভানুধ্যায়ীদের 888sport free bet অপ্রতুল নয়। কিন্তু নিজ স্বার্থের কারণে কখনো কাউকে কোনো অনুরোধ করেছেন – এই নজির আমরা পাই না। তবে রাজ্জাক স্যারের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন দেশি-বিদেশি এমন মানুষের 888sport free bet অগণন। সেই ঋণ কেবল বিদ্যাশিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক ও বাস্তবিক প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বরং আরো বেশি!!
প্রকাশ্য আর গোপনে ছেড়েছেন ক্ষমতা আর প্রাচুর্যের সব প্রলোভন। সারাজীবনে যা জেনেছেন, উপলব্ধি করেছেন আর বিশ্বাস করেছেন, তা বলতে কখনো পিছপা হননি। নিজে আলোকিত হয়েছেন আর সেই আগুন থেকে জ্বলেছে মোমবাতির মতো আরো অসংখ্য তৃষিত প্রাণ। আহমদ ছফা যথার্থই লিখেছেন, ‘যে সময়ে, যে সমাজে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন, যে সাংস্কৃতিক পরিম-লের মধ্যে তিনি বেড়ে উঠেছেন, তার প্রভাব পুরোপুরি অতিক্রম করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তথাপি ভাবতে অবাক লাগে, তিনি যে প্রজন্মের মানুষ, সেই প্রজন্মকে কতদূর পেছনে ফেলে এসেছেন। পরবর্তী অনেকগুলো প্রজন্মকে বুদ্ধিবৃত্তি ও মানসকর্ষণের দীক্ষা দিয়েছেন। বলতে গেলে কিছুই না লিখে শুধুমাত্র সাহচর্য, সংস্পর্শের মাধ্যমে কত কত আকর্ষিত তরুণচিত্তের মধ্যে প্রশ্নশীলতার অঙ্কুর জাগিয়ে তুলেছেন, একথা যখন ভাবি বিস্ময়ে অভিভূত না হয়ে উপায় থাকে না।’
রাজ্জাক স্যার যে-দেশে যে-সময়ে জ্ঞানচর্চা করেছেন সেখানে মূর্খদেরই প্রাধান্য। কিন্তু নির্জ্ঞানদের বলয় ছিন্ন করে জ্ঞানের প্রতি যেই নিষ্ঠা ও একাগ্রতা তিনি দেখিয়েছেন সেই বোধ তাঁকে দিয়েছে দেশ, সমাজ ও মানুষের প্রতি নিঃশর্ত অঙ্গীকারবোধের দীপ্তি। এমন দীপ্তিময় মানুষ বাঙালি মুসলমান সমাজে আর দেখা যায়নি।
দোহাই
১। যদ্যপি আমার গুরু, আহমদ ছফা।
২। 888sport app বিশ্ববিদ্যালয় ও পুববঙ্গীয় সমাজ, সরদার ফজলুল করিম।
৩। অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্মারক গ্রন্থ।


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.