‘আমার 888sport live footballিক জীবনে এই রঙ্গমঞ্চের সাহায্য পরিমাণে সামান্য হলেও দুঃসময়ের পাওয়া হিসাবে অসামান্য। সেদিন রঙ্গমঞ্চের সাহায্য না পেলে সাধনার অকৃত্রিম নিষ্ঠা সত্ত্বেও আমার জীবনে এ-সাফল্য সম্ভবপর হতো না। শুধু আর্থিক সাহায্যই করেনি রঙ্গমঞ্চ, নাট্যকার হিসেবে, আমার খ্যাতিকে ত্বরিতগতিতে বিস্তৃত করেছিল। – মৃত্যুর দেড়যুগ আগে এভাবেই আপন মঞ্চজীবনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন 888sport live footballিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১)। আগাম-যৌবনের কল্পনায় কবি বা 888sport live footballিক হওয়ার চেয়ে নাট্যকার হওয়ার বাসনাই ছিল তারাশঙ্করের কাক্সিক্ষত:
আমার স্বগ্রামের [লাভপুর, বীরভূম] নাট্যমঞ্চে অভিনয় করেছি, অভিনয়যোগ্য নাটক অভিনয়ের প্রয়োজনে প্রাণের আনন্দে পড়েছি। সেইখানেই ক্ষান্ত থাকিনি, একান্ত তরুণ বয়সেই অভিনয় আরম্ভ করার সমসাময়িক কাল থেকেই গোপনে গোপনে নাটক রচনা করবার চেষ্টা করেছি, পরে প্রকাশ্যেই নাট্যকার হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার রচিত নাটক, আমার গ্রামের নাটমঞ্চে মহাসমারোহেই অভিনীত হয়েছে। 888sport live footballে আমার হাতেখড়ি নাটকের মধ্যে দিয়েই। [‘পাঁচজন নাট্যকারের সন্ধানে’, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়]
তবে শহরের রঙ্গমঞ্চে অভিষেক সুখের হয়নি তারাশঙ্করের :
888sport live footballকে প্রাণের বস্তুর মতোই ভালোবাসতাম; বিবাহে প্রীতি উপহার লিখতাম, শারদীয় পূজার আগমনী লিখতাম, আমাদের গ্রাম লাভপুরে… নাট্যকার নির্মলশিব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈষ্ণব 888sport live footballে সুপণ্ডিত হরেকৃষ্ণ 888sport live footballরত্ন মহাশয়ের সহযোগিতায় মাঝে মাঝে 888sport live footballসভার আয়োজন করতেন, সেখানে 888sport app download apk পড়তাম। তাঁরা দুজনে সংশোধন করে দিতেন। ওখানে শখের অভিনয়ে আসর কিছুটা সমৃদ্ধ, অভিনয়ও ছিল বহু প্রশংসিত। সেখানে অভিনয়ের জন্য নাটকও লিখেছিলাম। সে নাটকখানিকে… নির্মলশিববাবু কলকাতার কোনও রঙ্গমঞ্চের অধ্যক্ষের [অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়] হাতে দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সেখানি না পড়েই ফেরৎ দিয়েছিলেন, তার জন্য নাটকখানিকে নিজেই আগুনে সমর্পণ করেছিলাম। [তারাশঙ্করের ভাষণ, শনিবারের চিঠি, কার্তিক ১৩৭৮]
নাটকটি মারাঠা-তর্পণ। তখনকার দিনে ‘আঠারো টাকা’ খরচ করে গ্রান্ট ডাফ্-এর তিন খণ্ড ‘মারাঠাদের ইতিহাস’-এর আধারে লিখেছিলেন সে-নাটক। প্রত্যাখ্যাত তারাশঙ্করকে নির্মলশিবই একমাত্র আশা দিয়েছিলেন, ‘তুই যেন ছাড়িস নে। কতকাল আটকে রাখবে?’ সময়-আবর্তনে সে-কথাই সত্যি হলো। তারাশঙ্কর মনে মনে স্থির করেছিলেন নাটক আর লিখবেন না। কিন্তু সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-সম্পাদিত পরিচয় পত্রিকায় প্রকাশিত (১৯৩৮) ছোটগল্প ‘ফল্গু’ বীজ বুনল কালিন্দী 888sport alternative linkের। বই-আকারে (১৯৪০) এই 888sport alternative link-প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আলোড়ন উঠল 888sport live footballমহলে তো বটেই, এমনকি নাট্যমহলেও। ‘নাট্যনিকেতনে’র মালিক প্রবোধচন্দ্র গুহ সে-কাহিনী মঞ্চায়নের জন্য প্রায় ক্ষেপে উঠলেন।
কোনো মানব-মানবী নয় – কালিন্দী নদীর পারের নতুন চরই এ-888sport alternative linkের কেন্দ্রীয় চরিত্র। প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষে প্রতিটি চরিত্রের ভাগ্য-নিয়ন্ত্রক। চলমান জীবনস্রোতের প্রতীক যেন সেই কল্পিত নদী। সৃষ্টি আর ধ্বংসের নিত্যলীলা ঘটে তার চরে। চরের গভীর অরণ্যে একদিকে সুরভিত পুষ্পবনের মাতাল উৎসব, অন্যদিকে হৃদয়হীন সরীসৃপের নির্মম হিংসা। রাতের আঁধারে 888sport promo code-শিশুর হত্যা-রঙিন চরের বালি আর দিনের আলোয় নব-শস্যের কনকবরণ চরা-জমি। রায় আর চক্রবর্তী – দুই জমিদারের বৈরিতার মাঝে ভূমিজাত সাঁওতালরা সোনা ফলায় কালিন্দীর তটে। সে-সোনার লোভে জড়ো হয় স্বার্থপর শহুরে বাবুর দল। শুরু হয় হানাহানি। দানবী লীলায় গড়ে ওঠে কারখানার বিস্তার। কালো ধোঁয়ায় আলোর আকাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। সাইরেনের শ্রীল ফুৎকারে স্তব্ধ হয় সাঁওতালি বাঁশির সুর। ভূমিলক্ষ্মীর সন্তান বিক্রিত হয় কলের দাসত্বে। 888sport alternative linkের একভাগে উচ্চারিত চরম ভাষ্য :
মৃত্যু মাথায় করিয়া আমাদের এ অভিযান। প্রায় পৃথিবীব্যাপী বিরাট শক্তিগুলি ভরা রাইফেলের ব্যারেল উদ্যত করিয়া রাখিয়াছে। ফাঁসির মঞ্চে দড়ির নেকটাই প্রস্তুত হইয়া ঝুলিতেছে। অন্যদিকে মানুষের আত্মঅজ্ঞাত স্বার্থবুদ্ধিপ্রণোদিত বিধানের ফলে অসংখ্য কোটি মানুষের অপমৃত্যু যুগ যুগ ধরিয়া ঘটিয়া আসিতেছে।
মূলত প্রবোধচন্দ্রের তাগিদে শুরু হলো তারাশঙ্করের থিয়েটারি পথচলা। 888sport football World Cup 2026 oddsে নাট্যবদল হলো আপন 888sport alternative linkের। তারাশঙ্করের জবানিতে :
কালিন্দী মূলত 888sport alternative link। ৪২০ পৃষ্ঠার 888sport alternative link। সেই 888sport alternative linkের কাহিনীকে ১৩৭ পৃষ্ঠার নাটকে রূপ দেওয়া দুঃসাধ্য ইহা সকলেই স্বীকার করিবেন। তবুও চেষ্টা করিয়াছি। 888sport alternative linkের বৃহৎ পটভূমি – তাহার আখ্যানভাগের ক্রমবিকাশ যে ধীরগতিতে পরিণতি লাভ করিয়াছে – নাটকে তাহার ইঙ্গিত মাত্র আছে। মূল 888sport alternative linkের রস পাঠক ইহাতে পাইবেন না। যাঁহারা কালিন্দী অভিনয় করিবেন তাঁহারা 888sport alternative linkখানি প্রথমে পড়িলে উপকৃত হইবেন। আমার মনে হয় – 888sport alternative link না পড়িয়া নাটককে রূপ দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
[কালিন্দী নাটক, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রাবণ ১৩৪৮, নিবেদন]
তারাশঙ্করের এই জবানির পরবর্তী পর্বে আরেক নতুন তথ্য মেলে :
বন্ধুবর বিখ্যাত কবি এবং সঙ্গীতজ্ঞ কাজী নজরুল ইসলাম কালিন্দীর জন্য গানগুলি রচনা করিয়া দিয়াছেন, সুরও দিয়াছেন তিনি নিজে। তাঁহার নিকট আমার বন্ধুত্বের ঋণ। সে ঋণ পরিশোধের নয়। [পূর্বোক্ত]
বাংলা থিয়েটারে গান সংলাপের পাশাপাশি সর্বদাই একটা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। নাট্যঘটনা আর নাট্যসংঘাতের প্রয়োজনেই রচিত হয়েছে অনুষঙ্গী থিয়েটারের গান বা মঞ্চগীতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাট্যকাররা নিজেদের নাটকের জন্য গান লিখেছেন। অন্যথাও ঘটেছে অনেক ক্ষেত্রে। প্রয়োজনবোধে বহু নাট্যকার হাত পেতেছেন ভিন্ন কবি বা গীতিকারের কাছে। নাট্য ও কাব্যজগতের সখ্যের এ-ট্রাডিশন সবকালেই বর্তমান। বহতা সে-পরম্পরায় তারাশঙ্কর হাত পাতলেন ‘বন্ধুবর’ নজরুলের (১৮৯৯-১৯৭৬) কাছে।
তখন নজরুল আপন-বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল এক সংগীতস্রষ্টা। সিনেমা, থিয়েটার আর রেকর্ডের জন্য বিরামহীন গান লিখে চলেছেন। কখনো গজল কখনো ঝুমুর, কখনো আনন্দ কখনো বিষাদ, কখনো প্রেম কখনো বিরহ, কখনো ইসলামি কখনো-বা কীর্তন -এমনতর বহু গানের বান এসেছে নজরুলের মনে, কিন্তু তরী সদাই ভিড়েছে তাঁর সুরনদীর কূলে। তাঁর কথায়, ‘কাব্যলোকের গুলিস্তান থেকে সঙ্গীতলোকের রাগিণী দ্বীপে আমার দ্বীপান্তর হয়ে গেছে।’
পাদপ্রদীপের আলোয় দুই ভিনধারায় 888sport live chatী সৃষ্টিছন্দে মেতে উঠলেন নাট্যনিকেতন মঞ্চে ১২ জুলাই ১৯৪১।
তারাশঙ্করের কালিন্দী নাটকে অঙ্গাঙ্গী হলো নজরুলের তিনটি গান। নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের তৃতীয় দৃশ্যে কালিন্দীর চরে গীত হয় প্রথম গানটি – আনন্দ-উচ্ছল ‘সাঁওতাল মেয়েদের গান’ :
কালিন্দী নদীর ধারে ডাকছে বালি হাঁস গো ডাকছে বালি হাঁস।
মাণিক-জোড়ের ঝুম্কো প’রে হাসছে লো আকাশ-
চল জল আনিতে চল লো জল আনিতে চল॥
শালের বনে ময়না শালিক ডাকে –
বউঝিরা সব কলসী নিয়ে কাঁকে
জল আনতে চল্লো
দেখ্লো পথে চেয়ে আছে পথের দুর্ব্বো ঘাস ॥
বাবলা বনে ফুল ফুটেছে ওই –
ব’লছে পাহাড়তলীর মেয়েরা কই –
মহুয়া বনে নিশাস ফেলে ভোরের বাতাস লো ভোরের বাতাস।
এই দৃশ্যেরই শেষে চক্রবর্তী-বাড়ির ছোট ছেলে অহীনকে ঘিরে সাঁওতাল মেয়েরা গান গায়। তাদের নেত্রী-‘সারী’। ‘রাঙাঠাকুরের লাতি’ তাই অহীন ‘রাঙাবাবু’। সারী সংলাপ বলে তারাশঙ্করের ভাষায়:
র্মা সিরিং। ও বুড়া মাদল আন্ – বাঁশী আন্ –
সঙ্গে গীত হয় ‘মেয়েদের গান’ নজরুলের রচনায় :
ও রাঙা বাবু! তুই ডাঁসা ডালিম দানা
পলাশ ফুল।
তোকে বুকে নিয়ে কাঁদব এলো খোঁপায় বাঁধব
করব কানের দুল।
তুই ফাগুনের ফুল, তুই আগুনের ফুলকী –
তুই আকাশের চাঁদরে, চন্দনের উল্কী –
তুই কেষ্ট চূড়া রঙে রসে ভরা –
তুই রথের ঠাকুর মোরা পথের বাউল।
তৃতীয় অঙ্কের তৃতীয় দৃশ্যে গীত হয় শেষ গান। ‘রাঙাবাবু’ অহীনকে মন থেকে মুছে ফেলতে হবে – এই আশংকায় গান গায় সাঁওতাল-কন্যা ‘সারী’:
কোন সাপিনীর নিশ্বাসে আশার বাতি মোর নিভে যায়
মোর প্রথম প্রেমের ফুল ফুটিতে দিল না
কীটে কাটিল হায়।
মোর অন্ধ আঁখি যেন কত সাধে –
দেখেছিল প্রথম সুন্দর চাঁদে,
ডুবে গেল সে চাঁদ, হতভাগিনী কাঁদ
ঝরা দোপাটী ফুলের মত আঙিনায়।
কেন কাছে ডেকে ভরা জলের কলসী
ভাঙিয়া নিল বিদায়।
বিয়ের প্রীতিগীতি বা আগমনী গান লিখে 888sport live footballজীবনের শুরু হলেও কালিন্দী নাটক-রচনার অন্দরে কাব্যকে এড়িয়ে গেলেন তারাশঙ্কর। তবে প্রথম নাটক মঞ্চায়নের সঙ্গে সঙ্গেই পেলেন ভবিষ্যৎ নাট্যকারের স্বীকৃতি, যা ভুলিয়ে দিল তাঁর অগ্নিদগ্ধ অভিমান। অন্যদিকে অভিনেত্রী কানন দেবীর স¥ৃতিতে নজরুল তখন :
বিস্ময়করভাবেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নাওয়া-খাওয়া ভুলে শুধুমাত্র গান রচনা নিয়েই মেতে থাকতে পারতেন। আর সে কী আশ্চর্যভাবে মেতে থাকা। কখনও যদি কোনো সুর মনে এল সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে কথা বসানো আবার কখনও-বা কথার তাগিদে সুর। [সবারে আমি নমি, কানন দেবী]
আর নজরুলের আত্মপ্রত্যয়ী ঘোষণা :
888sport live footballে দান আমার কতটুকু তা আমার জানা নেই তবে… সংগীতে আমি কিছু দিতে পেরেছি। সংগীতে যা দিয়েছি সে-স¤¦ন্ধে আজ কোনও আলোচনা না হলেও ভবিষ্যতে যখন আলোচনা হবে তখন আমার কথা সবাই মনে করবেন – এ বিশ্বাস আমার আছে। [জন888sport live football সংসদে ভাষণ, ১৯৩৮ সাল]
কিন্তু হায়! বিশ্বাসের মর্যাদা রইল কই? বন্ধুত্ব-বন্ধনের তিনটি গান হারিয়ে গেল বিস¥ৃতির অতলে। হারিয়ে গেল গায়িকা-অভিনেত্রী রাধারাণীর দর্শকমনে সাড়াজাগানো সুরমূর্ছনা। আজো গানগুলি রয়ে গেছে স্বীকৃতির আড়ালে। নজরুলের কোনো সংকলনেই ঠাঁই পায়নি সে সংগীত-সৃজন।
এর কারণ কি পরবর্তীকালে তারাশঙ্করকৃত কালিন্দীর দ্বিতীয় নাট্যরূপ! সে-নাট্যরূপ মঞ্চস্থ হয় স্টার থিয়েটারে ১ জুলাই ১৯৪৮। এই নাট্যরূপের প্রকাশিত গ্রন্থের (আশ্বিন, ১৩৫৫) ভূমিকায় তারাশঙ্কর লেখেন :
১৩৪৮ সালে কালিন্দী 888sport alternative linkের নাট্যরূপ নাট্যনিকেতন রঙ্গমঞ্চে অভিনীত হয়েছিল। নাট্যনিকেতনের তখন ভগ্নাবস্থা, কোনোরূপে বহু বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে মঞ্চস্থ হলো – কিন্তু পঁচিশ রাত্রির পরেই একদা মামলা-মোকর্দ্দমা-সংক্রান্ত কারণে নাট্যনিকেতন প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত হলো। যখন অভিনীত হয়, তখন নাটকটির কিছু কিছু দুর্বলতা আমি লক্ষ্য করেছিলাম। কিন্তু তখন তা সংশোধনের আর উপায় ছিল না। বিশেষ করে প্রথম অঙ্ক এবং পরবর্তী অঙ্কগুলির সময়ের ব্যবধানই (পঁচিশ বৎসর) নাটকাভিনয়ে শুধুু অসুবিধার সৃষ্টিই করে নাই – এই দুই অংশ যেন জোড় খেত না। অনেকদিন থেকেই একটি নূতন নাট্যরূপ দেবার বাসনা আমার ছিল। সময়াভাবে হয়ে ওঠেনি। অকস¥াৎ স্টার থিয়েটারে নাট্যকার-পরিচালক শ্রীযুক্ত মহেন্দ্র গুপ্ত আমার কাছে এই নাটকখানি অভিনয় করবার প্রস্তাব করায় আমি সানন্দে অনুমতি দিই এবং তাঁকেই নাটকখানি সংশোধন করে নিতে বলি। তিনি যে নাট্যরূপ দেন – তা আমাকে দেখান – তারও আমি কিছু বদল করি – কিছু নূতন ঘটনাও যোগ ক’রে দিই। … পরে বইখানিকে নূতন করে নাটকাকারে ছাপাবার সময় আরও অনেক পরিবর্তন হ’ল।
কালিন্দীর এই নবনাট্য-রূপায়ণে পরিবর্তিত হলো গানের ব্যবহারও। নজরুলের গান বাদ পড়ল। নতুন গান রচিত হলো। নজরুলের সুর ও কাব্যের যৌথভূমিকা পালন করলেন – সুরারোপে একদা-নজরুল-সহকারী ধীরেন্দ্রনাথ দাস এবং গীতরচনায় তারাশঙ্কর স্বয়ং। আর নজরুল তখন নীরব অচলায়তনে বন্দি।
এমনিভাবে কালিন্দীর চরে হারিয়ে গেল মঞ্চ-ইতিহাসের কয়েকটি পাতা – সঙ্গে হারিয়ে গেল নাট্যকার তারাশঙ্করের একটি নাট্যরূপ আর সংগীতকার নজরুলের তিন-তিনটি গান।


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.