আবুল হাসনাত
বিশিষ্ট গল্পকার মধুময় পাল ক্ষীণকায় একটি বইয়ের খবর দিলেন আকস্মিকই সেদিন কলকাতায়। যেন অভিনিবেশসহকারে পাঠ করি, বন্ধু এমতোও অনুরোধ করেছিলেন। বইটির লেখিকা মন্দিরা ভট্টাচার্য। মন্দিরা নামটি শুনেই কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলাম। গ্রন্থের নাম ওই দেখা যায় বাড়ি আমার। বইটি পাঠ করার পর খুবই 888sport sign up bonusকাতর হয়ে পড়েছি এবং 888sport appsের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক গতিপ্রবাহের একটি বিশেষ সময় তার সমস্ত আকাঙক্ষা, অনুভব, আকুলতা, সংকট এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ের বেদনা নিয়ে চোখের সামনে উন্মোচিত হলো। ক্ষীণকায় একটি বই যে কখনো-সখনো তাৎপর্যময় এবং অনেকের হৃদয়ে আলোড়ন তুলে বহু প্রশ্নের জন্ম দেয় – এ-গ্রন্থ সেরকমই একটি গ্রন্থ। মন্দিরার বইটির অন্তর্নিহিত দুঃখ-সুখের যে-অনুষঙ্গ তা আমাদের খুব কাছ থেকে দেখা। সেই সময়টি দুঃখের, যাতনার ও স্বপ্নের। সামরিক শাসনবিরোধী ’৬২-র প্রমত্ত ছাত্র-আন্দোলনের ফলে তৎকালীন 888sport apps স্বদেশচেতনা, স্বরূপচেতনা ও বাঙালিত্বের সাধনাকে স্কন্ধে নিয়ে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছিল। বইটির আলোচনা করা বা পরিচিতি লেখা সেজন্য খুবই কষ্টের। তৎকালীন গভর্নর মোনায়েম খাঁর পরিকল্পনা ও নির্দেশে ১৯৬৪ সালের জানুয়ারিতে দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল। শুধু 888sport app নয়, ডেমরা ও সাভার ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছিল। গভর্নর মোনায়েম খাঁ পরিকল্পিতভাবে আদমজী জুট মিল ও বাওয়ানী জুট মিলের শ্রমিকদের সংঘবদ্ধ করে হিন্দু নিধনে সর্বাত্মক সহায়তা করেছিল। পঞ্চাশের দাঙ্গার পর এই দাঙ্গাটি ছিল ভয়াবহ। মানুষ ক্ষতির পরিমাণও ছিল সর্বাধিক। সে-সময়ে উন্মত্ত-সংগঠিত শতসহস্র মানুষকে ছুরি ও মারণাস্ত্র হাতে 888sport free betলঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি লুট ও মানুষ হত্যা করতে দেখেছি। শতসহস্র উন্মত্ত বিবেকহীন মানুষের সামনে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের প্রবল প্রতিরোধস্পৃহাও কীভাবে যে উবে যায়, মানুষ অসহায় হয়ে যায়, সে-অভিজ্ঞতাও হয়েছিল। 888sport appয় দাঙ্গা প্রতিরোধ করতে গিয়ে দাঙ্গাবাজদের হাতে নিহত হয়েছিলেন লেখক আমির হোসেন চৌধুরী। এই বইটি পাঠ করতে করতে ’৬৪ সালের জানুয়ারির দাঙ্গার দিনটির কথা খুব মনে পড়ল। চোখে ভেসে উঠল র্যাংকিন ও লারমিনি স্ট্রিট এবং বৃহত্তর ওয়ারীর হিন্দু নাগরিকদের বাড়িঘর কীভাবে আক্রান্ত হয়েছিল! লেখক ও কবি দুই মেধাবী ভ্রাতা সেবাব্রত চৌধুরী ও দেবব্রত চৌধুরীর লারমিনি স্ট্রিটের বাড়ি লুটের দৃশ্যও এই বই পাঠের পর চোখে ভেসে উঠল। বইটিতে সেদিন তাঁদের কী অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সে-কথা আছে। একটি সংগঠিত দাঙ্গাকালে কত অল্প সময়ে সবকিছু লুট হয়ে যায়। দূর থেকে দেখেছিলাম আমি ও আমার এক বন্ধু এ বাড়ি লুটের দৃশ্য। মনুষ্যবিহীন গৃহ থেকে দাঙ্গাবাজরা সেদিন লুট করেছিল রবীন্দ্র রচনাবলী এবং বাড়ির আসবাবপত্র। পরের দিন একটি শান্তি মিছিল মদন মোহন বসাক রোড হয়ে র্যাংকিন স্ট্রিট না এলে এই বৃহত্তর এলাকায় 888sport appর ব্রাহ্ম সমাজের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব মানিক ঘোষ ও ডা. মন্মথনাথ নন্দীসহ অগণিত 888sport free betলঘু মানুষের সেদিন মৃত্যু হতো। দাঙ্গাবাজদের পরিকল্পনা ছিল বিদ্যার্থিনী ভবন আক্রমণের।
সংগঠিত বাহিনীর প্রতাপ, আস্ফালন, উন্মাদনা এবং হিন্দু বাড়ি আক্রান্ত হওয়া দেখে মনে হয়েছিল, সেদিন পুলিশ বা সরকার বলে কোনোকিছুর অসিত্মত্ব ছিল না শহরে। দু-একবার সাইরেনের শব্দ শোনা যেত বটে, তবে সে ছিল লোক দেখানো। অন্যদিকে তৎকালীন সরকারের 888sport free betলঘু দমননীতির এক জাজ্বল্যমান দৃষ্টান্ত হয়ে উঠল এই বই। ক্ষীণকায় এ-বই শুধু 888sport sign up bonus জাগায়নি, আমার কৈশোর ও যৌবনের দিনগুলোকেও দীপ্ত করে তুলেছে; যা কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছিল। মন্দিরা-বর্ণিত র্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন যুগীনগরে আমি বড় হয়েছি। 888sport appর জনপ্রিয় মানবহিতৈষী ডা. মন্মথনাথ নন্দীও একসময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বাস করতেন এখানে। মন্দিরা নন্দীর বইটিতে যুগীনগরে বাসের সুখ888sport sign up bonus আছে। কিছুদিন যুগীনগরে বাস করার পর তাঁরা চলে যান র্যাংকিন স্ট্রিটে, সুরম্য একটি দ্বিতল বাড়িতে; ডাক্তার নন্দীর চেম্বার ছিল এই বাড়িটিতে। তৎকালীন 888sport appsের উদার ও মুক্তমনা 888sport live chatী, 888sport live footballিক, বুদ্ধিজীবী, সংগীত888sport live chatীদের মিলনে ও সম্মিলনে মুখরিত হয়ে উঠত এ-বাড়ি। আমার ছেলেবেলা কেটেছে এ-এলাকায়। প্রতিটি বাড়ির অন্দরমহল-বহির্মহল ছিল আমার নখদর্পণে। একনাগাড়ে পঞ্চাশ বছর একটি এলাকায় কাটানো কম কথা নয়। 888sport appর ঠাটারীবাজার, যুগীনগর, বনগ্রাম, ওয়ারী, র্যাংকিন স্ট্রিট, লারমিনি স্ট্রিট আর হেয়ার স্ট্রিট মন্দিরার বইটি পাঠ করার পর জ্বলজ্বল করে উঠল। ঠাটারীবাজারে পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। বনগ্রামে একদা থাকতেন প্রতিভা বসু। বহু প্রতিষ্ঠিত ও সৃজনশীল 888sport live chatী ও লেখকের বাসস্থান ছিল এখানে। মনে পড়ল, পঞ্চাশের দশকে চারিত্রিক দিক থেকে এটা কতই না মনোরম ছিল। বিশেষত বনগ্রাম, যুগীনগর ও ঠাটারীবাজার। পরে ভারতের বিহার ও 888sport app অঞ্চলের উদ্বাস্ত্তরা ছলে-বলে ও কৌশলে হিন্দুদের সম্পত্তি, বাড়িঘর দখল করে নিয়ে এই তিনটি অঞ্চলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বিনষ্ট করেছিল, সে-কথা মনে পড়ে। অনেকে নীরবে-নিভৃতে-প্রচ্ছন্নে কাউকে না জানিয়ে ভিটামাটি ত্যাগ করে চলে যান ভারতে।
পনেরো বছর আগে যুগীনগরের পিতৃগৃহটি ছেড়ে এসেছি। বহু 888sport sign up bonus মলিন হয়ে গেছে। ক্ষীণকায় বইটি পাঠ করার পর কত মানুষ যে মনের মণিকোঠায় ভিড় করল! সুখজাগানিয়া 888sport sign up bonus জেগে উঠল। প্রসঙ্গত বলি, কত খ্যাতিমান ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত মানুষ জীবন অতিবাহিত করেছেন এ-এলাকায়। দূর থেকে দেখতাম রাজনীতিবিদ ভবেশ নন্দীকে, নিরহংকার, সদাব্যস্ত, পরোপকারী। দরিদ্র মানুষকে সর্বদা সহায়তা করতেন। বোধকরি র্যাংকিন স্ট্রিটে তাঁর আপিস ছিল ও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বেরোত। ২ হেয়ার স্ট্রিটে একদা ছিলেন 888sport live chatী কামরুল হাসান, 888sport live chatী সফিউদ্দীন আহমেদ ও ডাকসাইটে সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী। র্যাংকিন স্ট্রিটে ছিলেন অ্যাডভোকেট সবিতা রঞ্জন পাল, ব্যবহারজীবী ও পরবর্তীকালে রাজনীতিবিদ সুধাংশু শেখর হালদার, বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য ও খ্যাতিমান রসুল সাহেব। রসুল সাহেবের বাড়ির বৃহৎ প্রাঙ্গণে তাঁর দুই সন্তানসহ রেঞ্জার্স ক্রিকেট ক্লাবের খেলোয়াড়রা নেট প্র্যাকটিস করত। চলিস্নশের দশকে খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনরা ছিলেন লারমিনি স্ট্রিটে। বাবা তখন 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। কাছেই ছিলেন তারাবাগে কবি সুফিয়া কামাল। আজকের খ্যাতনামা নৃত্য888sport live chatী লায়লা হাসানরা ওয়ারীর সন্নিকটে পিতৃগৃহে বাস করতেন।
ডা. মন্মথনাথ নন্দী অনুরোধ এলেই যখন-তখন গভীর রাতেও রোগী দেখতে বাড়ি বাড়ি যেতেন। এভাবেই তিনি 888sport app শহরের মধ্যবিত্তের হৃদয়ের মণি ও গৃহের চিকিৎসক হয়ে উঠেছিলেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই পরিবারটি 888sport appর মধ্যবিত্ত ও উচ্চশিক্ষিত মহলে দীর্ঘদিন খুবই 888sport app download for androidীয় হয়ে ছিলেন। পরবর্তীকালে নানা ঘাত-প্রতিঘাতে কালের ধুলায় হারিয়ে গেলেন। এতো অবদান সত্ত্বেও বিস্মৃত হলো ডা. নন্দীর পরিবার। বর্তমান প্রজন্ম তাঁকে চেনে না। চেনার কথাও নয়। পুরো পরিবার 888sport appর সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক অঙ্গনকে নানাভাবে স্পন্দিত করলেও তৎকালীন সামরিক সরকারের রোষানলে পড়ে এক বস্ত্রে নীরবে কাউকে কিছু না জানিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিও পরবর্তীকালে লাখ লাখ হিন্দুকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিল। তাদের সম্পত্তি হয়ে পড়েছিল রাতারাতি শত্রম্নসম্পত্তি। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের দাঙ্গার পরও দেশত্যাগ করেনি অনেকে। শেকড়, ভিটামাটি ও দেশের প্রতি অঙ্গীকারে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে শত বৈরিতা সত্ত্বেও দেশাত্মবোধকে বুকে নিয়ে থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ এবং ভারত-বিরোধিতা এমন এক রাজনৈতিক আবহ সৃষ্টি করেছিল যা হিন্দু 888sport free betলঘুদের নিরাপত্তা বোধে ফাটল ধরায়।
আভিজাত্যে ও রুচির স্নিগ্ধতায় বনেদি এলাকা হয়ে উঠেছিল মন্দিরা-বর্ণিত ওয়ারী এলাকা। সরকারি আমলা, প্রতিষ্ঠিত ব্যবহারজীবী, চিকিৎসক, অধ্যাপক আর অনেক সাংবাদিকের বাসস্থান ছিল সেখানে। প্রতিটি গৃহে বৃক্ষ ও বাগানের পরিচর্যা ছিল। শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সন্ধ্যায় মিলিত হতেন এখানে। সন্ধ্যা থেকে রাত অব্দি রবীন্দ্রনাথের গান শোনা যেত অনেক বাড়ির অন্দরমহল থেকে।
আর ডাক্তার নন্দী 888sport appয় প্রগতিশীল রাজনৈতিক আবহ ও সাংস্কৃতিক পরিম-লকে কতভাবেই যে সহায়তা ও সমৃদ্ধ করেছেন তা বলে শেষ করা যায় না। সপ্তাহে একদিন ডা. নন্দী শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও দরিদ্র মানুষকে বিনা ভিজিটে চিকিৎসার বিধান লিখে দিতেন।
সমস্ত বিরূপতা সত্ত্বেও এঁরা তৎকালীন পূর্ববঙ্গে থেকে গিয়েছিলেন। অথচ এই লোকপ্রিয় মানবদরদি ডা. মন্মথ নন্দীকে ভয়-ভীতির সম্মুখে দেশত্যাগ করতে হয়েছিল। ’৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে রাষ্ট্রের ও তাদের দোসরদের হিন্দু নিধনের উন্মাদনায় বহু পরিবার জীবন রক্ষার জন্য দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সে-সময় ডা. নন্দীরও পসার ছিল খুব ভালো। সচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্য ছিল জীবনে। প্রগতিশীল লেখক ও 888sport live chatীরা ছিল তাঁর বন্ধু। ধনসম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল তাঁর, ছিল র্যাংকিন স্ট্রিটের সুরম্য প্রাসাদবাড়ি। এই বই পাঠের পর উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি, কতভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র ও মোনায়েম খাঁর ছত্রছায়ায় গঠিত বাহিনী কী প্রচ- চাপ সৃষ্টি করেছিল।
এই বই পাঠের পর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে চোখে দেখা বৃহত্তর ওয়ারী উজ্জ্বল হয়ে উঠল। এই এলাকা তখন অভিজাত এলাকায় পরিণত হয়েছিল। কালের প্রবাহে ও জনরুচি পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে বহুতল ভবন নির্মিত হওয়ায় এই এলাকা তার চারিত্র্য হারিয়েছে। কৈশোর মানুষের জীবনপ্রবাহে ও মানসগঠনে যে-ছাপ রেখে যায় তা শুধু অমস্নান হয়ে থাকে না, তা সমগ্র জীবন হনন করে।
যে মন্দিরা নন্দীকে চিনতাম সেই মন্দিরা আর এই গ্রন্থের লেখিকা মন্দিরা এক কি না গ্রন্থটি পাঠ করার আগে এ নিয়ে আমার সংশয় ছিল। যখন বইটি পড়া শুরু করেছি তখন আমার সে সংশয় ঘুচে গেল। 888sport sign up bonusর দরজা এক এক করে খুলে গেল। দূর থেকে দেখা দুই বোন ইন্দিরা নন্দী আর মন্দিরা নন্দী এবং রুচিসিণগ্ধ তাঁর শিক্ষয়িত্রী মা শান্তি নন্দী, মানবহিতৈষী ডা. মন্মথনাথ নন্দীসহ একটি পরিবার তাঁদের অর্জন, তাঁদের অবস্থান নিয়ে জ্বলজ্বল করে উঠল। মন্দিরার মাও ছিলেন রুচিমান, সংগীত অনুরাগী এক শিক্ষয়িত্রী। গ্রন্থটিতে মায়ের কথাও আছে। তিনি ছিলেন 888sport promo code শিক্ষা মন্দির বিদ্যায়তনের প্রধান শিক্ষক্ষকা। পরবর্তীকালে বাংলাবাজার স্কুলেও পড়িয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রভায় বহু শিক্ষার্থী যে আলোকপ্রাপ্ত হয়েছিলেন অনেকের 888sport sign up bonusচারণ থেকে সে-কথা অবশ্য জানা যায়। বইটিতে আছে তৎকালীন 888sport app শহরের বনেদি ও সংস্কৃতিমনস্ক, শিক্ষা-দীক্ষায় রুচিমান কয়েকটি পরিবারের কথা, আছে মন্দিরার বেড়ে ওঠার সময়। মন্দিরা এই বইটিতে তাঁর সহপাঠীদের ঔদার্য, আতিথেয়তা ও সহমর্মিতার কথা এতো হৃদয়গ্রাহী ভাষায় বর্ণনা করেছেন, যা মানবিক চেতনারও দলিল। তুচ্ছ তুচ্ছ ঘটনার মধ্য দিয়ে এ উঠে এসেছে। সঙ্গে বর্ণনা করেছেন তৎকালীন উদারচেতা মুসলিম পারিবারিক পরিম-লের প্রসঙ্গও।
তিনি যখন তাঁর ব্যক্তিস্বরূপ ও জীবনের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে বড় হচ্ছেন 888sport appsের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক চিদাকাশে কত ঘটনাই তখন যে ঘটে চলছিল। একদিকে ছিল মিলিটারি শাসনের প্রবল প্রতাপ ও নির্যাতন, অন্যদিকে ভাষা-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বরূপ-ভাবনায় বিকশিত হওয়ার আকাঙক্ষা নিয়ে নানা উদ্দীপিত প্রয়াস। ভাষা ও
সংস্কৃতি চর্চা বাঙালিকে নতুন পথ আবিষ্কার করতে প্রেরণা সঞ্চার করেছিল। সকল শোষণ-বঞ্চনার অবসানকে সম্মুখে রেখে বাঙালি সে-সময় নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে। এই আবিষ্কারই বাঙালিকে ক্রমে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে নবীন ভূখ- নির্মাণে বলীয়ান করেছে।
বইটিতে মন্দিরা অতি নির্মোহভাবে তাঁর বৃহত্তর পরিবারের কথা বলছেন। প্রসঙ্গক্রমে মায়ের বাবা ও মায়ের প্রসঙ্গে তাঁদের ধর্মবোধ ও জীবনবোধও উঠে এসেছে। জলপাইগুড়ি থেকে বেড়াতে এসে তাঁরা 888sport app শহর ঘুরে বেড়িয়েছেন। দেখেছেন রমনার কালীবাড়ি ও ঢাকেশ্বরী মন্দির। বর্ণনা করেছেন শৈশব888sport sign up bonus। এই 888sport sign up bonusতে ধরা আছে বাড়িতে আসা আত্মীয়-পরিজনকে নিয়ে যে বৃহত্তর পরিম-লে বড় হয়েছেন সে প্রসঙ্গ।
আমরা যাঁরা ষাটের দশকে 888sport appর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সংশিস্নষ্ট ছিলাম তাঁদের কাছে মন্দিরা নন্দী ছিলেন সমীহ-জাগানিয়া একটি নাম। পরিশীলিত ও রুচিমান এক যুবতী। 888sport appর নিস্তরঙ্গ সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ ও বিকশিত করবার জন্য নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছিলেন তিনি। সমাজের নানা বিরূপতা সত্ত্বেও মা শান্তি নন্দী ও বাবা ডা. মন্মথনাথ নন্দীর সংস্কৃতিচর্চায় উৎসাহ ছিল। তাঁদের চার সন্তান যাতে নানাভাবে সংস্কৃতি ও 888sport live football চর্চার মধ্য দিয়ে সত্যিকার অর্থের্ আলোকপ্রাপ্ত হয়ে ওঠে তাতে তাঁদের যথাযথ প্রেরণা ছিল।
এই বইটিতে আছে হৃদয়মন্দ্রিত চাপা কান্না। আকস্মিক বাধ্য হয়ে দেশত্যাগের বেদনা। আর অপরিসীম কষ্টের কথাও আছে। 888sport app ত্যাগ করা মানে ছিল শিকড় ছিঁড়ে যাওয়া। এই চলে যাওয়া ডা. মন্মথনাথ নন্দীকে মনের দিক থেকে আর থিতু করেনি। যে মানুষটি 888sport appর চিকিৎসাজগৎ ও সাংস্কৃতিক ভুবনে অপরিহার্য ছিলেন, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এক বস্ত্রে শিকড় ছেড়ে চলে গেলেন ভারতে। এই যাওয়া কত যে মর্মান্তিক হয়ে উঠেছিল গ্রন্থটি পাঠ করলে তা উপলব্ধি করা যায়। 888sport app ছেড়ে তিনি চলে যান জলপাইগুড়ি। 888sport appয় তাঁর বিত্ত ও পসার যে পর্যায়ে ছিল সেদিকে তিনি আর মনোযোগ দেননি। পরোপকারী ও হিতাকাঙক্ষী এই লোকপ্রিয় চিকিৎসক ক্রমে ধূসর হয়ে গেলেন 888sport appর জীবন থেকে। যদিও সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বহু ব্যক্তি ও বন্ধু-বান্ধব এখনো তাঁদের মনে রেখেছেন।
মন্দিরা-লিখিত ওই দেখা যায় বাড়ি আমার গ্রন্থটিতে আছে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যকার সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিরও উজ্জ্বল ছবি। ষাটের দশকের প্রারম্ভে বাঙালিত্বের সাধনার সূচনাপর্বে যে-সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তার বিবরণও গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছে। অন্যদিক থেকে দেখলে ভবিষ্যৎ গবেষকদের জন্য একটি প্রাণদায়ী উপাদান হয়ে উঠবে। গ্রন্থটিতে আছে ‘বাফা’র সাংস্কৃতিক প্রয়াসের কথা। সেই ‘বাফা’ আজ গুরুত্ব হারালেও তৎকালে যে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল তার বিবরণ। সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ ও প্রতিকূল পরিবেশে এক অঙ্গীকারের চেতনা নিয়ে ‘বাফা’ যাত্রা শুরু করেছিল। মন্দিরার বিবরণে সে-কথাও প্রাধান্য পেয়েছে। সংগীতশিক্ষক ভক্তিময় দাশগুপ্ত ও নৃত্য888sport live chatী অজিত সান্ন্যালের প্রসঙ্গও তিনি ছুঁয়ে গেছেন। ’৬১ সালে রাষ্ট্রীয় বিরূপতা সত্ত্বেও তৎকালীন পূর্ব বাংলায় রবীন্দ্র শতবর্ষ প্রাণের উজ্জীবনে পালিত হয়েছিল। 888sport appয় বড় আকারের যে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল তাতে মন্দিরার পরিবারটির সহায়তা তো ছিলই, মন্দিরা রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্য শ্যামার একটি চরিত্রে নেচেও ছিলেন। তাঁর নাচ অনেকের হৃদয়ে অমোচনীয় 888sport sign up bonus হয়ে আছে আজো।
এছাড়া মনোগ্রাহী এক সরল গদ্যে মন্দিরা 888sport sign up bonusচারণ করেছেন বন্ধুদের সঙ্গে ছেলেবেলার কথা, আছে আজকের স্বনামধন্য 888sport promo codeনেত্রী মালেকা বেগমসহ তাঁদের তিন বোন ও উজ্জ্বল নক্ষত্রপ্রতিম ভ্রাতৃকুলের প্রসঙ্গ। তাঁদের উদারহৃদয় মা ও ১৫ নং লারমিনি স্ট্রিটের বাড়ির অন্দরমহলের বিবরণ। মন্দিরার বিবরণের মধ্যে আমরা আরো পাই 888sport app শহরের উদীয়মান উদার মুক্তমনা মুসলিম মধ্যবিত্তের বিকাশের নানা অনুষঙ্গ। ধর্মবোধে ও মুসলিম সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হয়েও অনেকে মুক্তমনের অধিকারী ছিলেন ও আত্মীয়সম হয়ে উঠেছিলেন। বহু বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা ও আড্ডা দিয়ে গেছেন। 888sport appর বাইরে গেছেন পিকনিকে। মন্দিরা সে-প্রসঙ্গও খুব হৃদয়গ্রাহী ভঙ্গিতে বর্ণনা করেছেন। নৃত্যশিক্ষক গওহর জামিলের কথা বাদ দেননি তিনি। ডাকসাইটে প্রগতিশীল সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ এ পরিবারের বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। মন্দিরা সে-কথাও উলেস্নখ করেছেন। এছাড়া তৎকালে দুই রবীন্দ্রসংগীত888sport live chatী জাহেদুর রহীম ও চৌধুরী আবদুর রহীমের অবদানকেও 888sport app download for android করেছেন পরম 888sport apk download apk latest versionয়। এছাড়া 888sport appর ব্রাহ্ম পরিবার ও খ্রিষ্টান পরিবারের কথা আছে। এই ক্ষীণকায় গ্রন্থটি পাঠ করতে করতে অবাক বিস্ময়ে ভেবেছি – দেশত্যাগে বাধ্য হলেও মন্দিরা বোধকরি 888sport sign up bonusময় 888sport appকে একদিনের জন্যও ভোলেননি। কত আনন্দ-বেদনার মধ্যেও সে 888sport sign up bonusকে লালন করে রেখেছেন। বইটি বের হয়েছে ২০১৭ সালে কলকাতা বইমেলায়। এতোদিন হৃদয়মথিত সুখ888sport sign up bonus কত যত্নে ও মমতায় তিনি ধরে রেখেছেন প্রতিটি বর্ণনায় আমরা তা বুঝতে পারি।
প্রসঙ্গত বলি, ১৯৬১ সালে 888sport appয় পাকিসত্মানি মিলিটারির ভ্রূকুটিকে উপেক্ষা করে যে রবীন্দ্রশতবর্ষ পালিত হয়েছিল তা বোধকরি ছিল সামরিক শাসনবিরোধী প্রথম সম্মিলিত নাগরিক প্রতিবাদ। বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, সংগীত888sport live chatী, শিক্ষক, 888sport live footballিক, গণতন্ত্রমনা বুদ্ধিজীবীরা একই চেতনায় বলীয়ান হয়ে রবীন্দ্রশতবর্ষ উদ্যাপন করেছিলেন। নাটক মঞ্চায়ন, সংগীতানুষ্ঠানের সঙ্গে মঞ্চস্থ হয়েছিল শ্যামা নৃত্যনাট্য। যে-প্রথার সামনে সকল মুক্তবুদ্ধি বিপর্যস্ত হচ্ছিল, সেদেশে সংগীত ও নৃত্যনাট্যের মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে বরণ তাৎপর্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক ঘটনা বলেই বিবেচিত হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ইকবাল বাহার চৌধুরীর একটি 888sport sign up bonusচারণ খুবই প্রণিধান্যযোগ্য। এছাড়া এ প্রসঙ্গে দু-চারটি 888sport live ও 888sport sign up bonusচারণও খুবই মনোগ্রাহী। ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেছেন, ‘১৯৬১ সালে মহাসমারোহে রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী পালিত হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিসত্মানে। সরকার সেই সময় এই উৎসবের ব্যাপারে মোটেই আগ্রহী ছিল না, বরং নানাভাবে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও 888sport appর ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে কয়েক মাস ধরে রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়। ১৯৬১ সালের মে মাস থেকে কয়েক মাস ধরে রবীন্দ্রনাথের গান, আবৃত্তি, নৃত্যনাট্য ও নাটক মঞ্চস্থ হয়। এবং সেইসঙ্গে আলোচনা-সভারও আয়োজন করা হয় অত্যন্ত সফলভাবে। সে-যুগে টেলিভিশন না থাকায় এসব অনুষ্ঠান রেকর্ড করে রাখার কোনো সুযোগ বা উপায় ছিল না। শতবর্ষ পালনের জন্য, যতদূর মনে পড়ে তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। বিচারপতি এস এম মোর্শেদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি প্রথম ২৫ বৈশাখ অনুষ্ঠান শুরু করে। এই কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন প্রফেসর খান সারওয়ার মুরশিদ। সরকারের অনিচ্ছাসত্ত্বেও রেডিও পাকিসত্মানের সংবাদে ছোট করে খবরটি সেদিন প্রচারিত হয়েছিল। পত্রপত্রিকায় ভালোভাবে এর খবর দেওয়া হয়।
রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকীর প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বুলবুল একাডেমী যথাক্রমে চণ্ডালিকা এবং চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ করেছিল। মজার ব্যাপার, ২৫ বৈশাখ চণ্ডালিকা নৃত্যনাট্য হওয়ার ঠিক আগে, ২৮ এপ্রিল বাফার শিক্ষক ভক্তিময় দাশগুপ্তের পরিচালনায় এই নৃত্যনাট্যের প্রথম অংশ 888sport appর কার্জন হলে মঞ্চস্থ হয়। উদ্যোক্তা ছিল 888sport app বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়ন (ডাকসু)। আমিনুল ইসলাম তখন ডাকসুর ভিপি আর আমি কমিটি মেম্বার।
চণ্ডালিকায় প্রধান দুই চরিত্রে নৃত্যে অংশ নিয়েছিলেন – মন্দিরা নন্দী ও সেলিনা বাহার। সংগীতে প্রকৃতির ভূমিকায় কণ্ঠ দিয়েছিল হামিদা বানু (বুলু)। প্রকৃতির মায়ের গানগুলো গেয়েছিল শিরিন বেগম (শীলা), তখনকার প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ মোদাবেবরের মেয়ে।
এরপর শ্যামা নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ হলো সফলভাবে। ড. নন্দী আর শান্তি নন্দীর বাড়িতে চলে রিহার্সাল। শ্যামা হয়েছিল মন্দিরা নন্দী আর বজ্রসেন কামাল লোহানী। উত্তীয় সেজেছিল দুলাল তালুকদার। শ্যামার গান গেয়েছিলেন ফাহমিদা খাতুন আর জাহেদুর রহিম বজ্রসেনের গান করেছিলেন। জাহেদুর রহিম সম্ভবত ভক্তিময় দাশগুপ্তের হাতে তৈরি সবচেয়ে গুণী ও ভালো ছাত্র।’
’৬১ সালে শ্যামার মঞ্চসজ্জা, সংগীত ও নৃত্য 888sport appর সাংস্কৃতিক জীবনকে নানা দিক থেকেই সঞ্জীবিত করেছিল। রবীন্দ্রজন্মশতবার্ষিকী পালনের অব্যবহিত পরেই সন্জীদা খাতুন ও ওয়াহিদুল হক উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের গান ও রবীন্দ্রসংস্কৃতির প্রসার ও চর্চার জন্য ছায়ানট প্রতিষ্ঠার। অচিরকালের মধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ছায়ানট, যে-ছায়ানট 888sport appsের হৃদয়ে এখন সাংস্কৃতিক অভিমুখের মাইলস্টোন।
কতদিন ওই র্যাংকিন স্ট্রিটের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে যেতে ডা. মন্মথনাথ নন্দী, তাঁর দুই মেয়ে ইন্দিরা নন্দী, মন্দিরা নন্দী আর তাঁদের শিক্ষয়িত্রী মা শান্তি নন্দীর চেহারা ভেসে উঠেছে। 888sport appর উঠতি মধ্যবিত্ত, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উদার ও মুক্ত বুদ্ধির মানুষজনের সঙ্গে ডা. নন্দীর গভীর সখ্য ছিল। কত জটিল ও দুরারোগ্য রোগীর যে তিনি বন্ধু ছিলেন তাই নয়, তাঁদের অনেকেরই তিনি ছিলেন সহায়। অনেক রোগীরই শেষ ভরসা ছিলেন ডা. নন্দী। অথচ ব্যাপক সামাজিক সংযোগ থাকা সত্ত্বেও এই ডা. নন্দীই রাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকারে বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ করেছিলেন।
এই ডা. নন্দীর কন্যা মন্দিরা যখন চাপাকান্না নিয়ে ক্ষীণকায় একটি গ্রন্থে একটি সময়ের কথা লেখেন তা আমাদের জন্য শুধু আগ্রহ উদ্দীপক একটি গ্রন্থই হয়ে ওঠে না, আমরা উপলব্ধি করি কী কঠিন ও বেদনাবিধুর পরিস্থিতির সম্মুখে প্রচ্ছন্নে ও নীরবে তাঁরা দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন।
একটি সময়, সংকট ও যুগচেতনাকে 888sport apk download apk latest version এবং ভালোবাসায় উন্মোচন করায় মন্দিরাকে অভিনন্দন জানাই। 888sport appsের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ইতিহাস রচনা ও পাঠ্যে এই বইটি সহায় হবে। বইটি বহুল পঠিত হোক এই কামনা করি। r

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.