শিশুটি আকাশ বন্ধক রেখে দুধ পান করছে।
মায়েরা অপুষ্ট, ক্ষত, ক্লান্ত ও বধির
রাত্রিকালীন অবগাহন শেষে স্তন দেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে
এখন কাদা ও গোবরে হুটোপুটি খাচ্ছে;
হামা দিচ্ছে সন্তান, শিশু কবে হাঁটতে শিখবে
পাতার ভেতর পিঁপড়ে ও উঁই খুঁটে খাবে ভবিষ্যৎ?
হায় সন্তান, নষ্ট জলে তৈরি হচ্ছে ক্লিষ্ট ভোজ
দুধের নহর কই, কোথায় সে ফলবাগানের নিচে হাঁটু-স্বাদ?
সবকিছু খা, মাতা-পিতা মায় অষ্টভুজা আশ্বিনী
দক্ষিণা পেতে না পেতেই ফুরৎ, বদমাশ মুখ সামলা
নাগরের পিঠে বাঁদর নাচছে, কলা মজাবে
অসুরের হাত ভাঙা – ত্রিশূলে, ফলায় রক্তচিহ্ন মোছা দায়
ধুৎ! কোথাকার খন্দ কোথায় নামায়, প্রিয় নাশায়?
মহাজনেরা ক্ষেত-খামার জানে না, কেবল জমা ও খরচে
লাল ফর্দ ভরে। দিনের স্বেদটুকু অবসাদ অব্দি পৌঁছুতে না পৌঁছুতে
আগুন ঢেলে ঠান্ডা হয়, আহ্, কী আরাম, আনন্দ কী!
গাছের ছাল তুলে ফেললেই শান্তি, ঝকঝকে-তকতকে।
কোলাহলের মধ্যে মাছি উড়ছে, কাঁঠাল-মাছি
কী ঘ্রাণ রে বাবা, থাবা পর্যন্ত ভুল হয়
পশ্চিমের দরোজায় পা দিলে নড়ে ওঠে মুগ্ধমন্ত্র
শত্রু অব্দি সংশয়ে, নিয়ন্ত্রণে চৌচির হচ্ছে আলোর আকাশ।
শিশুর মুখের গ্রাস, চিটেগুড় ও সাবু, ভূমি থেকে টেনে তোলা ঘাম
নুনে বিছিয়ে দিলে শব্দ হয়, গন্ধ হয়, মাছি, গন্ধ-মাছি
তবুও তো খাদ্যসমাহার বাজার থেকে বয়মে ঢোকে
অম্ল ও আরক ভেদ-বুদ্ধির কীট হয়।
লেজ খসাবে বলে টিকটিকি দেয়াল থেকে লাফিয়ে ভাঁড়ারে সেঁধোয়
ও রাধাবল্লভী, পথে কি জল জমলো?
কোমরের নিচেই প্রফুল্ল, মেশে অন্ধ গর্তে ও টগরা খরায়
চেটো মেলে সাফ-সুতোরো হওয়া কী বিলাস রে বাপ Ñ ঢাল!
এই হাঙ্গামা, এই উচ্চকণ্ঠ, বালক-বালিকার রোয়াব
নদী ধুয়ে নেবে না। জটিলতায় কিংবা জিঘাংসায়
খড়-বিচালি তো দূরের কথা লতাগুল্মটিও ভয় পায়,
দৃশ্যপট বদল হ’তে-হ’তে ফেটে পড়লো চাঁদ
যেন ডিমের ভেতর থেকে বাচ্চাটি নেমে পা ডুবিয়ে দিলো ডোবায়।
বিদ্যুতের আলোয় রোয়া ওঠা মানুষগুলো চমকে ওঠে
যেন ইস্পাতের ফলা ধার হচ্ছে, গলগণ্ডের ছেদ হবে!

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.