বড় মনের মানুষ যিনি তিনি সবসময় সহজ হতে জানেন। আরোপিত সম্মান-888sport apk download apk latest version যে আলোর বলয় তৈরি করে তার ভেতর চুপচাপ স্মিতমুখে বসে থাকতে এঁরা কখনো চান না। আমি যখন 888sport appsে গিয়ে 888sport appর 888sport app ক্লাবে ছিলাম তখন খুব কম লোকই আমার লেখা পড়েছেন। বন্ধুরা চলে যাওয়ার পর খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যেতাম রাত দুটোর পর। ঘুম ভাঙত সকাল নটার আশেপাশে।
এক সকালে, তখন সাতটা বাজে, দরজায় শব্দ হলো। ওইসময় ঘুম ভেঙে যাওয়ায় বিরক্ত হয়েছিলাম। দরজা খোলার সময় মুখে তার ছাপ ছিল। দেখলাম, একটি শীর্ণ শরীরের বৃদ্ধ, যাঁর পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি, চোখে চশমা, হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন। বললেন, ‘সমরেশ?’
নীরবে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলতেই তিনি বললেন, ‘আমি এক সমরেশকে চিনতাম, আর এক সমরেশকে দেখতে এলাম।’
একটু নাড়া খেলাম। এখনো, যাঁরা 888sport live footballের খবর রাখেন না, তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হলেই শুনতে হয়, ‘আপনার গঙ্গা পড়েছি। দারুণ। নৈহাটিতে বাড়ি, তাই না?’
পূর্বসূরি সমরেশ বসুর সব কৃতিত্ব আমার ওপর যাঁরা চাপিয়ে দেন তাঁদের মুখ বন্ধ করতে প্রথম প্রথম রূঢ় হতাম এখন হই না। সমরেশ বসুর মতো প্রতিভাবান লেখক বাংলা 888sport live footballে বিরল, তিনি যে চলে গেছেন সেই খবরও বাঙালিদের অনেকেই রাখে না। আকাদেমি পাওয়া উপলক্ষে আমাকে একটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সমরেশ বসু বলেছিলেন, ‘আমার আগে যদি সমরেশ নামের কোনো লেখক লিখতেন তাহলে আমি নিজের নাম পালটে দিতাম। সমরেশ সেই সাহস দেখিয়েছে এবং জিতেছে।’
জিতেছি কিনা জানি না, দেশ-বিদেশে প্রায়ই শুনতে হয়, ‘আপনার বিটি রোডের ধারে সেই ছেলেবেলায় পড়েছি। বিবর নিয়ে খুব বিতর্ক হয়েছিল।’ এসব বলার সময় ওঁরা খেয়ালই করেন না ওই বইদুটো যখন লেখা হয়েছিল তখন আমি কিশোর অথবা সদ্যতরুণ। কিন্তু এই বৃদ্ধ এসে বললেন, এক সমরেশকে তিনি চিনতেন, আর এক সমরেশকে দেখতে এলেন।
এই যে আমি কারো কাছে আলাদা স্বীকৃতি পেলাম তাতেই আমার সমস্ত বিরক্তি উধাও, জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আপনি?’
‘আমি একটু লেখালেখি করি, নাম, শওকত ওসমান।’
সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকে প্রণাম করলাম। তিনি আমার কাঁধ ধরে বললেন, ‘করছ কী ভায়া? বুকে এসো।’ দুহাতে জড়িয়ে ধরলেন তিনি।
একটা বাসিগন্ধ ঘরে ভাসছিল। মধ্যরাত পর্যন্ত দশজন পুরুষ সিগারেট এবং মদ্যপান করেছে যে-ঘরে তার অবস্থা প্রায় নরক হওয়ার পর্যায়ে। তার ওপর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বলে জানলা খোলা যাচ্ছে না।
শওকত সাহেব নাক টানলেন, ‘উল্লাসের গন্ধ পাচ্ছি সমরেশ।’
বললাম, ‘এখানে বসতে আপনার অসুবিধে হবে। চলুন বারান্দায় গিয়ে বসি, ওখানে চেয়ার আছে।’
‘মনে হচ্ছে তোমার কাঁচা ঘুম ভাঙিয়েছি। যাও, মুখে জল দিয়ে এসো। ততক্ষণ বারান্দায় বসছি আমি।’
দ্রুত তৈরি হয়ে নিলাম। সেই কবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় 888sport app থেকে প্রকাশিত একটি 888sport live footballপত্রিকা হাতে পেয়েছিলাম। পাতা ওলটাতে ওলটাতে একটি গল্পে আটকে গিয়েছিলাম। শেষ করে মুগ্ধ হয়ে লেখকের নামটা আবার পড়েছিলাম।
সে-সময় 888sport app ছিল পাকিস্তানের অধীনে। ওখানকার 888sport live footballের খবরাখবর আমরা কলকাতায় বসে পেতাম না। কখনো কখনো হঠাৎ কেউ পত্রিকা নিয়ে এলে গোগ্রাসে গিলতাম। শওকত ওসমানের লেখা সেই গল্পের নাম এখন ভুলে গিয়েছি, কিন্তু একটি লাইন ওই বয়সে এত ভালোলাগা তৈরি করেছিল যে আমৃত্যু ভুলব না। সময়টা ছিল শেষ বিকেল। মাঠের ওপাশে একটা বড় গাছ একাই দাঁড়িয়ে। অন্ধকার নামছে। লাইনটা ছিল, ‘আধুলির মতো রুপোলি চাঁদ একলাফে গাছের ডালে উঠে বসল।’
বেরিয়ে আসতেই শওকত সাহেব বললেন, ‘বসো ভাই। তোমার সঙ্গে গল্প করি।’
বসলাম। বৃদ্ধের দিকে ভালো করে তাকিয়ে মনে হলো উনি তেমন স্বস্তিতে নেই। জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এখান থেকে কতদূরে আপনার বাড়ি?’
‘বেশি নয়। চল্লিশ মিনিট লাগল।’
‘তাহলে তো অনেকদূর। এই সকালে বাস নিশ্চয়ই জোরে এসেছে।’
‘বাস? বাসে তো আসিনি। এই শ্রীচরণদুটি আমাকে বয়ে এনেছে।’
‘সর্বনাশ। আপনি এই বয়সে চল্লিশ মিনিট হেঁটে এসেছেন?’
‘আমি চেষ্টা করি যেখানেই যাই হেঁটেই যেতে। এতে দুটো উপকার হয়, শরীর ঠিক থাকে আর পয়সা খরচ হয় না।’
বারান্দায় আমাদের বসে থাকতে দেখে বেয়ারা এসে চায়ের অর্ডার নিয়ে গেল। বললাম, ‘আমার খুব খারাপ লাগছে। জানতে পারলে আমিই যেতাম আপনার বাড়িতে।’
হাসলেন তিনি, ‘যেজন্যে এলাম, লেখালেখি কেমন চলছে?’
‘চেষ্টা করছি।’
‘হ্যাঁ, চেষ্টা না করলে ফল পাওয়া যাবে কী করে! আচ্ছা, তুমি নিজেকে একজন হিন্দু বলে মনে করো?’ তিনি তাকালেন।
‘না।’
‘কেন না?’
‘আমি হিন্দু পিতামাতার সন্তান। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই যে জেগে থাকার সময়টা, হিন্দুরা যেসব কাজ করে ভাবে ধর্মাচরণ করলাম, তার একটাও আমি করি না। আমার মতো অনেকেই সেটা করে না। করার জন্যে মন কখনোই ব্যস্ত হয় না। পরে ভেবে দেখেছি, সব ধর্মের সারকথা মানুষকে ভালোবাসা, সেটুকু করতে পারলেই আমি খুশি।’
‘কিন্তু ভাই, তুমি মারা গেলে তোমাকে হিন্দুমতে দাহ করা হবে।’
‘না দাদা। এই শরীরটাকে আমি মেডিক্যাল কলেজে দান করে যাবো। ভাবীকালের চিকিৎসকরা এই শরীর দেখে শিক্ষিত হবে। কেউ দাহ করার সুযোগ পাবে না। আমি শ্রাদ্ধে বিশ্বাস করি না, করি 888sport apk download apk latest versionয়।’
দেখলাম, কী-রকম উদাস হয়ে গেলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি প্রশ্ন করতে পারো আমি মুসলমান কিনা?’
‘না। আমার কাছে আপনি একজন মানুষ, তারপরে লেখক।’
‘ঠিক। কিন্তু ওদের সঙ্গে লড়াই চলছে। কবে শেষ হবে কে জানে।’
‘কাদের সঙ্গে?’
শওকত ওসমান আবৃত্তি করলেন,
‘জীবনকে দুমড়ে ওরা ঠেলে দেবে
নানা অসংগতির মুখোমুখি
তবু নেবে না সামান্যতম
পরিবর্তনের ঝুঁকি।
দুই
একাত্তরের পরেও আমাদের ধারণা ছিল 888sport appsে যত শক্তিশালী প্রাবন্ধিক আছেন, 888sport live footballে পাণ্ডিত্য যাঁদের প্রশ্নাতীত, তাঁদের তুলনায় কবি-ঔপন্যাসিকের 888sport free bet খুবই কম। দু-তিনজন ক্ষমতাবান ঔপন্যাসিক খুব ভালো লিখেও জনপ্রিয় হননি সেইসময়। সেই পাকিস্তান আমল থেকে কলকাতার বই চোরাগোপ্তার পথে ওদেশে গিয়ে পাঠকের তৃষ্ণা মেটাত। ব্যাপারটা ভাবতে আমার অস্বস্তি হতো। একাত্তরের পর 888sport appsের 888sport live football ধনী হয়ে উঠল 888sport app download apkর ক্ষেত্রে। মূলত দেশপ্রেম, ভাষা-প্রেম থেকেই অনবদ্য 888sport app download apk লিখতে পারলেন 888sport appsের কবিরা। সে-সময়, পরেও, কিছু 888sport app download apkর লাইন পড়ে আজও ভুলতে পারিনি। যেমন সুফিয়া কামালের লেখা :
এরা যেন করেছে স্বাক্ষর
মৃত্যুর পরওয়ানা পরে
বাংলাভাষায় লিখি নাম
আমার মায়েরে আমি
মাটি থেকে বুকে মোর তুলিয়া নিলাম।
অথবা হাসান হাফিজুর রহমানের লেখা :
সালাম, রফিকউদ্দিন, জব্বার
কি বিষণ্ন থোকা থোকা নাম;
এই এক সারি নাম
বর্শার তীক্ষè ফলার মতো এখন হৃদয়কে হানে।
ভারতবর্ষের মানুষ কয়েকশ বছরে যুদ্ধ দ্যাখেনি। ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে-লড়াই তা সীমিত ছিল কিছু বিপ্লবীর মধ্যে, গান্ধিজির সংগ্রামে যুদ্ধের আঁচ ছিল না। চীন বা পাকিস্তানের সঙ্গে শুধু সীমান্ত-সংঘর্ষই হয়েছে। যুদ্ধের যে-ভয়ংকর রূপ তা দেখেছে, তার আগুনে পুড়েছে 888sport appsের মানুষ। পৃথিবীর সব দেশেই একটা ভয়ংকর যুদ্ধ সে-দেশের 888sport live footballের চেহারা বদলে দেয়। 888sport appsেও স্বাধীনতা-পরবর্তী 888sport live footballে সেই চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু 888sport app download apkর ক্ষেত্রে কবিরা যে-শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছাতে পেরেছেন তা গল্প-888sport alternative linkে সম্ভব হয়নি। কোনো কোনো ছোটগল্প ব্যতিক্রম হতে পারে, কিন্তু 888sport alternative linkের ক্ষেত্রে এই অভিজ্ঞতা তেমন কাজে দেয়নি।
একাত্তরের স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গের বই 888sport appsে যাওয়ার অনুমতি পেলে ওখানকার পাঠকরা আমাদের গ্রহণ করলেন। ধীরে ধীরে বিপুল লেখকের মধ্যে থেকে পাঠকরা তিন-চারজনকে সাদরে গ্রহণ করলেন। দেখা গেছে, ঠিক সেইভাবে পশ্চিমবাংলার কবিদের বই ওখানে জনপ্রিয় হয়নি যা শামসুর রাহমান থেকে রফিক আজাদের হয়েছে। নিজে গদ্য লিখি বলে এই বিষয়টা ভালো করে খতিয়ে দেখতে চেয়েছি। ইলিয়াস, শামসুল, শওকত ওসমানের লেখা আমার ভালো লাগে কিন্তু সাধারণ পাঠক কেন তাঁদের মাথায় তুলে নিল না সেটা বুঝতে সময় লেগেছে।
পশ্চিমবঙ্গে একটা প্রচলিত বদ-ধারণা চালু আছে, যেটা বুদ্ধিজীবীদের মধ্যেই সীমিত। অতি তরল, 888sport live footballমূল্যহীন হয় জনপ্রিয় লেখকদের রচনা। যে-সিনেমা খুব বেশি চলছে তা নাকি বাজারি সিনেমা। ভালো ছবির দর্শক কম থাকবে, ভালো বইয়ের পাঠকও সীমিত। নীহাররঞ্জন গুপ্ত, শশধর দত্তের মোহন সিরিজ, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় অথবা শংকরের রচনাকে এঁরা মূল্যবান বলে মনে করেন না। লক্ষ করুন, মোহন সিরিজ এবং শংকরকে একস্তরে রাখতে এঁরা পিছুপা নন। স্বপন সাহা, অঞ্জন চৌধুরী এই বাংলার জনপ্রিয় ছবিগুলোর পরিচালক। যদি জনপ্রিয়তা মানেই মূল্যবোধহীন দৃষ্টি হয় তাহলে সত্যজিত রায়ের পথের পাঁচালিকে স্বপন সাহার বাবা কেন চাকর ছবির সঙ্গে এক আসনে বসাতে হয়। পথের পাঁচালি ছবির জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। সিনেমার ক্ষেত্রে এরকম উদাহরণ বারংবার দেখেছি। চ্যাপলিনের ছবির জনপ্রিয়তা সারা পৃথিবীতে। রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রের প্রসঙ্গ না-ই বা তুললাম। বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্করের জনপ্রিয়তা কি তাঁদের 888sport live footballকর্মকে লঘু করতে পেরেছে?
আমাদের অপেক্ষার দিন শেষ হয়েছিল নব্বইয়ের গোড়ায়।
মনে আছে, সাতাশির বইমেলায় একটি যুবকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তার খাটো চেহারা, রোগা শরীর, পরনে পাঞ্জাবি-পাজামা। খুবই সাধারণ। কিন্তু চোখদুটো খুব উজ্জ্বল। শুনলাম, সে দু-তিনটি 888sport alternative link লিখেছে, বিটিভিতে একটা লম্বা নাটক লিখছে যা দর্শকদের টানছে। ছেলেটিকে বেশ পছন্দ হলো।
তারপরের ঘটনা তো ইতিহাস। রবীন্দ্র-শরৎ-পরবর্তী বাংলা 888sport live footballের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখককে পেয়ে গেল বাংলা 888sport live football। যে-লেখকের লেখা পেতে প্রকাশক দশ লক্ষ টাকা আগাম দিতে পারেন, যাঁর বই মেলায় পঁচিশ-তিরিশ হাজার অবলীলায় বিক্রি হয়ে যায়, যাঁর সই নিতে দীর্ঘ লাইন দেন পাঠকরা। অন্য স্টলগুলোর ব্যবসা বাঁচাতে যাঁর জন্যে আলাদা ব্যবস্থা করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে, ষোলো বছর ধরে যাঁর অবস্থান একই জায়গায় তাঁকে অস্বীকার করার প্রবণতা কারো কারো মধ্যে দেখেছি। কেউ বলেছেন, ‘ওঁর লেখা পনেরো বছরে শুরু করা যায়, 888sport cricket BPL rateের পর কেউ পড়লে তাঁর মস্তিষ্ক সম্পর্কে সন্দেহ জাগবেই।’ কেউ বলেছেন, ‘ওগুলো কি 888sport live football? অল্পবয়সীদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করার জন্যে লেখা।’ বিনীত
গলায় বলেছিলাম, ‘দয়া করে একটি ওই ব্যবসা করার বই লিখে দেখান, ওর এক-তৃতীয়াংশও যদি বিক্রি হয়, তাহলে আপনার
কথা মেনে নেবো।’ তিনি আর কথা বাড়াননি। অক্ষমেরা চিরকালই চিৎকার করে থাকে।
কিন্তু কেন হুমায়ূন এত জনপ্রিয়? খুব সহজ-সরল ভাষা এবং ভঙ্গিতে মানুষের কথা বলেছে বলে? ওর মিসির আলি বেশ জটিল চরিত্র, কিন্তু আচরণ এত সহজ যে, যে-কোনো বয়সের পাঠক তাকে গ্রহণ করবেই। 888sport appsের পাঠকদের মনে একটা বিশাল ফাঁকা জায়গা ছিল। তাঁরা তাঁদের উদারতা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের লেখার অনেক কিছুই মেনে নিয়েছেন। বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গীয় লেখায় মুসলমানদের পারিবারিক জীবন, ব্যবহৃত সংলাপে অবাংলা শব্দের প্রয়োগ (যা এখন 888sport appsের মানুষেরা প্রায় বাংলা করে ফেলেছেন) একেবারেই নেই। ওইসব 888sport alternative linkের চরিত্রের আচরণের সঙ্গে 888sport appsের পাঠকদের দৈনন্দিন জীবনের মিল না থাকলেও শুধু গল্পের টানে বা বক্তব্যের আকর্ষণে তাঁরা পড়ে গেছেন এই বাংলার বই। হুমায়ূন সেই অভাব যেমন পূর্ণ করেছে তেমনি টানটান গল্প বলে পাঠককে মুগ্ধতা দিয়েছে। ওর রবীন্দ্রপ্রীতির নমুনা তো বইগুলোর নামকরণে। তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে – এত বড় নাম কোনো বাঙালি লেখক দেওয়ার সাহস পাননি।
ইদানীং সে ছবি-তৈরির দিকে ঝুঁকেছে। হয়তো লেখার চেয়ে ছবির মাধ্যম অনেক বড়, অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। কিন্তু তার কাছে আমার একটি আরজি আছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী 888sport appsের পটভূমিকায় একটি 888sport alternative link লিখুন হুমায়ূন, যেখানে সবস্তরের মানুষের কথা থাকবে, একটা যুদ্ধ তাদের কতটা কেড়ে নিয়েছে, কতটা দিয়েছে, তার ইতিবৃত্ত। আজ থেকে কয়েকশ বছর পরে আমাদের উত্তরপুরুষরা বলতে পারবেন, হুমায়ূন আহমেদ শুধু মানুষের প্রিয় লেখকই ছিলেন না, তাঁর সাহস ছিল সত্যি কথা লেখার। ‘পরিবর্তনের ঝুঁকি’ একমাত্র আপনিই নিতে পারেন, হুমায়ূন।


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.