একদিন ছিল- যখন ঘটনাটা ঘটেছিল
সে কোন্ প্রাচীনকালে, পুরাযজ্ঞে,
পবিত্র কোনো স্তোত্রের উচ্চারণে-
হাতের উপর হাত পড়েছিল মায়াময়, অথচ নির্বিকার
চোখের ভেতরে জমানো অশ্রু পাথর হয়ে গেল- ঝরল না-
ইচ্ছেগুলো মেলাতে চেয়েছিলাম বৃষ্টির ফোঁটার মতো- মিলল না-
বড় দ্রুত কেটে গেল সকাল দুপুর সন্ধ্যা
আমার হাঁটুর উপর তোমার চোখের জল পড়েছিল,
মুখমণ্ডল বড় কাতর ছিল
জন্ম জন্মান্তরের বাসনারা মুখ তুলে তাকাতেই পারল না
সময়টা বড় বেশি তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে এসেছিল-
মনুষ্যজীবন এমন হতে পারে?
হ্যাঁ, কঠিন পাথরও হতে পারে-
আমার হাঁটুর মাংস কেটে গেল চোখের জলে
অথচ তোমার তো কান্নার কথা ছিল না…
কী আশ্চর্য, বৃক্ষের শেকড় ফেটে বেরিয়ে পড়ল
নিমগ্ন আমার সুখ হয়ে গেল কঠিন দুঃখ
গভীর কোনো সমুদ্রে গড়িয়ে পড়ল উথাল পাথাল।
এভাবে বহুকাল মাঠঘাট পেরিয়ে, পথ হারিয়ে কখন
যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম ব্রত, তাও জানলাম না-
এক অলৌকিক মুখমণ্ডল আমি এখনো বুকে চেপে ধরি
কেটে যাক সকাল দুপুর সন্ধ্যা – কালরাত
পাখির ঠোঁট থেকে বিষাক্ত লালা ঝরে পড়ুক
আমি সেই ঘটনার আবর্তে ডুবেই যাব
মাথা তুলে আর কী দাঁড়াতে পারব?

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.