আমি যখন বা‌ড়ি ফির‌ছিলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা 

হাতির ঝি‌ল নিঃসঙ্গতায় ডু‌বে‌ছিল ঝাউগা‌ছের

হৃদয় বিদীর্ণ ক‌রে। আমার পা‌য়ের ওপর খলনায়‌কের

উড়ন্ত ঘর্মাক্ত মুখের ছায়া বিবর্ণ উল্লা‌সে

আগু‌নের হল্কার ম‌তো ছ‌ড়ি‌য়ে পড়‌ছিল চার‌দি‌কে

অগ্রহায়‌ণের আকা‌শে সাদা মে‌ঘের ঢেউ রহস্যময়

‌বিস্তীর্ণ নক্ষত্র হ‌য়ে গা‌ড়ির জানালায় হ‌রিণীর ম‌তো

সুগ‌ন্ধি বিহ্বল ছ‌ড়ি‌য়ে দি‌চ্ছিল। যা‌কে ভা‌লো‌বে‌সে

গভীর সমুদ্র হরণ দূরত্ব তা‌কে অন্ধকার নগরীর দি‌কে

নি‌য়ে গ্যা‌ছে সেই ক‌বে! নগ্ন নির্জনতা আজকাল মৃত

মানু‌ষের খবর পৌঁ‌ছে দেয় মালবাহী গা‌ড়ির ম‌তো!

শহর ভর‌তি বিষণ্নতা! কোথাও

উচ্ছ্বা‌স নেই! নাগ‌রিক জীব‌নে এত শোক এত রহস‌্য

দে‌খি‌নি আ‌গে! কোন দি‌কে যা‌বে সব‌দি‌কে সমূহ

সংকট। আজ হেম‌ন্তের শী‌তের সেই নীরবতা নেই!

শহ‌রের এমন দৃশ‌্য দে‌খি‌নি আ‌গে! সব বিস্ময়কর 

দৃশ‌্য যা অব‌লোকন করা যায় কিন্তু স্পর্শ করা

যায় না! জীবন আজ মৃত্যু‌ দে‌খে মানু‌ষের স্পর্ধা দে‌খে

আর সততার না‌মে সস্তা মানুষ দে‌খে! কোথায়

থাম‌লে নি‌জে‌কে রক্ষা করা যায় তা নি‌য়ে ভা‌বে না!

এক রহস‌্যময় বিপজ্জনক সম‌য়ের মধ‌্য দি‌য়ে বা‌ড়ি

নামক কারাগা‌রে ফি‌রে আসা! নিঃসঙ্গতা আরো

জ‌টিল ও রহস‌্যময়! জ্ঞা‌নের মতো ভা‌রি আর বর‌ফের

মতো সাদা অপ্রয়োজনীয় পা‌ঠের ম‌তো! নিরাপত্তা

বল‌তে শকু‌নের উল্লাস আর শৃগা‌লের অট্টহাস‌্য

তারপর হয়তো এক‌দিন সব বদ‌লে যা‌বে ইতিহাস

ঘু‌রে দাঁড়া‌বে নতুন সভ‌্যতার ভেত‌রে মানুষের

বা‌ড়ি ফেরা হ‌বে স্বার্থহীন চিত্রকলা, ক‌বিতা ও

সংগী‌তের ম‌তো! নি‌জে‌কে অন‌্যরকম ম‌নে হ‌বে 

সে‌দিন!