বেলোর্মি

রবিউল হুসাইন

সামান্য এই পরিসরে কতটুকু সময়ই বা ধরে। আকাশ বিষণœ হলে আজকাল বৃষ্টি হয় না। মেঘগুলো বাতাসের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে মত্ত হয়ে শুধু সরে সরে যায়। দানা বাঁধে না। তাই বৃষ্টি হয়ে ওঠে না। বাতিঘর নিভে গেছে। জাহাজটি অকূল সমুদ্রে জলের ওপর দোল খায়। জলের ভেতরে জলমগ্ন অন্য পৃথিবী আর মাছ এবং মাছ-পরীদের জলজ সংসার। আজ বৃষ্টিহীন আবহাওয়া, বাতাস নেই। মরুভূমি নয় অথচ এক অমনিবাসযোগ্য পরিচ্ছন্ন জলজভূমি, চারিদিকে। ও সমুদ্রকন্যা এক, ওর জন্ম সমুদ্র থেকে।
বৃষ্টি পড়লে বোঝা যায়, সমুদ্রের কাতুকুতু লাগে। ও কূলে দাঁড়িয়ে দূরে সমুদ্রের দিকে উদাস হয়ে তাকিয়ে। বাতাসে তার শাড়ি ওড়ে নীল এক পতাকা হয়ে পত্পত্ করে। তার মনোদেশভূমি, স্বাধীন, সার্বভৌম, উদার নিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক এক রাষ্ট্র। শাড়িটি সেই দেশের পতাকা। সেই হিসাবে
প্রতিটি শাড়ি-পরা 888sport promo code একটি দেশের প্রতিভূ এবং শাড়িটি তার নিজস্ব পতাকা। বৃষ্টিতে ঢেউগুলো আনন্দে আটখানা হয়ে হেসে হেসে মরে। সমুদ্রে বৃষ্টি ঝরে আর জাহাজটির বিপদ বাড়ে। ঢেউয়ে ঢেউয়ে দোদুল দুলে ওঠে। আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ে নাকি সমুদ্রই উলটো করে আকাশের দিকে জলসুতো পাঠায়। বৃষ্টি হলে তাই আকাশের সঙ্গে ভূমি ও সমুদ্রের মাঝে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলম্ব এক জলসেতু নির্মিত হয়।
ও বাতাসে বিস্রত এলোমেলো লম্বা কালো চুল সামলে বৃষ্টির মধ্যে ভিজতে ভিজতে ভাবে, সমুদ্রে বৃষ্টিপাতের কোনো প্রয়োজন নেই। বিষয়টি বৃষ্টির অপব্যবহার বরং নিয়মিত শুকনো মাটির ওপর তার পড়া দরকার। এইভাবে কত বৃষ্টির জল অকারণে কারণহীন হয়ে পড়ছে, এর হিসাব নেই। আসলে বৃষ্টি বা সূর্যকিরণ সর্বজনীন, সবখানেই পড়ে। মাধ্যাকর্ষণের এটা এক মস্তগুণ। সবকিছুকে টেনে মাটির সঙ্গে গেঁথে রেখেছে। তাই পৃথিবী নামক গ্রহের যাবতীয় দৃশ্যমান বস্তুরাশি শূন্য আকাশের দিকে মাথা ঝুলিয়ে বিদ্যমান, অনুক্ষণ, আজীবন। বৃষ্টি পড়লে কোথাও দেখা যায়। কোথাও দেখা যায় না। মরুস্থানেও বৃষ্টি পড়ে, তপ্ত হাওয়া তা শুঁষে নেয়। তখন বৃষ্টিরা অদৃশ্য পাখা মেলে উড়ে যায় জলপাখি হয়ে শূন্য থেকে শূন্যান্তরে।
ও আকাশের দিকে মুখ উঁচু করে চোখ বুজে বৃষ্টির ফোঁটাকে অনুভবে নেয়। ঠোঁটে পড়লে চুম্বনের স্বাদ পায় এবং দুহাত বুকে লাগিয়ে শিহরিত হয়। আকাশের অশ্র“ধারা এই বিষাদময় বৃষ্টি-পড়া। দুঃখের থলি পিঠে মেঘ-শ্রমিকের দল পৃথিবীর সব মানুষের বেদনা হাওয়ায় হাওয়ায় বয়ে নিয়ে যায়। সেই বেদনা আকাশে জমে জমে বৃষ্টির রূপ নেয়। ও এসব ভাবতে ভাবতে একটু চোখ মেলে ধূসর বৃষ্টিøাত আকাশের দিকে তাকিয়েছিল। তখনই একটি বৃষ্টির ফোঁটা চোখের কোনায় এসে পড়েছিল। ওর অশ্র“ভরা চোখদুটি আরো অশ্র“সিক্ত হলো বৃষ্টির জলকণায়। কেউ বুঝতে পারেনি। কে কাঁদে, এই বর্ষাভরা বৃষ্টির ভেতরে। বৃষ্টি, না সমুদ্র, নাকি ও। অঝোর বৃষ্টির মধ্যে কেউ কাঁদলে তার ক্রন্দন কেউ বোঝে না। ও কাঁদে ভিজে হু-হু করে দুহাতে মুখ ঢেকে। যারা সমুদ্র-উত্থিত তাদের ভবিতব্য এমনই। যে কাঁদে সে-ই শুধু জানে কী বেদনাভরা সেই কান্না, এই অঝোর বৃষ্টির ভেতর। ঠা-ঠা করে বিদ্যুৎ এঁকেবেঁকে আকাশ চিড়ে সমুদ্রে পতিত হয় এ-সময়। ওই দূরসমুদ্র তখন দাউ-দাউ করে জ্বলে ওঠে। আসলে সমুদ্রের মধ্যে সূর্যটি ডুবে যাচ্ছে। চারিদিকে আঁধার।

দুই
ও তখন শাড়ির আঁচলে মুখ মোছে। বজ্রপাতের পর বৃষ্টিপড়া থেমে গেছে। চারিদিকে আঁধার হলেও সমুদ্রের ঢেউয়ে ঢেউয়ে আলো ছড়িয়ে সমুদ্রকূলটি আলোকিত। ও বসে পড়ে বেলাভূমিতে। জোয়ারের জল বেশ দূরে গড়াগড়ি দিচ্ছে। শব্দ হচ্ছে, জলের হুড়োহুড়ি কিছুক্ষণ পরপর নিয়মিত শোনা যায়। দু-একটি গাংচিল আঁধারে উড়ে যায় আর দূরের সমুদ্রে ছোট জাহাজটি চলে যাচ্ছে। সেটার পিছে পিছে গাংচিলেরা ছোঁ মেরে ঢেউয়ে-ওঠা মাছ শিকারে উড়ে উড়ে চলে।
ও কিছুদিন এই সমুদ্র-শহরে এসেছে। একাকী। মাঝে মাঝেই আসে। মন খুব বিষণœতায় ঢেকে গেলে আসে এবং একই জায়গার একটি হোটেলে ওঠে। সবাই তার পরিচিত। এক বেসরকারি আপিসে প্রান্তিক মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা বিষয়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। সমুদ্রসৈকত থেকে তার কর্মস্থল বেশ কাছেই। সমুদ্র তার প্রিয়। পাহাড়-পর্বত-সমভূমি-মরুভূমি সব। আদি নিবাস সমতটে হলেও এই ভৌগোলিকতায় তার বেশ পক্ষপাত। ও নিঃসঙ্গ, নির্জনতাপ্রিয়, শ্যামলা, ছোটখাটো দেখতে এবং খুব সাদাসিধে সাধারণ আটপৌরে ধরনের। পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও তাকে কেউ দেখে না। সে কাউকে আকর্ষণ করতে পারে না। অবশ্য এসব নিয়ে ও কখনো ভাবিতও নয়। মা-বাবা মারা যাওয়ার পর বড় ভাইয়ের কাছে বড় হওয়া, লেখাপড়া। কিন্তু যা হয় এদেশের বাঙালি পরিবারে সব সময়। বড় ভাই বিয়ে করার পর তার বউয়ের অস্বাভাবিক আচরণে নীরবে গৃহত্যাগ। তখন সে চাকরিতে সবে যোগ দিয়েছে। সংসারের শান্তির জন্যে নির্বাক বড় ভাই, ভাবির উগ্রতারই জয় হলো। যেদিন চলে আসে, ভাই বাসায় ছিল না। একটা চিঠি রেখে এসেছিল ভাইয়ের টেবিলে, পেয়েছিল কী না জানে না। চিঠিতে লিখেছিল, ‘ভাইয়া, আমি চললাম, তোমরা ভালো থেকো। ইতি তোমার খুকি।’
কী জানি রিকশায় আসতে আসতে ওর একটুও মন খারাপ হয়নি। বরং নিজেকে অনেক সুখী আর তৃপ্ত মনে হচ্ছিল। ওর অবর্তমানে যদি একটি সংসারে শান্তি আসে, তাহলে তা খুবই আনন্দের বিষয়।

তিন
সমুদ্রসৈকতে তখন বেশ ভিড়। সাধারণত সন্ধ্যার পরপরই ছেলেমেয়ে, যুবক-যুবতী, স্বামী-স্ত্রী, প্রেমিক-প্রেমিকারা সব ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসে। মনে হয় কত সুখী আর পরিতৃপ্ত এইসব ভিন জায়গা থেকে আসা পর্যটকরা। দেশের পরিবেশ বা অবস্থা খুব স্বাভাবিক আর নিরুপদ্রব। শান্তি-শৃঙ্খলা চারিদিকে বিরাজ করছে। আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক-পররাষ্ট্রিক, পারিবারিক, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-888sport live chat-বাণিজ্য, খেলাধুলা – সব মানসম্মত। কোথাও কোনো ছন্দপতন নেই। ক্ষমতাসীনরা বিরোধীদের সঙ্গে একে অপরের ইতিবাচক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনার সঙ্গে সৎপরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। মানবাধিকার, 888sport promo codeশিক্ষা, 888sport promo codeস্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও বাণিজ্য-888sport live chatের ক্রমোন্নতিতে পৃথিবীর মধ্যে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিরাজ করছে এই দেশ। সুসময় বয়ে যাচ্ছে বেশ চারিদিকে।
ঠিক সেই সময়ে ঝুপঝুপ অন্ধকারের ভেতর দুটি মোটরসাইকেল তার পাশে হেডলাইট বন্ধ করে চারটি ছেলে দাঁড়াল। তারপর হঠাৎ করে তার মুখ চেপে ধরে পাঁজাকোলে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে সামনের চালকের পিছে বসিয়ে আর একজন – তারপর মুহূর্তের মধ্যে সাঁ করে অন্ধকারে ভট্ভট্ করতে করতে অদৃশ্য। অন্ধকার আরো ঘনীভূত হলো। তখন বিদ্যুৎও নেই। চারিদিক থেকে গায়েবি শব্দ মাইক্রোফোনের শব্দতরঙ্গে ধ্বনিত হতে থাকে –

চার
আয়, আয় চরিত্রহীন, বাটপার, সুসময় বয়ে যায়, আয় চোর, বদমাশ, কালপুরুষ, নটিনী, বেশ্যা, ধর্ষক, মিথ্যুক, জোচ্চোর, আয় 888sport promo codeমাংসের ব্যবসায়ী, কসাই, দালাল, হত্যাকারী, অত্যাচারী, নিষ্ঠুর ঘাতক, আয় দেশ-বিক্রেতা, মহামানব, সুকৌশলী, ধুরন্ধর, শক্তিধর, ঘুষখোর, সুদখোর, ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী, পরিবেশ-হন্তারক, নদীচোর, এদেশ দুর্বল, নাজুক, দরিদ্র, অশিক্ষিত, অতিমাত্রায় জনবহুল, জনগণ নেতাহীন, এসেছে সোনালি যুগ তাদের জন্য, যারা যা ইচ্ছে করতে চায়, কারো কিছু বলার নেই, দেখার নেই, যা ইচ্ছে করানো যায়, সত্যি এক স্বাধীন দেশ, এমন দেশটি কোথাও এমন পাবে না কো খুঁজে, দেশ বিক্রির এমন অনুকূল অবস্থা আর কখনো হবে না, আয় আয়, দলে দলে আয়, যেমন করেই হোক টাকা কামাও, ছলে-বলে-কৌশলে, দলের নাম করে যেভাবেই হোক না কেন, তারপর বিদেশের এক নিরপেক্ষ দেশে পাড়ি জমাও, এতে কোনো দোষ নেই, আমরা যে বিশ্বনাগরিক, সব দেশই আমার নিজের দেশ, আমরা কোনো একটি মাত্র দেশের বাসিন্দা নই, এখন যে চলছে কৃষ্ণযুগের কৃষ্ণ সময়, অন্ধকার যুগ, পথেঘাটে ছিনতাই, গুম-হত্যা, নিরাপত্তা নেই, বিচার কোথায়, সৈনিকদের রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র নিরস্ত্র জনগণের দিকে তাক করা, গণমুখী, অথচ প্রতিবেশী রাষ্ট্র সীমান্তের মানুষকে গুলি করে মারে, নদীর পানি গায়ের জোরে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কিছুই বলছি না, ভীতু ও চাটুকারদের এখনই সময়, তারাই এখন বিশেষভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণির নাগরিক, প্রচার ও প্রসার সব তাদেরই হাতে, তাদেরই কপালে, প্রেম-ভালোবাসা উচ্চারণ করতে হাসি পায়, এসবের কোনো মূল্য নেই, দেশপ্রেম, সে তো পুরনো ধারণা, এই একবিংশ শতাব্দীতে এইসব বস্তাপচা ধারণার বদলে আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি চাই, ব্যক্তি-দেশ-সমাজ পরিবারের প্রতি কোনো বন্ধন স্বীকার করি না, আমাদের পাপ-পুণ্যির তথাকথিত পশ্চাৎপদ বোধ নেই, ওসব সেকেলে বিশ্বাস, এখন স্বার্থটাই সব, নিঃস্বার্থ কে আছে এখন এই দুনিয়ায়, আয় আয়, দেখো আমেরিকা ক্ষমতার জন্যে কী করছে, ধর্মের নামে সৌদি আরব-মধ্যপ্রাচ্য কী করছে, দেশ তো দূরের কথা দরকার হলে নিজেকেও বিক্রি করে দেব, আসলে সবাই স্বার্থপর। যে নিজেকে ভালোবাসে, যে জীবনকে ভালোবাসে, তা সে যে-কোনো মূল্যেই হোক সে স্বার্থপর না হয়ে পারে না; সেই হিসাবে দুনিয়ার তাবৎ লোক স্বার্থপর, আয় আয় আয় ভাই সবাই আমরা স্বার্থপর, যে-কারণে নিজেকে সফল হতে নিজের সার্থকতা পেতে ও নিজে সম্মানিত হওয়ার জন্যে।

পাঁচ
ওকে তখন ছেলেগুলো একটি ঘরে নিয়ে ওঠালো। কোথায় কে জানে। ঘরে একটি খাট। বাড়িটা বোধহয় কোনো অতিথিশালা। মোটামুটি পরিচ্ছন্ন। একটি ছেলে তাকে বললো, কোনো ভয় নেই, আমরা শুধু আপনার শরীর উপভোগ করবো।
আলমারি থেকে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ নিল। একটা অ্যাম্পুল ভেঙে স্বচ্ছ ওষুধ কিছু ঢুকালো, তারপর ওর গায়ে বিঁধালো। তখনই ও ঘুমে ঢলে অচেতন হয়ে পড়লো। ওরা ওকে ন্যাংটো করে সেই অচেতন দেহের মধ্যে চেতনার সারাৎসার সারারাত যৌথভাবে চালাচালি করে ক্লান্তি বোধ করার আগে রাত থাকতে থাকতেই আবার শাড়ি আঙ্গিয়া-জাঙ্গিয়া-বক্ষবন্ধনী ইত্যাদি পরিয়ে সেই মোটরসাইকেলে করে সমুদ্রপাড়ের সৈকতে ঠিক আগের জায়গায় আগের মতো বসিয়ে দিয়ে রাস্তা বেয়ে ভট্ভট্ করে যেমন করে এসেছিল তেমন করে চলে গেল।

ছয়
চারিদিক সুনসান। সমুদ্রও নীরব, নিথর, কোনো ঢেউয়ের দেখা নেই। সমুদ্র এক বিশাল হ্রদে রূপ নিয়েছে। বাড়িঘরগুলো আঁধারে মাখা অতিবাস্তবীয় অবয়বে। বিমূর্ত প্রকাশে সব নৈর্ব্যক্তিক স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের অনুষঙ্গে আধি-পরিচ্ছায়াময়, আধিভৌতিক বুনোটে মাখামাখি। সেই সময়ে সহসা মধ্যসমুদ্র থেকে উঠে আসে এক বিশাল জলের পাহাড়, বেলাভূমির দিকে বিকট গর্জন করতে করতে, আকাশ শূন্য, পিঙ্গল, ঘন নীল, রংধনুর মধ্য দিয়ে ছুটতে ছুটতে, অতিকায় ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে আদিগন্ত কাঁপিয়ে-ঝাঁপিয়ে কূলে আছড়ে পড়ে ওকে, সেই সমুদ্রকন্যাকে, জলের নিরাপদ কোলে তুলে নিয়ে আবার চলে গেল, ফিরে গেল চিরকালের জন্যে সমুদ্রের গহিন রহস্য আর গভীরতার ভেতরে সামান্য পরিসরে সময়ের অনন্ত অফুরন্ত অনিঃশেষ মায়াবী নিঠুর মাধুর্যে।