ভালো লাগার শহর

মণ খুব আনন্দের, অন্তত আমার কাছে। আমার মনে হয় টাকা খরচ করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো 888sport slot game । অনেকে বই কেনা, সৌধ নির্মাণ, জনহিতকর কাজ বা দান-ধ্যানের কথা বলবেন। আসলে পেয়ালাভর্তি নানা রঙের পানীয়ের মধ্যে যার যেটা খুশি সে তার নিজের রুচি অনুযায়ী বেছে নেয়। যে পৃথিবীতে জন্মেছি, এই অনিত্য জীবনে তার যতটা সম্ভব দেখে নেয়াটা লাভ মনে হয়। তবে দেশ888sport slot gameের প্রবল ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় অর্থসংকটের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না । 888sport slot gameের তো একটা খরচ আছে। আমি পৃথিবীর প্রায় চৌদ্দটি দেশ 888sport slot game করেছি। বেশির ভাগ সময়ে নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে যাতায়াত খরচ মেটাতে হয়নি, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও উদ্যোক্তারা করেছেন, তবুও নিজের পকেটের পয়সা কিছুটা হলেও খরচ হয়, কারণ প্রিয়জনের জন্য বাজার- সদাই সামান্য হলেও না করে উপায় থাকে না। বিদেশ থেকে খালি হাতে ঘরে ঢোকা যায় না। দেশটি যদি ভারত হয়, তাহলে তো কথাই নেই। মেয়েদের পরিধেয় বস্ত্র ও সাজসজ্জার স্বর্গভূমি। অবশ্য আজকাল ছেলেদের জিনিসপত্রও ভারতে প্রচুর মেলে। এবারের 888sport slot gameকাহিনী ভারতের দিল্লিকে নিয়ে।

গত অক্টোবর মাসে দিল্লি গিয়েছিলাম, ৯ থেকে ২২ অক্টোবর ‘০৩-এ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও নাটকের আকাদেমি ‘সঙ্গীত নাটক আকাদেমির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আমন্ত্রিত হয়ে। ইন্টারন্যাশনাল

থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই) ভারতীয় কেন্দ্র এই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। 888sport apps থেকে আমি একাই গিয়েছিলাম। বিভিন্ন দেশের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত হয়ে আকাদেমির সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনার ও নাট্যোৎসবে যোগদান করে। আমাদের রাখা হয়েছিল দিল্লির অভিজাত হোটেল অশোকায়। থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করেছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেসান্স (আইসিসিআর)। আমরা ১১ জন বিদেশী এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলাম। একজন ফরাসি, একজন কোরিয়ান, দুজন রোমানিয়ান, দুজন জাপানি, একজন ফিনিশ, আইভরি কোস্টের একজন, একজন স্লোভাকিয়ান, একজন নেপালি এবং একজন 888sport appsী, এই ছিল হিসাবটা। এর মধ্যে চারজন ছিলেন মহিলা এবং সাতজন ছিলেন পুরুষ। 888sport live football, মঞ্চ-নাটক এবং সঙ্গীতের ক্ষেত্রে বেশ কয়েজন সিদ্ধ পুরুষ এবং স্বনামধন্য ব্যক্তি এই সেমিনার ও উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবারেরটা ছিল আমার পঞ্চম দিল্লি 888sport slot game। ভারতের সঙ্গীত নাটক আকাদেমির এই বিরাট উদযাপনের প্রসঙ্গে পরে আসছি। তার আগে আমার আগেকার দিল্লি 888sport slot gameের বৃত্তান্ত সেরে নিই ।

আমার ধারণায় 888sport slot gameের জন্য ভারত অতি উৎকৃষ্ট। এ প্রায় এক মহাদেশ। বিচিত্র স্থল ও জলভাগ। মানুষের ভাষা, কৃষ্টি, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনাচরণ বর্ণময়, একের সঙ্গে অন্যের কোনো মিল নেই, তবে এই ভিন্নতার মধ্যেও বৃহত্তর অন্বয় সাধনের প্রয়াস আছে। এ হলো, অনৈক্যের মাঝে ঐক্যের অধিবাস। ভারতের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি অতি প্রাচীন । চলমান বিশ্বের জ্ঞান, 888sport apk, দর্শন ও 888sport live footballসহ অনেক ক্ষেত্রে ভারত একটি অগ্রসর দেশ হিসেবে গণ্য। জ্ঞান-888sport apk ও 888sport live chat-888sport live footballের বিভিন্ন শাখায় ভারতীয় মহাপুরুষেরা পাশ্চাত্যের ও দূরপ্রাচ্যের সুসভ্য দেশগুলোকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। ভারতের একাধিক রাষ্ট্রনায়ক আমাদের নমস্য। তবুও আধুনিক ভারতে কুসংস্কার আছে, মানুষে মানুষে বিভেদ আছে এবং সর্বোপরি আছে দারিদ্র্য। সেখানে এখনো সাধারণ মানুষের জীবন-মানের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। জন888sport free betর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। শতকরা সত্তর জন মানুষের এখনো শৌচাগার নেই । শতকরা পঁচাত্তর জনের মাথার উপর পাকা ছাদ নেই অথচ দেশটি ব্যবসা-বাণিজ্য, কল-কারখানা, হার্ড ও সফটওয়ার 888sport live chat, live chat 888sport ও আকাশসংস্কৃতির ব্যবসায় অনেক এগিয়ে আছে। অর্থনীতির অসম বণ্টন এর একটা কারণ হতে পারে।

দেশটির অসামংশক (বিভিন্ন ধর্মী) চরিত্রও এর কারণ হতে পারে। এসব সত্ত্বেও যুগ যুগ ধরে ভারত আমাদের মনে আগ্রহের সঞ্চার করেছে। তাই, ভারত 888sport slot gameে পৃথিবীর মানুষ কখনো পিছুপা হয়নি। কুহেলিকা ও প্রহেলিকাময় ভারত। প্রাচ্যবাদিতার দীপ্যমান প্রতীক ভারত আমাদের বারবার আকর্ষণ করে কিন্তু ভারতকে দেখে শেষ করা বোধহয় এক জীবনে সম্ভব নয়। নদ-নদী, পাহাড়-জঙ্গল, উপত্যকা অধিত্যকা, সাগর-মহাসাগর এবং সর্বোপরি হিমালয়ের দেশ ভারতের আকর্ষণ দুর্বার। জাতীয় ও ভিনজাতীয় সভ্যতার মহামিলন ক্ষেত্র ভারত। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়: “হেথায় আর্য, হেথায় অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন/শকহুনদল পাঠান মোগল এক দেহে লীন।”

দিল্লি প্রসঙ্গে ফিরে আসি। দিল্লি গেটের কাছে রিং রোডে রয়েছে দিল্লির সবচেয়ে শান্তিময় স্থান মহাত্মা গান্ধীর 888sport sign up bonus বিজড়িত রাজঘাট । তাঁর 888sport sign up bonusর স্মারক একটি কালো মার্বেল পাথরে বিছানো প্রস্তর ফলক। চতুর্দিকে বিস্তীর্ণ সবুজের সমারোহ। কোনো সৌধ নেই। গান্ধীভক্তেরা সেখানে প্রতীকী চরকা কাটে আর গান গায় ‘রঘুপতি রাঘব রাজারাম, পতিত পাবন সীতারাম’। রাজঘাটের নিরাভরণ সৌন্দর্য মনকে বড় প্রশান্ত করে। মনে করিয়ে দেয় সেই ছোট্ট-খাট্ট মানুষটিকে যাঁকে ব্রিটিশরা উপহাস করে বলত- ভারতবর্ষের অর্ধনগ্ন ফকির। কিন্তু এই ইস্পাত-শক্ত মানুষটির দৃঢ় মনোবল ও প্রবল ইচ্ছাশক্তির কাছে পরাজিত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকযন্ত্র । বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষ ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তবু ব্রিটিশদের প্ররোচনায় সুইডিশ একাডেমি একাধিকবার তাঁকে শান্তির জন্য নোবেল

888sport app download bd দিতে গিয়েও দেয়নি। তাতে করে গান্ধীর কীর্তি ও গৌরব এতটুকু হেয় হয় নি। আজকের এই যন্ত্রণাক্লিষ্ট বিশ্বে আজও তাঁর অহিংস নীতি ও সত্যাগ্রহ ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। আমি যতবার দিল্লি গিয়েছি রাজঘাটে যেতে কখনো ভুলিনি । এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। রাজঘাটের উত্তরে শান্তিবনে রয়েছে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর সমাধিবেদি। সেখানে রয়েছে বিরাট গোলাপ ফুলের বাগান। নেহেরু গোলাপ ফুল ভালোবাসতেন, এটা তারই পরিচয়বহ। শেরওয়ানির বোতামঘরে গোলাপ লাগানো নেহেরুর অতি পরিচিত চেহারা আমাদের সবারই জানা ।

ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, তখনকার সময়ের নতুন যৌবনের দ্রুত পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর 888sport sign up bonus বিজড়িত ত্রিমূর্তি ভবন আমাকে মুগ্ধ করে। এই ভবন দিল্লির অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিখ্যাত। প্রতিদিন প্রচুর লোক সমাগম হয় এখানে। এই ভবনে আছে নেহেরু মিউজিয়াম, যেখানে তাঁর সহজিয়া জীবনযাপনের স্মারক সযত্নে রক্ষিত। তাঁর শোবার ঘর, পড়ার ঘর, ব্যবহার্য দ্রব্যসামগ্রীতে একটা সহজ সৌন্দর্য লক্ষ করা যায়। সবই সাধারণ, জাঁকজমকপূর্ণ কোনো সম্ভার নেই। অসাধারণ লেখক নেহেরু 888sport live footballে নোবেল 888sport app download bdলাভের উপযুক্ত বলে তাঁর সময়ে অনেকে ভাবতেন। তাঁর ইংরেজি অনবদ্য। বিষয় আরো সুন্দর, মূলত যুগনির্মাণের ইতিহাস, জঙ্গমতার ইতিহাস, মানুষের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস এবং সর্বোপরি ভারতের ইতিহাস তো বটেই। জেলখানায় বন্দি অবস্থায় কন্যা ইন্দিরা গান্ধীকে লেখেছেন অসংখ্য পত্ররাজি যা লিপিবদ্ধ হয়েছে বই আকারে, নাম ‘গ্লিমসেস অব ওয়ার্লড হিস্ট্রি’। ভারতবর্ষের এ এক অনবদ্য কাব্যময়-ইতিহাস। দিল্লিতে 888sport slot gameকালে আমার পুত্র ভারতের বিভিন্ন স্থাপনা সম্পর্কে যে সব প্রশ্ন করছিল আমি ‘গ্লিমসেস’এর পাতা উলটিয়ে ওকে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছিলাম। ‘দ্য ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’র তুলনা নেই। নেহেরু ভারতীয় জাতিসত্তার এক মনোগ্রাহী পরিচয় তুলে ধরেছেন বইটিতে। নেহেরুকন্যা ইন্দিরা গান্ধীর সারাজীবনের সঙ্গী ছিল এই বইটি । নেহেরুর ‘অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ অর্থাৎ তাঁর আত্মজীবনী বিশ্বের সেরা আত্মজৈবনিক লেখাগুলোর অন্যতম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মে ৩১, ১৯৩৬ সালে নেহেরুকে ইংরেজিতে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, “প্রিয় জওহরলাল, এইমাত্র তোমার বইটি পড়ে শেষ করলাম, আমি অভিভূত হয়েছি, তোমার এই কীর্তির জন্য আমি তোমাকে নিয়ে গৌরব বোধ করি” (বর্তমান লেখককৃত 888sport app download apk latest version)। রবীন্দ্রনাথ জওহরলালকে ভীষণ ভালোবাসতেন এবং নেহেরুও গুরুদেবের নামে আপ্লুত হতেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল 888sport live footballের জন্য নোবেল 888sport app download bd পেয়েছিলেন। তাঁর লেখা যুদ্ধের ইতিহাস, বড় 888sport live footballকাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। জওহরলাল নেহেরু 888sport live footballের জন্য নোবেল 888sport app download bd গেলে উপমহাদেশের অধিবাসী হিসেবে আমার খুব ভালো লাগত ।

কুতুব মিনার আর দিল্লি প্রায় সমার্থক, যেমন প্যারিস আর আইফেল টাওয়ার। দাস বংশীয় রাজা কুউদ্দিন আইবকের নামবহ এই অভ্রভেদী কন্তু এখনো পর্যটকদের বিস্ময় জাগায় তবে এই স্তম্ভ এবারের 888sport slot gameে আমাকে পীড়িত করেছে। এই স্তম্ভের কাছাকাছি এসে মনে পড়ে গেল, পত্রিকার খবর ও টেলিভিশন নিউজে জেনেছিলাম যে কুতুব মিনারের অভ্যন্তরীণ আরোহণ-সিড়ি দিয়ে নামার সময় আতপীড়িত একদল স্কুলের ছেলেমেয়ে হুড়োহুড়িতে পিষ্ট হয়ে মারা যায়। এরপর থেকে কুতুব মিনারে চড়া বেশ কিছুকাল বন্ধ ছিল। কুতুব মিনারের পাশে অবস্থান করছে চতুর্থ শতকের চন্দ্রভার্মার তৈরি লৌহমিনার। প্রাগৈতিহাসিক যুগের লৌহস্তম্ভটি মরচেমুক্ত জোড়াবিহীন লৌহখণ্ড থেকে তৈরি। পুরনো যুগের এই প্রযুক্তি- জ্ঞান আমাদের বিস্মিত করে।

মোগল সম্রাট হুমায়ূনের সমাধিসৌধের বিপরীতে মুখরা রোডে অবস্থিত নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা মহাকবি বাল্মিকীর মতো নিজামউদ্দিন আউলিয়াও নাকি যৌবনে দস্যু ছিলেন, পরে কঠোর তপস্যার মধ্য দিয়ে সিদ্ধপুরুষ অর্থাৎ আউলিয়া হিসেবে স্বনামধন্য হয়েছিলেন। নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারের খাদেমরা খুব করিৎকর্মা। দেখলাম তরতর করে আমার পারিবারিক ইতিহাস পড়ে শুনালো, আমার বাবা, মা, দাদার নাম এমনকি আমার দেশের বাড়ির ঠিকানা পর্যন্ত এদের জানা আছে – যা খাতায় লিপিবদ্ধ করা। এভাবে বিভিন্ন দেশের মানুষদের জীবনবৃত্তান্ত ও ঠিকানা এদের জানা আছে, এটাই এদের বৃত্তি, এভাবেই ব্যবসায়ী স্বার্থে এরা দর্শনার্থীদের মোহগ্রস্ত করে, হিন্দু তীর্থস্থানের পা দেখা যায়। 888sport live chatপতি বিড়লার তৈরি লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির (বিড়লা মন্দির) অতি বিখ্যাত। তবে আধুনিককালে নির্মিত দিল্লির পদ্ম-মন্দির (লোটাস টেম্পল) সবচেয়ে সুন্দর। এটা হিন্দু মন্দির নয়। পারস্য থেকে উদ্ভাবিত এক নব দর্শনের ভিত্তিতে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। সকল ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষের জন্য এই মন্দির উন্মুক্ত। জীবে দয়া, অহিংসা ও মানবতা এই বিশ্বাসের মূলমন্ত্র। মন্দিরটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর এবং পরিচালনা পদ্ধতিও শৃঙ্খলাবদ্ধ এই মন্দিরের নির্মাণশৈলী তাক লাগিয়ে দেয়। দেখতে খুব বড় ফুটন্ত পদ্মফুলের মতো। আমার ছেলে দেখে বলেছিল, আদলে অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউসের মতো। যারা এই মন্দির নির্মাণের উদ্যোক্তা তারা বাহাই সম্প্রদায়ের লোক। এদের আদি বাসস্থান ইরান দেশে।

ঐতিহাসিক দিক থেকে দিল্লির সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান রেড ফোর্ট বা লাল কেল্লা। সম্রাট শাহজাহানের সৃষ্টি, তাজমহলের মতোই বিখ্যাত। মহাস্থপতি হিসেবে মোগল সম্রাট শাহজাহানের খ্যাতি ছিল। সংক্ষেপে লাল কেল্লা পুরনো ও নয়া দিল্লির মেলবন্ধন হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে পুরনো শহরে। যেমন মোগল সাম্রাজ্যের গৌরবগাথা ও ঐশ্বর্যময় অহঙ্কারের স্মারক এই লাল কেল্লা তেমনি ভারতের স্বাধীনতা উত্তরকালের অনেক 888sport sign up bonus বহন করে চলেছে রেড ফোর্ট। দুশো বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক রাজত্বের চিহ্নও লেগে আছে লাল কেল্লার শরীরে। তবে লাল কেল্লা এক অর্থে ভারত-আত্মা বৈশিষ্ট্য ধারণ করে আছে। লাল কেল্লার নির্মাণশৈলী অপূর্ব। মধ্য এশিয়া,পারস্য এবং প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য888sport live chatের এক অনন্য কেলাসন এই দুর্গ। এই দুর্গে আছে দেওয়ানি আম (হাউস অব কমন্‌স), দেওয়ানি খাস (হাউস অব লর্ডস), রংমহল (রানিদের অন্দরমহল) এমনি আরো অনেক স্থাপনা। লাল কেল্লার ভেতরে আছে একটি উল্লেখযোগ্য মিউজিয়াম। এই কেল্লার ভেতর বসত মোগল শাসনকালের বিখ্যাত মিনা বাজার। লাল কেল্লার পাশে অবস্থান করছে শাজাহানপুত্র আওরঙ্গজেবের সময়ে নির্মিত বিখ্যাত মতি মসজিদ। এই মসজিদে আওরঙ্গজেব নামাজ পড়ার সময় অন্য মুসল্লিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল । এই আড়ম্বরপূর্ণ মসজিদ এবং আওরঙ্গজেবের প্রার্থনা- আচরণ যেন তাঁর বহুল প্রচারিত অনাড়ম্বর ও ফকিরি জীবনাচরণকে ব্যঙ্গ করে। এমনও হতে পারে এই স্ববিরোধিতা জীবনের আর এক নাম। লাল কেল্লার ভেতরে দর্শক-শ্রোতাদের জন্য প্রতি সন্ধ্যায় একাধিক হিন্দি ও বাংলা ভাষায় লাইট ও সাউন্ড শো হয়। এই প্রদর্শনী আগ্রহ সঞ্চারকারী। লাল কেল্লার দেওয়ানি খাসে স্থাপিত ছিল বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসন – যার মাথায় খচিত ছিল জগৎবিখ্যাত ‘কোহিনূর’ বা ‘জ্যোতির পর্বত’ নামের হীরকখণ্ড। নাদির শাহ ভারত আক্রমণের সময় এই হীরা লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে এই হীরার অর্ধেক আছে পারস্য দেশে বাকি অর্ধেক শোভা পাচ্ছে ইংল্যান্ডের রানির মুকুটে। শুনেছি, ভারত সরকার ব্রিটিশ সরকারের কাছে এই কর্তিত হীরকখণ্ড ফেরত চেয়েছে লাল কেল্লার নিচে অর্থাৎ পাতাল তলায় আছে একটি সুরক্ষিত সেনানিবাস। আমি শিহরিত হই এই ভেবে যে, ব্রিটিশ শাসনের পতন ঘটিয়ে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন ও সার্বভৌম ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু এই লাল কেল্লার প্রশস্ত প্রাচীরের উপর সজ্জিত মঞ্চ থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এই লাল কেল্লার বিপরীত দিকে রয়েছে পুরনো দিল্লির বিপণি বিতান যার সঙ্গে আমাদের পুরনো 888sport appর ইসলামপুর এলাকার সাদৃশ্য আছে। এখানেই ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আজও সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে সম্রাট শাহজাহানের নির্মিত দিল্লির জামে মসজিদ। এই মসজিদকে কেন্দ্র করে অনেক কিংবদন্তি আছে – যার সিংহভাগের নায়ক ভারত সম্রাট আওরঙ্গজেব।

পুরনো কেল্লার দক্ষিণে মুথরা রোডে আছে এক বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান যা হুমায়ূন’স টুম্ব নামে খ্যাত। তাজমহলের সাথে এই সৌধের স্থাপত্য- সাদৃশ্য আছে বলা হয় যে, হুমায়ূনের সৌধের আদলে সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণে অনুপ্রাণিত হন। এ জায়গা বড় দুঃখের, যতবার গিয়েছি ততবারই আমার তা-ই মনে হয়েছে। এই সৌধের কোনো এক প্রকোষ্ঠে ভারতবর্ষের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফর লুকিয়েছিলেন। এখান থেকেই তিনি ইংরেজদের হাতে ধৃত হয়ে বার্মার রেঙ্গুনে (বর্তমানে মায়ানমারের ইয়াংগুন) নির্বাসিত হন। বাহাদুর শাহ্ জাফর খুব বড় উর্দু কবি ছিলেন, আক্ষেপ করে যিনি তাঁর 888sport app download apkয় উৎকীর্ণ করে গেছেন, হৃদয়ছোঁয়া দুটো লাইন – কতই না হতভাগা এই জাফর যার গোরের জন্যে স্বদেশে দুগজ জমিও মিলল না।

দিল্লির ১নং সবদার জং বাহাদুর রোডে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধীর বাড়িটি এখন মিউজিয়মে রূপান্তরিত হয়েছে। সকালবেলায় কাঠের গেইট পার হয়ে নিজ বাড়ি সংলগ্ন আউটার হাউসে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকার দেবার জন্য যাচ্ছিলেন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সাক্ষাৎকারটি নেবার কথা ছিল বিখ্যাত live chat 888sport অভিনেতা পিটার উস্তিনভের। তিনি টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান এবং ক্রুদের নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সাক্ষাৎকারটি আর দেওয়া হলো না। পয়েন্ট ব্ল‍্যাঙ্ক দূরত্ব থেকে ইন্দিরা গান্ধীর দুই শিখ দেহরক্ষী বেন্ত সিং এবং সতবত সিং তাঁর উপর গুলি চালালো, তিনি প্রাণ হারালেন। কেউ ভাবেনি পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরের উপর সামরিক আক্রমণ শিখ সম্প্রদায়কে এতটা ক্রুদ্ধ করবে এবং যার বিনিময়ে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণ দিতে হবে। ইন্দিরা গান্ধীর বাড়ি এবং তাকে গুলিবিদ্ধ করার জায়গাটি দেখে মন খুব বিষণ্ণ হয়। বাড়িটি দেখে বোঝা যায় ইন্দিরা গান্ধী সহজ-সরল জীবনযাপন করতেন, কোনো ঠাঁট-বাট ছিল না। বাড়িটি এখন মিউজিয়মে রূপান্তরিত হয়েছে। সতবত সিং এবং বেন্ত সিং ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী ছিলেন বহুদিন ধরে এবং তাঁর কাছের মানুষ ছিলেন। হায় নিয়তি! এই বিশ্বস্ত দেহরক্ষীদের হাতেই ইন্দিরা গান্ধী দেহরক্ষা করলেন; এই তো মানুষের জীবন! এই নির্মম ঘটনা ঘটেছিল আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে।

দিল্লির একটি দর্শনীয় প্রাসাদ হলো রাষ্ট্রপতি ভবন। যেমন বিশাল এই ভবন, তেমনি বিশাল এর বহিরাঙ্গন। বিকেলে বেড়াবার জন্যে এখানে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। রাষ্ট্রপতি ভবনের স্থাপত্য 888sport live chatও মনোরম। এই ভবনে এখন একজন পরমাণু বৈজ্ঞানিক ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বসবাস করছেন। এই ভবনটি নির্মিত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে, ফলে এই ভবনের নির্মাণশৈলীতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের একটা মিলন লক্ষ করা যায়। এই ভবনটি নেহেরু মিউজিয়মের কাছে তিনমূর্তি রোডে অবস্থিত । দিল্লির বিশাল চক্রাকার সংসদ ভবনটি দৃষ্টি আকর্ষণ করে, তবে তুলনায় স্থপতি লুই কানের সৃষ্টি আমাদের সংসদ ভবন অনেক বেশি নজরকাড়া।

আধুনিক দিল্লি বা নয়া দিল্লি একটি আধুনিক নগর, যথার্থই ভারতের রাজধানী। রাস্তাঘাট প্রশস্ত, বাড়িঘর আরামদায়ক, পাঁচতারা হোটেলসহ প্রচুর হোটেলে ভরা, গাছপালা, উন্মুক্ত প্রান্তর এবং সবুজের সমারোহের কোনো অভাব নেই। দিল্লিকে কেউ ঘিঞ্জি শহর বলতে পারবে না। আগে পরিবেশদূষণ দিল্লির জন্য একটা বড় সমস্যা ছিল এখন সেটাও বন্ধ হয়েছে। দিল্লীর বিপণি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিল্লি হার্টস্ এখানে ভারতের প্রায় সব রাজ্যের দ্রব্যসামগ্রী, পোশাক-আশাক, খাদ্যদ্রব্য সুলভে লভ্য। এছাড়া রয়েছে কনট প্লেস, কেরল বাগ, জনপথ, সাউথ এক্সটেনশনের মতো আরো কয়েকটি বিপণি কেন্দ্র। 888sport appর মতো শপিং কমপ্লেক্স বা আর্কেড দিল্লীতে নেই। দোকানপাট সব ছড়ানো ছিটানো। দিল্লির রাস্তা ও অ্যাভিনিউগুলোর নাম ঐতিহ্যবাহী। চাণক্য, ফিরোজ শাহ্, অশোক, মোঘল সম্রাট এবং ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষদের নাম বহন করছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও অ্যাভিনিউ। ফিরোজ শাহ্রে নাম বহন করছে দিল্লির ক্রিকেট গ্রাউন্ড – নাম ফিরোজ শাহ্ কোটলা গ্রাউন্ড, যার পাশে রয়েছে ফিরোজ শাহ্রে সমাধি। এখানকার রবীন্দ্র ভবন একটি বিশাল কমপ্লেক্স। রবীন্দ্র ভবনেই সঙ্গীত নাটক একাডেমির কার্যালয় অবস্থিত। এর কাছেই রয়েছে প্রখ্যাত দিল্লি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা যেখানে তিন বছর মেয়াদি নাট্য শিক্ষা কোর্স প্রদান করা হয়। এই স্কুল থেকে অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ এবং ওমপুরী অভিনয়ে ডিপ্লোমা লাভ করেন আমাদের দেশের বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা ও নাট্য নির্দেশক দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতে (এনএসডি) বিদ্যাশিক্ষা করেছেন লোকের গত অক্টোবরের 888sport slot gameের কথায় ফিরে আসি। অনেক বিখ্যাত সঙ্গে উঠাবসার সৌভাগ্য হয়েছে। পাশাপাশি চলছিল দিল্লি ফিল্ম উৎসব সুতরাং অনেক সুপার স্টারদের সাক্ষাৎ মিলেছে। অনেক মঞ্চনাটক ও ঐতিহ্যবাহী নাটকের প্রদর্শনী দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সেমিনারে আমার নিজের উপস্থাপনা ছিল ‘অ্যাকটর টু ডে’ এবং 888sport appsের মফিদুল হকের লেখা 888sport live আমি পাঠ করেছি, শিরোনাম ছিল ‘ইন সার্চ অব আইডেনটিটি’। ছয়টি সেশনে বিভক্ত ছিল এই সেমিনার এবং উল্লিখিত বিষয় ছাড়া নাটা বিষয়ক আরো চারটি বিষয় এই সেমিনারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। হাবিব তানভীর, কাভালান পানিকর, জিপি দেশপাণ্ডে, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, ভাস্কর চন্দ্রভারকার, সানজানা কাপুর (শশি কাপুর এবং জেনিফার কিন্ডেলের কন্যা), আমাল আল্লানা, কীর্তি জইন, গিরিশ কার্নাড, মহেশ আল কঞ্চুয়ার, ড. শ্রীরাম লাগুসহ আরো অনেক মহারথী নাট্যকার অভিনেতা, নাট্যা নির্দেশক, 888sport live footballিক ও কবি এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। বরেণ্য গায়ক ড. ভূপেন হাজারিকার সাথে অন্তরঙ্গভাবে মেলামেশার সুযোগ হয় উনি সঙ্গীত নাটক একাডেমির বর্তমান সভাপতি। প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন বিখ্যাত নাট্যকার গিরিশ কার্নাড। তাঁর সাথেও বেশ ভাব হয়। এছাড়া সঙ্গীত নাটক একাডেমির ফেলো বিজয় টেন্ডুলকারের সাথে দেখা হয়। তাঁকে আগে থেকেই চিনতাম। live chat 888sport অভিনেতা অমরেশ পুরীর একক মঞ্চাভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি আমাদের সেমিনারে যোগ দিয়েছিলেন। পরে জেনেছি প্রথমত উনি নাটকেরই লোক, পরে live chat 888sportে যোগ দিয়েছেন। নাসিরুদ্দিন শাহ এবং তাঁর স্ত্রী রত্না পাঠক শাহর যুগল অভিনয়সমৃদ্ধ ইংরেজি নাটক ‘ডিয়ার লায়ার’ দেখে বিমোহিত হয়েছি। নাটকটি নাট্যকার বার্নাডশ এবং তাঁর প্রেমিকা স্টেলার ৪০টি প্রেমপত্রের উপর ভিত্তি করে রচিত। একই সাথে এমন রসালো এবং বিষাদময় নাটক কম দেখেছি। সামানন্দ জালান এবং তাঁর স্ত্রী নৃত্য888sport live chatী চেতনা জালান অভিনীত বাদল সরকার এবং মোহন রাকেশ রচিত হিন্দি ‘এবং ইন্দজিৎ’-এর খণ্ড অভিনয়ও ছিল মনোগ্রাহী। সামানন্দ জালান বর্তমানে সঙ্গীত নাটক একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান । আমার পূর্বপরিচিত । 888sport appsে নাটক নিয়ে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিকভাবে নন্দিত নাট্য প্রযোজনা পাঞ্জাবের ‘কিচেন কথা’ দেখে খুব ভালো লেগেছে নাটকটি একটি রান্নাঘরের সেটে নানা রকম খাদ্যপ্রণালি (রেসিপি) নিয়ে লেখা এবং সত্যিকার অর্থে মঞ্চের উপর রান্নাবান্না হয় এবং দর্শকদের খেতে দেয়া হয়। এছাড়াও ছিল আলেক পাদমূসি, গৌতম হালদার (সোজন বাদিয়ার ঘাট), অনুপম খের, কুমার রায়, মনোজ মিত্রসহ আরো অনেকের পূর্ণ বা খণ্ড নাট্য প্রযোজনা। আমি তার আগেই দেশে ফিরে এসেছি, কাজেই সব দেখা হয়নি। ঐতিহ্যিক নাট্য প্রযোজনার মধ্যে সবচেয়ে বর্ণময় ও জঙ্গম ছিল কেরালার ‘কুটিয়াট্টাম’, তামিলনাড়ুর ‘খেরোকুখু’ এবং কর্ণাটকের ‘ইয়াকশাগানা’। কামানী মিলনায়তন, শ্রীরাম সেন্টার এবং মুক্তাঙ্গন মেঘদূতসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে এসব নাট্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। এ আয়োজন ছিল বিরাট। সব বলে শেষ করা যাবে না । live chat 888sportের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব শাবানা আজমী, অমল পালেকার এবং আদুর গোপাল কৃষ্ণানের সাথে দেখা এবং আলাপ হয়। আমরা একই হোটেলে ছিলাম। দক্ষিণ ভারতের live chat 888sport পরিচালক আদুর গোপাল কৃষ্ণান বহির্বিশ্বে এখন সত্যজিতের মতোই নন্দিত। খুবই নিবেদিতপ্রাণ নির্দেশক এবং বিশিষ্ট হয়েছেন নিজস্বতার গুণে। এবারের দিল্লি 888sport slot gameে শহর ঘুরে দেখার সুযোগ তেমন হয়নি। তবু আধাবেলা সময় করে সামান্য কিছু কেনাকাটা সেরেছি এবং রাজঘাটের পাশ দিয়ে যাবার সময় গাড়ি থেকে নেমে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। বড় শান্তি ও স্বস্তির জায়গা রাজঘাট। দিল্লি গেলেই আমার প্রিয় লেখক খুশবন্ত সিংহের কথা মনে পড়ে, বোধহয় তাঁর ‘দিল্লি’ 888sport alternative linkের জন্য। 888sport appয় একবার তাঁর সাথে দেখা হয়েছিল, এমন রসিক মানুষ খুব কম দেখা যায়। নব্বই বছর বয়েসেও তিনি সচল এবং সক্ষম। বেঁচে থাকলে দিল্লি হয়তো আবার যাওয়া হবে, দিল্লি আমার পছন্দের শহর।