মানুষের একটা ঘর থাকে
জলের ভেতরে জলের ঘর … বরফ ঘর
মেঘের ছায়া লেগে তার নাম হয় জলধি
আকাশের নীল ছুঁয়ে তার নাম সুনীল সাগর।
উত্তাল উর্মীমালা সে জলের বাঁধনকে শক্ত করে
জলের ভেতর ছুঁয়ে জলের সে ঘরটাকে করে মজবুত।
মানুষ নাবিক হয়ে থাকে সেখানে… বুকের সাহস
জাহাজের মাস্তুল সেখানেই জীবনের পরিখা গড়ে।
জলের ভেতর ছোঁয়া সে জলের ঘর
মানুষের অন্য জীবন … অন্য পরিসর।
মানুষের একটা ঘর থাকে
শূন্যের ভেতরে শূন্য ঘর … বাতাস ঘর
বাতাসের দোলা লেগে তার নাম হয় নাগরদোলা
সাধক বাউল বলে ভাবের আবাস।
ঝড়ের ঝাপটা লাগা সে ঘরের ঘূর্ণি কাঁপন
শূন্যের ভেতরে আনে শূন্যতার আঁটসাঁট বাঁধন।
মানুষ পরাণ খুলে সেখানে নোঙ্গর গড়ে
বাতাস বন্দি করে তার মাঝে করে বসবাস।
শূন্যের ভেতর থেকে শূন্য সে ঘর
মানুষের অন্য জীবন … অন্য পরিসর।
জলের ভেতরে জলের ঘর
মানুষের চোখ … জলের সে অন্য আবাস
জল ভাঙে যদি
চোখের ভেতরে গড়ে জলধি অটুট।
শূন্যের ভেতরে বাতাস ঘর
মানুষের বুক … বাতাসের অন্য আবাস
সে বাতাস ভাঙে যদি
বুকের ভেতরে গড়ে নির্মল বেসাতি।
মানুষের একটা জলের ঘর থাকে
থাকে বাতাসের ঘর
মানুষ তবুও গড়ে মানুষের ঘর।

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.