এখানে রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি কবিতিকা সংগ্রথিত। এগুলো কোনো রবীন্দ্রগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সংবাদপত্রে, সাময়িকপত্রে কিংবা অন্যদের বইয়ে সংকলিত এসব অজানা ক্ষুদ্র রচনা রবীন্দ্র-রচনাবলী (বিশ্বভারতী, ৩৩ খ-), অনাথনাথ দাস-সম্পাদিত 888sport app download apkসমগ্র (পঞ্চম খণ্ড) কিংবা শিশিরকুমার দাশ বা নিত্যপ্রিয় ঘোষ-সম্পাদিত English Writings of Rabindranath Tagore-এর (যথাক্রমে প্রথম ও চতুর্থ খণ্ড) অন্তর্গত নয়। কবির স্বাক্ষর-888sport app download apkর সংকলন লেখন, স্ফুলিঙ্গ, Stray Birds, Fireflies কিংবা Lekhan অথবা গীতবিতানে এগুলো স্থান পায়নি।
এ-ধরনের কয়েক ছত্রের ছোট 888sport app download apkকে কবি নিজে আখ্যা দিয়েছিলেন ‘কবিতিকা’। স্ফুলিঙ্গের সম্পাদক কানাই সামন্ত তা উল্লেখ করেছেন শ্লোক বা সদুক্তি নামে। ক্ষুদ্র বলে 888sport app download apkগুলো কবির কাছে উপেক্ষিত হয়নি। তিনি লেখনের পূর্বলেখে লেখেন : দু-চারটি বাক্যের মধ্যে এক-একটি ভাবকে নিবিষ্ট করে দিয়ে তার যে-একটি বাহুল্যবর্জিত রূপ প্রকাশ পেত তা আমার কাছে বড়ো লেখার চেয়ে অনেক সময় আরো বেশি আদর পেয়েছে। (দ্র গ্রন্থপরিচয়, রবীন্দ্র-রচনাবলী, চতুর্দশ খ-, বিশ্বভারতী, ১৯৬৯,
পৃ ৫২৭-৫২৮)।
স্বাক্ষরলিপির দাবিতে ও বিভিন্ন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ সহস্রাধিক ছোট 888sport app download apk লিখেছেন। এ-ধরনের ছোট আকারের ১১০টি কণিকা (১৩০৬ ব.) কাব্যে গৃহীত। লেখনে আছে ১৮৯টি; চিত্রলিপিতে ৩৪টি ও স্ফুলিঙ্গে ৪১০টি কবিতিকা গ্রথিত। রবীন্দ্র-রচনাবলীর বিশ্বভারতীর ৩৩-সংখ্যক খণ্ডে আছে ৯৯টি ছোট 888sport app download apk। Stray Birds (১৯১৬), Fireflies (১৯২৮) কিংবা Lekhan – এই তিন সংকলনে কবির ইংরেজি 888sport app download apk সংকলিত।
স্ফুলিঙ্গের সংকলক-সম্পাদকদ্বয় মতপ্রকাশ করেছেন যে, সব 888sport app download apkই আবিষ্কৃত হইয়াছে বা স্থান লইয়াছে ‘স্ফুলিঙ্গে’র বর্তমান সংস্করণে [১৩৯৭ ব.] সে দাবি করা চলে না। 888sport app download apkসমগ্রের সম্পাদক উল্লেখ করেন : এমন 888sport app download apk ব্যক্তিগত সংগ্রহে ও সাময়িক পত্রিকাতে থাকারও সম্ভাবনা আছে (রচনা-পরিচয়, 888sport app download apkসমগ্র, পঞ্চম খ-, প্রথম আনন্দ সংস্করণ, ২০১০)।
লেখনের ভূমিকায় কবি জানিয়েছেন : চীন ও জাপান সফরকালে এসব 888sport app download apk পাখায় ও রেশমী কাপড়ে লেখা। দ্বিভাষিক লেখন কবির হস্তাক্ষরে পাণ্ডুলিপি-সংস্করণ মুদ্রিত। এসব 888sport app download apk জাপানি হাইকুর প্রভাবজাত, এরূপ অনুমান করেন কৃষ্ণ কৃপালনী।
এখানে সংকলিত প্রথম চৌপদীটি কবি তাঁর বন্ধু অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীকে (১৮৫০-৯৮) উপহার দেন :
পাষাণ হৃদয় কেটে
খোদিনু নিজের হাতে
আর কি মুছিবে লেখা
অশ্রুবারিধারাপাতে?
উৎস : ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল গেজেট, ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪১; পুনর্মুদ্রণ ১৯৮৬, পৃ ৬৪।
কবির মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে কর্মকালে কারোয়ারে বাসকালে ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথকে একটি কোয়ার্টাজ পাথর উপহার দিয়েছিলেন। কবি নিজেই হৃৎপি-ের আকারে ওই পাথরটি কেটে এই চার ছত্র খোদাই করেছেন।
খোদাই-করা পাথরের ফটো মিসেস জি. এন. বোসের সৌজন্যে ছাপা হয়েছে অমল হোম-সম্পাদিত ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল গেজেটের রবীন্দ্র-888sport sign up bonus বিশেষ 888sport free betয় (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪১, পুনর্মুদ্রণ ১৯৮৬)। পরে 888sport app download apkটি প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রজীবনীতে (প্রথম খ-, ১৩৪০; পুনর্মুদ্রণ ১৪০১) পুনর্মুদ্রণ করেন অক্ষয়চন্দ্রের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দিয়ে।
অক্ষয়চন্দ্র ১২৮২ সন থেকে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। উদাসিনী ভাবানুবাদ কাব্যের (মূল : অলিভার গোল্ডস্মিথের হারমিট, ১৮৬৫) কবি প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ও পেশায় হাইকোর্টের উকিল ছিলেন। তিনি চারণ করেছেন তাঁর 888sport sign up bonus (জীবন888sport sign up bonus, ১৩৩৯; চ-স ১৪১৮, পৃ ৭০)। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহপাঠী অক্ষয়চন্দ্র সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন : ‘নিজের লেখা তাঁহাকে কত শুনাইয়াছি এবং সে লেখার মধ্যে যদি সামান্য কিছু গুণপনা থাকিত তবে তাহা লইয়া তাঁহার কাছে কত প্রশংসা লাভ করিয়াছি। … আমার ছোট উচ্ছৃঙ্খল 888sport app download apk শোনাইবার একজন মাত্র লোক তখন ছিলেন – অক্ষয়বাবু।’
দ্বিতীয় চৌপদীটি সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় যজ্ঞেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়-সম্পাদিত উপাসনা পত্রিকায় (মাঘ ১৩২২)। গোপালচন্দ্র রায় সংকলন করেছেন ‘পরে সংগৃহীত একটি 888sport app download apk’ উপশিরোনামে রবীন্দ্রনাথের স্ফুলিঙ্গ সংকলনে (১৯৯৫)। তিনি 888sport app download apkটির পটভূমির বিবরণ দিয়েছেন : রিউকান [রিখাং] কিমুরা [১৮৮২-১৯৬৫] নামে একজন জাপানি ছাত্র ভারতে এসে কয়েক বছর থাকার পর দেশে চলে যাওয়ার সময় তাঁর স্বাক্ষর-সংগ্রহের খাতায় রবীন্দ্রনাথ এই 888sport app download apkটি লিখে দিয়েছিলেন।
১৯০৮ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত আট বছর কিমুরা ভারতে ছিলেন। তিনি প্রথমে চট্টগ্রামে সংস্কৃত ও পালি শিখে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ১৯১১-তে। এখানে প্রাচ্যবিদ্যা বিষয়ে অধ্যয়ন করে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর তত্ত্বাবধানে শিলালিপি সম্পর্কে গবেষণাকালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে যেতেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধশাস্ত্রের শিক্ষক হয়েছিলেন। জাপান সফরে রবীন্দ্রনাথকে তিনি নানাভাবে সহায়তা করেছিলেন। জাপানের উয়েনো বাগানে কবিকে প্রধানমন্ত্রী প্রমুখ সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন। অভিনন্দনের উত্তরে রবীন্দ্রনাথ বাংলায় বক্তৃতা দেন। দোভাষী কিমুরা কবির ভাষণ জাপানি ভাষায় তরজমা করেছিলেন (দ্র সমীর সেনগুপ্ত, রবীন্দ্রসূত্রে বিদেশিরা, কলকাতা : 888sport live football সংসদ, দ্বি-স ২০১৩, পৃ ২৬১-২৬২ এবং সোমেন্দ্রনাথ বসু, সাময়িকপত্রে রবীন্দ্র প্রসঙ্গ/ প্রবাসী, কলকাতা : টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ১৯৭৬,
পৃ ১৯-২০)। কিমুরাকে লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠি রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত। কলকাতা থেকে জাপানে পৌঁছে কিমুরা ১৯১৫-এর জানুয়ারিতে রবীন্দ্রনাথকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠির তারিখ থেকে অনুমান করি ১৯১৪-এর শেষে তাঁকে কবি এই স্বাক্ষর-888sport app download apk উপহার দিয়েছিলেন :
একদিন এসেছিলে, হে অতিথিবর,
ধন ধান্যে পূর্ণ ছিল ঘর।
আজ দরিদ্রের গৃহে নাই মণি হেম,
আছে দুঃখ, আছে শুধু প্রেম।
উৎস : গোপালচন্দ্র রায়, রবীন্দ্রনাথের স্ফুলিঙ্গ, পৃ ১৭০।
তৃতীয় 888sport app download apkটি কবি ১৯১৭ সালে রবীন্দ্রজীবনীকার এবং Rabindranath Tagore : His Life and Works (১৯২১) ও Rabindranath Tagore : Poet and Dramatist বইদুটির লেখক, বাঁকুড়ার ওয়েসলিয়ান মিশনারি কলেজের অধ্যক্ষ এডওয়ার্ড জন টমসনকে (১৮৮৬-১৯৪৬) উপহার দিয়েছিলেন (১৯১৭) :
Speak to me, my friend, of him
and say that he has whispered
to thee in the central hush of the storm
and in the heart of the peace
where life puts on its armour.
উৎস : সমীর সেনগুপ্ত, রবিসূত্রে বিদেশিরা, পৃ ৪০৬।
888sport app download apkটির পা-ুলিপি সংরক্ষিত রবীন্দ্রভবন মহাফেজখানায়। সমীর সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন : এই 888sport app download apkটি পরে একটি বাংলা গানে রূপ নেয় – ‘বলো বলো, বন্ধু, বলো তিনি তোমার কানে কানে’ (প্রথম প্রকাশ, প্রবাসী, মাঘ ১৩২৪)। এই 888sport app download apkর উল্লেখ আছে ১৯১৮-এর ২৭ জানুয়ারিতে লেখা কবির একটি চিঠিতে।
চতুর্থ 888sport app download apkটি ১৯২৬-২৮-এর মধ্যে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ কন্যা সুরূপা দেবীর অটোগ্রাফ খাতায় কবি লিখে দেন :
দ্বারে কেন দিলে নাড়া,
ওগো মালিনী?
কার কাছে পাবে সাড়া
ওগো মালিনী?
তুমি ত তুলেছ ফুল, গেঁথেছ মালা
আমার আঁধার ঘরে লেগেছে তালা,
খুঁঁজে ত পাইনি পথ, আলো জ্বালি নি
ঐ দেখ গোধূলির
ক্ষীণ আলোতে
দিনের শেষের সোনা
ডোবে কালোতে।
আঁধার নিবিড় হলে আসিয়ো পাশে,
যখন দূরের আলো জ্বালে আকাশে
অসীম পথের রাতি দীপশালিনী।
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুরূপা দেবীর কন্যা শমিতা গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৯৫ সালে দেশ পত্রিকার সম্পাদককে লেখা এক চিঠিতে জানান যে, তাঁর মায়ের খাতায় অধিকাংশ অটোগ্রাফ ‘১৯২৬/২৭/২৮ সালে’ নেওয়া হয়েছিল। 888sport app download apkটির জন্মকথা জানিয়েছেন তিনি :
জোড়াসাঁকো বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ যখন প্রথম ‘ডাকঘর’ নাটকটিতে অভিনয় করেন, তখন রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ফকির ও প্রহরীর দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেন। গগনেন্দ্রনাথ ‘মাধবদত্ত’, অবনীন্দ্রনাথ ‘কবিরাজ’ ও ‘মোড়ল’, রথীন্দ্রনাথ ‘রাজ-কবিরাজ’, শান্তিনিকেতনের ছাত্র আশামুকুল দাস ‘অমল’, ‘দইওয়ালা’ 888sport live chatী অসিত হালদার এবং অবনীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ কন্যা, আমার মা সুরূপা দেবী ‘সুধা’র ভূমিকায় অভিনয় করেন। মায়ের মুখে যা শুনেছি তাই লিখছি। মায়ের বয়স তখন মাত্র সাত বছর। একদিন আমার দাদাভাই (অবনীন্দ্রনাথ) মাকে ডেকে বললেন, ‘চল ও-বাড়িতে, শান্তিনিকেতন থেকে রবিকা এসেছেন, ডেকে পাঠিয়েছেন।’ মা তো ভয়ে ভয়ে দাদাভাইয়ের সঙ্গে বিচিত্রা হলে গেলেন। সেখানেই সভা বসেছে। আলোচনা হচ্ছে ‘ডাকঘরে’ কোন ভূমিকায় অভিনয় করবেন। ‘ডাকঘর’ অভিনয়ের 888sport sign up bonusচারণ করার সময়ে মায়ের লেখার একটু অংশ এখানে উদ্ধৃত করলে আশা করি অপ্রাসঙ্গিক হবে না – ‘রবিদা আমাকে মালিনী বলে ডাকেন – তিনি সেই থেকে আমাকে মালিন বলেই ডেকেছেন, তাঁর দেওয়া আমার নতুন নাম। শুধু তাঁরই ডাকবার জন্যে। ছোট ‘সুধা মালিনী’কে চিরকালের জন্যে চিহ্নিত করে রাখার জন্যে মায়ের অটোগ্রাফের খাতায় নিজের হাতে কবি লিখে দেন – ‘দ্বারে কেন দিলে নাড়া ওগো মালিনী’।
‘দ্বারে কেন দিলে নাড়া’ এই কথাগুলোও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই 888sport app download apkটি লিখে রবীন্দ্রনাথ কোনো তারিখ লেখেননি। কাজেই সঠিক রচনাকাল জানা গেল না, তবে এই খাতায় অধিকাংশ অটোগ্রাফই নেওয়া হয় ১৯২৬/২৭/২৮ সালে। ‘ডাকঘরে’র প্রথম অভিনয় হয় ১৯১৭ সালে। গানের কথাগুলো পড়ে তাই মনে হয় তাঁর সেই ছোট ‘সুধা মালিনী’ এতদিন পরে আবার তাঁর 888sport sign up bonusর দ্বারে নাড়া দিচ্ছে। মায়ের গলা ছিল খুব মিষ্টি ও সুরেলা। সুর সংযোজন করে গানটি শিখিয়ে দিতেও চেয়েছিলেন : কিন্তু মা এতই লাজুক ছিলেন যে, এ সুযোগ তিনি হেলায় হারিয়েছিলেন এবং পরে আমাদের কাছে অনুশোচনা করতেন। অটোগ্রাফের খাতা থেকে রবীন্দ্রনাথের হাতের লেখাটি জেরক্স করে দিলুম।
উৎস : দেশ, ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫, পৃ ১৭।
পঞ্চম 888sport app download apkর তরজমা ষষ্ঠটি। ১৯২৭-এর ২৫ অক্টোবর রচিত চৌপদীদুটি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের রবীন্দ্র-সংগমে দ্বীপময় ভারত ও শ্যামদেশ (পুনর্মুদ্রণ ১৯৮০) গ্রন্থের পরিশিষ্টে (ক) প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। 888sport app download apkটির পাঠ :
মরু রক্তাম্বরে জ্বালি তীব্র দীপ্তিশিখা
কুশ্রী সত্য মূর্তিমান মহা বিভীষিকা,
সুন্দর সে দূরে দূরে ছলিতেছে ঘুরে ঘুরে
মিথ্যা মরীচিকা
কবিকৃত ইংরেজি তরজমা :
Kindling red flames of heat in the desert sky
Ugly truth sits as a terror,
and Beauty that appears on the distant horizon
is a deception, a mirage.
S.S. Awa Maru
October 25, 1927
উৎস : সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, পূর্বোক্ত, পরিবর্ধিত স. ১৯৬৪, পৃ ৬৮২।
কবির সফরসঙ্গী ভাষাচার্য (কবির প্রদত্ত উপাধি) সুনীতিকুমার এই চৌপদী সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন : শেষে দেওয়া হ’ল ছোটো দুটি 888sport app download apk, [একটি বীথিকা কাব্যের ‘জয়ী’ 888sport app download apkর পাঁচ স্তবকের প্রথম স্তবক]
ইংরেজি 888sport app download apk latest version সুদ্ধ – ফিরতি পথে Awa Maru ‘আওয়া-মারু’ জাহাজের প্রধান ইঞ্জিনিয়ারকে কবি দুখানি ছবিতে এই দুটি 888sport app download apk লিখে দিয়েছিলেন।
কৃষ্ণ কৃপালনী-সম্পাদিত বিশ্বভারতী কোয়ার্টারলিতে (মে-জুলাই ১৯৪৫, পৃ ৪৪) ১৯২৯-এর ১৫ মার্চ লেখা এই স্বাক্ষর-888sport app download apkটির সঙ্গে কবিকৃত অলংকরণও প্রকাশ পেয়েছে। সূচিপত্রে কেবল ÔAutographÕ উল্লেখ আছে; কাকে প্রদত্ত সেসব কোনো তথ্য নেই। 888sport app download apkটির সচিত্র পাঠ প্রদত্ত হলো :
My love longs to offer its worship
in splendour
but poor are its vessels
and I ever wonder why were
I not made like a forest
that opens its heart in flowers
like a star that speaks in a speech of flame?
Rabindranath Tagore
15th March 1929
উৎস : কৃষ্ণ কৃপালনী-সম্পাদিত বিশ্বভারতী কোয়ার্টারলি, মে-জুলাই ১৯৪৫, পৃ ৪৪।
রবীন্দ্রনাথের বাল্যবন্ধু, নর্মাল স্কুলের সহপাঠী অক্ষয়কুমার মিত্রকে (মৃত্যু : ২ মার্চ ১৯৩৮) কবির পারস্য সফরের আগে এই দুই ছত্র লিখে পাঠিয়েছিলেন :
গগনে গগনে নব নব দেশে রবি
নবপ্রাতে জাগে নূতন জীবন লভি।
এই দ্বিপদীটি প্রকাশ পায় বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের রবীন্দ্রচর্চা প্রকল্পের ষাণ্মাসিক রবীন্দ্রবীক্ষার দ্বাদশ সংকলনে (শান্তিনিকেতন, রবীন্দ্রভবন ডিসেম্বর ১৯৮৪)।
অক্ষয়কুমার নর্মাল স্কুল, হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি সামরিক হিসাব বিভাগে কলকাতা ও সিমলায় কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। রবীন্দ্রনাথ যে পাঁচ বছর নর্মাল স্কুলের ছাত্র ছিলেন, অক্ষয়কুমার সেখানে দুবছর কবির সহপাঠী ও অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন। অক্ষয়কুমারের মৃত্যুকাল পর্যন্ত কবির সঙ্গে তাঁর প্রগাঢ় বন্ধুত্ব ছিল। জোড়াসাঁকোয় অভিনীত যেসব নাটকে কবি অভিনয় করতেন, সবগুলোতে অক্ষয়কুমার উপস্থিত থাকতেন। রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত অক্ষয়কুমারকে লেখা কবির বারোটি পত্র ১৮৯৫ থেকে ১৯২৯-এর মধ্যে লেখা। অক্ষয়বাবুর একটি চিঠি আছে রবীন্দ্রভবনে (৮ মে, ১৯৩১)। একটি চিঠি থেকে (২৯ জানুয়ারি ১৮৯৫) অক্ষয়কুমারের প্রতি কবির প্রীতিপূর্ণ মনোভাবের পরিচয় পাই। (দ্র. রবীন্দ্রবীক্ষা, দ্বাদশ সংকলন)।
[কৃতজ্ঞতা স্বীকার : লোপা খান, ফকরুল আলম, সর্বানন্দ চৌধুরী, মারুফুল ইসলাম, মাহবুবুল হক, আবদুস শাকুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর ও বাতিঘর, চট্টগ্রাম।]


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.