সৌভিক রেজা
উত্তরাধিকার তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা, কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই – শহীদ কাদরীর এই ত্রয়ী কাব্যের শেষটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তারপর এই আটত্রিশ বছরে শহীদ কাদরীকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সেসব আলোচনায় শহীদ কাদরী ও তাঁর 888sport app download apk নিয়ে প্রাসঙ্গিক সব কথার বেশিরভাগই বলা হয়ে গেছে বলে ধারণা করা যায়। আমরাও এখন যা বলব সেসবের কোনোটাই হয়তো-বা নতুন কিছু নয়। 888sport live football-সমালোচনায় নতুন কিছু বলা মানেই 888sport live footballের প্রাণ-সঞ্চার করা – কথাটা সত্যি, কিন্তু সবসময়ের সত্যি নয়। এর বিপরীত দিকটিও আছে। সব নতুন কথা পাঠকের হৃদয়ঙ্গম হয় না, সেক্ষেত্রে যাকে নিয়ে কিছু বলা, তাঁকে বরং ভুল বোঝা বা ভুলে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। মহাভারতের সূচনায় লোমহর্ষণ-পুত্র পৌরাণিক সৌতি বলেছিলেন, ‘অনাদি, অনমত্ম, অভিলষিত-ফলদাতা, বিশ্বপাতা, চরাচরগুরু হরির চরণে প্রণিপাত করিয়া বেদব্যাস-প্রণীত অতিপবিত্র বিচিত্র ইতিহাস বর্ণন করিব। এই বিশাল মহীতলে কতশত মহাত্মারা ঐ ইতিহাস কহিয়া গিয়াছেন, অনেকেই কহিতেছেন এবং ভবিষ্যৎকালেও কহিবেন।’ আর এইভাবেই তো মহাভারতের সৃষ্টি। শহীদ কাদরীকে নিয়ে এইরকম কোনো মহাভারত রচিত হবে, আজকের দিনে এমন আশা নিতামত্মই দুরাশা মাত্র, তবে এ-ও ঠিক যে, 888sport live footballের ইতিহাসে একেকজন কবি যে মহাকালের বুকে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন সে তো সেই মহাভারতের ওপর ভর দিয়েই। শহীদ কাদরী সেই ভর কতটুকু সহ্য করতে পারবেন এখন থেকেই সেই পরীক্ষার শুরু।
কবি শামসুর রাহমান লিখেছিলেন, ‘আমাদের বারান্দার ঘরের চৌকাঠে/ কড়িকাঠে চেয়ারে টেবিলে আর খাটে/ দুঃখ তার লেখে নাম।’ শহীদ কাদরীর নামের পাশে দুঃখ অবিরামই তার নিজের নাম লিখে গিয়েছে। আবার সেই মহাভারতেই ফিরে আসি। ‘বনপর্বে’ যক্ষের এ-জগতে সুখী কে? প্রশ্নের উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলেন : ‘যিনি ঋণশূন্য ও অপ্রবাসী হইয়া দিবসের পঞ্চম বা ষষ্ঠভাগে আপন গৃহে শাক পাক করেন, তিনিই সুখী।’ আর, অন্যদিকে, বুদ্ধদেব বসু জানিয়েছিলেন, ‘সুখী হবার প্রধান একটি শর্ত কাজ করা, এবং মনের মতো কাজ করা।’ আধুনিক কবিমাত্রেই একজন দুঃখী মানুষ। আর শহীদ কাদরী ছিলেন যে দুঃখী মানুষদের মধ্যেও চরম দুঃখী। অথচ এই একজন কবি, যিনি আমাদের আধুনিক 888sport app download apk শুধু নয়, আধুনিকতার মানচিত্রকে প্রবলভাবে ছিঁড়ে ফেলে তার পরিধিকে নতুন দিকে চালিত করার চেষ্টা করেছিলেন। কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত বলেছিলেন, ‘বিশ্বের সেই আদিম উর্বরতা আজ আর নেই। এখন সারা ব্রহ্মা- খুঁজে বীজসংগ্রহ না করলে, কাব্যের কল্পতরু জন্মায় না। তার পর বহু পরিচর্যার ফলে হয়তো তাতে অঙ্কুর দেখা দেয়, কিন্তু কবি নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় পায় না, তখনও উন্নিদ্র যত্নে সেই অনিকাম বৃদ্ধির রক্ষণাবেক্ষণ তার অবশ্যকর্তব্য; এবং এই অসামান্য আত্মোৎসর্গের প্রতিদানে কবি আর কিছুর প্রত্যাশা রাখে না, সে শুধু চায় যে কাব্যের অক্ষয় বট কেবল তাকে আতপতাপ থেকে বাঁচাবে না, সকল শরণাগতকে অনুরূপ আশ্রিতবাৎসল্য দেখাবে।’ সুধীন্দ্রনাথ দত্তের এ-মমত্মব্যের প্রথম অংশটিকে মান্যতা দিয়েও, পাঠক তো দূরের কথা, কবি হিসেবে শহীদ কাদরী সুধীন্দ্রনাথ-কথিত আধুনিক চেতনার কাছে, শরণাগত হয়েও তেমন প্রশ্রয় পাননি।
দুই
বিষ্ণু দে বলেছিলেন, ‘বাংলার ছোটো ঐতিহ্যের ধারায় রবীন্দ্রনাথের বিরাট আবির্ভাব একটা প্রাকৃতিক ঘটনা।’ তার মানে, প্রকারামত্মরে বিষ্ণু দে স্বীকারই করে নিয়েছিলেন যে, বাংলার সেই ঐতিহ্য কোনোভাবেই ছোটো ছিল না। সেই রবীন্দ্রনাথকেই শহীদ কাদরীর কাছে মনে হয়েছিল, তিনি আমাদের চৈতন্যপ্রবাহে ট্রাফিক আইল্যান্ড। সেই রবীন্দ্রনাথও অসুখী-দুঃখী শহীদ কাদরীকে কোনো সামত্মবনা জোগাতে পারেননি, যেনতেনভাবেও নয়। রবীন্দ্রনাথের ‘পূজা’-পর্যায়ের এই গানে যেন শহীদ কাদরীরই ব্যক্তিগত এক ‘জাতীয়-সঙ্গীত’ : ‘এ পরবাসে রবে কে হায়!/ কে রবে এ সংশয়ে সমত্মাপে শোকে \/ হেথা কে রাখিবে দুখভয়সঙ্কটে তেমন আপন কেহ নাহি এ প্রামত্মরে হায় রে \’ বোধকরি সে-কারণে সদা ভ্রাম্যমাণ এই কবি, এই বিহবল মানুষটি, সবসময় ঘরের দিকেই ফিরতে চেয়েছিলেন। আমাদের আরেক চিরপ্রবাসী কবি অমিয় চক্রবর্তীর মতো, তাঁরও ঘর ছিল না, শুধু ছিল সেই ‘ঘরের দিকে যাওয়া’! রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, শহীদ কাদরী ছিলেন ‘নির্বাসিত বাহিরে অমত্মরে’। এইটি শহীদ কাদরীর জন্যে না ছিল সুখের ব্যাপার, না ছিল আনন্দের ব্যাপার। শুধু শহীদ কাদরী কেন, কারো জন্যেই নয়। শহীদ কাদরীর জন্যে তো নয়ই। জীবনসায়াহ্নে এসে শহীদ কাদরী এক স্বীকারোক্তিমূলক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘আমার জীবনের সবচে বড় ভুল ১৯৭৮-এ দেশ ছেড়ে হঠাৎ চলে আসা। মাতৃভূমি ছাড়তে নেই। একজন লেখকের মাতৃভূমি ত্যাগ করা মানে আত্মহত্যার শামিল। দেশের নিত্যদিনের ঘটনাপ্রবাহ যে তরঙ্গের সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা একজন লেখকের জন্য জরুরি। আমি জীবনে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।’ আর নিত্যদিনের ঘটনাপ্রবাহের পাশাপাশি আরেকটি কারণের কথা উলেস্নখ করেছিলেন শহীদ কাদরী, ‘আমরা যারা প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে এসেছি, তাদের শুরু শূন্য থেকে। আমাদের 888sport sign up bonusতে থাকে দেশ, আর সামনে থাকে শূন্যতা।’ জীবনের এই নেতিটাকে তিনি অকপটভাবে স্বীকার করেছিলেন। সুধীন্দ্রনাথ দত্তই জানিয়েছিলেন, ‘বিংশ শতাব্দীর মূল মন্ত্র অবৈকল্য আর অকপটতা। …কাব্যে অকপটতার এই ব্যাখ্যা যাঁদের কাছে আধ্যাত্মিক ঠেকবে, তাঁরা যেন ভুলে না যান যে একটা লোকোত্তর পটভূমি না জুটলে, কবি তো কবি, খুব স্থূল অনুভূতির মানুষও বাঁচে না।’ প্রবাস-জীবনে লেখালিখি তো প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন শহীদ কাদরী, তবে তিনি কীসের ওপর ভর দিয়ে বেঁচে ছিলেন? শহীদ কাদরী দেশ ছেড়ে যত দূরেই থাকুন না কেন, তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে আদ্যমত্ম একজন কবি। ওই যে বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন, ‘888sport live chatীর জীবনে কিছুই একেবারে ব্যর্থ হয় না। তিনি যখন অলস, তখনও তিনি সক্রিয়।’ এই সেই সক্রিয়তা যাকে শহীদ কাদরীও একেবারে ত্যাগ করেননি, করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিলও না। আর এইভাবেই আমরা পেয়েছি আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও।
তিন
‘কোনো নির্বাসনই কাম্য নয় আর/ ব্যক্তিগত গ্রাম থেকে অনাত্মীয় শহরে/ পুকুরের যৌথ স্নান থেকে নিঃসঙ্গ বাথরুমে।’ কিন্তু বাস্তবতা তো ভিন্ন। শুধু শহীদ কাদরীর বেলাতেই নয়, আমাদের সবার ক্ষেত্রেই। অরুণকুমার সরকার খানিকটা অনিশ্চিতভাবেই যেমনটি বলেছিলেন, ‘দোষটা হয়তো আধুনিক যুগের। শূন্যতা, বিরক্তি, বিতৃষ্ণা, বিবমিষা, একঘেয়েমি এবং অর্থহীনতার বোধ ছাড়া আর কী আছে এ-যুগের সামনে?’ সার্ত্রের বিবমিষা 888sport alternative linkের নায়ক যেমনটি ভেবেছিল, ‘I want to leave, to go somewhere where I should be really in my place, where I would fit in… but my place is nowhere; I am unwanted.’ শহীদ কাদরীর তো এইসব অজানা ছিল না। জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়েই তিনি নরকের যন্ত্রণাকে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। ‘নরকেই পেতে চাই দীর্ঘ পরমায়ু’ – এমনটি তো তিনিই বলেছিলেন। কাব্যজীবনের শুরু থেকেই জীবনের নেতিবাচকতার দিকে তিনি নানাভাবেই ঝুঁকেছিলেন। তাঁর নিজের কাছেও মনে হয়েছিল, ‘নেতিবাচকতাই সহজাত। এই যে প্রকৃতি, প্রকৃতিও নেতিবাচক। ইতিবাচক আসলে কিছুই না। আমরা এই পৃথিবীকে আমার বলে আঁকড়ে ধরতে চাই কিন্তু প্রকৃতি ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সুনামী দিয়ে আমাদের ধ্বংস করে দেয়। প্রকৃতি কখনোই বলে না তুমি আমার।’ আবারো সেই একই প্রশ্ন, অভিশপ্ত জীবনকে ভালোবেসেও 888sport app download apkর কাছে গিয়ে তেমন ঘনিষ্ঠভাবে তিনি দাঁড়াতে পারলেন না, কেনই-বা পারলেন না নরকের মধ্যে বসবাস করেও কাব্যিক-ফুল ফোটাতে?
চার
যাকে আমরা বলি কবির ঐকামিত্মকতা, তেমন কিছুর কি ঘাটতি ছিল শহীদ কাদরীর মধ্যে? আমাদের মনে পড়ে যায় কবি সমর সেনের উদাহরণ। মাত্র চারটি কাব্যগ্রন্থ রচনা শেষ করতে-না-করতেই যেন খানিকটা তিতিবিরক্ত হয়ে 888sport app download apk রচনার পথ থেকে সরে এসেছিলেন। সমর সেনের বিরুদ্ধে অনেকটা অভিযোগের স্বরেই অরুণকুমার সরকার বলেছিলেন, ‘সমর সেন 888sport app download apkকে কিছু সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন বলে মনে হয় না। ফলত 888sport app download apkকে দিয়ে কিছু ঠিকে কাজ করিয়ে নেওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।’ এমন অভিযোগ কি শহীদ কাদরীর বিরুদ্ধে আনা যাবে? না, সায় দিতে তো ইচ্ছে করে না। তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলো প্রকাশের বিষয়ে শহীদ কাদরীর নিজের বয়ান একটু শোনা যাক – ‘আমি যে 888sport app download apkর বই বের করব, এমন কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না।… প্রথম বইটা শামসুর রাহমান আর আল মাহমুদ জোর করে বের করে দিল। ওদের চাপেই ওটা করেছিলাম। দ্বিতীয় বইটাও বন্ধুবান্ধবেরা জোর করে বের করে দেয়। তৃতীয় বই করার ইচ্ছে আমার মধ্যে তৈরি হয়েছিল অবশ্য। তখন ভেবেছিলাম, দেশ ছেড়ে তো চলেই যাচ্ছি, যাওয়ার আগে 888sport app download apkগুলোকে একসঙ্গে করে একটা বই রেখে যাই।’ যখন তিনি বিদেশবিভুঁইয়ে স্থিত, সেই সময়ে চতুর্থ কাব্যের প্রকাশ
সম্পর্কেও প্রায় একই কথা বলেছিলেন, ‘আমার বই বের করার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত জোর করল।… জ্যোতির জন্যই বইটা হয়েছে। ও জোর না করলে হতো না।’ একে কী বলব আমরা, কবির ঐকামিত্মকতার অভাব, না কবির স্বভাবসুলভ অভিমান? এমন তো নয় যে, কাব্য-সাফল্য শহীদের কারো চেয়েই কোনো অংশে কম ছিল!
পাঁচ
পিকাসো বলেছিলেন, ‘সাফল্য খুব বিপজ্জনক। অমনি লোকে নিজের অনুকরণ করতে শুরু করতে থাকে, আর অন্যের নকল করার চেয়ে নিজের নকল করা বেশি বিপজ্জনক। নপুংসকতার দিকে যায় সেটা।’ সেদিকে যেতে চাননি শহীদ কাদরী। আর যা-ই করুন, নিজের 888sport app download apkকে নিজে নকল করতে চাননি। এইটুকু আত্মসচেতনতা, এবং সেইসঙ্গে আত্মসম্মানবোধ তাঁর বরাবরই বজায় ছিল। 888sport app download apkয় নতুন স্বর, নতুন সুর নিয়ে আসাটা খুব কঠিন কাজ। সবার পক্ষে তা সবসময় সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। জনপ্রিয়তাই বলি আর সাফল্যের শীর্ষে ওঠাই বলি, শহীদ কাদরী তাঁর 888sport app download apk-সাধনায় পুনরুক্তি করতে চাননি। চাননি নিজের স্বরচিত বৃত্তের মধ্যে বন্দি হয়ে নিজেরই অনুকরণ করতে। কোনো কিছুর বিনিময়েই, তাঁর নিজের কবি-প্রতিভা অসম্মানিত হয়, এমন কিছু করতে তিনি রাজি ছিলেন না। কোনো আত্মসচেতন কবির পক্ষে সেটি করা সম্ভবও নয়। বুদ্ধদেব বসু তো বলেইছিলেন, ‘কোনো কবি যখন নিজের অনুকরণ করেন তখন দেবতারা দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।’ শহীদ কাদরী আর যা-ই হোন, ওপথের কাঙাল ছিলেন না। তাঁর এই চলে যাওয়ায় দীর্ঘশ্বাসের বদলে দেবতাদের চোখে বয়ে যায় নীরব-অশ্রম্ন। আমরা বুঝতে পারি। ঘৃণার সাধনা নয়, নিজেকে ভালোবাসার যোগ্য করে তোলার সাধনাই ছিল শহীদ কাদরীর কাব্যচর্চার মূল প্রেরণা। ‘আমার নাম খুব হ্রস্ব/ আমার নাম শহীদ কাদরী/ ছোটো, বেঁটে ঝোড়ো নদীতে/ কাগজের নৌকোর মতোই পল্কা/ কাগজের নৌকোর মতোই পল্কা।’
ছয়
শহীদ কাদরীর যে-ব্যর্থতা, সেসব তাঁর নিজের একার নয়। যুগধর্মকে অস্বীকার করে বেঁচে থাকা, টিকে থাকা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর ‘ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের জার্নাল’ বা উত্থান-পতনের গল্প শুধু তো তাঁর একার নয়, সারা দুনিয়ার মানুষের গল্প। এইসব গল্পের উপসংহারের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। তবে তার আগে, মানবজাতির এক শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের কথা আমাদের 888sport app download for android করে নিতে হবে ‘The philosophers have only interpreted the world, in various ways. The point, however, is to change it.’ আসল কথা ওটাই : ‘দুনিয়াকে পরিবর্তন করা।’ নতুবা, শহীদ কাদরীরা চিরকাল পরবাসে গিয়ে ‘হারিয়ে’ যেতেই থাকবেন।
কথা888sport live footballিক মাহমুদুল হক আর কবি রফিক আজাদ এঁদের দুজনই আজ প্রয়াত। এই দুজন শহীদ কাদরীকে দেশে ছেড়ে চলে না-যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কারণ, একজন কবির জন্যে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া মানেই হারিয়ে যাওয়া। ওঁরা দুজন বুঝেছিলেন।
নিজের পঞ্চম কাব্যগ্রন্থের প্রস্ত্ততি সম্পর্কে শহীদ কাদরী স্বভাবসুলভ পরিহাস করে বলেছিলেন : ‘চারটে 888sport app download apk লেখা হয়েছে। ১৫টা হলেই পাঁচ নম্বর বইটা বের করে ফেলব।’ যাঁরা এখনো দিব্যি বেঁচে আছেন, শহীদ কাদরীকে ভালোবেসেছেন, মুগ্ধ হয়েছেন তাঁর কাব্যে, তাঁদেরই উচিত হবে, শহীদের সেই পঞ্চম কাব্যটি নিজের-নিজের মতো করে লিপিবদ্ধ করা, সেটি প্রকাশ করা। সংগতি আর সমন্বয়ের সন্ধানে শহীদ কাদরী এখন অনমত্ম নির্বাসনে।

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.