শ্রাবণের শরীর

কতবার ফেলে এসে

কতদিন ডেকেছি তোমায় গোপন দাওয়ায়।

ঘুম ভেঙে বারবার শ্রাবণের ডুবভেজার গল্প শুনি।

বহুবার কতবার কদমফুলেরা এসে ডেকে যায়,

স্বপ্নে কাতর – শুনে যায় এভাবেই, পায় না কিছুই!

ওরাও কি একদিন ভেসে আসে শ্রাবণের

এতসব যুবতী শরীর নিয়ে –

আরো কোনো কাকভেজা ডিঙিজল,

নোনাজল ভাঙনের মৃত কোনো স্বপ্নরেখায়।

তারাও কি তৃষ্ণার জল হয়ে বসে আছে?

কত যে না-বলা কথার সময়ের উজান ভাটায়!

কোন দিকে যাব আমি! পুরনো কথার প্যাঁচে,

আরো কোনো সংসারের প্রতিটি শ্রাবণ নিয়ে,

সন্ধেবেলার জলভরা চোখের মতোন –

অচেনা মানুষ হয়ে একাকী আড়াল।

তবুও মিনতি করি। বলে যাই, বারেবার –

তোমাদের কাছে, করজোড়ে : চেয়ে দেখো –

দগদগে ক্ষত নিয়ে শ্রাবণ শরীর ভেসে যায়!