কখনও বিশ্রাম নিই না। দিবারাত্রি
চলতে থাকে তরঙ্গের আছাড়ি-পিছাড়ি।
আমার তৃষ্ণার দৈর্ঘ্য আকাশ-সমান।
রৌদ্রমেঘে জ্বলি নিভি, ঘূর্ণিস্রোতে দুলি।
নানা প্রজাতির মাছে উদ্ভিদে শৈবালে
ভরভরন্ত পেতে আছি বিশাল সংসার।
মানুষকে কাছে ডাকি। বলি, তোমরা
ক্ষুদ্রতা-খোলস ভেঙে চর্চা করো
উদারতা, সহনীয় কোমল মৈত্রী ও প্রেম।
কষ্টে সৃষ্টে ছেঁদো স্বার্থ ভুলে গিয়ে
সম্মিলিত ঐকতানে নেচে বেজে ওঠো।
তোমরা অমৃতপুত্র, এরকম তুচ্ছ হানাহানি
বিদ্বেষ কি তোমাদের আদৌ মানায়?
মানুষ তা বুঝেও বোঝে না। উল্টো তারা মন দেয়
মারণাস্ত্রে। নির্মমতা অন্যকে ঘায়েল করে।
ঝরায় নির্দোষ প্রাণ। হত্যা উৎসবে মেতে ওঠে।
সে এক আদিম যজ্ঞ। দেখেশুনে ক্লান্তি নামে।
মানুষ পশুরও চেয়ে বহুস্তর নিচে নেমে গেছে।
কীভাবে ধিক্কার দেব, জানা নেই ভাষা-ব্যাকরণ!

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.