সুষুম্নার গাছ

স্বরলিপির খোলা হাটে বসিয়ে দিচ্ছি আলটপকা সবুজ

সার্কাসের মাঠ; মিশে যাচ্ছে হাসি-হাহাকার

কী অন্তহীন বেগুনি

কচুরিপানার দেশে বউপাখি কথা কও কথা কও

আমাদের ঘরের ভেতর ইঁদুর ঢুকেছে

ভিটেমাটি কেটেকুটে খায়, এমনকি আকাশের সিঁড়ি

এমনকি আমাদের দাঁত সব ইঁদুরের দাঁত

কী রক্ত কী রক্ত চিৎকার করে ওঠে সফেদ চাদর

‘তুই থুলি মুই থুলি’ ঝগড়ায় মেতেছে ইঁদুর

মাঝে থেকে পাকা ধানে মই দিয়ে চলে যায় মোড়লমশাই

শেষ অবধি ইঁদুর আমাদের ধর্ম। শেষ অবধি দাঁত

                            আমাদের কাস্তে

আমরা শিকারে যাই। উড়ুক পতাকা সাঁই সাঁই

অক্ষর কামড়ে নিয়ে ছুটে যাচ্ছে ইঁদুর

বাংলাভাষার থেকে ধান ঝরে চরাচরে

কেন এ-শোণিতকথা, কেন তোশকের ভাঁজে ভাঁজে

খাড়া হয়ে আছে আলপিন! বেগানা সাকিন

হরির লুটের দিনে আমাদের হাতে হারিকেন

আমরা সব সফেন মানুষ

আমরা সব সাবান-মানুষ

মেতে আছি স্নানকারাগারে

আমাদের মান হুঁশ তাও গ্যাছে উড়ে

মাটি পেতে ভাত খাই

ভরাপেটে অমৃতও গোবরসমান

শরীরে ঢুকেছে যেন সুচ

সুষুম্নার গাছ বেয়ে উঠছে ইঁদুর … দৌড় দৌড়

বাড়ন্ত ঝাড়ের নিচে পাতার গালিচা

সেখানেও ছুটছে ইঁদুর। দৌড় দৌড়

ভাতের থালার পাশে বসেছে ইঁদুর

আমি খাই একদানা, সে-ও খায়

… সারারাত ইঁদুর-কুটকুট

আজ কি খুলবে তালা, খুলে যাবে জাদু-আলমারি

আমার সে ‘গোলাপপুতুল’, চড়ুইয়ের ছানা

সবাই বেরোবে ধীরে ধীরে