সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে নেই!
না না! এটা কী করে সম্ভব! এই সেদিনও তিনি খবরের কাগজ-এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। কী চমৎকার কথা খবরের কাগজ সম্পর্কে বললেন! কথাগুলো এখনো আমার কানে বাজে। স্যারকে নিয়ে আমি সত্যিই একটা ঘোরের মধ্যে আছি। আমি দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি স্যার আমার অফিসে এলেন। বসলেন। তারপর চা খেতে খেতে বললেন, ‘সময়টা ভালো নয়। অনেক বড় চ্যালেঞ্জ তোমার সামনে। অনেক ধরনের চাপ আসবে। মন শক্ত রেখো। ভেঙে পড়ো না। সব সামলে তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি।’
দু-বছর আগে মনজুর স্যারের সাহচর্য ও ভালোবাসায় গড়ে ওঠে খবরের কাগজ। তিনি সব সময় বটবৃক্ষের মতো খবরের কাগজকে ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন। একজন অভিভাবক হিসেবে মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, ‘তোমার মেধা আছে, সততা আছে, সাহস আছে। তুমি চালিয়ে যাও। তোমার এগিয়ে চলার পথকে কেউ রুদ্ধ করতে পারবে না। তুমি সফল হবে, অবশ্যই তুমি সফল হবে। কারণ, তোমার সঙ্গে রয়েছে একঝাঁক তরুণ।’
এভাবেই তিনি সাহস জুগিয়েছেন।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রচিন্তক, শক্তিমান কথা888sport live footballিক এবং দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। শিক্ষকতা ছিল তাঁর পেশা আর লেখালেখি ছিল নেশা। তাঁর গল্প আমাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে। স্যারের বিশেষ নিবন্ধগুলোতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় ছিল। অনেক দিকনির্দেশনা ছিল। তিনি আমার শিক্ষাগুরু। লেখালেখির কারণে তাঁর অকৃত্রিম স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। তিনি আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসতেন বোধহয়। তাঁর ভালোবাসার একটা উদাহরণ দিই। আমার রাজনৈতিক 888sport alternative link বারুদপোড়া সন্ধ্যা ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। 888sport alternative linkটি স্যারকে পড়তে দিই। স্যার পড়ে বললেন, ‘ভালো লেগেছে।’ তখন তাঁকে বললাম, ‘স্যার, এটা কি ইংরেজি 888sport app download apk latest version করাতে পারি?’
স্যার বললেন, ‘অবশ্যই। কেন নয়?’ পরে আমি এবং আরেকজন 888sport app download apk latest versionক মিলে 888sport app download apk latest version করলাম। কিন্তু আমার মনঃপূত হলো না! মনে হলো 888sport app download apk latest versionটি দুর্বল হয়েছে। কী করব ভাবছি। অনেক চিন্তাভাবনার পর ইংরেজি বিভাগের এক সিনিয়র ভাই, সালাহউদ্দিন আকবরকে (তখন তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অণুবিভাগের পরিচালক) পড়তে দিলাম। পড়ে তিনিও বললেন, ‘পাকা হাতে এডিটিং করতে হবে।’ 888sport alternative linkের নামটা দুজন মিলে ঠিক করলাম। নাম দিলাম ফ্লেমিং ইভেনটাইড। কাকে দেব এডিট করতে? ভাবতে ভাবতেই স্যারের নামটা মাথায় এলো। কিন্তু স্যার যে পরিমাণ ব্যস্ত তাঁকে দেওয়া ঠিক হবে?
মন কেন জানি বারবার স্যারের দিকেই সায় দিচ্ছে। আমি কলাভবনে স্যারের রুমে গেলাম। স্যার আমাকে দেখেই বললেন, ‘বসো। কী ব্যাপার? তুমি হঠাৎ!’
আমি কাঁচুমাঁচু করছি। বলব কি বলব না – ভাবছি।
স্যার বুঝতে পারলেন। বললেন, ‘চা খাবে?’
আমি মাথা নেড়ে সায় দিলাম। স্যার তাঁর সহকারীকে ডেকে চা দিতে বললেন। তারপর এ-কথা সে-কথা। লেখালেখির প্রসঙ্গও আলোচনায় ওঠে। কিছুক্ষণ পর চা এলো। চায়ে চুমুক দিলাম। মনে সাহস সঞ্চার করলাম। স্যারও আমাকে অভয় দিলেন। এর মধ্যে চা খাওয়াও প্রায় শেষ হলো। আমি বললাম, ‘স্যার আপনাকে একটা অনুরোধ করতে পারি?’
– বলো না!
আমি আমার হাতের ইংরেজি পাণ্ডুলিপিটা স্যারের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললাম, ‘কিছু মনে করবেন না স্যার। আমার 888sport alternative linkটির ইংরেজি 888sport app download apk latest version করেছি। কিন্তু পড়ে মনে হলো খুব দুর্বল হয়েছে। আপনি যদি এডিট করে দিতেন!’
স্যার আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। তারপর পাণ্ডুলিপির কপি হাতে নিলেন। উল্টেপাল্টে দেখলেন। শুরুটা পড়তে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর বললেন, ‘শুরুটা তো ভালোই করেছ! আচ্ছা ঠিক আছে। আমি দেখি। যদিও আমি ভীষণ ব্যস্ত। তারপরও দেখি কী করা যায়। তুমি দুই সপ্তাহ পর ফোন দিও।’
বুকভরা আনন্দ নিয়ে স্যারের কাছ থেকে বিদায় নিলাম। দুই সপ্তাহ পর আমাকে ফোন দিতে হয়নি। স্যারই ফোন দিয়ে জানালেন, ‘তোমার কাজটা শেষ হয়েছে। এসে নিয়ে যেও।’
আমি দুপুরের দিকে স্যারের কাছে গেলাম। স্যার আমাকে দেখেই পাণ্ডুলিপি এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘নাও, চাইলে বই করতে পারো।’
আমার ভীষণ আনন্দ হলো। আমি স্যারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিদায় নিলাম। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলায় পার্ল পাবলিকেশন্স বইটি প্রকাশ করে। মেলাতেই বইটির প্রথম মুদ্রণ শেষ হয়ে যায়। আমার আনন্দ কে দেখে! খুশির খবরটি জানানোর জন্য স্যারকে ফোন করলাম। তাঁকে বলামাত্র তিনি বললেন, ‘হুম আমি শুনেছি। খুব ভালো। অনেক অনেক অভিনন্দন।’
২০০৯ সালের শেষদিকে মনজুর স্যারের সঙ্গে একটা অনুষ্ঠানে দেখা। কুশলবিনিময়ের একপর্যায়ে তিনি জানতে চাইলেন, ‘লেখালেখি, পেশার অবস্থা কী? কেমন চলছে?’
আমি বললাম, ‘স্যার প্রথম আলো ছেড়ে দিয়েছি। কালের কণ্ঠ পত্রিকায় যোগ দিয়েছি। টিম গঠনে ভূমিকা রাখছি।’
স্যার বিস্ময়ের সঙ্গে বললেন, ‘প্রথম আলো ছেড়ে দিয়েছ! কালের কণ্ঠ কি ভালো কিছু হবে?’
আমি বললাম, ‘চ্যালেঞ্জ নিলাম স্যার। দেখি কিছু করা যায় কি না? তবে আমি আশাবাদী।’
স্যার বললেন, ‘কী, বড় দায়িত্ব?’
আমি বললাম, ‘জি।’
স্যার বললেন, ‘দেখো লেখালেখির যেন ক্ষতি না হয়!’
তারপর বেশ কিছুদিন স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। হঠাৎ একদিন স্যার ফোন করে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত আমার একটি কলামের খুব প্রশংসা করলেন। উৎসাহ দিলেন। তাছাড়া কোনো পত্রিকায় আমার গল্প ছাপা হলে স্যার ফোন করে উৎসাহ দিয়ে বলতেন, ‘খুব ভালো। আরো লেখো। এটাই
থাকবে। সবাই তো লিখতে পারে না! যারা লিখতে পারে তাদের কলম চালিয়ে যাওয়া উচিত। আর শোনো, তোমার মুক্তিযুদ্ধের 888sport alternative link জনক জননীর গল্প ভালো লিখেছ। আমার পছন্দ হয়েছে।’
আমি স্যারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম, ‘কোনো অবস্থাতেই আমার লেখালেখি থামবে না স্যার।’
২০১২ সালে কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর স্যারকে জানালাম। স্যার খুবই খুশি হলেন। বললেন, ‘অনেক অনেক অভিনন্দন। কিপ ইট আপ। একসময় তোমাকে সম্পাদক হিসেবে দেখব। আর শোনো, আবারো বলি, তোমার লেখালেখিটা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়! লেখাটাই থাকবে, আর কিছুই থাকবে না।’
আমি বললাম, ‘স্যার দোয়া করবেন। আমি অবশ্যই আপনার কথাগুলো মনে রাখব।’
আমি স্যারকে বিভিন্ন সময় কালের কণ্ঠে লেখার অনুরোধ করি। স্যার আমার অনুরোধ ফেলতে পারেন না। কখনো শিক্ষা, কখনো সামাজিক ইস্যু কিংবা 888sport live football। স্যার খুব কম লিখতেন। তবে সময় পেলে আমার কোনো অনুরোধই ফেলতেন না। বলতেন, ‘তুমি বললে, আর না করতে পারি না। তুমি যদি কষ্ট পাও!’
এর মধ্যে আমার জননী ও অগ্নিকন্যা 888sport alternative link প্রকাশের পর স্যারের সঙ্গে আবার দেখা হলো। এবারই প্রথম উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্যার বললেন, ‘বাহ! খুব ভালো। তুমি পারবে। তোমাকে দিয়ে হবে। একটা পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পরও তুমি যেভাবে লিখে যাচ্ছো তা সত্যিই বিস্ময়কর।’ তারপর একে একে তিনটি
ইতিহাস-আশ্রয়ী 888sport alternative link প্রকাশিত হলো, স্যার বললেন, ‘অসাধারণ কাজ হয়েছে। এগুলো টিকে থাকবে।’
২০১৯ সালে কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হওয়ার পর স্যারকে জানালাম। স্যার যারপরনাই খুশি হলেন। বললেন, ‘অবশেষে তুমি তোমার টার্গেট স্পর্শ করতে সক্ষম হলে। কিন্তু এটাই শেষ নয়। গুরুদায়িত্ব। সবার ওপর এতবড় দায়িত্ব বর্তায় না। তোমাকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। আমি আশাবাদী। তুমি অবশ্যই সফল হবে।’
‘অবশ্যই স্যার। আমি আন্তরিকভাবেই সেই চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
স্যার সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন একটা ভালো গল্প কিংবা 888sport alternative link প্রকাশিত হলে। সম্পাদক হওয়ার চেয়েও আরো বেশি খুশি হয়েছিলেন আনন্দ পাবলিশার্স থেকে আমার বই প্রকাশের কথা শুনে। তিনি শুধু বললেন, ‘একজন লেখকের এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী! বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তোমার লেখা ঐতিহাসিক 888sport alternative linkটি আনন্দ থেকে প্রকাশিত হওয়ার মানে হচ্ছে যে-কোনো 888sport app download bdের চেয়ে বড় প্রাপ্তি।’
কারোনাকালে কালের কণ্ঠ ছেড়ে দিলাম। মনজুর স্যার জানার পর খুবই ব্যথিত হয়েছিলেন। তিনি আমার কাছেই কালের কণ্ঠ ছাড়ার কারণ জানতে চাইলেন। আমি যখন তাঁকে পুরো ঘটনা বললাম, তখন তিনি বললেন, ‘তুমি ঠিক কাজটিই করেছ।’ অতঃপর স্যার বললেন, ‘সম্পাদক তো হয়েছই, এবার লেখালেখিই করো। পুরোদস্তুর লেখক।’ কিন্তু করোনাকালে বেকার হওয়া সাংবাদিকরা কেউ কেউ বলতে শুরু করলেন, আপনি উদ্যোগ নিলে নিশ্চয়ই একটা কিছু করতে পারবেন। তাতে কিছু সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হবে।
কী আর করা! পত্রিকা করার কথা মাথায় নিলাম। কিন্তু তখনো করোনাকাল চলছে। বড় বিনিয়োগকারীরা তখনো সাহস পাচ্ছিলেন না। তাই ছোট আকারে অনলাইন মাল্টিমিডিয়া করার উদ্যোগ নিলাম। শুরু করলাম 888sport app প্রকাশ। সেখানেও 888sport app ও 888sport appর বাইরে মিলিয়ে ৭০-৮০ জনের কর্মসংস্থান হলো। স্যারকে লেখার জন্য বললাম। এবার তিনি আগের চেয়েও বেশি লেখা লিখলেন। আরো বেশি সহযোগিতার হাত বাড়ালেন। আরো বেশি আন্তরিক মনে হলো তাঁকে। জানি না, এর পেছনে কী কারণ!
স্যার শুধু বলতেন, ‘চিন্তা করো না। সুযোগ আসবে। তুমি সফল হবেই।’ তারপর সুযোগ এলো পত্রিকা করার। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বড় বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়ার পর স্যারকে জানালাম। স্যার বললেন, ‘বলছিলাম না, চিন্তা করো না। সুযোগ আসবে।’
এবার শুরু করলাম খবরের কাগজ। এবার স্যার আরেক ধাপ এগিয়ে এলেন। একজন উপদেষ্টাই শুধু নন, একজন অভিভাবক হিসেবে স্যারকে পেয়েছি। তিনি প্রায় নিয়মিতই খবরের কাগজে লিখতেন। উৎসাহ দিতেন। বিগত দু-বছর স্যার কীভাবে যে আগলে রেখেছেন তা ভাবতেও অবাক লাগে।
২০২৪ সালে সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হলো আমার ঐতিহাসিক 888sport alternative link কারবালা উপাখ্যান। বইটি স্যারকে উৎসর্গ করেছি। এর আগে ২০১৯ সালে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত আমি কবি নামে একটি 888sport alternative link স্যারের নামে উৎসর্গ করেছিলাম। বই দুটি নিজেই স্যারের হাতে তুলে দিলাম। স্যার কী যে খুশি হয়েছিলেন! স্যার হাসতে হাসতে তখন বলেছিলেন, ‘এতো তো চাইনি!’
মানুষ হিসেবে যদি বলি, মনজুর স্যারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় চার দশকের। তাকে যতটুকু চিনি এবং জানি, তিনি একজন অসাধারণ মানবিক মানুষ ছিলেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মনেপ্রাণে ধারণ করতেন। দেশকে তিনি অসম্ভব ভালোবাসতেন। দেশের ভালো চাইতেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনি প্রায়ই দুঃখ করে বলতেন, ‘শিক্ষাটাকে কিছুতেই ঠিক করা গেল না। এত এত বলি, এত এত লিখি; তারপরও কোনো কাজ হয় না। শিক্ষাব্যবস্থা ঠিক করা না গেলে দেশ এগোবে না।’
সামাজিক বৈষম্য, অন্যায় অনিয়ম নিষ্ঠুরতা নিয়েও তিনি কথা বলতেন। লেখালেখি করতেন। শিক্ষা এবং সামাজিক ইস্যু নিয়ে লিখতে বললে কখনো না করতেন না। তিনি বলতেন, ‘লিখে লিখে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। দেশের মানুষ ঠিক না হলে দেশটাকে গড়ে তোলা যাবে না।’
স্যারের আরেকটা বড় গুণ, তিনি সব সময় অন্যের ভালো চাইতেন। তরুণদের খুব পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন, ‘তরুণরাই পারবে এই দেশটাকে বদলাতে।’ তরুণদের উৎসাহ দিতেন। তরুণ লেখকদের কাছে তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক। ভালো লেখার ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিতেন। নিজের স্বার্থে কোনোদিন কিছু করেননি। আমার সবসময় মনে হয়, স্যারের একটা হাত আমার মাথার ওপর। তাঁর উৎসাহ, অনুপ্রেরণা আমি অনুভব করি। তিনি শুধু একজন শিক্ষাবিদ কিংবা লেখক নন, তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক, মানবিক মানুষ। আমার সৌভাগ্য যে, আমি বিগত প্রায় চল্লিশ বছর মনজুর স্যারকে একজন গাইড হিসেবে পেয়েছিলাম। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার আধার। আমাদের বাতিঘর।


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.