তোমার চলে যাবার পর কি
সকল ফুল নিয়েছে ছুটি – গন্ধ বিলাবে না বলে?
আলোকারণ্যে সঘন বাতাস, আলো কি নিভে যাবে
অনন্য পার্বণের কালে?
তোমাকে দেখতে এসেছিল সারাদিনের বিভোর বর্ষণ
অগত্যা চাঁদ উঠেছিল যামিনী ছাপিয়ে
আর প্রভাতসূর্য উঁকি দিতে দিতে বিদ্ধ করেছিল তোমার সুদীর্ঘ নিবাস
যখন নদীদের আয়ু কমতে কমতে ঊরুও স্পর্শ করে না
মহোৎসব চালিয়ে দিয়ে শুরু হয় প্রকৃতি নিধন
এবং পাঠাভ্যাস মুড়ি দিয়ে দেখে ভেতরে তুমুল বালির আস্তর
এমন সায়াহ্নক্ষণে তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছুটেছে
অলস দিনের হাওয়া
হরিৎ কাননে যারা মাটিকে আঁকড়ে রচেছে সম্ভাব্য পথছায়া
তাদের জন্য রচিত তোমার নন্দনতত্ত্বে এখনো অনিশ্চয় ঢেউ
জানি প্রেম ও প্রার্থনা ছাড়া তুমি অনন্ত অদেখাই রয়ে যাবে
যেমন একজীবন সুখ দুঃখ ঘিরে থেমে গেছে তারার প্রজনন
চারিদিকে যত আধখাওয়া মানুষ – তুমি তার সাক্ষ্য দিয়েছিলে
কানাগলির লোকেরা যখন বলাবলি করে বিকিয়ে দিতে চেয়েছে সব
এমন বেলা-অবেলার কালে স্বভূমি জেনেছে তোমার আদ্যন্ত সাহস
একদিন শারদীয়া আসবে নেমে – দূরে উঠে যাবে প্রকৃত আকাশ
তবু কোজাগরি নির্দ্বিধায় ছড়িয়ে যাবেই মায়াবী জোছনার ভাষা
প্রকৃত শরতে যেমন এক নদী উজান পেরিয়ে বেছে নেয় অধরা জীবন

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.