কাঠগোলাপের শুভ্র উচ্ছ্বাসে নিজেকে ছড়িয়ে দাও।

দীর্ঘশ^াস, সংকট, জরাজীর্ণ ব্যথা শূন্যে উড়িয়ে দাও।

তুমি বেরিয়ে এসো বন্ধনমুক্ত বিহঙ্গের পাখায় ভর করে।

পাণিতে সন্ধ্যাবাতি আলোকবর্তিকাসম, দেখাও পথ আঁধারে ঢেকে যাওয়া গ্রহটিকে।

দেহসৌষ্ঠবে বুনোফুলের সৌরভ,

কণ্ঠে বজ্রনিনাদ, বেজে যাক রণতূর্য, আহবের ডঙ্কাধ্বনি

ছড়িয়ে পড়ুক দিকে-দিকে।

ঘুঙুরে, চুড়িতে, অলংকারে, আভরণে প্রতিধ্বনিত হোক প্রতিবাদ।

অন্যায়, বৈষম্য, লাঞ্ছনার আবেষ্টনী ছত্রখান হয়ে,

শোষণ ত্রাসের মর্মমূলে বেজে উঠুক সমতা, স্বাধীনতা ও সৌহার্দ্যরে ঐকতান সংগীত।