আমাদের ভবিষ্যৎ তপন রায়চৌধুরীর সাক্ষাৎকার

সাক্ষাৎকারগ্রহণ : সুশীল সাহা

একটা ব্যাপারে আমার খুবই দুশ্চিন্তা আছে। সেটা হলো, ভারতবর্ষ ও 888sport appsের সম্পর্কের মধ্যে একটা অবনতির আশঙ্কা। এই আশঙ্কার একটি মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি দুদিকেই আছে। এদেশে এবং ওদেশেও। ভুললে চলবে না, ভারতবর্ষের পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি মুখে যাই-ই বলুক না সে মূলত মুসলমানবিরোধী। সেই বিরোধের একটি প্রধান লক্ষ্য 888sport apps। সেই বিরোধের অন্যতম বক্তব্য ভারতবর্ষের অরক্ষিত সীমানা দিয়ে ক্রমাগত 888sport appsের মুসলমানরা এদেশে ঢুকছে। সাধারণ অর্ধশিক্ষিত-অশিক্ষিত লোকের বিশ্বাস যে, পশ্চিমবঙ্গে এখন মুসলমানদের 888sport free betধিক্য ঘটছে। এর ভিত্তি কিন্তু মুসলমান-বিদ্বেষ  – 888sport free betলঘুর প্রতি 888sport free betগুরুর চিরাচরিত আচরণের একটি। হিন্দুরা এদেশে 888sport free betগুরু; তাই তাদের দাবি কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা। পাশাপাশি মুসলমানদের নাগরিক অধিকার কেবল কম দেওয়া নয়, আস্তে-আস্তে এদেশ থেকে তাড়ানোটাই মূল লক্ষ্য। আর মুসলমানদের এদেশে হিন্দুদের অধীন হয়ে থাকার কথাই বলে এরা। তবে সরাসরি নয়, অন্যভাবে। কারণ এদের কাছে ভোট চাইতে যেতে হয়। এই হচ্ছে মানসিকত া। আর এদের সমর্থন করছে দেশের অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ, যাদের 888sport free bet খুব কম নয়। অন্যদিকে দারিদ্র্যের কারণে 888sport appsের কিছু মানুষ এদেশে আসে, চলে যায় – যদিও ব্যাপারটা 888sport apps অস্বীকার করে।
এদেশে সীমান্ত, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের তিনদিকে যে 888sport apps রাষ্ট্র, তাতে তেমন সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই বলে যখন-তখন এই অনুপ্রবেশ ঘটছে। তবে তার পরিমাণ তেমন ভয়াবহ নয়। পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় কিছু কর্মসন্ধানী মানুষ আসা-যাওয়া করলেও তা কখনোই অসংখ্য হয়ে যায়নি। অথচ এরা প্রচার করে, পশ্চিমবঙ্গের মূল জনগোষ্ঠীর 888sport free betকে ছাপিয়ে গেছে অনুপ্রবেশকারীদের 888sport free bet, যা একান্তভাবেই মিথ্যা প্রচার, উস্কানিমূলকও বলা যায়। ওদিকে 888sport appsে হিন্দুদের ওপর যে-অত্যাচার হয় তাতে ওদেশের বড় একটি জনগোষ্ঠীর সমর্থন আছে। এর কারণ সামাজিক-অর্থনৈতিক। এ-ব্যাপারে সরকারের ভূমিকা প্রায় নিষ্ক্রিয়। কারণ ক্ষমতায় থাকতে গেলে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মনোভাবের কাছে নতিস্বীকার করতেই হয়। তবে প্রগতিশীল একদল মানুষ সব সময়েই এর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। কিন্তু মৌলবাদীরা প্রায় প্রকাশ্যেই এতে মদদ জোগায়। অন্যদিকে যে-দলই ক্ষমতায় আসে তারা এ-ব্যাপারটাকে হালকাভাবে নেয়, কোনোরকম প্রতিকারের পথে যেতে চায় না। অবস্থাটা যখন এইরকম তখন 888sport appsের সঙ্গে ভারতবর্ষের সম্পর্ক ভালো হয় কী করে? এই ব্যাপারটাকেই এখানকার বর্তমান প্রধান বিরোধী দল তাদের হাতিয়ার করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে এবং তাতে দেশের জন888sport free betর একটা বড় অংশের সমর্থনও পাচ্ছে। এটা একটা আশঙ্কামূলক পরিস্থিতি। এরকম যদি চলতেই থাকে এবং অদূরভবিষ্যতে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে তাহলে ভারতের সঙ্গে 888sport appsের সম্পর্কের অবনতি ঘটবে এবং তা যদি যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যায় তাহলে আমি অবাক হবো না। তবে সেটা হবে 888sport appsের পক্ষে আত্মহত্যা। অন্যদিকে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতারও একরকম বিনাশ ঘটবে।
কিছু-কিছু রাজনৈতিক দল আছে তারা নিজেদের স্বার্থকে সবসময়ে বড় করে দেখে। দেশের স্বার্থ তাদের কাছে তুচ্ছ। তাই নানারকম অপপ্রচারকে হাতিয়ার করে ভারতবর্ষের সঙ্গে অন্য দেশের যুদ্ধ বাধানোয় মদদ দেয়। এরা জানে ভারতবর্ষ কখনো রাজ্যজয় করতে আসবে না। তবু যুদ্ধ বাধালে এদের লাভ, অন্তত দুনিয়ার কাছে নিজের দেশের বিপন্নতা ও অন্য দেশের আগ্রাসনকে বড় করে দেখানো যায়। যুদ্ধে যে মানুষের ক্ষতি হয়, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যে ভেঙে পড়ে, বহু মানুষের যে প্রাণহানি হয় – এসব জানা সত্ত্বেও এসব সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন দল যুদ্ধ বাধানোর পক্ষেই কাজ করে। এগুলো সবই সম্ভাবনা, কিন্তু মারাত্মক সম্ভাবনা। যেসব দল এবং মানুষ দেশের কথা ভাবে না, দেশের মানুষের কথা ভাবে না, তারাই এরকম মারাত্মক সম্ভাবনার জন্ম দেয়।
এসবই আমার আশঙ্কার কথা, আশা করি ভবিষ্যতে এরকমটি ঘটবে না। তবে মাঝে মাঝেই নানাসূত্রে এরকম শুনতে পাই যে, 888sport appsে 888sport free betলঘুদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে ওখানকার মৌলবাদীদের তাড়নায়। কথা হলো, মৌলবাদী কাদের বলা হয়? ধর্মের মূল যারা মেনে চলে অর্থাৎ ধর্মানুরাগী মানুষরাই মৌলবাদী। ধর্ম কি কখনো অন্য সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর অত্যাচারের কথা বলে? না, কখনোই নয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে একদল দুষ্কৃতী ধর্মের নামে এই অনাচার করে, যার প্রবণতা এদেশেও আছে। ক্ষমতাদখলের এও একধরনের কৌশল। সাধারণ অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষদের বোকা বানিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করে এসব যারা করে তারা আর যাই-ই হোক দেশের মঙ্গল চায় না।
খুব অল্পদিনের মধ্যে ভারতে এবং 888sport appsে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই নির্বাচনে দুই দেশে কারা সরকারে আসবেন তার ওপর নির্ভর করছে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি-অবনতি। আমাদের ভবিষ্যৎও এদের ওপরেই নির্ভর করছে। এদেশে হিন্দুদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ বিজেপিকে সমর্থন করে। তাই আগামী নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ভূমিপুত্র শব্দটা সম্প্রতি এক রাজনৈতিক সভায় শুনলাম। সেখানে হিন্দি ভাষাকে মাতৃভাষা বলে দাবি করা হয়েছিল। নানা ভাষার দেশ ভারতে ১৬টি স্বীকৃত ভাষা থাকলেও হিন্দিকে প্রাধান্য দেওয়ার একটা প্রবণতা অনেকের মধ্যেই আছে। সেই সভায় কোন ভাষায় বক্তৃতা করা হবে – এই প্রশ্ন উঠলে অনেকেই দাবি করেন মাতৃভাষায় বলার জন্য। বলা বাহুল্য, তাদের কাছে মাতৃভাষা মানে হিন্দি। এই দাবি যে কতখানি অযৌক্তিক সে-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুত এদের থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দূরত্ব খুব বেশি নয়।
তাই আগামী নির্বাচনে দুদেশে কারা ক্ষমতায় আসবেন, দুদেশের সম্পর্কই বা কী হবে, তা নিয়ে আমার খুব আশঙ্কা হয়। ক্ষমতা যদি শেষপর্যন্ত দুদেশের আগ্রাসী শক্তির হাতে যায় তাহলে তার একটি সুদূরপ্রসারী ছায়া পড়বে আমাদের ভবিষ্যতে এবং সেই ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা দুরূহ হবে। আমরা জানি, দেশভাগ এবং পাকিস্তান জন্মের পরে ওদেশে হিন্দুদের অবস্থা বেশ অবনতির দিকে চলে গিয়েছিল, যার ফলে ক্রমাগত হিন্দুদের দেশত্যাগের ঘটনা ঘটেছিল। পাকিস্তান সরকার ওটা বন্ধ করার কোনো চেষ্টা করেনি। প্রকৃতপক্ষে বাঙালি মুসলমানদের মনে পাকাপাকিভাবেই সাম্প্রদায়িকতার মনোভাব পাকিস্তান সরকার ঢুকিয়ে দিতে পেরেছিল, যার জের চলেছে 888sport apps রাষ্ট্রের জন্মের পরেও। আর ভারতে তারই রেশ ধরে বিজেপির উত্থান ঘটেছে। এই উত্থান আমাদের জীবনকে বিষাক্ত করেছে। একটা কথা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না তা হলো, এত বছর হয়ে গেল আদবানি ও নরেন্দ্র মোদীর কোনো বিচার হলো না! বিচারে কী হবে সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু হওয়া উচিত ছিল। বিচার তো হয়নি। ওদিকে শেখ সাহেব দেশে ফিরে চিহ্নিত খুনিদের ছেড়ে দিলেন। তিনি অত্যন্ত নরম মনের মানুষ ছিলেন। বোধহয় অপরাধীদের মা-বোনেরা তার পায়ে পড়েছিল। তাতে কী হলো! সেইসব অপশক্তি সপরিবারে শেখ সাহেবকেই খুন করল। শুধু তাই নয়, দেশের সংবিধান পালটে,  ক্ষমতায়  এসে  পুরো  দেশটাকেই পাকিস্তানপন্থী করে তোলার চেষ্টা করলো। ওদেশে পার্লামেন্টে ওদেরই দাপট বেশি হয়ে দাঁড়াল। ফলে যে-আদর্শের ভিত্তিতে 888sport appsের জন্ম সেই ভিত্তিটাই প্রবলভাবে নাড়া খেল। আর সেজন্যই এখানকার মতো ওখানেও বিরুদ্ধশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। ফলে যা হলো, একদিকে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে দুই বাংলার অংশগ্রহণ যেমন প্রবল হলো, অন্যদিকে দুই দেশের মানুষের মধ্যে কাণ্ডজ্ঞানহীন ঘৃণা চোরাস্রোতে বইতে লাগলো। সংস্কৃতির ঐক্যটা হলো বাইরের ব্যাপার আর এই বিভেদের মূল অনেক গভীরে প্রোথিত। আমাদের দেশে চারপাশের মুসলমানদের সঙ্গে আমাদের কী সুসম্পর্কই না ছিল! দেশত্যাগের সময়ে তাদের সেই কান্না কি ভোলা যায়! অথচ পাকিস্তান জন্মের পরে এদের পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মের মানুষেরা কী পরিমাণ মুসলিমপন্থী হয়েছিল সেটাও দেখেছি। আমার এক শাহজাহান কাকা, যার কাছে আমি প্রথম মার্কসবাদের পাঠ নিয়েছিলাম, সেই তাঁকে দেখেছি মুসলিম লিগের কট্টর সমর্থক হতে। এমনকি 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও তার ভূমিকা ভালো ছিল না। অথচ এই মানুষটার আচার-আচরণ কত মধুর ছিল! আমাদের এখানেও আমার অনেক আত্মীয়স্বজন আছে, যাদের সঙ্গে সেই অর্থে আমি কথা বলি না, তারা মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত মুসলমানদের অনুপ্রবেশে তাদের 888sport free betধিক্য ঘটেছে – আগামী দিনে যা নাকি ভারতবর্ষেও হবে। অথচ সারা ভারতে এখন মুসলিম জন888sport free bet শতকরা ২৫-৩০ মাত্র। বাস্তব থেকে মুখ ঘুরিয়ে বিভ্রান্তিমূলক কথা ছড়ানোই এরা এদের স্বার্থসিদ্ধির প্রধান উপায় হিসেবে মনে করে এবং সেই পথেই মিথ্যে অপপ্রচার করে। মুসলিম জন888sport free bet বৃদ্ধির অদ্ভুত এক মিথ্যে প্রচার বহুদিন ধরে চলে আসছে। মুসলমানদের মধ্যে বহুবিবাহের প্রচলন আছে এবং সেজন্যই এই 888sport free betধিক্য। এই সহজ সমীকরণে অশিক্ষিত মানুষজন বিভ্রান্ত হয়। তবে বাস্তব অবস্থাটা হলো, এদেশে বহুবিবাহ মুসলমানদের চেয়ে হিন্দুদের মধ্যেই বেশি। বহুবিবাহে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, যা ভারতবর্ষের মুসলমানদের নেই। এদেশের মুসলমানেরা খুবই গরিব। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তাই আমি মনে করি, 888sport appsে যদি সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসে তাহলে এখানকার হিন্দুত্ববাদীদের হাত শক্ত হবে। এই অপশক্তি আর যা-ই করুক, দেশের মঙ্গল করবে না। মানুষের কল্যাণকামনার চেয়ে আপন স্বার্থোদ্ধারে এদের মনোনিবেশ বেশি। সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকাই এদের প্রধান লক্ষ্য।
তবে একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দুই বাংলায় এই সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রায় অবলুপ্তি ঘটেছিল। আমাদের এদিকে সূক্ষ্মভাবে এটা থাকলেও 888sport appsে তখন হিন্দু-মুসলমান-নির্বিশেষে দেশপ্রেমের এক অসাধারণ উন্মেষ দেখা গিয়েছিল। এই যুদ্ধে প্রধান প্রতিপক্ষ পাকিস্তান দুর্বল হবে এই চিন্তা-চেতনা আমাদের আবেগের সঙ্গে অতিসূক্ষ্মভাবে মিশে ছিল। অথচ যুদ্ধজয়ের পরে, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে, পরিস্থিতি অতি দ্রুত পালটে গেল। 888sport appsে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ রইল না বটে কিন্তু দেশের ভেতর পাকিস্তানপন্থীদের 888sport free betবৃদ্ধি হতেই থাকল। এরই সুযোগ নিয়েছে এদেশের সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।
আমি এতক্ষণ যা-যা বললাম, এসবই আমার আশঙ্কার কথা। দুই দেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক অবস্থা তার গতিপ্রকৃতি বিবেচনা করেই এসব কথা বলেছি। কিছুটা নেতিবাচক শোনালেও ইতিহাসের শিক্ষা থেকেই এসব আশঙ্কা আমার হয়েছে। ভবিষ্যতে এগুলো না ঘটলেই আমি খুশি হবো। কিন্তু ইতিহাসে ন্যায়বিচার বলে তো কিছু নেই। যদি থাকত তাহলে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের এত দুর্দশা হতো না, এত যুদ্ধ-বিগ্রহ, প্রাণনাশও ঘটত না।
তবে চিরকালই কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ থাকেন, যাঁরা সমাজের কল্যাণ চান এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে যান। এমন মানুষের 888sport free bet এদেশে কম নয় এবং আমি বিশ্বাস করি, 888sport appsেও এরকম মানুষের 888sport free bet দিনদিন বাড়ছে এবং বাড়বে। শুভশক্তির সঙ্গে অশুভশক্তির লড়াই আছে, থাকবে। দেশের সার্বিক কল্যাণের কথা মনে রেখে ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবলে দেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে এবং দুই দেশের সম্পর্কও ভালো হবে, নইলে আমাদের ভবিষ্যৎ তমসাচ্ছন্ন।