যাঁকে নিয়ে আজ লিখছি, তিনি আমার পিতা। ‘আব্বি’ সম্বোধন করি তাঁকে। প্রায় সব কন্যাসন্তানের মতোই আমারও জীবনের প্রথম প্রেম যাঁর সঙ্গে, তিনি আমার আব্বি, কথা888sport live footballিক বশীর আল্হেলাল।
তাঁর আদি, পিতৃপ্রদত্ত নাম নেয়ামাল বশীর। অগ্রজের নাম ছিল নেয়ামাল বাসির। আরবি-ফার্সি-উর্দুর পণ্ডিত তাঁদের পিতার জ্ঞান-বিবেচনায় ত্রিশের দশকে তাঁর এই দুই সন্তানের জন্মের পর ‘বশীর’ আর ‘বাসির’ শব্দ-দুটো যতই ভিন্ন অর্থবোধক হোক না কেন, বাঙালি পাঠকের
ধ্বনি-বিবেচনায় এই নাম-দুটো খুব একটা পার্থক্যের জায়গা করে নিতে পারছিল না সেই ষাটের দশকে। তখন এই দুই সহোদর লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ব্যাপারটা খুলে বলি। নেয়ামাল বাসির ও নেয়ামাল বশীর (পরবর্তীকালের লেখক বশীল আল্হেলাল) – এই দুই ভাই তাঁদের প্রথম জীবনেই লেখালেখিতে নিজেদের নিয়োজিত করেছিলেন এবং তাতেই বাধল গণ্ডগোল। নেয়ামাল বাসিরের লেখা হয়তো কোনো পত্রিকা ছেপেছে, আর সুহৃদ পাঠকদের কাছ থেকে হয়তো অভিনন্দন বার্তা পেয়ে বসলেন অনুজ নেয়ামাল বশীর। বানান ও উচ্চারণের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও নাম দুটি তাঁদের লেখকজীবনে গোলযোগ বাধাচ্ছিল। এর থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা নেয়ামাল ওয়াকিল, যিনি নিজেও একজন লেখক এবং ভাইদের লেখক হওয়ার প্রেরণার মূল উৎস, দুই ভাইয়ের যে-কোনো একজনকে নাম বদলে ফেলার প্রস্তাব দিলেন। সেই থেকে নেয়ামাল ওয়াকিলের প্রস্তাবিত নাম গ্রহণ করে সর্বকনিষ্ঠজন হয়ে গেলেন বশীর আল্হেলাল।
এই বশীর আল্হেলাল আমার বাবা, আমার আব্বি। তাঁকে আমার শৈশব থেকে দেখেছি লিখতে। লেখার কাজটি যে-সাধনার ধন, শিশুকাল থেকেই তা আমার প্রত্যক্ষের বিষয়। শান্ত, নিমগ্ন, একাগ্রচিত্ত হয়ে তাঁর লেখার দৃশ্য আমাদের বড় পরিচিত। ধ্যানমগ্ন হয়ে একটানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লিখে যেতেন আব্বি। আমরা দুটি ভাইবোন। আমি তাঁর একমাত্র কন্যা ও কনিষ্ঠ সন্তান, সম্ভবত ভীষণ আদরেরও। মনে পড়ে, তিন কি চার বছর বয়সের ছোট্ট আমি লেখার কাজে মগ্ন আব্বির মনোযোগ চাইতাম। চেয়ারে চড়ে তাঁর পিঠ বেয়ে কাঁধে ওঠার চেষ্টা করতাম। তিনি একই সঙ্গে লেখার কাজ ও আমার মনোরঞ্জন করে যেতেন। ছোট্ট দু-হাতে হয়তো তাঁর গলা জড়িয়ে ধরে আদুরে কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করতাম, ‘কী লিখছ?’ তিনি জবাব দিতেন হয়তো, ‘একটা গল্প লিখছি, মা!’
এইটুকু উত্তরে মন ভরত না। একের পর এক নানারকম প্রশ্ন করেই যেতাম। শিশুমনের নানা কৌতূহলের জবাব দেওয়ায় তাঁর জুড়ি ছিল না। অনেক আলাপনের পর আবদার করতাম, ‘আমিও লিখব।’ তিনি তখন তাঁর পাণ্ডুলিপি থেকে একটা সাদা পাতা বের করতেন আর একটা পেন্সিল দিয়ে বলতেন, ‘লেখো।’
তাঁর কোলে বসে তখন আমি আঁকতাম যতসব কাকের ঠ্যাং, বকের ঠ্যাং। তাঁর লেখার কাজ হয়তো সেদিন শিকেয় উঠত। আজ এতোদিন পর আমি নিজেই সন্তানের জননী, তখন ভেবে ভারি অবাক হই, এতো ধৈর্যশীলতা আব্বি কোথা থেকে রপ্ত করেছিলেন! তাঁর লেখার ধ্যানে এতো হানা দিয়েও কখনো তো তাঁকে একবারও রাগতে বা বিরক্ত হতে দেখিনি। বরং একটু বেশিই প্রশ্রয় পাওয়ার অনুভূতি হৃদয়ে জেগে আছে।
নিজ পিতাকে নিয়ে লেখা সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে পিতা যখন একজন সুলেখক, সু888sport live footballিক, তখন তাঁকে তাঁর যোগ্য সম্মান দিয়ে লেখার কাজটি করার জন্য যোগ্য উত্তরসূরি হতে হয়। যেহেতু এখানে উত্তরসূরির যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে, তাই এই লেখাটিকে শুধু একান্ত ব্যক্তিগত 888sport sign up bonusচারণ হিসেবে গ্রহণ করাই শ্রেয়। লেখক বশীর আল্হেলালের কর্ম-আলোচনা নয় মোটেই, বরং পিতা বশীর আল্হেলালকে নিয়ে 888sport sign up bonus-গল্প-কথাই হোক এই রচনার বিষয়বস্তু।
আব্বিকে নিয়ে লেখার কাজটা শুরু করেছিলাম দেড়-বছর আগে। মজার বিষয় হলো, এমন একটা আনন্দদায়ক কাজ চালিয়ে নেওয়াটা ভীষণ কঠিন বোধ হচ্ছিল শুরু থেকেই, তাই কাজটা মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে বহুদিন। কেন? সাধারণত জীবদ্দশায় কোনো 888sport live footballিককে নিয়ে 888sport sign up bonusচারণ করতে বড় একটা দেখা যায় না; কিন্তু আমাকে লিখতে হচ্ছে, কারণ যাঁকে নিয়ে এতো আয়োজন, তাঁর লেখা বন্ধ ছিল বহুদিন। শেষের অনেক বছর তিনি যেন থেকেও ছিলেন না। অসুস্থ অবস্থায় সম্পূর্ণভাবে বিছানায় আশ্রিত হয়ে ছিলেন গত তিন বছরের অধিক সময়কাল। শারীরিক অক্ষমতা শুধু নয়, তিনি জটিল ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে সমগ্র পারিপার্শ্বিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থেকেছেন বহুকাল। পিতার এমন স্থবিরতায় তাঁর সম্পর্কে সন্তানের পক্ষে কিছু লেখার চেষ্টা করা কঠিন কাজ ছিল বইকি!
আমার বর্ণ পরিচয় হয়েছিল আব্বির হাত ধরে। মনে পড়ে, কেমন সুন্দর গোটা গোটা এক-একটা বর্ণ লিখে দিতেন কাগজে। বলতেন, ‘এর ওপর পেন্সিল বোলাতে থাকো।’ একবার-দুবার নয়, অসংখ্যবার বোলাতাম, কাগজটা ছিঁড়ে যাওয়া পর্যন্ত। এমনকি ছিঁড়ে যাওয়ার পরও বোলাতাম। তিনি বলতেন, ‘যত বেশি বোলাবে, তত সুন্দর হবে তোমার হাতের লেখা।’ সম্ভবত হয়েছেও তাই। পরবর্তী-জীবনে সহপাঠী ও সুহৃদদের কাছে আমার হস্তাক্ষর বেশ সমাদৃত হতে দেখেছিলাম।
আব্বির শেষ দিকে ভাবতাম চির-সক্রিয় মানুষটির এখন শুধুই শুয়ে থাকা! আব্বির যে-আঙুলগুলো আমাকে বর্ণের সঙ্গে বন্ধুতা গড়ে দিয়েছিল, সেগুলো নিথর, নিষ্কর্মা পড়ে ছিল। বছরের পর বছর পার হয়ে গেছে, লেখকের হাত আর লেখেনি কোনো কিছু!
আজ আমি আব্বির গল্প বলতে বসেছি। আব্বি আমার শিশুকালের প্রিয়তম বন্ধু ছিলেন। মা করতেন শাসন, আব্বি দিতেন প্রশ্রয়। শিশুমনের যত প্রশ্ন, তার সবই নিয়ে জড়ো হতাম আব্বির কাছে। সব জিজ্ঞাসার জবাব ঠিক ঠিক মিলে যেত ওই একটি আস্তানায়, তিনি আমার আব্বি। মুক্তমনের আধুনিক মানুষ ছিলেন তিনি। নিয়ম কাকে বলে, তা শেখানোর পর সেটাকে পালন করা শুধু নয়, নিয়মের বাইরে গিয়ে তাকে ভাঙার ধারণাটাও তাঁর কাছে পাওয়া। প্রথাগত চিন্তার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু চিন্তা করার স্বাধীনতার ধারণার ছোঁয়াটি আব্বিই লাগিয়েছিলেন আমার মননে। সেই সঙ্গে তাঁর দেওয়া সাহসী-হয়ে-ওঠার দীক্ষার কথাও না বললে নয়। ‘ভয়’ শব্দটা কিংবা ভয়ের ধারণাটা ছেলেবেলায় ছিল অপরিচিত। জগতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এমনি নির্ভীকতার বার্তা হৃদয়ে এখনো আলো জ্বালায়। বার্তা-প্রেরণকারী মানুষটা আব্বি ছাড়া আর কেউ নন।
সাধারণ জীবনযাপন ছিল আমাদের পরিবারের সৌন্দর্য। আব্বির কাছ থেকে শিখেছি, ঘরের কাজগুলো, নিজের কাজগুলো, নিজেকেই করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনটাতে ঝোলা হাতে বাজারে যেতেন। মাঝে মাঝে আমি হতাম তাঁর সঙ্গী। রন্ধন888sport live chatেও ছিলেন পারদর্শী। নিজে রান্না করতেন, মায়ের সঙ্গে রান্নার আলোচনা করতেন, রান্নার ব্যাপারে মাকে পরামর্শ দিতেন, সেই সঙ্গে রান্নায় হাতও লাগাতেন।
আরেকটা কাজ করতে দেখতাম আব্বিকে। তিনি সবসময় নিজের জুতো নিজে পালিশ করতেন। জুতো পালিশ করার সব সরঞ্জামই তাঁর কাছে থাকত। অত্যন্ত যত্ন আর মমতায় তিনি এ-কাজ করতেন। আর আমি ছিলাম এ-কাজের একনিষ্ঠ ভক্তদর্শক।
আব্বিরা তিন ভাই-ই লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পারিবারিকভাবেই তাঁরা এ-গুণটির অধিকারী হয়েছিলেন বলে মনে হয়। আমাদের পিতামহও শুনেছি 888sport app download apk লিখতেন। তিনি অবশ্য বাংলাভাষাটা লিখতে ও পড়তে জানতেন না। তাঁর চর্চা ছিল আরবি, ফার্সি ও উর্দুর। বাড়িতে ভীষণ কড়াকড়ির মধ্যেই তিনি সন্তানদের গড়ে তুলেছিলেন। সেই কড়া শাসনের বেড়ি ভাঙতে প্রতিটি পুত্রই একাধিকবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন – এমন গল্প আব্বি প্রায়শই আমাদের বলতেন।
আমাদের বাপ-চাচারা সেই যুগে বুঝতে পেরেছিলেন, ইংরেজি ও বাংলা শিখতে না পারলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব হবে। তাই তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে সেই যুগের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের প্রাণের মাঝে লেখক হওয়ার স্বপ্ন সর্বদাই ছিল উন্মুখ, জাগরূক।
আব্বির ইচ্ছে ছিল তাঁর সন্তানরা লিখুক। কিন্তু আমাদের দুই ভাইবোনের কেউই তেমন লেখার প্রতিভা দেখাতে পারিনি তাঁকে। অবশ্য মনে পড়ে, আমাকে একবার তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতে একটা সময় আসতে পারে, যখন আমি লেখার দিকে ঝুঁকে পড়তে পারি অর্থাৎ লেখার প্রতি আমার আগ্রহ জন্মানোর সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আহা, সেদিন আর কত দূরে!
আজকাল লিখতে ইচ্ছে করে। আব্বিকে যে-নিবিষ্টতা নিয়ে লিখতে দেখেছি, তেমনি নিবিষ্ট হতে ইচ্ছে করে সৃজনশীল 888sport live football-রচনায়।
আব্বির লেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেশ আগেই। তখন হয়তো বা ২০১১ কি ২০১২ সাল হবে। শেষ যে-888sport alternative linkটা শুরু করেছিলেন, তার নাম দিয়েছিলেন ‘জীবনের সুখ’। ওটা লিখতে লিখতেই বেশ অসংলগ্নতা ধরা পড়ে তাঁর লেখায়। সেটা আমাদের মা লক্ষ করেছিলেন প্রথম। এই 888sport alternative linkটার শেষের দিকে আব্বি সম্ভবত নিজেকে খুব একটা গুছিয়ে রাখতে পারতেন না।
এটা-ওটা প্রায়ই ভুলে যেতেন। রাত-দিনের মাঝে গোলমাল করে ফেলতেন। দু-একবার বাইরে গিয়ে হারিয়েও গিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে আমাদের অর্থাৎ তাঁর দুই সন্তানকেও ভুলতে বসলেন। একমাত্র মাকেই খুব সম্ভব চিনতেন। মা তাঁকে আগলে রেখেছিলেন নিজের শারীরিক সমস্যাকে তুচ্ছ করে।
এরপর একসময় যখন আব্বি আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পারছিলেন না, তখন হাসপাতাল থেকেই তাঁকে বেঁধে রাখার কৌশল শিখিয়ে দেওয়া হলো। তিনি সম্পূর্ণভাবে আটকা পড়লেন বিছানায়। তাঁকে খাওয়ানোও ছিল কঠিন কাজ। নাক দিয়ে টিউবের সাহায্যে তরল খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা হলো। নাকের সেই নল যেন হাত দিয়ে টেনে খুলতে না পারেন, সেজন্য হাত-দুখানা তাঁর খাটের রডের সঙ্গে বেঁধে রাখার নিয়ম হলো। হায় রে, আমার সোনা-বাবার সেই হাত সেই আঙুলগুলো ছটফট করল। তবু অকেজোই পড়ে রইল। আমরা তাঁর নড়াচড়া করার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিলাম।
এমনিভাবে দিন গেল, মাস গেল, গেল বছর। আব্বির খাট-হাজতবাসের এক বছর পর তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী, আমাদের মা, বিদায় নিলেন। কেউ কি জানত, কিংবা জানে,
পৃথিবী ছেড়ে কার আগে কার যাওয়ার পালা? আব্বি একইভাবে পড়ে রইলেন। এর মাঝে কেটে গেছে আরো দুটো বছর। আগে তাও দু-একটা অর্থবোধক শব্দ অর্থহীনভাবে বলতেন। একসময় জাতীয় সংগীত শুনে শুয়ে শুয়ে কাঁদতেও দেখেছি আমরা। কেন কাঁদতেন, কে জানে! শেষের দিকে আর তেমন কোনো ভাব প্রকাশ করতেন না। শরীরে তাঁর কোথায় কী বেদনা তা বোঝার ক্ষমতা তো আর এই অধম সন্তানদের ছিল না। তাঁর বাক্যহীন বাণী আমাদের অন্তরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেও জীবনের চরম নিষ্ঠুরতা চেয়ে চেয়ে দেখার চাইতে উত্তম কোনো কর্তব্যও অবশিষ্ট থাকেনি।
জগৎ আজ যে মহামারির অভিজ্ঞতা নিচ্ছে, জগতের এক কোণে পড়ে থাকা আব্বিও সেই অভিজ্ঞতা নেওয়া থেকে বাদ যাননি। সকলের ঘরে ঘরে যখন, আগে বা পরে, করোনা ভাইরাস হানা দিলো, আমাদের ঘরও তখন বাদ পড়ল না। যা ভয় পেয়েছিলাম আমরা, তাই হলো। আব্বি কোভিডে আক্রান্ত হলেন। সাংঘাতিক অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতেই চিকিৎসা নিলেন। চিকিৎসার মধ্যেই ছিলেন। প্রতিদিন অবস্থার অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন গেছে
এক-একটা যুদ্ধের দিন। আব্বিকে নিয়ে যুদ্ধ। আব্বিকে আরো কিছুদিন টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ। একেকদিন অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে যায়, শ্বাসকষ্ট হয়। আমরা আমাদের ছোট হয়ে যাওয়া পিতাকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে গেছি। সেই সঙ্গে শারীরিক 888sport app জটিলতার চিকিৎসা চলেছে। তাঁর গোঙানির রেশ আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ মনে পড়ে, কোনো এক বিকেলে যখন আব্বি আর আমি হাঁটছিলাম, তিনি বলেছিলেন, ‘জীবনে যা-ই করো না কেন, সর্বদা মনে রাখবে, তুমি স্বাধীন। তোমাকে আত্মনির্ভরশীল হতেই হবে।’ এই কথাগুলো আমার জীবনের পাথেয় হয়ে গিয়েছিল।
পিতা তাঁর অন্তিম সময়ে যেন হয়ে গেলেন শিশুসন্তান। যে-পিতার কোলে একদা দোল খেয়েছি, সেই পিতা আমার কোলে। পিতার চোখের আকুতি কী কথা বলতো তা না-বুঝলেও একটা কথা তাঁকে বুঝিয়ে দিতে বড় ইচ্ছা হতো।
তোমার কথাগুলো ভুলিনি, আব্বি। দুঃখ এই, আমার কথাগুলো শোনার জন্য তুমি আজ নেই।


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.