ইতিহাসনির্ভর 888sport alternative link

মহি মুহাম্মদ

যারা ভোর এনেছিল
আনিসুল হক

প্রথমা প্রকাশন
ফেব্রুয়ারি ২০১২
৫০০ টাকা

বাংলা888sport live footballে ইতিহাসনির্ভর 888sport alternative link দুর্লভ নয়। ইতিহাস-উপজীব্য 888sport alternative linkের রূপ-রস ভিন্ন স্বাদের। পাঠকের কাছে কুশীলবদের আলাদা একটা অস্তিত্ব সারাক্ষণ বাস্তব হয়ে ঘোরাফেরা করে। এ-ধরনের 888sport alternative linkে পাঠকের কাছে ইতিহাস নতুনভাবে ধরা দেয়। লেখক ইতিহাসের চরিত্রসমূহকে সাধারণ পাঠকের কাছাকাছি নিয়ে আসেন। তাদের মনের অনাবিল উৎসের সঙ্গে পাঠক সহজেই পরিচিত হতে পারেন। তাদের প্রাত্যহিক জীবনধারা নতুনভাবে আবিষ্কৃত হয় পাঠকের কাছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-৯৪), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১), সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৩৪-২০১২) ও হালের সদ্যপ্রয়াত বাংলা888sport live footballের নন্দিত জাদুকরি লেখক হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২) পর্যন্ত ইতিহাস নিয়ে চমৎকার কথা888sport live football সৃষ্টি করেছেন। সে-ধারায় আনিসুল হকের এ-প্রয়াস সাধুবাদযোগ্য। ইতিহাস থেকে যেসব কাহিনি লেখকরা ধার নেন, তা বাঁক নেয় লেখকের মনের গতিপ্রকৃতির ওপর। লেখক দক্ষ তুলির আঁচড় যে-কোনো চরিত্রকে মহৎ করে আঁকতে পারেন। আর যদি তা পাঠকপ্রিয়তা পায় তবে তা লেখকের উপস্থাপন-কৌশল এবং সর্বোপরি লেখকের নিষ্ঠাবোধের পরিচয় থাকে বলেই তা মানোত্তীর্ণ হয়।
আনিসুল হক (জন্ম ১৯৬৫) বাংলা কথা888sport live footballে বিশেষ স্থানের দাবিদার। ইতোমধ্যে তাঁর স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন, যার ফলে তিনি কথা888sport live footballে বিশেষ অবদানের জন্য 888sport appsের সর্বোচ্চ সম্মান বাংলা একাডেমী 888sport app download bdও লাভ করেছেন। তাঁর বহুলপঠিত 888sport alternative linkসমূহের মধ্যে মার (২০০৩) 888sport live chatিত প্রয়াস প্রশংসনীয়। 888sport app download apk, ছোটগল্প, 888sport alternative link, রম্যরচনা, 888sport slot gameকাহিনি ও শিশু888sport live footballের নানা শাখায় তিনি স্বীয় মেধার পরিচয় তুলে ধরেছেন। এছাড়া টেলিনাটক ও live chat 888sportের পাণ্ডুলিপিকার হিসেবে তিনি গুণীজনের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছেন।
এবারের বইমেলার 888sport alternative linkটির নাম যারা ভোর এনেছিল (ফেব্র“য়ারি ২০১২)। বইটি সম্পর্কে আরেক কথকোবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালের দুটি উদ্ধৃতি প্রণিধানযোগ্য – ‘যাঁরা ভোর এনেছিলেন, তাঁরা ছিলেন 888sport apk download apk latest version আর সম্মানের আড়ালে 888sport app পড়ে থাকা দূরের মানুষ। আনিসুল হক গভীর মমতায় তাঁদেরকে আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন।’
কাহিনির শুরু হয়েছে ব্যঙ্গমা আর ব্যঙ্গমিকে দিয়ে। মনে হচ্ছে কোনো নানি কিংবা দাদি গল্পের আসরে দীর্ঘ কোনো গল্পের সূত্রপাত করলেন। হয়েছেও তাই। ব্যঙ্গমা আর ব্যঙ্গমি কাহিনির অগ্রভাগে এসে পাঠকের চিত্তাকর্ষণ অনেক বাড়িয়ে তুলেছে। ব্যঙ্গমা আর ব্যঙ্গমির মুখেই অনেক ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত অকপটে বর্ণিত হয়েছে এবং তাদের মুখে বর্ণনা করে লেখক যে-কৌশলটি অবলম্বন করলেন তা পাঠককে কাহিনির গহিনে নিয়ে যাওয়া ত্বরান্বিত করেছে। প্রথম পরিচ্ছেদেই ব্যঙ্গমা আর ব্যঙ্গমির সংলাপ নিম্নরূপ-
‘দেশ স্বাধীন হইব। যুদ্ধ কইরা। সেই যুদ্ধের সময় মুজিবর আর একলা একটা মানুষ থাকব না, সাড়ে সাত কোটি মুজিবর হইয়া যাইব। ওইরকম মানুষ যদি সাড়ে সাত কোটি হয়, তার মানে কী দাঁড়ায়, তুমি বুঝলা!’
‘সাড়ে সাত কোটি আগুন – মানুষ। হা হা হা। পাকিস্তানিগুলান খুব নাস্তানাবুদ হইব।’ ব্যঙ্গমি মুখের পালকগুলি ফুলিয়ে বলে, ‘আচ্ছা, কও তো, ক্যান আমি কইলাম এ-কথাটা? কোন হিসাবে যে 888sport appsের মানুষের জয় হইব?’
ব্যঙ্গমা মুখ তোলে। ‘১০১টা কারণ আছে। এর মধ্যে একটা হইল, ছয় ফুট লোকটার ডান হাত হইয়া আছে একটা পাঁচ ফুট লোক। তার নাম তাজউদ্দীন। মুজিবর হইল ঝড়ের মতন। সবকিছু উড়ায়া নেয়। মুজিবর হইল সাগরের মতন। সবকিছু বুকে টাইনা লয়। আর তাজউদ্দীন হইল ঠান্ডা মাথার মানুষ। কথা কম কয়। আস্তে কয়। কিন্তু মাথা ঠান্ডা রাইখা পরিকল্পনা করতে পারে। বাঙালির পরম সৌভাগ্য যে, তারা শেখ মুজিবরের মতন নেতা পাইছিল। তবে সোনার সঙ্গে সোহাগা পাইছিল তাজউদ্দীনরে।’  (যারা ভোর এনেছিল, পৃ ১১)
ব্যঙ্গমা আর ব্যঙ্গমির কথার ভঙ্গি অসাধারণ। আর লেখকের বর্ণনায় আরেকটি বৃক্ষ পাঠক হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়। বৃক্ষটি হলো একটি বটগাছ।
888sport alternative linkে গোপালগঞ্জের মুজিবের ছোটবেলা উঠে এসেছে। মুজিবের ডাক নাম খোকা। খোকার গৃহশিক্ষক আবদুল হামিদ। আবদুল হামিদ মাস্টার খোকাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন স্বদেশ চেতনায়। তার মুখেই তিনি শুনেছেন সূর্য সৈন আর ক্ষুদিরাম বসুর গল্প। তাঁদের গল্প শুনতে-শুনতে খোকার ভেতর নড়েচড়ে উঠেছে অন্য এক মানুষ।  খোকা, হামিদ মাস্টারের কণ্ঠে শোনে সেই বিখ্যাত গান Ñ ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি, হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে জগৎবাসী।’ এই গান শুনে খোকার চোখ অশ্র“সজল হয়ে ওঠে। আস্তে-আস্তে তাঁর ভেতর দেশ ও মানুষ বড় হয়ে উঠতে শুরু করে। গ্রামের মধ্যেই তাঁর নেতৃত্বের গুণ বিকশিত হতে শুরু করে। তিনি মুসলিম লীগের কাউন্সিলর হয়ে যান। গোপালগঞ্জের মিশনারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় দুঃসাহসিকতার পরিচয় দেন। নিজেদের হোস্টেলের ছাদের কথা মন্ত্রীর পথরোধ করে নির্দ্বিধায় বলেন। বাংলার বাঘ ফজলুল হক আর সোহরাওয়ার্দী সেই চশমাওয়ালা ছেলেটার অপার সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন।
এন্ট্রান্স পাশ করে মুজিব গোপালগঞ্জ ছাড়লেন। কলকাতায় এলেন ১৯৪২ সালে। এখানে ইসলামিয়া কলেজে পড়বেন। তবে মুজিবের পড়াটা ছিল নাকি উপলক্ষ; আসল উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি করা। তখন কলকাতা ছিল উপমহাদেশের রাজনীতির কেন্দ্র। সেখানে মুজিব তাঁর স্কুলজীবনের সহপাঠীকে পেলেন। হোস্টেলের রুম সারাক্ষণ রাজনীতি নিয়ে সরগরম। হোস্টেলে পেপার রাখা হয়। একটি ইত্তেহাদ, অন্যটি আজাদ। এই পত্রিকা পড়তে ছেলেরা ভিড় করেন। আর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলে তুমুল আলোচনা। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। কলকাতা ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। লোকেরা মুখে-মুখে ছড়া কাটছে –
সা রে গা মা পা দা নি
বোম ফেলেছে জাপানি
বোমের মধ্যে কেউটে সাপ
ব্রিটিশ বলে বাপরে বাপ।
আর লোকজন শহর ছেড়ে পালাচ্ছে। ঠিক সেই সময় মুজিব নেতা সোহরাওয়ার্দীর সংস্পর্শে এলেন। আস্তে-আস্তে মুজিবের কাছে রাজনীতির অনেক দুয়ার খুলতে লাগল। তাঁর নিজেরও ওজস্বিতা বাড়তে লাগল।
অপরদিকে তাজউদ্দীন এগিয়ে আসছেন। 888sport app মুসলিম বয়েজ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের নাইনের ছাত্র তিনি। ছাত্রবয়সেই মুসলিম লীগের তরুণ কর্মী। শুধু তাই নয়, সংগঠন দাঁড় করানোর দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তাঁর এলাকা 888sport app জেলার উল্টর মহকুমা। এরপর এগোতে থাকে অন্তর্মুখী তাজউদ্দীনের কাজ। অন্যদিকে ফরিদপুর জেলার দায়িত্ব পড়েছিল শেখ মুজিবের ওপর। তাজউদ্দীন সম্পর্কে 888sport alternative linkে লেখকের বর্ণনা –
বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ আলোর ঝলকানি, একটু পর প্রচণ্ড গর্জন। আজ আর বাসায় ফেরা হবে না। পার্টি হাউসের মেঝেতেই শুয়ে পড়েন তাজউদ্দীন।
কিন্তু তার ঘুম আসতে চাইছে না। নানা কথা মনে পড়ছে। কিছুদিন আগে, পাকিস্তানের স্বাধীনতাপ্রাপ্তির দিন দশেকের মাথায় তিনি গিয়েছিলেন ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে। নতুন স্বাধীনতা পেয়ে লোকজন চেষ্টা করছে সবকিছু সুন্দর করে তুলতে।…
আপার ক্লাসের প্রবেশপথের মেঝেতে একজন উলঙ্গ বৃদ্ধা পড়ে আছেন। মৃত্যুপথযাত্রী। কেউ তার দিকে খেয়াল করছে না। তাজউদ্দীন মিটফোর্ড হাসপাতালে ফোন করলেন। সাড়া পেলেন না। তিনি ছুটলেন হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা বললেন, ‘আমাদের তো কিছু করার নাই।’ লীগ অফিসে গিয়ে আবার ফোন করলেন একজন সহকারী স্টেশন মাস্টারকে। তিনি আশ্বাস দিলেন ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তারপর তাজউদ্দীন ব্যস্ত হয়ে পড়লেন কলকাতা থেকে আসা কর্মকর্তাদের রেলওয়ে স্টেশনে অভ্যর্থনা জানানোর ব্যবস্থা করতে। (যারা ভোর এনেছিল, পৃ ১০৩)
তাজউদ্দীনের অসাধারণ ব্যাক্তিত্ব, মুজিবুরের দৃঢ় মানসিকতা – এ দুয়ে মিলে নতুন ভুবন তৈরি হলো। তাজউদ্দীন আর মুজিব এগিয়ে যেতে থাকলেন এক শক্তিশালী ধারা হয়ে।
বাংলা স্বাধীন হওয়ার পর লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় মুজিবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘888sport appsের আইডিয়াটা প্রথম কবে আপনার মাথায় এলো?’
তখন বাংলা স্বাধীন হয়েছে। শেখ মুজিব বাংলার প্রধানমন্ত্রী। মুজিব বললেন – ‘শুনবেন?’ মুচকি হাসি দিয়া শেখ মুজিব কইলেন, ‘সেই ১৯৪৭ সালে। তখন আমি সোহরাওয়ার্দী সাহেবের দলে। তিনি আর শরৎচন্দ্র বসু চান যুক্তবঙ্গ। দিল্লি থেকে খালি হাতে ফিরে এলেন তাঁরা। কংগ্রেস বা মুসলিম লীগ কেউ রাজি নয় এই প্রস্তাবে। আমিও দেখি যে উপায় নেই। 888sport appয় চলে এসে নতুন করে শুরু করি। তখনকার মতো পাকিস্তান মেনে নিই। কিন্তু আমার স্বপ্ন কেমন করে পূর্ণ হবে, এই আমার চিন্তা। তখন স্বপ্ন পূরণ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও ছিল না। লোকগুলো যা কমিওনাল। 888sport apps চাই বললে সন্দেহ করত। হঠাৎ একদিন রব উঠল, আমরা চাই বাংলা ভাষা। আমিও ভিড়ে যাই ভাষা-আন্দোলনে। ভাষা-আন্দোলনকেই একটু একটু করে রূপ দিই দেশভিত্তিক আন্দোলনে। এমন একদিন আসে যেদিন আমি আমার দলের লোকদের জিজ্ঞাসা করি, আমাদের দেশের নাম কী হবে? কেউ বলে পাক-বাংলা, কেউ বলে পূর্ব বাংলা। আমি বলি, না, 888sport apps।’ (যারা ভোর এনেছিল, পৃ ১৭৯-৮০)
এ-গ্রন্থে যেসব চরিত্র অঙ্কিত হয়েছে তাঁরা হলেন Ñ শেখ মুজিবুর রহমান, পিতা শেখ লুৎফর রহমান, মাতা সায়রা বেগম, স্ত্রী  রেণু, তাজউদ্দীন আহমদ, আবুল হাশিম, কামরুদ্দীন আহমদ, আইয়ুব খান, কায়েদে আজম, মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ, খাজা নাজিম উদ্দিন, লিয়াকত আলি খান, জওয়াহেরলাল নেহরু, ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন, স্ত্রী এডুইনা মাউন্টব্যাটেন, মওলানা আকরম খাঁ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খন্দকার মোশতাক আহমদ, তমুদ্দুন মজলিসের আবুল কাশেম, গাজীউল হক, অলি আহাদ, শামসুল হক, মুনীর চৌধুরী, জসীমউদ্দীন, আব্বাসউদ্দীন, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, ফররুখ আহমদ, সালাম, শফিউর, মোহাম্মদ তোয়াহা, শাহ আজিজ, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রমুখ।
সাড়ে সাত কোটি আগুন-মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখন অবশ্য 888sport appsের ১৬ কোটি ছাড়িয়ে পৃথিবীর নানা দেশে তাঁর প্রিয়তা ছড়িয়েছে। শেখ মুজিবের জীবনকাহিনি নিয়ে বাংলার সদ্যপ্রয়াত নন্দিত কথা888sport live footballিক হুমায়ূন আহমেদও একটি 888sport alternative link লিখেছেন, যার নাম দেয়াল। দৈনিক প্রথম আলোর মাধ্যমে আমরা তাঁর দুটি পরিচ্ছেদপাঠও করেছি এবং সেটি যথাযথ ইতিহাস অনুসরণ না করায় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তির জন্য কোর্টে উঠতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে আনিসুল হকের যারা ভোর এনেছিল অনেকটা নিষ্কণ্টক। এবং এরই মধ্যে তা বেশ কয়েকটি মুদ্রণলাভ করেছে।
এ-কথা বলার অপেক্ষাই রাখে না, আনিসুল হক ইতিহাসের সেসব মানুষকে পাঠকের কাছে নিয়ে এসেছেন, যাঁরা সোনার এই দেশটিকে জন্ম দিয়েছিলেন। যাঁদের রক্ত এদেশ, দেশের জনগণ কোনোদিন শোধ করার কথা মনেও আনবে না; তাঁদের  কাছে ঋণী হয়ে থাকাতেই মহত্ত্বের লক্ষণ প্রকাশ পাবে।
লেখকের অসাধারণ বর্ণনাশৈলী আর মমত্ববোধ কাহিনিকে খুব সহজেই হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে। 888sport appsের পাঠকদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।