কলের গানে বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাস

তপন বাগচী

বাঙালির কলের গান

আবুল আহসান চৌধুরী

বেঙ্গল পাবলিকেশন্স
888sport app, ২০১২

৪৭৫ টাকা

বাঙালির কলের গান বাঙালির সংগীতচর্চার ইতিহাস নিয়ে একটি অমূল্য গ্রন্থ। গ্রন্থটি যে-সকল কারণে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, ১. হারিয়ে যাওয়া প্রযুক্তির সন্ধান, ২. সংগীতের ঐতিহ্যের অন্বেষা, ৩. কলের গানের 888sport live chatীদের পরিচয়, ৪. দুষ্প্রাপ্য তথ্য-দলিল উদ্ঘাটন। আমরা জানি যে, দুষ্প্রাপ্য দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে আমাদের 888sport live football-সংস্কৃতির ইতিহাস-নির্মাণে আবুল আহসান চৌধুরীর অবদান দুই বাংলার বিচারেই শীর্ষে। রবীন্দ্র-সংগৃহীত লালনের গানের পান্ডুলিপি উদ্ধার ও হুবহু প্রকাশ করে তিনি বাঙালির কাছে ধন্যবাদার্হ হয়েছেন। শান্তিনিকেতনে রক্ষিত এই মহামূল্য দলিল ভারতের কোনো গবেষকের আগে 888sport appsের আবুল আহসান চৌধুরী উদ্ধার ও প্রকাশ করায় ভারতীয় অনেক গবেষকের কাছে তিনি ঈর্ষার পাত্রে পরিণত হয়েছেন। কেউ কেউ কটাক্ষ করে নিবন্ধও রচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথের অপ্রকাশিত কয়েকটি পত্র উদ্ধারের কৃতিত্বও তাঁর। তিরিশের আধুনিক পাঁচ কবির (কবির অন্তরমহল) পত্রবালি ছাড়াও অন্নদাশঙ্কর রায়ের পত্রাবলিও রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। কাজী আবদুল ওদুদের পত্রাবলি উদ্ধার করে তিনি ওদুদচর্চায় নতুন রসদ জুগিয়েছেন।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাঁর লালন সাঁই, কাঙাল হরিনাথ মজুমদার, আবদুল হামিদ খান ইউসুফজাঈ, জগদীশ গুপ্ত, মোহাম্মদ দাদ আলী, মহিন শাহের গান, প্রসঙ্গ হাছন রাজা এবং পশ্চিমবঙ্গ লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত আববাসউদ্দিন গ্রন্থেও তিনি দুষ্প্রাপ্য ও নতুন তথ্য ব্যবহার করে গবেষণানিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। কে. মল্লিকের অসমাপ্ত আত্মজীবনী উদ্ধার ও সম্পাদনাও তাঁর বড় কাজ। শচীন দেববর্মনের সরগমের নিখাদ সম্পাদনাও তাঁর সংগীত-গবেষণার স্মারক। এ-ধরনের পরিশ্রমী ও সময়সাপেক্ষ কাজ করতে গেলে মৌলিক চিন্তার ব্যাঘাত ঘটে জেনেও তিনি এ-কাজ থেকে সরে যাননি। একপর্যায়ে দেখা যাচ্ছে, মৌলিক গ্রন্থের চেয়ে সংকলন ও সম্পাদনা গ্রন্থের 888sport free betই বেড়ে যাচ্ছে। এতে লেখক হিসেবে ক্ষতি হচ্ছে তাঁর। কিন্তু পাঠক হিসেবে লাভ হচ্ছে আমাদের। নতুন তথ্যে নতুন ভাষ্যে নির্মিত হচ্ছে বাঙালির সংস্কৃতির নতুন ইতিহাস। এতে লাভ হচ্ছে গোটা বাঙালি জাতির। এ-কথা মানতে দ্বিধা নেই যে, তিনি হাত না দিলে লালনের জীবনতথ্যই বিকৃত হয়ে থাকত, লালনের গানের আদিরূপও খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ত। 888sport live footballিক এবং অধ্যাপক এই দুই পরিচয়ের বাইরে গিয়েও তিনি গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন। ভাষা-আন্দোলনের দলিল এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পত্রাবলি উদ্ধারের দায় ছিল ইতিহাসবিদদের। কিন্তু সে-দায় তিনি পালন করছেন পরম আন্তরিকতায়।
মুক্তহস্তে গদ্য লিখলে তিনি প্রাবন্ধিক হিসেবে আরো বেশি নাম করতে পারতেন। কিন্তু তিনি খ্যাতির চেয়ে দায়িত্ব পালনের প্রতি বেশি মন দিয়েছেন। এর মূল্য তিনি অবশ্যই পাবেন। তাঁর উদ্ধার করা তথ্য নিয়ে অনেকেই এখন নতুন গ্রন্থ রচনা করতে পারবেন। অনেক নতুন গবেষণার দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে তাঁর প্রতিটি গবেষণায়। এখানেই তাঁর কৃতিত্ব।
বাঙালির কলের গান গ্রন্থের সূচিপত্র দেখলে মনে হয় ১০টি 888sport liveের সমাহার। কয়েকটি লেখা ছাপা হয়েছিল সাক্ষাৎকার হিসেবে। কিন্তু প্রতিটি 888sport liveই রচিত হয়েছে ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার ওপর ভিত্তি করে। সরাসরি উল্লেখ না করলেও বোঝা যায়, তিনি সমাজ888sport apkের স্বীকৃত গবেষণাপদ্ধতি মান্য করেছেন। কলাবিদ্যার গবেষণাকর্ম যে সমাজ888sport apkের অংশ, গবেষক তা জানেন। তাই তিনি যে-সকল গবেষণাপদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তা হলো, ১, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক গবেষণাপদ্ধতি, ২. ক্ষেত্রসমীক্ষা পদ্ধতি, ৩. পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি, ৪. নিবিড় সাক্ষাৎকার পদ্ধতি প্রভৃতি। এসব গবেষণাপদ্ধতি প্রয়োগ করে তিনি যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন তা যাচাই-বাছাই করে তুলে ধরেছেন বাঙালির কলের গান নামক গ্রন্থে।
‘বাঙালির কলের গান : কাল-কালান্তর’ নামে প্রথম 888sport liveে বিধৃত হয়েছে গ্রামোফোন যন্ত্রের জন্মকথা আর সে-সূত্রে কলের গানের ইতিহাস। বাংলা গানের বিকাশে কলের গানের প্রভাবও বর্ণিত হয়েছে এতে। আববাসউদ্দীনের 888sport live chatী হয়ে ওঠার পেছনে গ্রামোফোনের ভূমিকাকে চিহ্নিত করে তিনি যথার্থই বলেছেন, ‘কলের গানের মোহজালে আবিষ্ট এক গ্রাম্যবালক যে উত্তরকালের সাড়া-জাগানো 888sport live chatী হয়ে উঠলেন, তার মূলে ছিল গ্রামোফোনেরই ভূমিকা। ধীরে মুসলিম জনমানসেও গ্রামোফোন জায়গা করে নিল। ‘শয়তানের বাক্স’ গোনাহ্র বেড়া ডিঙিয়ে অবশেষে বাঙালি মুসলমানের শুধু অন্দরমহল নয়, অন্তরমহলেও প্রবেশের অধিকার পেল।’ (পৃ ১৯) কলের গানের ব্যবসায় প্রথম বাঙালি মুসলমান যে আমাদের টাঙ্গাইলের জমিদারপুত্র আবদুল হালিম গজনবী, সে-তথ্যটিও তিনি তুলে এনেছেন। সন্তোষকুমার দে, আববাসউদ্দীন আহমেদ, পঙ্কজকুমার মল্লিক, কাজী মোতাহার হোসেন, সিতাংশু শেখর ঘোষ, আবদুশ শাকুর, দেবজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণাময় গোস্বামী প্রমুখের রচনা ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানির ক্যাটালগ ঘেঁটে তিনি নির্মাণ করেছেন কলের গানের জন্ম-ইতিহাস।
মেগাফোন কোম্পানির পরিকল্পক ও প্রতিষ্ঠাতা জিতেন্দ্রনাথ ঘোষের ভাইপো কমলকুমার ঘোষের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে দ্বিতীয় 888sport liveে নির্মাণ করেছেন মেগাফোন কোম্পানির ইতিহাস। একেবারেই প্রাথমিক উৎস থেকে আহরিত বলে এ-ইতিহাসই গ্রহণযোগ্য হতে বাধ্য। ১৯১০ সালে জন্ম নেওয়া এ-কোম্পানি আজ আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অংশ। সে-ইতিহাস লিপিবদ্ধ হলো আবুল আহসান চৌধুরীর হাতে।
তৃতীয় 888sport liveে রয়েছে ‘হিন্দুস্থান রেকর্ড কোম্পানি’র ইতিহাস। রবীন্দ্রনাথের 888sport app download apk ও গান রেকর্ডের মাধ্যমে এ-প্রতিষ্ঠান শুরু করেছিলেন চন্ডীচরণ সাহা। একসময়ে রবীন্দ্রপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ-প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিও ছিলেন। এ-কোম্পানির তারকা 888sport live chatীরা ছিলেন কুন্দনলাল সায়গল, সুধীরলাল চক্রবর্তী, শচীন দেববর্মন প্রমুখ। গবেষক জানিয়েছেন, ‘অংশুমান রায় ও করবী নাথের কণ্ঠে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচিত ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে/ লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি, প্রতিধ্বনি/ আকাশে বাতাসে ওঠে রণি/ 888sport apps, আমার 888sport apps’ – এই সংগ্রামী-চেতনার আবেগসঞ্চারী গানটির রেকর্ডও হয় ‘হিন্দুস্থান’ থেকে।’ (পৃ ১০৬) এরকম অনেক গৌরবের সমাচার তুলে ধরেছেন লেখক এ-অধ্যায়ে। পরবর্তী সাতটি 888sport liveে তুলে ধরা হয়েছে কলের গানের গৌরবের ইতিহাসের স্রষ্টা সাত কালজয়ী 888sport live chatীর অবদানের কথা। এঁরা হলেন – কে. মল্লিক, আববাসদ্দীন, শচীন দেববর্মন, কমলা ঝরিয়া, যূথিকা রায়, কমল দাশগুপ্ত ও প্রণব রায়। এঁদের মধ্যে আববাসদ্দীন, শচীন দেববর্মন ও কমল দাশগুপ্ত তো 888sport appsেরই মানুষ। এঁদের কথা কমবেশি আমাদের জানা। কিন্তু ইতিহাসের ধুলো ছেড়ে আবুল আহসান চৌধুরী আবিষ্কার করেছেন কে. মল্লিক তথা কাশেম মল্লিক ও কমলা ঝরিয়াকে।
কে. মল্লিক সম্পর্কে প্রাবন্ধিকের বক্তব্য, ‘বাংলা গানের জগতে – গ্রামোফোন রেকর্ড-888sport live chatের আদি-পর্বে কে. মল্লিক ছিলেন একটি যুগ, একটি অধ্যায়। তিনিই প্রথম বাঙালি মুসলমান যাঁর গান গ্রামোফোন রেকর্ডে ধারণ করা হয় – রবীন্দ্রসংগীতেরও তিনি প্রথম মুসলমান গায়ক ও রেকর্ড-888sport live chatী। বাংলা ভক্তিগীতির ক্ষেত্রে তিনি একটি ‘ঘরানা’ নির্মাণ করেন।’ (পৃ ১২৮)। অথচ বি888sport sign up bonusর অতলে ফেলা হয়েছিল এই কালজয়ী সুরস্রষ্টাকে। কে. মল্লিকের আত্মজীবনী উদ্ধার এবং মূলত তার ভিত্তিতে রচিত এ-888sport liveের মাধ্যমে কে. মল্লিক কিছুটা পাদপ্রদীপের আলোয় এলেন। সম্পাদনার মাধ্যমে যে মৌলিক কাজ করা যায়, আবুল আহসান চৌধুরীর এই 888sport live তথা এই গ্রন্থই তাঁর প্রমাণ বহন করছে।

‘সই কে বলে পিরিতি ভাল’, ‘কি মোহিনী জান বঁধু’ প্রভৃতি কীর্তন; ‘মা হওয়া কি মুখের কথা’, ‘মা আমায় ঘুরাবি কত’, ‘চিন্তাময়ী তারা তুমি’ প্রভৃতি রামপ্রসাদী; ‘শোন রে শোন বাংলা দেশের কাঙ্গাল চাষী ভাই’ প্রভৃতি গণসংগীতের অমর 888sport live chatী কমলা ঝরিয়াকেও বি888sport sign up bonusর অতল থেকে উদ্ধার করেছেন আবুল আহসান চৌধুরী। বিল্বমঙ্গল (১৯৩০), পাতালপুরী (১৯৩৫), দেবযানী (১৯৩৯) প্রভৃতি ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করলেও তাঁকে আমরা ভুলতে বসেছি। আবুল আহসান চৌধুরী তাঁকে সামনে নিয়ে এলেন। বাংলা গানের এই প্রবাদপ্রতিম 888sport live chatীকে তিনি যথাযোগ্য মর্যাদায় মূল্যায়ন করলেন। সম্ভবত কমলা ঝরিয়াকে নিয়ে প্রথম পূর্ণাঙ্গ 888sport live লেখার কৃতিত্বও তাঁর। এবং আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আবুল আহসান চৌধুরী ছাড়া আর কেউ কে. মল্লিক কিংবা কমলা ঝরিয়াকে নিয়ে এত তথ্যবহুল ও মূল্যায়নধর্মী 888sport live লিখতে পারতেন কিনা সন্দেহ! এখন হয়তো অনেকেই উৎসাহ পাবেন এঁদের নিয়ে 888sport live রচনার।
সংগীত888sport live chatী যূথিকা রায়ের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার রয়েছে এ-গ্রন্থে। ৭২ পৃষ্ঠার এ-সাক্ষাৎকারে যূথিকা রায়ের বেড়ে-ওঠা, সংগীতশিক্ষা, সংগীত888sport live chatী হয়ে-ওঠা, কমল দাশগুপ্ত, ফিরোজা বেগম, সমকালীন সংগীতচর্চা ও সংগীত888sport live chatী প্রভৃতি বিষয় ফুটে উঠেছে। গবেষণায় তথ্যসংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে নিবিড় সাক্ষাৎকার অতি প্রাচীন পদ্ধতি। কিন্তু এর যথার্থ প্রয়োগ ঘটানোর জন্য সাক্ষাৎকারগ্রহণকারীর ব্যাপক প্রস্ত্ততি ও যোগ্যতা দরকার। সে-যোগ্যতা সকলের থাকে না। কিন্তু আবুল আহসান চৌধুরীর যে সাক্ষাৎকার গ্রহণের যোগ্যতা তুলনারহিত, তার প্রমাণ রয়েছে ইতিপূর্বে প্রকাশিত আলাপচারী আহমদ শরীফ, অন্তরঙ্গ অন্নদাশঙ্কর, সুফিয়া কামাল : অন্তরঙ্গ আত্মভাষ্য প্রভৃতি সাক্ষাৎকারভিত্তিক গ্রন্থে। যূথিকা রায় ও কমলকুমার ঘোষের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তিনি 888sport live footballে সাক্ষাৎকারের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিলেন।
কমল দাশগুপ্ত ছিলেন নজরুলের ছাত্র, নজরুলগীতির 888sport live chatী, নজরুলের গানের সুরকার, যূথিকা রায়ের গুরু, ফিরোজা বেগমের গুরু। কিন্তু তাঁর শেষজীবন ছিল খুবই বেদনাময়। কলের গানের ইতিহাসের এই প্রাণপুরুষ সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনায় এ-গ্রন্থের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
‘আমি ভোরের যূথিকা’, ‘সে কোন বনের পাখি’, ‘এমনি বরষা ছিল সেদিন’, ‘তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন’, ‘আমি বনফুল গো’, ‘কতদিন দেখিনি তোমায়’, ‘জীবনে যারে তুমি দাও নি মালা’ প্রভৃতি অমর গানের রচয়িতা প্রণব রায়ের কথাও আমরা তেমনভাবে জানি না। তাঁর অনেক গানই নজরুল-গীতি হিসেবে প্রচারিত হয়েছে। এই প্রণব রায়কে নিয়ে আবুল আহসান চৌধুরী আলোচনা করেছেন, কলের গানের ইতিহাসের পূর্ণতার দিকে খেয়াল রেখেই। কেবল কলের গানের ইতিহাস নয়, কলের গানের ভেতর দিয়ে বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসই নির্মাণ করেছেন আবুল আহসান চৌধুরী।
বইটির শেষে রয়েছে কলের গানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্র। বইটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এ-ছবিগুলোর সংযুক্তি যথার্থ। আবুল আহসান চৌধুরী বাংলা 888sport live football ও সংস্কৃতির গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অগ্রগণ্য পুরুষ। তাঁর প্রতিটি গবেষণাকর্মই বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। বাঙালির কলের গান গবেষণাগ্রন্থটি তবু আগের অনেক কাজকে ছাড়িয়ে গেছে বিষয়ের গুণে, দুষ্প্রাপ্য তথ্যের সন্নিবেশনে। এ-ধরনের চর্চা অব্যাহত থাকলে বাঙালির হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুধাবন করা যাবে। এবং এক্ষেত্রে বাংলাভাষার গবেষকদের মধ্যে আবুল আহসান চৌধুরীর বিকল্প নেই, তা বলাই বাহুল্য। বাংলা গানের ইতিহাস রচিত হয়েছে, কলের গানের ইতিহাস রচনা করে বাংলা গানের ইতিহাসকেই সমৃদ্ধ করলেন আবুল আহসান চৌধুরী। বইটি কেবল পড়ার জন্য নয়, সংগ্রহের জন্যও বটে! বইয়ের আকারের তুলনায় দাম অনেকটাই বেশি। পাঠকের জন্য এই যা একটু কষ্টের!