কামারের পরমাত্মীয়

মইনুদ্দীন খালেদ

সভ্যতার আদিম আগুনে পুড়েছিল ধাতবখন্ড। চোখা ও ধারাল হাতিয়ার ছিল জীবনের অবলম্বন। এ-পথে আরো কিছুকাল এগোনোর পর ধাতব পাতের জোড়াতালিতে প্রাত্যহিক সরঞ্জামের সমৃদ্ধি এলো জীবনে। সেসব আদি কামারেরা পেশাজীবিতার সারণি তৈরি হলে একটা নাম পেল। তাদের ডাকা হলো স্যাকরা বলে। স্যাকরারা অনেক সুকৃতি সঞ্চয় করল। জীবনের প্রয়োজনকে 888sport live chatিত করে তুলল কঠিন ধাতু পিটিয়ে। অনেক ঘাম ও রক্তের সেই স্যাকরাকৃতিকে কেউ 888sport live chat বলে স্বীকৃতি দেয়নি। অবশ্য মাটি খুঁড়ে যখন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা তা আবিষ্কার করলেন, তখন তা আর ধাতব মূল্যে নয়, অমূল্য বলে বিবেচিত হলো।

সভ্যতার কারসাজিতে আদি কামার-কুমারেরা অপাঙ্ক্তেয় হয়ে ছিল দীর্ঘকাল। তারপর উত্তরাধুনিক হিসেবে তাদের শুধু পঙ্ক্তিভুক্ত করা হয়নি; সুদে-আসলে তাদের অর্জনের মূল্য বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনো কোনো 888sport live chatী এই আদিম ধাতব নির্মাণকলা সংলগ্ন থেকে সৃষ্টির মর্মার্থ বুঝতে চেয়েছেন। সম্প্রতি ভাস্কর তৌফিকুর রহমানের কাজের যে-প্রদর্শনী হয়ে গেল 888sport live chatাঙ্গন গ্যালারিতে, তা দেখে আমার মন সেসব আদিম 888sport live chatইশারায় শিহরিত হয়েছে। মূলত তৌফিকের ভাস্কর্য প্রদর্শনী হলেও ‘বেগুনবাড়ি’ ও ‘কারওয়ানবাজার’ এই নামে 888sport live chatী আরো তিন ভাস্করকে নিয়ে যে ‘অ্যাঁসিতু’ বা ‘সিচুয়েশনাল আর্ট’ করেছিলেন, তারও কিছু নমুনা এ-প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিল। ‘জীবন, 888sport live chat ও প্রক্রিয়া’ – এই থিমের মধ্যে নিজের ভাবনা বুনতে চেয়েছেন তৌফিক ও তাঁর 888sport live chatসঙ্গী লালারুখ সেলিম, নাসিমা হক মিতু ও নাসিমুল খবির ডিউক।

ধাতব পাতের জোড়াতালির করণকৌশল অবলম্বন করে তৌফিক ভাস্কর্য গড়েছেন। আকরিক লোহাকে দুমড়ে- মুচড়ে, ভেঙে-ছেনে, ঝালাই দিয়ে তিনি কতগুলো গড়ন তৈরি করেছেন। সেই গড়নগুলোর কী নাম; তা জানার চেয়ে লোহার যে একটা নিজস্ব স্বভাব আছে,   তা-ই দর্শকমনকে প্রথম দর্শনে নাড়া দিয়ে যায়। উদ্ভিজ্জ, প্রাণিজ ও মানুষিক অবয়ব তিনি কোনো অনুকারিতায় বুঝতে চাননি। বরং তিনি অভিব্যক্তির প্রেমে পড়েছেন। অভিব্যক্তির মুখর ভঙ্গিটা তাঁকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। এজন্য তৌফিকের কাজে একটা তুমুল এক্সপ্রেশনিস্ট চাড় আছে। জন্মসূত্রে পাওয়া নিজের যে-স্বভাববৈশিষ্ট্য তাঁর রক্তে রয়েছে, তা-ই তাঁর কাজে উজিয়ে এসেছে। সব 888sport live chatই তো 888sport live chatীর স্বাক্ষর – নিজস্ব সত্তার প্রতিক্রিয়া। শুধু লোহার ভাস্কর্য নয়, সেইসঙ্গে এ-প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত হয়েছে 888sport live chatীর ড্রইং। সব ড্রইংই বলপয়েন্টে আঁকা। একদিকে অতিসাধারণ আকরিক লোহার ভাস্কর্য, অন্যদিকে সবচেয়ে  সস্তা মাধ্যম বলপয়েন্টের ড্রইং; – এই দুইয়ে মিলে তৌফিকের দৃষ্টিভঙ্গি সহজেই অনুমান করা যায়। তিনি জানাতে চেয়েছেন, সৃষ্টির জন্য দুর্লভ সামগ্রীর প্রয়োজন নেই। নিত্যদিন যে-উপাদানের সঙ্গে আমাদের ওঠা-বসা তা দিয়েই তৈরি হতে পারে 888sport live chat, তা-ই 888sport live chatিত আবেগ প্রকাশের জন্য যথেষ্ট।

আমরা ওয়েলডিং বা ঝালাইয়ের পৃথিবীতে বেঁচে আছি। যত দিন যাচ্ছে, ততই লৌহকপাট, লৌহ-বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে নিরাপত্তা খুঁজছে মানুষ। বেহুলা-বাসরে তবু রন্ধ্র থেকে যায়। লোহার পাতের জোড়া আর এই জোড়াতালির পারস্পরিক সম্পর্ককে বিশেষ 888sport live chatসৌষ্ঠব দেওয়ার জন্য নানা রকম ফাঁক-ফোকর, নানা রকম উত্থান-পতনের ভঙ্গিমা তৈরি করেছেন তৌফিক। স্বয়ংক্রিয় চাল বা অটোমেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন এ-ভাস্কর। কোনো চেনা অবয়ব আর চেনা আঙিনায় থাকতে চায় না তাঁর কাজে। একটি প্রাণীর অভিব্যক্তি শেষ পর্যন্ত গতির অথবা সেই প্রাণীর শক্তির ও স্বভাবের অন্তর্লীন বৈশিষ্ট্যকে বিকীর্ণ করে দেয়। তৌফিকের কাজে পরিচিত অবয়ব উত্তীর্ণ হয় কোনো বিশেষ বোধ-বুদ্ধির স্মারকে। আমরা তাই তাঁর কাজে বিচিত্র গতি দেখি। লম্বমানতার সূত্রে উড্ডীন, তীরের মতো তীর্যক, এসব ভঙ্গি 888sport live chatীর প্রকাশবাদী দৃষ্টিকোণের কথা পষ্টত জানিয়ে দেয়। অথবা লোহার পাতের কাঠামোর মধ্যে আলোর যাতায়াত দর্শককে 888sport app download for android করিয়ে দেয় এই সত্য যে, স্থাপত্যের হিসাব অনুযায়ী এসব গড়ন নির্মাণ করা হয়েছে। ভাস্কর্য হোক আর স্থাপত্যই হোক, সব কাঠামোকে শেষ পর্যন্ত আলোর সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়।

ভাস্কর্য 888sport live chatের ইতিহাসে ‘ওয়েলডার স্কালপচার জেনারেশন’ বলে একটা পর্ব আছে। ‘জাংক আর্ট’, ‘ব্রুট আর্ট’,  সাব-অ্যাসথেটিক ম্যাটেরিয়ালস’ এসব 888sport live chatধারা ও 888sport live chatভাবনাও একই সূত্রে গাঁথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে সব ধ্রুপদী নিয়ম যখন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, তখনই 888sport live chat আমজনতার সঙ্গে রাজপথে নেমে যায়। ভাঙে চ্যাম্বার মিউজিকের আভিজাত্যের অহমিকা, চারু888sport live chat তুচ্ছ উপাদানকে পরম আদরে আলিঙ্গন করে – ভাস্কর্যেও প্লাস্টার অব প্যারিসের শোধিত শরীরের লাবণ্য আর ভাস্করদের আকর্ষণ করে না।

তৌফিক পরিশীলনের বিপরীতে থাকতে চেয়েছেন। বস্ত্ত তার বস্ত্তগত সত্তাটা খুলে দিয়ে কোনো আদিম মানুষের টোটেম ভাস্কর্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকুক – এটুকুতেই তিনি যেন সন্তুষ্ট। উচ্চমার্গীয় নন্দনতত্ত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আর ললিতকলার ললিতকে টিটকিরি দিয়ে অথবা ফাইন আর্টের ‘ফাইন’কে উপেক্ষা করে অপরিশীলত ব্রাত্য বা অন্ত্যজজনের 888sport live chatকৃতিকেই তিনি সবচেয়ে তাৎপর্যবহ মনে করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সে একজন জারমেন রিশিয়ে আর ১৯৭১-এর যুদ্ধোত্তরকালে আমাদের দেশে একজন হামিদুজ্জামান খানের আবির্ভাব ঘটে। এঁরা ধ্রুপদীধারার বিপরীতে থাকতে চেয়েছেন। দেশ-বিদেশের অনেক 888sport live chatকর্মের সঙ্গেই তৌফিকুরের সম্পর্ক রয়েছে। তবে ওয়েলডিং ভাস্কর্যের মাধ্যমে তিনি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন। এ মাধ্যমের প্রধান ভাস্কর তিনি। অনেক পরিচিত 888sport live chatকে ভিন্ন বয়ানে উপস্থাপন করেছেন তৌফিক। তাঁর ছাগলের মাথা ঘুরিয়ে দাঁড়ানোর মধ্যে পিকাসো আছে; কিন্তু ওয়েলডিংয়ের মাহাত্ম্যে তাতে প্রকাশভঙ্গি আরো বেশি জর্জর রূপ লাভ করেছে। পিকাসো যেখানে গর্ভবতী ছাগলের দেহভার শনাক্ত করে ভর ও মাধ্যাকর্ষণের সমীকরণ বোঝাতে চেয়েছেন, তৌফিক সেখানে মাধ্যাকর্ষণের বিপরীতে ছাগলের চাপল্য বা capricious অবস্থা জানান দিতে চেয়েছেন।

তৌফিক একটা সিচুয়েশন, অবস্থা বা পরিস্থিতি বোঝাতে চান। ঘটমান বর্তমান তাঁর প্রধান স্পেস। 888sport live chat ও জীবনযাপনকে পরস্পরিত করে তিনি উপলব্ধি করেন। তাই তাঁর ও তাঁর সঙ্গীদের রচিত ‘বেগুনবাড়ি’ ও ‘কারওয়ানবাজার’ ‘অ্যা সিতু’ 888sport live chatে আমরা শুধু জীবনের সঙ্গে 888sport live chatের যে নিরন্তর যোগাযোগ রয়েছে, তারই নিপাট পরিবেশনা দেখি তথ্যচিত্রের মতো স্বচ্ছতায়। বেগুনবাড়ির করাতকলের কর্মকান্ড, একটা হোটেলে খাবার সাজানোর ধরন, মানুষের যাতায়াত, কারওয়ানবাজারে রাশি রাশি ভোগ্যপণ্যের সঙ্গে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতার সম্পর্ক, প্রতিনিয়ত বদলে যাওয়া স্পেস – এসবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন তৌফিকরা। এ-কাজের সঙ্গে তৌফিকের ভাস্কর্য ও ড্রইংগুলোর কী সংযোগ, এ-প্রশ্ন জাগতে পারে দর্শকের মনে। আমার মনে হয়েছে, প্রোসেস বা প্রক্রিয়া অথবা চলমানতার সূত্রটা তৌফিক ব্যাখ্যা করতে চান। এই ভাস্কর স্পেসকে চলমান হিসেবে জেনেছেন। স্পেসের চলমানতার মর্মটা তিনি আমাদের সামনে তুলে ধরেন। এভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায়, কেন তাঁর ড্রইংয়ের মধ্যে এবং ভাস্কর্যেও একটা সত্তার রূপান্তর বা মেটামরফিক খেলা চলমান রয়েছে।

প্রথাগত ভাবনাকে ভেঙে নতুন বয়ানে বিষয় উপস্থাপন করতে চান বলেই তৌফিক লোহার দন্ডায়মান গড়নের নাম দেন ‘শাশ্বত (ইটারনাল)’। নদী ও 888sport promo codeর মতো কথা কয় – এ-ভাবনারই যেন ভাস্কর্যায়ন হয়েছে তাঁর ‘রিভার ব্যাঙ্ক’ নামের কাজে। ‘সূর্যোদয়’  শীর্ষক কাজে একটি মোরগ গলা উঁচিয়ে বাগ্ দিয়ে সকালের উদ্বোধন ঘোষণা করে। ধাতব পাত যেভাবে মোরগের ঝুঁটির আন্দোলন বুঝিয়েছে, তাতে বিরল 888sport live chatমান প্রত্যক্ষ করা গেল। ধাতব পাত ছাড়া যেন মোরগের ডাক এরকম মোক্ষমভাবে বিশ্লেষিত হওয়াই সম্ভব ছিল না। তৌফিকের ওয়েলডিংয়ের মধ্যে একটি শক্ত আদিম নিপুণ কামারের স্বভাব পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। একটা উৎক্ষিপ্ত ডানার পাখিপ্রতিম গড়নের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভালোবাসা’; বীজপত্র থেকে আলোর দিকে ধাবমান অঙ্কুর গড়ে নাম দেওয়া হয়েছে বিকাশ – এসব ভাবনার কারণে তৌফিককে বলা যায় নির্যাসপ্রিয় 888sport live chatী। তিনি অ্যাসেন্স বা নির্যাসের অন্বেষণ করে চলেছেন।

ধাতুর ধাতবত্বকে প্রদর্শন করার চেয়ে আর কোনো কিছুই তৌফিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় যেন। পরিশীলিত ভাষায় কোনো অবয়ব নির্মাণ করতে চান না তিনি। তিনি শুধু ভেঙেচুরে বস্ত্তসারকে দেখান আর অনম্য নিষ্ঠায় লোহারপাত জোড়া দিয়ে চলেন। যারা নাট-বল্টু বানায়, যে ঝালাইকাররা কালিঝুলি মাখা এঁদো কারখানায় বসে স্যাকরামি করে শৈল্পিক সাজ-সরঞ্জাম তৈরি করে, তাদেরই তিনি ঘনিষ্ঠজন। ইলেকট্রোড শলাকায় আগুন জ্বালিয়ে যারা কালো চশমা পরে তারাবাতির মতো সূর্যের বিপরীতে বসে প্রতিদিন ঝালাই-ফোড়াইয়ে নিষ্ঠাবান, তাদের খুব কাছের জন ভাস্কর তৌফিক। আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটায় যে লোহার সরঞ্জাম, তারই কৃৎকৌশলকে 888sport live chatসৃষ্টির প্রধান অবলম্বন মনে করেছেন তৌফিক। আমাদের বেঁচে থাকার মধ্যে যে-888sport live chat বা  যে-888sport live chat আমাদের বাঁচিয়ে রাখে তাকেই পরম জ্ঞানে অাঁকড়ে ধরেছেন এই ভাস্কর। আর বস্ত্তসার বিশ্লেষণ করে দেখানোর তাঁর যে খেয়াল তার সঙ্গে তাঁর একাডেমিক শিক্ষার খুব যোগ আছে বলে মনে হয় না। তিনি আশির দশকে 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে (তখন ইনস্টিটিউট) স্নাতক এবং বেইজিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। তাঁর তখনকার ড্রইংয়ে চৈনিক 888sport live chatভাষার গভীর যোগ ছিল। কিন্তু তিনি সে-ভাষার ড্রইংয়ে বিকশিত হতে চাননি। তারপর প্রাণিজ, বিশেষ করে কুকুরের নানা ভঙ্গির ভাস্কর্য গড়ে তৌফিক নিজস্ব বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠিত করেন। ভেঙেচুরে গেলে বস্ত্তর আন্তর-উপাদানকে যে উপলব্ধি করা যায়, তা তিনি ১৯৭১-এর যুদ্ধে বিধ্বস্ত দরদালান আর ধাতব গোলা দেখে ঘনিষ্ঠভাবে অনুধাবন করেন। অবশ্য দূর-শৈশবে ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় তৌফিকের সহোদর আমিন একটা ভাঙা মর্টার শেল কুড়িয়ে এনে তাঁকে দেখিয়েছিলেন। সেই তাঁর ধাতব বস্ত্তর ভাঙা রূপ দেখার শুরু। তারপর প্রিয় সহোদর ’৭১-এর যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। জীবনের ভাঙাচোরা অভিজ্ঞতা ধাতব খোল, পাত, দন্ডেই যে সম্যকভাবে প্রকাশিত হয়, তা তৌফিক মর্মে মর্মে অনুভব করে চলেছেন। তবু তৌফিক বুদ্ধের শরণাপন্ন হয়েছেন। ধ্যানী বুদ্ধকে নির্মাণ করেছেন জ্যামিতির সংঘারামে। ত্রিকোণের সঙ্গে ত্রিকোণের ভারসাম্য এবং দন্ডায়মানতার সঙ্গে দুদিক থেকে দুই তীর্যক কাঠামোর সংযোজন এবং মন্ত্র উচ্চারণের মতো ছোট ছোট অজস্র ধাতব খন্ডের ঝালাই, সব মিলিয়ে ধ্যানের তুরীয় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তৌফিকের বুদ্ধে তৌফিকের স্বভাব অনুসৃত হয়েছে। বুদ্ধ তার শান্ত সমাহিত নয়, উপবিষ্ট ও তপ্ত। হাঁটু ভাঁজ করে ভূমিতে আসীন হলেও তৌফিকের বুদ্ধকে আমরা ভার্টিক্যালিটি বা ঋজু মেরুদন্ডের স্তম্ভমানতার ব্যঞ্জনায় অনুভব করি। ভাস্কর তৌফিক তাঁর স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে বুদ্ধের প্রতি এই বিশেষ প্রণতি জানিয়েছেন।