সুশীল সাহা
আজ থেকে ঠিক একশ পঁচিশ বছর আগে বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার কুসুমগ্রামে জন্মেছিলেন মুনশি মহম্মদ কাশেম ওরফে সেকালের বিখ্যাত সংগীত888sport live chatী কে. মলি�ক। গত শতাব্দীর গোড়ার দিকে রেকর্ড সংগীতের উদ্ভবকালে কে. মলি�কের জনপ্রিয়তা ছিল উত্তুঙ্গ। ১৮৭৭ সালে টমাস আলভা এডিসনের ফোনোগ্রাফ যন্ত্র আবিষ্কারের অনতিকালের মধ্যেই বঙ্গজ ‘কলের গানের’ জনপ্রিয়তা শুরু হয়। ১৯০১ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় দি গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেড। ভারতে প্রথম রেকর্ডিং হয় কলকাতায় ১৯০২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন নামি বনেদি বাঈজি গহরজানের সেই গান ভারতীয় ‘কলের গানের’ ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। বাণিজ্য-অভিলাষী বিদেশি ব্যবসায়ীরা ভারতীয় বাজার ধরার আশায় একে একে কলকাতায় এসে ভিড় করেন। ক্রমে নিকোলে, বেকা, লাইরাফোন, ওডিয়ন প্রভৃতি বিদেশি রেকর্ড কোম্পানির মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে আরো আরো অনেকের সঙ্গে আপন প্রতিভা ও ক্ষমতার জোরে কে. মলি�ক হয়ে ওঠেন তথাকথিত এক ‘ব্র্যান্ড নেম’।
কে. মলি�কের এই সাফল্যের পেছনের ইতিহাস কিন্তু খুব সুখপ্রদ নয়। বহু কষ্ট ও সংঘাতের মধ্যে তাঁকে এই সংগীতজীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে হয়। তাঁর বাবার নাম মুন্শি ইসমাইল ও মায়ের নাম সানিজা বিবি। আট ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। তাঁর জন্ম ১৮৮৮ সালে। স্থানীয় প্রভাবশালী জমিদার এই মুন্শি বংশের সঙ্গে আত্মীয়তাসূত্রে আবদ্ধ থাকলেও তাঁদের আর্থিক অবস্থা তেমন সচ্ছল ছিল না। কৃষিকাজই ছিল মূল জীবিকা। বহু কষ্টে মুন্শি ইসমাইলকে তাঁর পরিবার প্রতিপালন করতে হতো। কে. মলি�কের খুড়তোত ভাই কুসুমগ্রামের জমিদার মুন্শি মহম্মদ ইব্রাহিম কে. মলি�ক ওরফে খোদাবক্সকে খুবই ভালোবাসতেন। তিনি তাঁকে আদর করে ডাকতেন ‘মানু’ বলে। ছেলেবেলা থেকেই মানুর অগাধ সংগীতানুরাগ। তিনি খুব দ্রুত কোনো গান আপন কণ্ঠে তুলে নিতে পারতেন। তাঁর কণ্ঠমাধুর্যের জন্য ইব্রাহিম তাঁকে খুব স্নেহ করতেন। তিনি তাঁর প্রিয় মানুর গান-বাজনা শেখার জন্য একজন সংগীতশিক্ষক নিয়োগ করেন। তাঁর নাম সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী। নিবাস কুসুমগ্রামের পার্শ্ববর্তী রাউতগ্রাম। কিন্তু ইব্রাহিম সাহেবের আকস্মিক মৃত্যুতে (১৩০৬ বঙ্গাব্দ) কে. মলি�কের জীবনে নেমে আসে এক ঘোর অমানিশার অন্ধকার। এভাবের সংসারে তাঁর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে ওঠে। এই দমবদ্ধ আবহাওয়া থেকে মুক্তির জন্য উপায় খুঁজতে তিনি ভাগ্যান্বেষণে কলকাতায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর সংগীতশিক্ষক সতীশবাবুই তাঁকে কলকাতায় যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁরই সহায়তায় একদিন কুসুমগ্রামের নাদন ঘাটের খড়িনদীতে নৌকো করে কালনা হয়ে তিনি স্টিমারে ত্রিবেণী পৌঁছান এবং সেখান থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় আসেন। কলকাতায় এসেই তিনি চলে যান তাঁর পরিচিত একই গ্রামের মুনসেফ আলির কাছে। তাঁরই ব্যবস্থাপনায় তুলাপট্টির এক তুলার দোকানে কাজ পেলেন কে. মলি�ক। দৈনিক মজুরি সাড়ে তিন আনা। সেখান থেকে নতুন চাকরি হলো চামড়ার গুদামে। দুর্গন্ধে বমি আসত তাঁর – খিদেয় প্রাণ ওষ্ঠাগত হলেও মাসিক ছ-টাকা বেতনের ওই কাজ করতে হতো বহুকষ্টে। এখান থেকেই র্যালি ব্রাদার্সে কাজ হলো তাঁর। জলপানিসহ মাসিক সাত টাকা। এই র্যালি ব্রাদার্স কোম্পানিই তাঁকে উত্তর প্রদেশের কানপুরে পাঠায় কাজের সূত্রে। এই কানপুরে আসাকে তাঁর সুপ্ত বাসনা বাস্তবায়নের একটি ধাপ হিসেবে গণ্য করা যায়। অফিসের কাজের মধ্যেও সংগীত সাধনার ইচ্ছা অন্তরে লালন করছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় লোকজন ও সহকর্মীদের চেষ্টায় তিনি খুঁজে পান তাঁর অন্য আরেক সংগীতগুরু আবদুল হাই হাকিমকে। হাকিমসাহেব ভাষা না বুঝলেও বাংলায় কে. মলি�কের গান শুনে মুগ্ধ এবং তাঁকে উচ্চাঙ্গসংগীত শিক্ষাদানে সম্মত হন। একাগ্র সাধনায় এক বছরের মধ্যেই কানপুরের সংগীতমহলে তাঁর পরিচিতি ঘটে। প্রতিষ্ঠা তখনো অনেক দূরে। এমন সময় এক পাগলা ফকিরের নির্দেশে তিনি র্যালি ব্রাদার্সের কাজে ইস্তফা দিয়ে কলকাতায় চলে আসেন। উঠলেন সেই মুনসেফ আলীর কাছে। এবার চিনেপাড়ায় চামড়ার কারখানায় কুড়ি টাকা মাইনের চাকরি হলো তাঁর।
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিককার কলকাতার সংগীতভুবন ছিল কবিগান, তরজা, আখড়াই, হাফ আখড়াই, কথকতা, পাঁচালি ইত্যাদি গানে ভরপুর। অন্যদিকে ছিল ভক্তিগীতি, ঢপ, কীর্তন, টপ্পা, ঠুংরি, গজল ও 888sport app রাগাশ্রিত গান। রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, রজনীকান্ত এবং অতুলপ্রসাদের গান তখনো তেমন জনপ্রিয় হয়নি। এহেন পরিবেশে কাজের ফাঁকে তিনি কলকাতার বিখ্যাত মলি�ক পরিবারের সংগীতানুরাগী গোরাচাঁদ মলি�কের বৈঠকখানায় গিয়ে নিয়মিত গানবাজনা করতেন। একদিন স্থানীয় ব্যবসাপট্টির বন্ধুবান্ধবেরা তাঁকে গান শোনানোর জন্য অনুরোধ করেন। সেই তুলাপট্টির মোড়ের ওপর মুনসেফ আলীর দোকানে হারমোনিয়াম নিয়ে একটি বাংলা গান ধরেন। অবাঙালি শ্রোতাদের অনুরোধে তিনি হিন্দি ভজন গান শোনান একটার পর একটা। ক্রমে গান শোনার জন্য লোকজনের ভিড় হতে থাকে। ট্রাফিক জ্যাম হয়ে ট্রাম-বাসও নিশ্চল দাঁড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। ক্রমে ভিড় ঠেকাতে পুলিশকে আসতে হয়। ওই সময় ওই ট্রাফিক জ্যামের মধ্য দিয়েই গাড়ি করে যাচ্ছিলেন ‘বেকা’ রেকর্ড কোম্পানির এক ইউরোপিয়ান সাহেব এবং ওই কোম্পানিরই শান্তি মলি�ক। তাঁরাও ওই গান শুনতে পান এবং অনুভব করেন সমবেত জনতার আবেগ ও সংগীতপ্রেমকে। যা হোক ভিড় ঠেলে শান্তি মলি�ক তাঁর কাছে আসেন এবং সোজাসুজি প্রস্তাব দেন গান রেকর্ডিংয়ের। এ যেন মেঘ না চাইতে জল। কে. মলি�ক রাজি হয়ে যান সঙ্গে সঙ্গেই। সেদিনই তিনি ছুটে গিয়ে খবর দেন তাঁর পরমবন্ধু গোরাচাঁদ মলি�ককে।
পরদিন বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে সেই পরমবন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ‘বেকা’ রেকর্ড কোম্পানির স্টুডিওতে ১২টি গান রেকর্ড করেন তিনি এবং হাতে পান একসঙ্গে তিনশো টাকা। তখনকার দিনে ওই টাকা অনেক। আনন্দে, উত্তেজনায় তিনি রীতিমতো বিহবল হয়ে পড়েন। সন্ধ্যায় শান্তিবাবু তাঁকে জানান, গোরাচাঁদবাবুর সঙ্গে আলোচনা করে রেকর্ডের জন্য তাঁর নতুন নামকরণ করা হয়েছে। কাশেমের কে আর গোরাচাঁদ মলি�কের ‘মলি�ক’ – এই দুইয়ে মিলে তাঁর নাম হলো কে. মলি�ক। কেননা তাঁকে দিয়ে মূলত যেসব ভক্তিগীতি রেকর্ড করানো হয়েছে তার শ্রোতা প্রধানত হিন্দুধর্মের লোকেরা। আসলে এই ছদ্মনাম গ্রহণ একটা সময়ের ইতিহাস বই আর কিছু নয়। 888sport live chatীর আবার কিসের জাত। 888sport live chatী তো আসলে 888sport live chatীই। যে সামাজিক কারণে ইউসুফ খানকে দিলীপকুমার হতে হয়, তালাত মাহমুদকে তপনকুমার – তা থেকে আমরা খুব দূরে এসেছি কি? অপরদিকে বহু হিন্দু গায়ক-গায়িকাকে ওই সময়ে ইসলামি গান বা কাওয়ালি গান রেকর্ড করার জন্য মুসলিম নাম নিতে হয়েছে। কে. মলি�ককে শ্রোতাদের কথা ভেবে অবশ্য নানা নামে গান গাইতে হয়েছে। কখনো তিনি হয়েছেন কাশেম, কখনো মহম্মদ কাশেম, কাশেম অ্যান্ড পার্টি, মহম্মদ কাশেম কাওয়াল। শঙ্কর মিশ্র নামে তিনি প্রচুর রাগাশ্রয়ী গান রেকর্ড করেছেন। সর্বোপরি কে. মলি�ক নামটি তো ছিল। সব নাম ছাপিয়ে এই নামটিই তাঁকে বিখ্যাত করে। যা হোক, কে. মলি�কের প্রথম গান ‘হরি দিবানিশি ডাকি তাই’ ও দ্বিতীয় গান ‘তোমারি আশে বসে আছি’ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার মন জয় করে নেয়। ‘বেকা’ কোম্পানি থেকে পরপর ছয়টি গান বেরোনোর পরেই প্যাথিফোন ও ওডিয়ন ছাড়া আরেক জার্মান কোম্পানি তাঁর কয়েকটি রেকর্ড বাজারজাত করে। কে. মলি�ক তখন বাংলা সংগীতজগতে এক বহু আলোচিত নাম। ক্রমে আগমনী ও বিজয়ার গানেও তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। গহরজানের পাশাপাশি অন্য মহিলা888sport live chatীরা যেমন কৃষ্ণভামিনী, বেদানাদাসী, মানদাসুন্দরী, আশ্চর্যময়ী, ইন্দুবালা ও আঙুরবালারা ছিলেন, তেমনি পুরুষকণ্ঠের চন্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শশীভূষণ দে, নারায়ণচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বলাইচন্দ্র শীল, রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী। এঁদের মধ্যেই আপন ক্ষমতাবলে কে. মলি�ক তাঁর নিজস্ব জায়গা করে নেন।
১৯০৯-১০ থেকে ১৯৪৮ সাল, এই দীর্ঘসময় কে. মলি�কের সংগীতজীবনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। এই সময়কালের মধ্যেই তিনি যশ, অর্থ ও প্রতিষ্ঠা পেয়ে খ্যাতির শীর্ষে ওঠেন। গ্রামোফোন রেকর্ডের জনপ্রিয়তা গানের মজলিশেও তাঁর কদর বাড়িয়ে দেয়। ওইসব সংগীতসভায় তাঁর প্রচুর অর্থপ্রাপ্তিও হতে থাকে। একসময় রেকর্ড করার চেয়ে সংগীতের আসরে গান গাইতেই তিনি বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এত কিছুর মধ্যেও তিনি কিন্তু চামড়ার দোকানের চাকরিটি ছাড়েননি। কেননা দুঃসময়ে ওই কাজটিই তাঁকে বাঁচার রসদ জুগিয়েছিল। কৃতজ্ঞ কে. মলি�ক খ্যাতির শীর্ষে উঠেও সেকথা ভোলেননি।
কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কে. মলি�কের বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল। যদিও তিনি নজরুলের চেয়ে এগারো বছরের বড় ছিলেন। দুজনারই জন্ম জ্যৈষ্ঠ মাসে। নজরুলের ১১ আর কে. মলি�কের ১২ তারিখে। এও বাহ্য। কিন্তু নজরুলের গানে কে. মলি�কের কণ্ঠদান এক ঐতিহাসিক ঘটনা। একথা সুবিদিত যে, নজরুলের ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’ কে. মলি�কের গাওয়া প্রথম গান। এছাড়া তাঁর কণ্ঠে গীত ‘কে বিদেশী মন উদাসী’ একসময় মাঠ-ময়দানের মানুষ থেকে শহরের মানুষের মুখে-মুখে ফিরত।
অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার’ গানটির রেকর্ড কে. মলি�কের কণ্ঠে একসময় খুব জনপ্রিয় হয়। যদিও পরে রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং 888sport live chatীকে ডেকে গানটি সম্পর্কে তাঁর আপত্তির কথা জানান এবং সঠিক সুরে রেকর্ড করার পরামর্শ দেন। কে. মলি�ক রাজি হন না। অবশেষে রবীন্দ্রনাথ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দিয়ে ওই গানটি রেকর্ড করান – সে রেকর্ড কিন্তু তেমন বিক্রি হয়নি। গান যে অনেক সময় স্রষ্টাকে ছাড়িয়ে 888sport live chatীর হয়ে যায় এই ঘটনা তার বড় প্রমাণ। যদিও শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত বিশারদরা এ-ব্যাপারে প্রচুর তর্কবিতর্ক করতে পারেন।
কীর্তনগানে কমলা ঝরিয়ার নাম একসময় সকলের মুখে-মুখে ফিরত। এই কমলা কে. মলি�কের আবিষ্কার। একসময় তিনি ঝরিয়ার রাজবাড়ির সভাগায়ক ছিলেন। সেখান থেকে চলে আসার সময় তিনি বালিকা কমলাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন এবং আঙুরবালার কাছে সংগীতশিক্ষার ব্যবস্থা করেন। অশেষ প্রতিভাময়ী কমলা প্রকৃত শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে কীর্তন গানে একসময় প্রচুর খ্যাতির অধিকারিণী হন।
১৯২০ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত এইচএমভির রেকর্ড বুলেটিনে লেখা হয়, ‘কে. মলি�ক আমাদের সব্যসাচী।’ তখন পর্যন্ত তাঁর রেকর্ডের 888sport free bet একশর কাছাকাছি। সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে 888sport free betটি অনেক। নানা ধরনের গান গেয়ে তিনি তখনকার 888sport live chatীদের মধ্যে জনপ্রিয়তম ছিলেন। একসময় তাঁর রেকর্ডের দাম অন্য 888sport live chatীদের চেয়ে এক টাকা বেশি রাখা হতো। সব্যসাচী উপাধিটা রেকর্ড কোম্পানি তাঁকে যথার্থভাবেই দিয়েছিল।
এতো জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও রেকর্ড কোম্পানিগুলো কে. মলি�ককে তাঁর প্রাপ্য রয়্যালটি থেকে বঞ্চিত করেছে। 888sport live chatীর সারল্য ও নির্বিবাদী স্বভাবের সুযোগ নিয়ে তাঁরা এ-কাজ অতি সন্তর্পণে করেছে। যা হোক খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও কে. মলি�ক ১৯৪৮ সালে কলকাতার সংগীতজগৎকে বিদায় জানিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। রেকর্ড করা বন্ধ করলেও গান কিন্তু তিনি ছাড়েননি। বর্ধমানের নানা সংগীতের আসরে তখন তাঁকে দেখা যেত স্বভাবসিদ্ধ আসর মাত করা ঢঙে। এসময় তিনি গ্রামের চাষাভুসোদের ডেকে ডেকে গান শেখাতেন। একদা যে-মানুষটি সংগীতপিপাসায় আকুল হয়ে বহু বিচিত্র জীবনধারার মধ্যে নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন, সে-মানুষটি সংগীতজীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর একধরনের তৃপ্ত ও ক্লান্ত হয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসেন। ছায়াছবির জগতে বিখ্যাত তারকা অসিতবরণ একদা সিনেমা জগৎকে বিদায় জানিয়ে সমবেত কীর্তন গানের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর সাধনা করতেন – কে. মলি�কের এই স্বেচ্ছানির্বাসনও যেন খানিকটা সেই রকমই।
তথ্যসূত্র
১। বিশ শতকের গান, সন্তোষ কুমার দে।
২। বি888sport sign up bonusর সংগীত888sport live chatী কে. মলি�ক, গিরিধারী সরকার।
৩। বিস্মৃত সুর888sport live chatী কে. মলি�ক, আবুল আহসান চৌধুরী।

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.