ক্ষুধা ও প্রেম

হুমায়ূন মালিক

 

তারেক দরজার কাছে এসে থামে, বলে, ওই যে বেঞ্চে, মেরুন রং শাড়ি…

এই… তারেকের কথা কাট করে হাঁক, দেখি ভাই… হাতে হাতকড়া পরা মধ্যবয়সী এক আসামিসহ দুই-তিন পুলিশ।

বউ আর বউয়ের লাঙ্গরে প্রেকটিকেলে পাইয়া শালায় জোড়া খুন ঘটাইছে। তার পাশ থেকে কেউ বলে।

আসামিসহ পুলিশ আদালত কক্ষে ঢোকার পেছন পেছন রায়হানও। ঢুকে পাশে, পেছনে তাকিয়ে দেখে তারেক নেই। মানে তার আইনজীবী বন্ধুটি আর কোনো দায়িত্ব নিতে নারাজ – ওই আঙুল তুলে দেখিয়ে দেওয়াই, যদিও সে-ই তাকে এই বিদেশিনীর বৃত্তান্ত শোনায় এবং এ বলেও উসকে দেয় যে, এইটা নিয়া বাজার মাৎ করা একটা স্টোরি হবে।

রিপোর্টার সজল রায়হান কক্ষের একপাশে ক-মুহূর্ত দাঁড়িয়ে থাকে। ওই 888sport promo code তার কাছে প্রায় মধ্যযুগের বাংলা 888sport app download apkর নায়িকা হয়ে যায়। বিশেষত আলাওলের 888sport app download apkয় এরকম 888sport promo codeর বর্ণনাই ও পেয়েছে। নামটাও সেরকম… জুলায়খা। কিংবা এমন এক নামই তাকে এই কাব্যবোধে আক্রান্ত করেছে। পুরো নাম জুলায়খা বিনতে খালিদ বিন শরীফ আল বায়ামী। মতিঝিল থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের ডায়েরিতে এই নামই লেখা আছে। তার দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি সেখানকার 888sport apps দূতাবাসকে তাকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। তারেক ও তদন্ত কর্মকর্তা সোলায়মান খানের কাছে বর্ণনা শুনে যে রকম স্মার্ট 888sport promo codeমূর্তি তার কল্পনায় নির্মিত হয় এই 888sport promo code তা নয়। তবে এক ধরনের আভিজাত্য ফর্সা বাঙালি 888sport promo codeর চেয়েও উজ্জ্বল বর্ণের মুখমন্ডল উদ্ভাসিত করে আছে। রায়হান তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার কথা ভাবে। এছাড়া পথ নেই। তারেক পারত মহিলার অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে। কিন্তু অ্যাডভোকেট তারেক, যে কোনো কারণেই হোক, ও বলার পরও দায়িত্বটি নেয়নি। রায়হান জুলায়খা বায়ামীর কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। মহিলা চোখ তোলে। উদ্ভাসিত করুণ চোখ। রায়হান হাত ওঠায় সৌজন্য ভঙ্গিতে। রমণীর কমলা কোয়ার অধরোষ্ঠ নড়ে ওঠে, হয়তো কিছু বলে তার সালামের প্রত্যুত্তরে কিন্তু রায়হান কিছু শুনতে পায় না। হয়তো তা ডুবে যায় আদালতকক্ষের কোলাহলে।

আমি সজল রায়হান, সাপ্তাহিক নিবেদন থেকে এসেছি। আপনার একটি সাক্ষাৎকার নিতে চাই। এটুকু বলে ও থামে – মেয়েটি বিব্রত; কী সব আধফোটা, দুর্বোধ্য শব্দ উচ্চারণ করে।

জুলায়খা বায়ামী তাহলে বাংলা জানে না! এবার রায়হান ইংরেজির আশ্রয় নেয়, আই অ্যাম সজল রায়হান, স্টাফ রিপোর্টার, উইকলি নিবেডন, মোস্ট পপুলার ক্রাইম ম্যাগাজিন।

কিন্তু এতেও মহিলার বিব্রত, হকচকিয়ে যাওয়া ভাবটা কাটে না। ইতিউতি কাকে যেন খোঁজে। যাকে খুঁজছে দৃষ্টির আওতায় সে সহসা ধরাও পড়ে, এদিকেই আসছে। মাঝারি হাইটের তামাটে চিকনা গড়ন লোকটার পড়নে ইস্ত্রিহীন শার্ট-প্যান্ট, ত্রিশের মতো বয়স। এ হয়তো জুলায়খা বায়ামীর অ্যাডভোকেটের মুহুরি।

মহিলা কিছু বলে তাকে – সম্ভবত আরবি ভাষায়।

লোকটা আমার দিকে তাকায়, কী বলতে চান আমারে বলেন।

আপনি… আমি… রায়হান শেষ করতে পারে না।

আমি তার স্বামী।

স্বামী! নূর ইসলাম! রায়হান বিস্মিত – মেইড বাই মাটি এমন একটি লোক হয়তো চাপায়-গালে-কপালে একটু বেশি পোড়ার দাগ কিন্তু সে প্রেম, নাকি ভুলিয়ে-ভালিয়ে, কীভাবে যে এই 888sport promo codeকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে এখানে নিয়ে এলো! লোকটার কথার ভঙ্গি থেকে যদিও তাকে কাঠখোট্টা গোছের মনে হয়, কিন্তু তার চোখ দুটো কেমন মায়াময়। রায়হান এক কসাইকে চেনে। তাদের বাসার কাছে কোথাও থাকত। এমনই মায়াময় আকর্ষণীয় চোখ। রায়হানের অবাক লাগত – এ রকম চোখ নিয়ে মানুষ নির্দয় কসাই হতে পারে! অথচ কিছুদিন আগে হারামজাদা বস্তির এক যুবতী খুন করে ফেরার।

রায়হান নূর ইসলামকে তার উদ্দেশ্যের কথা পাড়ে। লোকটা এসব শুনে ভয়ে ফ্যাকাসে হয়ে যায়। কী করে রায়হানকে এড়িয়ে যাবে ভেবে উঠতে পারে না। একসময় বউ নিয়ে সরে পড়তে তৎপর। রায়হান লেগে থাকে। আপন উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্য মাথায় রেখে কথায় কনভিন্স করার চেষ্টা করে। কিন্তু লোকটা জুলায়খার অবস্থান পালটে তাকে অ্যাডভোকেট-দর্শকদের বসার বেঞ্চগুলোয় যেখানে সবচেয়ে ভিড় সেখানে দুই মহিলার মাঝে বসায়।

জুলায়খাকে সেখানে বসিয়ে নূর ইসলাম যখন আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রায়হান তাকে আগলে দাঁড়ায়। কী ব্যাপার আপনে এমন করতেছেন কেন!

ভাই, লোকটা রায়হানের হাত চেপে ধরে, আমারে ক্ষমা দেন। আমাদের পারিবারিক বিষয়ের কাহিনি বানায়া ছাপায়া আমার বিপদ আর বাড়ায়েন না।

এটুকু বলেই নূর সাংবাদিকের হাত ছেড়ে দ্রুত সরে পড়ে।

তার সুন্দরী বউয়ের ছবি, দুজনার রসালো গোপন কথা বেচে শালা পয়সা কামাবে আর শালাদের সে এমন কাজে ইন্ধন জোগাবে ০ এতটা বেকুব হলে কি জুলায়খার মতো 888sport promo code তার জন্য ঘর ছাড়ে! অথচ সে তো তখন মাস্কাটের একটা টেইলারিং শপে সামান্য এক দর্জি বই আর কিছু নয়। যদিও দেশে থাকতেও ও তার গ্রামের বাজারে এই কাজই করত এবং লোকে বাজারের আর সব দর্জির চেয়ে তার কাজ পছন্দ করত। ওমান এসে সে ওই কাজই পায়। একদিন জুলায়খা নামের এই 888sport promo code সালোয়ার-কামিজ বানাতে ওই টেইলারিং শপে আসে। ও তার গায়ের মাপ নিতে গেলে তার কেন যেন মনে হয় মহিলা কামুক প্রকৃতির। তখনো সে ওর স্বামীর যৌন অসামর্থ্যের কথা জানে না। টেপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশের মাপ নিতে গিয়ে কোথাও যখন ওর হাতের স্পর্শ লেগে যাচ্ছে মহিলা গরম তেলের ছিটে লাগার মতো ছিটকে উঠছে না। তাবাদে ও যখন ইচ্ছে করেই অহেতুক তার গায়ে হাত ঠেকাচ্ছে তখনো কোনো রকম প্রতিবাদ নেই। এদিকে নূর ইসলামের গা কখনো জ্বলে উঠছে, আবার কখনো হিম।

এর দুদিন পর সে সালোয়ার-কামিজ নিতে আসে, এসে মাপজোখ ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য কাপড়গুলো নিয়ে ড্রেসিংরুমে ঢোকে। সেগুলো পড়ে যখন ও বেরিয়ে আসে তাকে বেশ ক্ষুব্ধ দেখায়। নূর ইসলাম জানতে চায় কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা।

অনেক সমস্যা। দেখুন কিসের মধ্যে কী করেছেন! বলতে বলতে মহিলা ড্রেসিংরুমে ঢোকে। নূর ইসলাম তাকে অনুসরণ করে। খুব সংক্ষিপ্ত আয়তনের রুম। নড়াচড়া করতে গেলে গায়ে গা ঠেকে। মহিলার অভিযোগ বুকের এখানটায় আঁটসাঁট, বাহুর দিকটা বেশি ঝোলা ইত্যাদি। তার এসব অভিযোগ যুক্তিযুক্ত মনে হয় না নূরের। তবু টেপ দিয়ে মাপজোখ শুরু করে। এরই একপর্যায়ে মহিলা চুম্বনপ্রার্থী অধরোষ্ঠ বাড়িয়ে দেয় তার দিকে। নূর ইসলাম সহসাই তার প্রার্থনা মঞ্জুর করে। কিন্তু সে ভোলে না এটা আরব দেশ এবং ড্রেসিংরুমের দরজা খোলা। যদিও দৃষ্টির আওতায় কেউ নেই কিন্তু আসতে কতক্ষণ। তো নূর বলে, কেউ দেখলে মহাবিপদ হবে।

আমার বাসায় আসুন-না, জুলায়খা বায়ামীর প্রস্তাব, জামা-কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার নেওয়ার ছুতোয় আসা-যাওয়া করলে কেউ কিছু সন্দেহ করবে না।

পরদিন ঠিকানা অনুযায়ী ভয়ে ভয়ে জুলায়খার বাসায় গিয়ে হাজির হয় নূর। জুলায়খার স্বামী আমানউল্লাহ খালিদ সেদিন ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে তাদের শহরের বাইরে। তবে খালিদের আরেকজন স্ত্রী বাসায়ই। আছে কাজের লোকজন। জুলায়খা সোফার কুশনের কভার বানানোর জন্য এসবের মাপজোখের উছিলায় তাকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে রাখে – তাতে চোরাগোপ্তা চুম্বন, স্পর্শের আগুন ছাড়া আর কোনো প্রাপ্তি জোটে না।

কয়েকদিন পর নূর ইসলাম কভারগুলো ফেরত দিতে আসে। জুলায়খার ঘর আজ শুধু স্বামী নয়, সতীনহীনও – তো তাকে এবার আর কোনো ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিতে হয় না।

নূর ইসলাম যেখানে যাক, রায়হান প্রতীক্ষায় থাকে, বান্দার এখানে ফিরে আসতে হবে। কারণ কোর্টে তাকে হাজিরা দিতে হবে, নইলে ওয়ারেন্ট হবে। তাছাড়া জুলায়খা এখানে রয়ে গেছে।

ক্যামেরাম্যান জামিরুল হক এখনো এসে পৌঁছায়নি। ১০টায় তার এখানে আসার কথা। এখন ১১টা ১০। ও একটু-আধটু আরবি বোঝে, দুই-চার শব্দ বলতেও পারে। থাকলে তাকে নিয়ে সরাসরি আরেকটা পদক্ষেপ নেওয়া যেত। অন্তত কোনো একটা কৌশলে ছবি তুলে রাখা।

ম্যাজিস্ট্রেট এসে কোর্টে বসেন। একটি মামলার শুনানি হওয়ার পরপরই এক আর্দালি আদালতকক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে হাঁক দেয়, আসামি জুলেখা বিবি, নূর ইসলাম হাজির…

জুলায়খা বায়ামী ও নূর ইসলাম এই ডাকে উঠে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়ায়।

মামলার বাদি মতিঝিল থানার সিআই সোলায়মান খানও এজলাসে আছেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও 888sport app মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে এই মামলার তদন্ত করছেন। তার তদন্তের কাজ এখনো শেষ হয়নি – সিআই এই মর্মে একটি দরখাস্ত আদালতে পেশ করেন।

মামলার আবারো তারিখ পড়ে।

ইতোমধ্যে জামিরুল এসে গেছে। রায়হান ওকে বলে দিয়েছে, ওরা সম্ভবত ছবি দেবে না। তাই সুযোগমতো ছবি তুলে নিতে হবে। জামি তক্কে-তক্কে আছে। কিন্তু মহিলার প্রেমিক নূর ইসলাম তা ঠাহর করতে পারে। নিশ্চয়ই তার ফলে জুলায়খা বায়ামী শাড়ির অাঁচল দিয়ে বাঙালি কুলবধূর মতো মুখ ঢেকে আছে। ব্যাপারটা রায়হানের কাছে বেশ হাস্যকর – এমন এক মহিলার এই কান্ড।

জুলায়খা-নূর যখন বেরিয়ে যাচ্ছে আদালতকক্ষের সামনে রায়হান আবারো তাদের মুখোমুখি। নূর ওকে তাদের পাশের এক ভদ্রলোককে দেখিয়ে বলে, ওনার সঙ্গে কথা বলেন।

লোকটি রায়হানের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি অ্যাডভোকেট মফিদুল আলম, 888sport app কোর্ট। কী বলতে চান আমাকে বলেন।

রায়হান বিষয়টা খুলে বলে। এরই এক ফাঁকে জনান্তিকে ও ক্যামেরাম্যান জামিরুলকে বলে জুলায়খাকে ফলো করতে যাতে ওরা কেটে পড়তে না পারে। জামি রায়হান ও অ্যাডভোকেট মফিদুলকে পেছনে ফেলে জুলায়খা ও নূর ইসলামের সঙ্গে সঙ্গে যায়, কথা বলার চেষ্টা করে।

এদিকে তরুণ অ্যাডভোকেট এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতেই নারাজ। সম্ভবত তার ভয়, যদি বিষয়টা খবরের কাগজে ওঠে তবে তার মতো আনাড়ি উকিলের হাত থেকে মামলাটি অন্য কোনো বড় ল’ইয়ারের হাতে চালান হয়ে যাবে। তিনি রায়হানকে বিদেয় করতে তৎপর। কিন্তু সে এক মহাফ্যাসাদ হয়ে কোর্ট এলাকা থেকে দেড় গলি পাড়ি দিয়ে তার চেম্বার পর্যন্ত আসে। তাদের পৌঁছার আগেই জুলায়খা, নূরু ও ফটোগ্রাফার এসে তার চেম্বারে বসে আছে।

জুলায়খা নূর ইসলামের পাশে একটি চেয়ারে বসে ক্ষোভে কাঁদছে। তাদের সামনে জামি; তার এক কাঁধে কালো ব্যাগ, অন্য কাঁধে ক্যামেরা ঝোলানো। জামি বলছে, এতে কান্নাকাটির কী আছে! প্লি­জ আপনে কাঁদবেন না।

এরপর জামি নূর ইসলামকে লক্ষ করে বলে, আরে ভাই আপনি ওনারে একটু বোঝান না। পত্রিকায় ছবি ছাপা হইলে বিষয়টা একটা মানবিক আর্জির সেপ পাবে। তাতে আপনাদের কোনো ক্ষতি না, বরং লাভ হবে।

নূর ইসলাম মহিলার কানে কানে কীসব বলে। সে তাতে আরো ক্ষেপে যায়, মুখ থেকে লাভা উদ্গিরণ ভঙ্গিতে স্বামীকে কীসব বলে। রায়হান নূর ইসলামের কাছে এসবের মর্ম বোঝার চেষ্টা করে। নূর বলে, ও বলছে যদি তার ছবি-টবি পত্রিকায় ছাপা হয় তবে সেই পত্রিকা তার দেশে যাবে এবং তা তার আগের স্বামী কাছেও, যে কিনা এখনো নিশ্চিত নয় যে, যে-888sport promo codeর কথা তার কানে এসেছে সে তারই স্ত্রী জুলায়খা কিনা। এভাবে তা ছাপা হলে ও ছবি দেখে, ঘটনা পড়ে ব্যাপারটা নিশ্চিত হবে; তখন তাকে সে যেভাবে পারে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে এবং নির্দয় লোকটা ব্যভিচারী স্ত্রীর প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবে।

জুলায়খা এসময় জামির দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আরো কীসব বলে। এর মধ্যে মহিলা দুই হাতে তার গলা টিপেও দেখায়। রায়হান জুলায়খার দ্রুত কথনের মধ্য থেকে এক ছোরা ছাড়া কোনো শব্দই ধরতে পারে না।

ছোরা কী ভাই? রায়হান জানতে চায়।

ছোরা মানে ছবি, নূর ইসলাম বলে, জুলেখা গলায় হাত দিয়ে বলছে তার গলায় ফাঁসি ঝুলালেও সে তার ছবি তুলতে দেবে না।

রায়হান ভাই… এর মধ্যে জামি জনান্তিকে রায়হানকে বলে, সুন্দরী তার ভাতাররে কী বলচে বুচতে পারচেন!

ক্যামনে বুঝিব! আমি তো আর তোমার মতো আদম বেপারির ভাইলে আরবি শিখার চেষ্টা করি নাই।

বলছে, তোমার তো মুরোদ নাই, এই সাম্পাদিকরে জিগাও ঝড় আইলে সে তার ঘরে আমারে আশ্রয় দিব কিনা।

একদিকে মহিলার এমন বিক্ষুব্ধ দশা অন্যদিকে ওদের উকিল কোনো কো-অপারেট করছে না। মতিঝিল থানায় রায়হান যেসব কাগজপত্র দেখেছে আর বিভিন্নভাবে যেসব তথ্য পেয়েছে তাতে এদের নিয়ে দুর্দান্ত একটি সচিত্র 888sport world cup rate দাঁড় করানো যায়। কিন্তু নূর ইসলাম এতক্ষণে যদিও তার নিজের ছবি দিতে রাজি তো যাকে নিয়ে মূলত এই কাহিনি তার ছবি ছাড়া 888sport world cup rateটি যে এক কানা সুন্দরী বই কিছু নয়।

জুলায়খা ও নূরকে সিআই সোলায়মান খান অ্যঅরেস্ট করে যখন কোর্টে হাজির করে তখন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মহিলা যে জবানবন্দি দেয় সে জবানবন্দির কপি রায়হান দেখেছে। ওতে জুলায়খা বায়ামী বলেছে, আমার প্রথম বিয়ে হয়েছিল সতেরো বছর বয়সে। আমি আমার প্রথম স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী হয়ে তার ঘরে যাই। সে লোকটির প্রথম স্ত্রী কীভাবে মারা যায় আমি জানি না। দ্বিতীয় স্ত্রীকেও কেন তিনি তালাক দেন তাও আমার জানা নেই। এরপর আমিসহ দুই স্ত্রী তার ঘর করছিলাম।

আমার পূর্বোক্ত স্বামীর চার স্ত্রীর কারো গর্ভেই কোনো সন্তান আসেনি। এ থেকে তার পুরুষত্বহীনতার প্রমাণ মেলে। তাছাড়া আমি ছয় বছর তার সংসার করেছি। এই সংসার জীবনে লোকটি প্রায়ই মদ খেয়ে আমাকে মারপিট করত এবং সবসময় একধরনের মানসিক চাপে রাখতে তৎপর থাকত। এরই একপর্যায়ে নূর ইসলাম নামক এক 888sport appsির সঙ্গে আমার পরিচয়। ভদ্রলোক আমার বাসার কিছু দূরে একটি টেইলারিং হাউসে দর্জির কাজ করত। সেই দোকানে কাপড় বানানোর সূত্রে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। প্রায়ই সে আমার বাসায় আসত। আমি আমার কষ্টের কথা, নির্যাতনের কথা তাকে বলতাম। এভাবে ধীরে ধীরে তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। মাঝে মাঝে তাকে টাকা-পয়সা দিয়েও আমি সাহায্য করতাম। এক পর্যায়ে আমি মৌখিকভাবে আমার প্রথম স্বামীকে তালাক দিই এবং আল্লাহকে হাজির-নাজির জেনে নূর ইসলামকে বিয়ে করি। এই বিয়ের পর আমি তা রেজিস্ট্রি করার চেষ্টা করি; কিন্তু সে দেশে কোনো বিদেশিকে বিয়ে করার আইন না থাকার কারণে তা আমরা রেজিস্ট্রি করতে পারিনি। বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে না পেরে আমি সুযোগের অপেক্ষায় থাকি। যেভাবেই পারি আমি নূর ইসলামের সঙ্গে 888sport appsে চলে যাব। এরই মধ্যে আমার আগের স্বামী তার চিকিৎসার জন্য আমাকে নিয়ে ভারতের বোম্বে আসে। এর আগে আমি আমাদের ভারত যাওয়ার কথা নূর ইসলামকে জানাই এবং আমরা যে হোটেলে উঠব তার ঠিকানা দিই। নূর ইসলাম আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী একদিন আগেই বোম্বে চলে আসে। তাকে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী সে আমার সঙ্গে সি-বো হোটেলে দেখা করে। তারপর স্বেচ্ছায় আমি পালিয়ে তার সঙ্গে বোম্বে থেকে কলকাতায় আসি। সেখান থেকে বাসযোগে সীমান্ত পেরিয়ে রাজশাহী। রাজশাহী থেকে নতুন স্বামীর গ্রামের বাড়ি।

বর্তমানে আমি আমার গর্ভে নূর ইসলামের সন্তানকে ধারণ করে আছি। সে আমাকে অপহরণ করেনি। আমি স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে এসেছি এবং সারাজীবন থাকতে চাই। আমাকে তার কাছে থাকতে না দিয়ে আমার পূর্ব স্বামীর কাছে বা দেশে ফেরত পাঠালে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।

কিন্তু এ তো জবানবন্দি! আইনের মারপ্যাঁচ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আইনজ্ঞের বুদ্ধির ছাঁচে ঢালা বক্তব্য। গূঢ় সত্যকে এখানে নাও পাওয়া যেতে পারে।

রায়হানকে তারেক বলেছে, জুলায়খা এক ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে, ধনাঢ্য স্বামীর স্ত্রী। কিন্তু কেন সে এখানে এলো? সে দেশে কি পুরুষ নেই! না, এক গূঢ় রহস্যের প্রেমই!

ইতোমধ্যে উকিলের চেম্বারের আশেপাশে ভিড় জমে উঠেছে। একে তো এমন এক উপাখ্যানের নায়িকাকে দেখার সাধ, তার ওপর সাংবাদিকদের সঙ্গে ফ্যাসাদ। কেউ সাংবাদিকের পক্ষে কেউ বিপক্ষে। একসময় অ্যঅডভোকেট আলম তার মুহুরিকে নিয়ে রুমে তাদের রেখে অন্যদের বের করে দরজায় খিল আঁটে। তবু ক্ষুদ্র এক জানালায় মানুষের হুড়োহুড়ি।

রায়হান অ্যাডভোকেট আলমকে গম্ভীর গলায় বলে – প্লি­জ, আপনি ওদের ম্যানেজ করেন, আমাদের সঙ্গে একটু কথা বলুক। আমরা ওদের সঙ্গে পত্রিকায় আপনার ছবিও ছাপব – আপনার প্রচার হবে। আর এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ওদের পক্ষে যাবে। যাতে এর সুষ্ঠু সমাধান হয়, আমরা তার জন্যও লিখব।

কিন্তু উকিলের এককথা, দেখেন ওরা মুখ না-খুললে, ছবি না-দিলে আমার কী করার আছে!

অগত্যা রায়হান ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেওয়ার জন্য তৈরি হয়। রায়হান নূর ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করার ভঙ্গি নিয়ে বলে, আচ্ছা এই মহিলা যে এদেশে আছে, তার কি কোনো ভিসা আছে?

কিন্তু আমরা তার নাগরিকত্বের জন্য অনেক দিন আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দরখাস্ত করেছি, নূর ইসলাম বলে।

আপনি কি মনে করছেন তিনি 888sport appsি নাগরিকত্ব পাবেন? জনশক্তি রফতানিসহ তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক স্বার্থ জড়িত। আপনার একটি অপকর্মের জন্য দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খারাপ হতে দেওয়া যায় না। আমরা পত্রিকায় এ ব্যাপারে লিখব যেন জুলায়খা বায়ামীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

নূর ইসলামের তামাটে বর্ণের মুখে কালচে ছায়া পড়ে। জুলায়খা বায়ামীকে কীসব বলে! মহিলার বিধ্বস্ত ফর্সা মুখ হাতের মুঠোয় মুচড়ে ছেড়ে দেওয়া পাতলা কাগজের মতো ফ্যাকাসে দেখায়।

একসময় নূর ইসলাম উঠে দাঁড়িয়ে রায়হানের হাত ধরে, ঠিক আছে আপনারা ছবি নেন, কিন্তু আল্ল­ার দোহাই, আপনে আমার বড় ভাই, কোনো ক্ষতি যেন না হয়।

যে উকিল এতক্ষণ আইনের মারপ্যাঁচ দেখিয়ে ছবি তুলতে না দেওয়ার অধিকারের কথা বলছিলেন তিনিও বিনীত। রায়হান ও ফটোগ্রাফার জামিরুল স্বস্তিবোধ করে। উকিল সাহেবের অর্ডারে সবার জন্য চা আসে। চা খেতে খেতে জুলায়খা একটু আগের প্রতিপক্ষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হয়ে ওঠে।

রায়হান তাকে প্রশ্ন করে, দেশটা কেমন লাগছে?

মহিলা তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে – এর অর্থ সম্ভবত ভালো। ইতোমধ্যে ও নিশ্চয়ই বাংলা কিছু কিছু বোঝে, হয়তো দুই-এক শব্দ বলতেও পারে। মৃদু হেসে জুলায়খা তাকে কিছু বলতে যাচ্ছে সহসাই নূর ইসলাম অযাচিতভাবে দোভাষীর ভূমিকা নেয়, জুলায়খাকে রায়হানের প্রশ্ন আরবিতে বুঝিয়ে দেয়। রায়হানকে উদ্দেশ করেই মহিলা জবাব দেয়; কিন্তু ও কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। ব্যাপার বুঝে মহিলা হাসে। সে হাসিতে একধরনের দুর্বোধ্যতা যা রায়হানের ভালো লাগে।

দোভাষী জুলায়খার কথা রায়হানের কাছে বাংলায় রূপান্তর করে, দেশটা ভালো না। ঘরে ঘরে বিশ্রী গরম, এসি নেই, মানুষগুলো গরিব আর নোংরা, যত্রতত্র শুধু থুথু ফেলাই না, বাথরুমও করে।

তাইলে তুমি এই গরিব আর নোংরা মানুষের সঙ্গে এখানে এলে কেন? রায়হানের বলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তা কী বলা যায়! ও প্রশ্ন করে, আগে কি আপনি জানতেন না দেশটা এমন, মানুষগুলো এমন?

নূর ইসলাম কথাগুলো আরবি করে জুলায়খার কাছ থেকে আরবি জবাব নেয়, বাংলা করে, গরম যে এমন কষ্ট দেয় এসির আবহাওয়ায় থেকে বুঝিনি, এখন বুঝছি। আর গরিব যে এতো গরিব, এতো গরিব হতে পারে তাও আমার জানা ছিল না।

তাইলে এখনো ও এ দেশে থাকতে চায় কেন? রায়হান প্রশ্ন করে।

ফিরে গেলে সে দেশের শরিয়তি বিধানে যে আমার শিরশ্ছেদ হয়ে যাবে। জুলায়খা বায়ামীর জবাব আসে।

তার মানে ফাঁসি বা কিছু না হলে তিনি স্বদেশে ফিরে যেতেন!

আচ্ছা, নূর ইসলামের মধ্যে আপনি কী দেখেছিলেন যার জন্য এভাবে এমন ঝুঁকি নিয়ে তার সঙ্গে এদেশে চলে এলেন? রায়হানের এ-প্রশ্নের জবাব জুলায়খার কাছ থেকে না নিয়ে, নূর ইসলাম সরাসরি বলে, আমি পরে একসময় আপনারে ব্যাপারটা বুঝায়া বলব।

মহিলার একক, স্বামী-স্ত্রীর যৌথ ও অ্যাডভোকেটের স্ন্যাপ নেয় জামি। সাদা-কালো ও রঙিন দুই ধরনের ছবির ভালো আউটপুটের জন্য দুই ধরনের ক্যামেরা ইউজ করে।

পরদিন সকালে নূর ইসলাম এসে সাপ্তাহিক নিবেদনে হাজির। সোয়া ১০টার দিকে রায়হান অফিসে ঢোকার সময় দেখে লোকটা দারোয়ানের সঙ্গে খাতির জমিয়ে বসে আছে। রায়হান তাকে নিয়ে ভেতরে ঢোকে। তখন পর্যন্ত অফিসে কেউ আসেনি। শুধু এডিটর তার রুমে চুপচাপ কীসব কাগজপত্র ঘাঁটছিলেন। কোর্ট থেকে চলে আসার পর রায়হানের মনে হচ্ছে অনেক কিছুই খুঁটিয়ে জানা হয়নি। এখন নূর ইসলামকে পেয়ে সে বেশ খুশিই হয়।

এখন খুলে বলেন তো ভাই, এমন এক মহিলারে কোন জাদুবলে ভুলাইলেন।

রায়হানের প্রশ্নে বিব্রত নূর ইসলাম নিজের মুখে স্বভাবিক হাসি ফুটানোর প্রয়াস নিয়ে বলে, আমি তো ভাই জাদুকর না!।

কথোপকথনের একপর্যায়ে ঝোপ বুঝে কোপ বসায় নূর, বলে, আচ্ছা, ভাই খবরটা কি না ছাপলে হয় না? জুলেখা সারারাত কান্নাকাটি করছে। কয় ছবি ছাপলে, খবর ছাপলে কোন বিপদ জানি হয়। ও আপনারে সালাম জানাইছে। আপনে নাকি দেখতে তার সুদ্দর এক ভাইয়ের মতো।

আরে বললাম তো লাভ ছাড়া আপনার কোনো ক্ষতি হবে না। আপনার উকিলসাব কী বলে! আরে ওই ছোকড়া উকিল বাদ দিয়া সিনিয়ার ঝানু কোনো মাল রাখেন।

রাখব, পয়সা কই? এই উকিলের পয়সাই তো জুগাইতে পারতেছি না। যা কামাইছিলাম সব তো জুলেখার পিছে ঢালছি। মধ্যপ্রাচ্যের কামাই দিয়া কিছুই করতে পারি নাই। দ্যাশে ভাই ভাই ভাগ হইলে যে ধানি জমিটুকু পাইছিলাম তা বেইচা ওইখানে গেছিলাম। কিন্তু যেটুকু বেচছিলাম কামাইয়ের টাকায় তাও কিনতে পারি নাই। এখন তো বেকার।

এসময় রায়হানের মনে পড়ে সিআই সোলায়মান খান রগড় করে ওকে বলেছিল – আরে মশাই লেগে যান রিপোর্ট করার উছিলায়। আমার মনে হয় ওই কাঙালটা এমন সুন্দরী বউ রাখতে পারবে না। ও হাতবদল হবেই – যে অভাব-অনটনের মধ্যে আছে! এমন দুর্দশার মধ্যে প্রেম-টেম টেকে!

জুলায়খার কাছে নূর ইসলামের ভাবমূর্তি এখন কেমন তা জানতে খুব ইচ্ছা করে রায়হানের। কিন্তু কী কৌশলে তা নূরের কাছ থেকে বের করা? এই সামাজিক অবস্থা, মামলা-মোকদ্দমা – সব মিলিয়ে ভাবি নিশ্চয়ই এখন আপনার ওপর খুব ত্যক্ত-বিরক্ত।

নাহ্, বাস্তবতার লগে খাপ খাওয়াইতে পারে বইলাই-না ও আমার সঙ্গে এদ্দুর আসতে পারছে – বলতে গিয়ে সহসাই তার মাথায় বেটার চালাকি নাজেল হয় – বলে, হেরা ত আর বাঙ্গালি মায়াগো মতো না, ধর্ম-কর্মের মধ্যে বড় হইছে, ধর্মই হেগোর শেষ কথা।

রায়হান বোঝে এর শেষ এখানেই নয়, 888sport world cup rateটির আর কয়টি ফলোআপে, কী কথায় তার যবনিপাত হবে তা জানে একমাত্র আলেমুল-গায়েব।

রিপোর্ট না-ছাপার কথা সরাসরি না বললেও নূর ইসলামের বিশ্বাস সাংবাদিককে ও কনভিন্স করতে পেরেছে। আবার দুর্বাইও তাকে তাড়া করে – লোকটা আসলে গভীর জলের মাছ।

রোজ ও দেখে ফুটপাথে পত্রিকার পসার সাজিয়ে বসেছে হকার, তার মধ্যে বহুল প্রচারিত ক্রাইম ম্যাগাজিন নিবেদন। এক সকালে ও দেখে তার কভারে লেখা – অবিশ্বাস্য এক প্রেম – নূর বনাম জুলায়খা, জুলায়খাকে আর কতদিন ধরে রাখতে পারবে নূর? পয়সা খরচ করে পত্রিকাটি তার কেনার উপায় নেই, পেয়িং গেস্ট হিসেবে বস্তির যার ঘরে আছে তার কাছ থেকেই চড়া সুদে ধার নিতে হয়েছে।

পরদিন জুলায়খা উকিলের টেবিলে নিবেদনটি দেখে। তারপর তাকে এর অফিসে নিয়ে যেতে নূরকে বলে, চাপ দেয় – ও নারাজ।

এক সকালে বউকে খুঁজে পায় না নূর। কনসিভ করার পর থেকে ও বলে আসছিল চেকআপ-চিকিৎসাহীন, খেয়ে-না-খেয়ে তার গর্ভের সন্তান সুস্থ-স্বাভাবিক কী করে হবে? জন্ম নিয়েই-বা খাবে কী, এই দেশের এমন পরিবেশে কেমন করে বেড়ে উঠবে? কয়েকদিন ধরে ও গর্ভ নষ্ট করার জন্য চাপ দিচ্ছিল।

জুলায়খা বায়ামী নিবেদন অফিসে। রায়হানের টেবিলের সামনের চেয়ারে বসে ও মাথা তুলে দেখে সিলিংহীন ঘরে জংধরা টিনের চাল। কী এক আশাভঙ্গের বেদনায় তার মুখটি এমন ফ্যাকাশে যে রায়হান তার চোখে চোখ রাখতে পারে না – এই 888sport promo code কি অন্তিম আশ্রয়ের আশা নিয়ে তার কাছে এসে শেষে হতাশ!

সহসাই দরজায় নূর ইসলাম। জুলায়খার দৃষ্টির পাশ কাটিয়ে সে রায়হানকে ইশারায় বাইরে ডাকে।

বাইরে আসতেই নূর ইসলাম তার হাত চেপে ধরে, আপনেরে আমি ভাই ডাকছি-না – আপনে আমার ধর্মভাই, জুলেখারে কোনো প্রশ্রয় দিয়েন না, দেক্কেইন – ধর্ম রাইক্কেন।