ঘণ্টাধ্বনি আর নির্ঘুম রাত

ঘণ্টাগুলি যায় বেজে যায় অবলীলায়

কে যে বাজায়, বাজিয়ে যায় নিজের মতো

বারে বারে চমকে উঠি ঘুম ভেঙে যায়

চমকে তাকাই ষষ্ট তলার জানালা থেকে

বহু দূরের আকাশ দেখি তারায় ভরা

কখনো বা মেঘের মায়া জড়িয়ে থাকে 

সেই আকাশে, আড়ালে তার চন্দ্র তারা।

এই ধ্বনিটা সেই ধ্বনিটাই, যে-ধ্বনিটা

এক শৈশব জড়িয়ে থাকা সকাল দুপুর

সন্ধে বিকেল রাত ও প্রভাত ভরিয়ে দিয়ে

এগিয়ে যেতো সময় নিয়ে আমার তোমার

সবার দিনের শুরু এবং শেষও হতো

তার ধ্বনিতেই! কিন্তু সে তো দূরের অতীত

আজকে কেনো মধ্যরাতের বাতাস জুড়ে 

সে এসে এক মায়া জাগায় আমার মনে?

কার সে মায়া কে দিলো এ ঠিকানাটা?

বনরূপার আঁচল ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা 

পুষ্পকুঞ্জ, সেই কুঞ্জের বুকের ভেতর

আমার যে রাত, নীরবতার মন্ত্র নিয়ে

নিবিড় ঘুমে রাত কাটাতো, সে-রাতে আজ

আলোর ঝিলিক, টুটে যাওয়া ঘুমের রাগী

চেহাতে লজ্জা পেয়ে গুটিয়ে যাই –

নিজের ভেতর, এই আমি কী সেই আমিটাই?

পাই না খুঁজে জবাব কোনো, রাত কেটে যায়

অবলীলায়, চোখের ভেতর তীব্র জ্বালা

রাতজাগা এক ক্লান্ত মানুষ ঝিমোয় শুধু

আঁকড়ে ধরার পায় না কোনো খড়কুটোও।