চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও 888sport live footballের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। আনুমানিক হাজার বছর আগে বৌদ্ধতান্ত্রিক সাধকরা তাঁদের ধর্মসংগীত হিসেবে এগুলো রচনা করেছিলেন। সাধন-ভজন হিসেবে তা গাওয়া হতো। অনেকেই ধারণা করেছেন, নানা কারণে বৌদ্ধধর্ম এ-দেশে লুপ্তপ্রায় হলে জনমানস থেকে এসব হারিয়ে যায়। ১৯০৭ সালে নেপালে গিয়ে সেখানকার রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চারটি পুঁথি উদ্ধার করেন ভারততত্ত্ববিদ মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। তিনি ছিলেন এশিয়াটিক সোসাইটির পক্ষে বাংলা পুঁথি সংগ্রহের দায়িত্বে। তিনি যে-চারটি পুঁথি উদ্ধার করেন সেগুলো হলো – চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়, সরোজবজ্রের (সরহের) দোহাকোষ, কৃষ্ণাচার্য বা কাহ্নপার দোহাকোষ ও ডাকার্ণব। এ-চারটি পুঁথিকে প্রাচীন বাংলা ভাষার নিদর্শন বিবেচনা করে সেগুলোকে একত্রে তিনি হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধ গান ও দোহা নাম দিয়ে প্রকাশ করেন। এর মধ্যে চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় ছিল তালপাতার পুঁথিতে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের রচিত একটি গানের সংকলন। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় 888sport live football পরিষদ থেকে এটি প্রকাশিত হলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভাষা-বিশেষজ্ঞদের মতে, এ-চারটি পুঁথির মধ্যে কেবল চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় নামের পুঁথিটিই বাংলা। এ-পুঁথিতে সংকলিত রচনাগুলো চর্যাপদ বা চর্যাগীতি নামে বহুল পরিচিত। বাংলা ভাষা ও 888sport live footballের ইতিহাস পুনর্গঠনে এ-আবিষ্কার একটি মাইলফলক হয়ে আছে। তান্জুর ও কান্জুরে ভারতীয় বৌদ্ধধর্মের যেসব গ্রন্থে তিববতি 888sport app download apk latest version হয়েছিল তার মধ্যে চর্যাপদও ছিল। প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিববতি 888sport app download apk latest versionের সাহায্য নিয়ে চর্যাপদের পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করেন।
প–ত রাহুল সাংকৃত্যায়ন তিববত থেকে ২০টি চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। ১৯৫৪ সালে সেগুলো এলাহাবাদ থেকে প্রকাশিত হয়। শশিভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে নেপাল ও তরাইভূমি থেকে ২৫০টি পদ আবিষ্কার ও সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ১০০টি পদকে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় সে-উদ্যোগ সফল হয়নি। তাঁর সংগৃহীত চর্যাপদগুলো ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নবচর্যাপদ নাম দিয়ে সংকলিত ও প্রকাশিত হয়। নবচর্যাপদ গ্রন্থের আটানববইটি পদের মধ্যে ছয়টি আগেই উদ্ধার করা হয়েছিল। এগুলোর রচনাকাল বারো থেকে ষোলো শতকের মধ্যে বলে ধারণা করা হয়।
পাশাপাশি বাংলা ভাষার এই প্রাচীন নিদর্শন নিয়ে নানা গবেষণা চলে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, মুহম্মদ শহীদুলস্নাহ্, বিধুশেখর শাস্ত্রী, সুকুমার সেন, তারাপদ মুখোপাধ্যায়, নীলরতন সেন প্রমুখ প–ত এ-গ্রন্থের নাম, রচনাকাল, ভাষা ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন। তাঁরা এ-সিদ্ধামেত্ম উপনীত হয়েছেন যে, চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয় বা চর্যাপদ পুঁথিটিই বাংলা ভাষার প্রথম 888sport live football নিদর্শন।
চর্যাপদ প্রকাশের পর গত ১০০ বছরে 888sport appsে ও বাংলার বাইরে চর্যাপদ সংগ্রহ, সম্পাদনা ও তা নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। এ-ধারায় সর্বশেষ কাজটি আমরা পেয়েছি 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ফোকলোর-বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদের কাছ থেকে। ২০১৭ সালের 888sport cricket BPL rateের বইমেলায় প্রকাশিত এই বইটির প্রকাশক কথাপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী জসিমউদ্দিন। রয়াল আকৃতির বইটির পৃষ্ঠা888sport free bet ১৬ + ৬৯৬। উৎসর্গপত্রে লেখা হয়েছে, ‘এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের আশি বছর পূর্তিতে আমার 888sport apk download apk latest versionর্ঘ্য।’
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী-সংগৃহীত চর্যাপদগুলো সুপ্রাচীন। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মনে করেন, এগুলোর রচনাকাল দশম থেকে দ্বাদশ শতক। অন্যদিকে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুলস্নাহ মনে করেন, এগুলো সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতকের মধ্যে রচিত। পক্ষান্তরে নতুন চর্যাপদে যেসব পদ সংকলিত হয়েছে সেগুলোর রচনাকাল অষ্টম থেকে বিশ শতক পর্যন্ত। সুতরাং নতুন এই সংগ্রহ প্রমাণ করে যে, চর্যাপদ কেবল প্রাচীন 888sport live footballের নিদর্শন নয়, মধ্যযুগেও এগুলোর রচনা অব্যাহত ছিল। এমনকি বিশ শতকেও চর্যাপদ রচিত হয়েছে।
নতুন চর্যাপদ গ্রন্থের ‘প্রসঙ্গকথা’ থেকে জানা যায়, চর্যাপদ সম্পর্কে এই গবেষকের বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয় 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে চর্যাপদের পাঠ নিতে গিয়ে। আশির দশকে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের কাছ থেকে শশিভূষণ দাশগুপ্ত সংগৃহীত নবচর্যাপদ সম্পর্কে জানতে পেরে তাঁর ঔৎসুক্য আরো বাড়ে। নববইয়ের দশকে জাপানের নাগোইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচ.ডি-উত্তর গবেষণার সুযোগে সেখানকার বৌদ্ধচর্চা ও তিববত-নেপাল বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাসাশি তচিকাওয়ার সংগ্রহ থেকে চর্যাপদের তিনটি পুঁথির পাঠ তিনি কপি করে আনেন। ২০০৮ সালে তিনি নেপালের জাতীয় আর্কাইভে চর্যাপদের পুঁথি সন্ধান করে বিফল হন। তবে কাঠমান্ডু ও আশপাশের বিভিন্ন বজ্রযানী মন্দিরে পুঁথি সংগ্রহ করতে গিয়ে জনৈক রত্নকাজী বজ্রাচার্যের কাছ থেকে চর্যা পুস্তকের দুটি সংকলন পেয়ে যান। নেওয়ারিমিশ্রিত দেবনাগরী অক্ষরে মুদ্রিত চর্যাপদগুলোর পাঠ উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি দেবনাগরী অক্ষর আয়ত্ত করায় লেগে যান। এরপর প্রায় দুই বছরের চেষ্টায় পাঠ উদ্ধার ও সম্পাদনা করেন। রত্নকাজী বজ্রাচার্যের সংকলনের ভূমিকাংশের অবোধ্য পাঠ উদ্ধারের জন্য ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের গ্রীষ্ম ও শীতের ছুটিতে তিনি কানাডার টরন্টোবাসী নেওয়ারি বিমল শ্রেষ্ঠার সহযোগিতা নেন।
২০১৪ সালে শান্তিনিকেতনে তিববতি ভাষা ও বৌদ্ধধর্ম বিশেষজ্ঞ সুনীতিকুমার পাঠকের কাছ থেকে তন্ত্রচর্চার নানা দিক সম্পর্কে অবহিত হন ড. শাহেদ। সেখানে তিনি ভক্তি দে-র চর্যাসংগ্রহের সৌজন্য কপি হাতে পান। তিনি লক্ষ করেন যে, ভক্তি দে-র চর্যাসংগ্রহে সংকলিত ১৬৫টি পদের মধ্যে তাঁর নিজের সংগ্রহের ১২১টি পদের মিল রয়েছে। তবে সেগুলোতে মাঝে মাঝে পাঠভেদ চোখে পড়ে।
শশিভূষণ দাশগুপ্তের সংগৃহীত চর্যাপদগুলোর তুলনামূলক বিচার করতে গিয়ে ড. শাহেদ তাঁর সংগৃহীত পদের সঙ্গে নিজের সংগৃহীত পদের সাযুজ্য লক্ষ করেন। যেসব ক্ষেত্রে পাঠভেদ রয়েছে সেগুলো তিনি নিজের সংগৃহীত পাঠের শেষে সন্নিবেশ করেছেন। এভাবে ভক্তি দে-র সংগ্রহের সঙ্গে যেসব ক্ষেত্রে পাঠভেদ রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত হয়েছে।
নতুন চর্যাপদে সংকলিত মূলত বজ্রযানী দেবদেবীর আরাধনার গীত। এসব পদে তান্ত্রিক নানা দেবদেবীর রূপসৌন্দর্য, মুখ ও বাহুর বর্ণনা, তাঁদের আসন, মুদ্রা ও দেহভঙ্গি, তাঁদের আভরণ ও আয়ুধ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য ও বর্ণনা আছে। দীর্ঘ শ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে গবেষক এসবের ঋদ্ধ পরিচয় তুলে ধরেছেন। এ-কাজ করতে গিয়ে গবেষক লক্ষ করেন যে, বিভিন্ন পাঠে কেবল যে পাঠান্তর আছে তা নয়, অনেক পাঠে পুনরাবৃত্তিও রয়েছে। তাছাড়া অনেক চর্যাপদের পুরোভাগে পদকর্তার নাম থাকলেও বেশকিছু পদের পদকর্তার নাম পাওয়া যায়নি। বেশকিছু চর্যাপদের রচনাকাল নির্ণয় করতে না পারায় সেগুলোর কালানুক্রমিক বিন্যাসও সম্ভব হয়নি। সেজন্য গবেষক ৩৩৫টি চর্যাপদের পা-ুলিপি তৈরি করে সেগুলো বর্ণানুক্রমিকভাবে সন্নিবেশ করেছেন।
দুই
নতুন চর্যাপদের ভূমিকা অংশটি চারটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম অংশে রয়েছে ‘নতুন চর্যার সংগ্রহ ও চর্যাকার পরিচয়’। দ্বিতীয় অংশের বিষয় ‘নতুন চর্যায় বজ্রযানী দেবদেবী’, তৃতীয় অংশে আলোচিত হয়েছে ‘নতুন চর্যার আঙ্গিক, ভাষা ও ভূগোল’ এবং চতুর্থ অংশের আলোচনার শিরোনাম ‘চর্যাপদ ও নতুন চর্যা’।
‘নতুন চর্যার সংগ্রহ ও চর্যাকার পরিচয়’ অংশে গবেষক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ যে বিশদ আলোচনা করেছেন তা থেকে পাঠক চর্যাপদ সংগ্রহের ইতিহাস এবং প্রায় পঁচিশজন চর্যাকারের পরিচয় সম্পর্কে ধারণা পাবেন। গবেষক জানিয়েছেন, ১৯০৭ সালে চর্যাপদ আবিষ্কারের সাত বছর পর ১৯১৬ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর চর্যাপদ প্রকাশিত হলে বাংলা ভাষা ও 888sport live footballের ইতিহাস কেবল পুনর্গঠিত হয়নি; অসমিয়া, উড়িয়া, মৈথিলি, হিন্দি ভাষা ও 888sport live footballের ইতিহাস পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়। শাস্ত্রীর চর্যাপদে বাইশ-তেইশজন পদকর্তার পঞ্চাশটি গান ছিল। তবে দু-জায়গায় পুঁথি ছেঁড়া থাকায় চর্যাকার ভূসুকুর পদের অর্ধাংশ এবং তন্ত্রী, কুক্কুরী ও কাহ্নের একটি করে পদ পাওয়া যায়নি। পরে প–ত প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিববতি 888sport app download apk latest version থেকে সেগুলোর ভাবার্থ সংস্কৃত ভাষায় 888sport app download apk latest version করেন।
ড. শাহেদ তিববতি 888sport app download apk latest versionে প্রাপ্ত চর্যাপদের টীকার পুষ্পিকার উলেস্নখ করে বলেছেন যে, মূল আকরগ্রন্থটিতে ১০০টি চর্যাপদ ছিল। তার মধ্যে কেবল পঞ্চাশটি চর্যাপদের সন্ধান পাওয়া গেছে। মূল আকরগ্রন্থ না পাওয়ায় বাকি পঞ্চাশটি চর্যার সন্ধান মেলেনি। স্বভাবতই ধারণা করা হয় যে, শাস্ত্রী সংগৃহীত চর্যাপদের সমকালে আরো চর্যা প্রচলিত ছিল। পরবর্তীকালে বিশের দশকে ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এ-অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন যে, নেপালের বৌদ্ধবিহারের স্থবিরদের মুখে আরো পদ প্রচলিত আছে। চলিস্নশের দশকে শশিভূষণ দাশগুপ্তও এ-ধারণা করেন যে, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী-সম্পাদিত চর্যাপদের বাইরেও চর্যার অসিত্মত্ব রয়েছে। এরপর গবেষক ও প–তদের চেষ্টায় বেশ কিছু চর্যাপদ সংগৃহীত হয়।
বৌদ্ধধর্মাচারী প–ত ও ভাষাবিদ রাহুল সাংকৃত্যায়ন ১৯২০ ও ত্রিশের দশকে কয়েকবার তিববত সফর ও সেখানে অবস্থানকালে বিশটি চর্যাগীতি সংগ্রহ করতে সমর্থ হন। তিনি ১৯৫৪ সালে তাঁর সরহপাদ কি দোহাকোষ গ্রন্থের পরিশিষ্টে সেগুলো প্রকাশ করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় ভাষা বিভাগের অধ্যক্ষ ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৬৩ সালে আটানববইটি চর্যাগীতি সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে প্রথম উনিশটিকে তিনি শাস্ত্রী-সংকলিত চর্যাপদের কালের, পরবর্তী আটচলিস্নশটিকে দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতকের এবং শেষ পঁয়ত্রিশটিকে সপ্তদশ শতক ও পরবর্তীকালের বলে অভিমত দেন। তবে এ কালগত বিভাগ পরবর্তীকালের গবেষণায় ত্রম্নটিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এই প্রেক্ষাপটে নবচর্যাপদ সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষকের গবেষণা ও বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে ড. শাহেদ এ-ধারণায় উপনীত হয়েছেন যে, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সংকলিত চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মসাধনার সহজযানের বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা গেলেও নবচর্যাপদ বজ্রযানীদের ধর্মসাধনার পরিচয় বহন করে। এই অংশে ড. শাহেদ পঁচিশজন চর্যাকারের পরিচয় লিপিবদ্ধ করেছেন।
তিন
ভূমিকার দ্বিতীয় অংশে নতুন চর্যাপদে বিধৃত দেবদেবী সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। নতুন চর্যাপদগুলো বিচার করে ড. শাহেদ এ-সিদ্ধামেত্ম উপনীত হয়েছেন যে, চর্যাপদগুলোর নববই শতাংশই দেবদেবীর স্ত্ততি। তাঁর আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারি, বৌদ্ধধর্ম শুরুতে শূন্যের সাধক হলেও ক্রমে তাতে দেবদেবীর উদ্ভব ঘটে এবং তাদের মূর্তি তৈরি হয়। হিমালয়-সন্নিহিত তিববত, চীন, জাপান প্রভৃতি অঞ্চলে এসব দেবদেবীর মূর্তি দেখা যায়। এদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি বজ্রযানী সম্প্রদায়ের মধ্যে।
এই সূত্রে নানা আকরগ্রন্থ অবলম্বনে বৌদ্ধ দেবদেবীর সাধারণ পরিচয় তুলে ধরেছেন গবেষক। তা থেকে জানা যায়, বৌদ্ধ-ধারণায় দেহধারী গৌতমবুদ্ধের আগেও আরো ছয়জন মানুষি বুদ্ধ ছিলেন। এঁরা হলেন – বিপশ্যি, শিখী, বিশ্বভূ, ক্রকুচ্ছন্দ, কনকমুনি ও কশ্যপ। শেষের তিনজন ছিলেন ঐতিহাসিক ব্যক্তি। গবেষক জানিয়েছেন, তাঁর সংগৃহীত নতুন চর্যাপদে এঁদের উলেস্নখ রয়েছে। পাশাপাশি উলেস্নখ আছে পঞ্চ ধ্যানীবুদ্ধের তথা বৈরেচুন, রত্নসম্ভব, অমিতাভ, অমোঘসিদ্ধি ও অক্ষোভ্যের প্রসঙ্গ। পঞ্চ ধ্যানীবুদ্ধের শক্তি বা সঙ্গিনী পাঁচজন। তাঁরা হলেন – যথাক্রমে লোচনা, বজ্রধাত্বীশ্বরী, পা-ুরা, তারা ও মামকী। পঞ্চ ধ্যানীবুদ্ধের মধ্যে নতুন চর্যাপদে অমিতাভের স্ত্ততি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। গবেষক আরো জানিয়েছেন, নতুন চর্যাপদে পঞ্চ ধ্যানীবুদ্ধের ষোড়শ বোধিসত্ত্বের উলেস্নখ থাকলেও প্রাধান্য পেয়েছে সমন্তভদ্র, রত্নপাণি, পদ্মপাণি, বিশ্বপাণি, বজ্রপাণি, মঞ্জুশ্রী ও অবলোকিতেশ্বর এবং এঁদের বিভিন্ন রূপ।
অন্য দেবদেবীর মধ্যে নতুন চর্যাপদে রয়েছে হেরুক, সম্বর, কালচক্র, চ-রোষণ, যোগাম্বর, জলেন্দ্র, জম্ভল, ত্রৈলোক্যবিজয়, পরমাশ্ব, বজ্রহুংকার, যমারি, হয়গ্রীব ইত্যাদি নানা দেবদেবীর প্রসঙ্গ। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠীদেবতার উলেস্নখ। দেবদেবীর স্ত্ততি করতে গিয়ে এসেছে তাঁদের পোশাক ও অলংকারের বর্ণনা, এসেছে তাঁদের অস্ত্রশস্ত্র ও হাতিয়ার, মুদ্রা ও আসন ইত্যাদির বর্ণনা। শুধু তাই নয়, হিন্দু দেবদেবীর প্রসঙ্গও এসেছে। তাছাড়া নতুন চর্যাপদে বজ্রযানী ধর্মবোধপ্রসূত আদি দেবদেবীরা যেমন আছেন, তেমনি তার বাইরেও অনেক প্রতীকায়িত নতুন দেবদেবী উপস্থাপিত হয়েছে। ড. শাহেদ এসব প্রসঙ্গ বিচার-বিশেস্নষণ ও নিরূপণ করেছেন একান্ত আগ্রহ ও গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে। তাঁর এসব আলোচনা ও বিশেস্নষণ থেকে হিন্দু ও বৌদ্ধ পুরাণ নিয়ে তাঁর ব্যাপক অধ্যয়ন ও গভীর জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়।
ড. শাহেদ নতুন চর্যাপদের ভৌগোলিক দিক সম্পর্কেও নিজের গবেষণার সারাৎসার তুলে ধরেছেন এখানে। তিনি মনে করেন, আদি বৌদ্ধ ধর্মবোধে ত্রিভুবন তথা স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালের ধারণা প্রাধান্য পেলেও নতুন চর্যাপদে ক্রমশ মর্ত্যমুখী ধারণার প্রভাব পড়েছে। মেরুপর্বত, দ্বীপ, উপদ্বীপ, সিংহল দ্বীপ, লংকা, কাঞ্চন দ্বীপ, গঙ্গা, পদ্মা, গোদাবরী ইত্যাদি নদী, সাগর, কৈলাস পর্বত, কামরূপ রাজ্য ইত্যাদির উলেস্নখ থেকে এই মর্ত্যমুখীনতার পরিচয় ধরা পড়ে।
ভূমিকার তৃতীয় অংশে ড. শাহেদ নতুন চর্যাপদের আঙ্গিক, ভাষা ও ভূগোল সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। গঠনগত দিক থেকে দেখা যায়, নতুন চর্যাপদের অধিকাংশই আট, দশ বা বারো চরণের। তবে চার, পাঁচ বা ছয় চরণের ক্ষুদ্রতর চর্যাপদ যেমন আছে, তেমনি আছে ষোলো, আঠারো বা বিশ চরণের দীর্ঘ চর্যাপদ। এমনকি সাতাশ চরণের চর্যাপদও পাওয়া গেছে। এসব চর্যাপদের অধিকাংশই অমত্ম্যমিলহীন। কোনো কোনো চর্যায় রয়েছে মন্ত্রসদৃশ ধ্বনি। রত্নকাজী বজ্রাচার্যের অনেক পদের পাদটীকায় কোন পুজো উপলক্ষে তা গীত হয় তার উলেস্নখ রয়েছে। এসব চর্যাপদে বহু ক্ষেত্রে পুনরুক্তি লক্ষ করা যায়।
ড. শাহেদ নতুন চর্যাপদের শব্দ, লিপি ও ব্যাকরণ সম্পর্কেও প্রসঙ্গত আলোকপাত করেছেন। তিনি লক্ষ করেছেন কাল পরিক্রমায় শব্দরূপের যে-পরিবর্তন ঘটেছে নতুন চর্যাপদে তার নিদর্শন বিধৃত। অনেক ক্ষেত্রে নতুন চর্যাপদে সমার্থক শব্দ ব্যবহার করায় এর পাঠান্তর তৈরি হয়েছে। শাহেদ বর্ণগত রূপভেদ নিয়েও বিশদ আলোচনা করেছেন। নতুন চর্যাপদে সংস্কৃত ব্যাকরণের ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান লঙ্ঘনের রীতি পরিলক্ষিত হয় অনেক শব্দের বানানে। এসব চর্যাপদে লিপিকর বিভ্রান্তি ছাড়াও রয়েছে অর্থবিভ্রান্তি। তিনি আরো লক্ষ করেছেন, নতুন চর্যাপদের উত্তরকালে অপ্রত্যাশিতভাবে শব্দ ও বাক্য ব্যবহারে সংস্কৃতের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পালি-প্রাকৃতের প্রভাব চোখে পড়লেও অনেক ক্ষেত্রে সংস্কৃত ব্যাকরণের অনুশাসন ব্যাপকভাবে অনুসৃত হয়েছে। তিনি নতুন চর্যাপদের আট হাজার শব্দের ভা-ার নিরীক্ষা করে এটি লক্ষ করেছেন যে, এদের মধ্যে বেশ কিছু শব্দ বর্তমানে বিলুপ্ত বা অপ্রচলিত। তাছাড়া শব্দার্থ বিচারে দেখা যায়, নতুন চর্যাপদে অনেক শব্দের সাধারণ অর্থের অন্তরালে গূঢ় অর্থ লুকানো রয়েছে।
ভূমিকার চতুর্থ অংশে ড. শাহেদ ‘চর্যাপদ ও নতুন চর্যা’ শীর্ষক আলোচনায় শাস্ত্রী-সম্পাদিত চর্যাপদের সঙ্গে নতুন চর্যাপদের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যের প্রধান কিছু দিক তুলে ধরেছেন। পদকর্তাদের ব্যাপারে তাঁর একটি পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, নতুন চর্যাপদের পদগুলোতে শাস্ত্রীর সংকলনের অন্তত আটজন পদকর্তার পদ রয়েছে। শাস্ত্রীর সংকলন ও নতুন চর্যাপদের সংকলনে সন্নিবেশিত পদকর্তা গু-ুরীর একটি পাঠের তুলনামূলক আলোচনা করে তিনি দেখিয়েছেন যে, প্রায় পাঁচশো বছরের ব্যবধান সত্ত্বেও সামান্য কিছু রূপভেদসমেত দুটি পাঠের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। এমনিভাবে হেমচন্দ্রের চীনা 888sport app download apk latest versionের পাঠের সঙ্গে নতুন চর্যার পাঠের তুলনা করে তিনি দেখিয়েছেন, হাজার বছরের ব্যবধান সত্ত্বেও দু-তিনটি পদ ছাড়া দুটি পাঠে কোনো মৌলিক পরিবর্তন ঘটেনি। পুরনো ও নতুন চর্যাপদ সম্পর্কে ড. শাহেদের পর্যবেক্ষণ এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো :
১. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী-সম্পাদিত চর্যাগুলোতে রয়েছে শূন্যবাদের
প্রভাব।
২. শাস্ত্রীর সংকলনের মতো নতুন চর্যাপদেও তা অব্যাহত।
৩. মোহের প্রসঙ্গ রয়েছে শাস্ত্রীর ছয়টি চর্যাপদে, নতুন চর্যাপদে সে-888sport free bet এগারো।
৪. শাস্ত্রীর চর্যাপদে যেমন নির্বাণ লাভের প্রসঙ্গ আছে, তেমনি নতুন চর্যাপদেও তার অনুসৃতি ঘটেছে।
৫. শাস্ত্রীর চর্যাপদের মতো নতুন চর্যাপদেও পারিভাষিক শব্দ ও সান্ধ্যভাষা প্রয়োগে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়। যেমন : অমিয়, আলিকালি, কমল, গঙ্গা যমুনা, জিনউর, ডোম্বী, তাম্বুল, নাদ, পবন, বিন্দু, মণিকুল, মহারস ইত্যাদি।
৬. শাস্ত্রীর চর্যাপদে বজ্রযানী দেবদেবীর বর্ণনা গৌণ, পক্ষান্তরে নতুন চর্যাপদে রয়েছে তার প্রাধান্য।
৭. শাস্ত্রীর চর্যাপদের মতো নতুন চর্যাপদে বৌদ্ধ দেবদেবীর উলেস্নখ আছে। তবে নতুন চর্যাপদে হিন্দু দেবদেবীর অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
চার
সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ-সংকলিত ও সম্পাদিত নতুন চর্যাপদে নবসংগৃহীত ৩৩৫টি পদ সংকলিত হয়েছে। এছাড়া পরিশিষ্ট অংশে রাহুল সাংকৃত্যায়ন-সংগৃহীত বিশটি চর্যাপদ, শশিভূষণ দাশগুপ্ত-সংগৃহীত 888sport cricket BPL rateটি চর্যাপদ ও জগন্নাথ উপাধ্যায়-সংগৃহীত সাঁইত্রিশটি চর্যাপদ সংকলিত হয়েছে। সেই হিসাবে এ-গ্রন্থে সংকলিত নতুন চর্যাপদের মোট 888sport free bet ৪১৩টি।
পরিশিষ্ট অংশের পর সন্নিবেশিত হয়েছে নির্ঘণ্ট। এই অংশে রয়েছে মূল পাঠের শব্দসূচি, তুলনামূলক শব্দসূচি ও রচয়িতা শব্দসূচি।
মূল পাঠের শব্দসূচিতে প্রায় আট হাজার শব্দের বর্ণানুক্রমিক তালিকা দেওয়া হয়েছে। এই শব্দসূচিতে কোন শব্দ কোন কোন চর্যাপদে ব্যবহৃত এবং গ্রন্থের কত সংখ্যক পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হয়েছে শব্দসূচি থেকে তার হদিস পাওয়া যাবে।
নির্ঘণ্টের দ্বিতীয় অংশে রয়েছে তুলনামূলক শব্দসূচি। এতে ভুক্তি শব্দগুলো দুভাগে বিভক্ত। প্রতিটি ভুক্তি শব্দের প্রথম অংশে রয়েছে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী-সংকলিত চর্যাপদের শব্দ। এর ঠিক পরেই সন্নিবেশিত হয়েছে নতুন চর্যাপদের শব্দ। তবে এ-তালিকায় সাধিত শব্দ যুক্ত করা হয়নি। এ-ক্ষেত্রে একটি সীমাবদ্ধতা চোখে পড়ে। তা হলো, পরিশিষ্ট অংশে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর চর্যাপদের পাঠ সন্নিবেশ না করা। ফলে এই পর্যায়ে তুলনার জন্য আলাদাভাবে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর পাঠ জোগাড় করতে হবে।
নির্ঘণ্টের তৃতীয় অংশে রয়েছে রচয়িতাসূচি। এতে নতুন চর্যাপদ গ্রন্থের প্রায় একশ পদকর্তার নাম বর্ণানুক্রমিকভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রতিটি পদকর্তার নামের পাশে সংকলনের পদের 888sport free bet ব্যবহার করে তাঁর রচিত পদ বা পদগুলো নির্দেশ করা হয়েছে। এটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এ-সংকলনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পদ রয়েছে হর্ষনৃসিংহ নামের পদকর্তার। তাঁর পদের 888sport free bet আটত্রিশটি। অবশ্য কুলিশ বা নামের সঙ্গে কুলিশযুক্ত পদকর্তাদের (যেমন : কুলিশরত্ন, কুলিশাচার্য, কুলিশবজ্র ইত্যাদি) সকলের পদ একত্রে মেলালে তার 888sport free bet হয় সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ চলিস্নশটি। কর্ণপা এবং নামের সঙ্গে কর্ণপা রয়েছে এমন পদকর্তাদের পদ888sport free bet চোদ্দো। দশটি পদ রচনা করেছেন রত্নবজ্র। নয়টি পদের রচয়িতা সুরতবজ্র। ভাস্পতি রচনা করেছেন ছয়টি পদ। যোগমুনি বজ্রাচার্য রচনা করেছেন পাঁচটি পদ। চারটি করে পদ রয়েছে ওঙ্কারবজ্র, রসদত্তাচার্য, ভুবনহর্ষ ও রত্নকুলিশের। তিনটি করে পদের রচয়িতা হচ্ছেন অদ্বয়বজ্র, চন্দ্রবজ্র, গুদারি বা গোদরি, পরমাদিবজ্র, বিলাসবজ্র, লীলাবজ্র, শাশ্বতবজ্র, সিদ্ধিবজ্র ও হরুকবজ্র। পনেরোজন পদকর্তা দুটি করে চর্যাপদ রচনা করেছেন আর ছাপ্পান্নজন পদকর্তা রচনা করেছেন একটি করে চর্যাপদ। গবেষক জানিয়েছেন, আটাশিটি পদের পদকর্তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
নতুন চর্যাপদ গ্রন্থের একেবারে শেষে রয়েছে গ্রন্থপঞ্জি। এতে চলিস্নশজন প–ত ও গবেষকের গ্রন্থের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এসব বইয়ের অধিকাংশই চর্যাপদ নিয়ে গবেষণার জন্য অপরিহার্য।
নতুন চর্যাপদে সংকলিত চর্যাগুলো কালিক পরিবর্তনের চিহ্ন সংবলিত। এসব চর্যাপদ নিয়ে নিত্যনতুন গবেষণার নতুন নতুন দিগন্ত আমাদের সামনে উন্মোচিত। চর্যাপদগুলোর প্রতিটির রচনাকাল নির্ণয়, অজ্ঞাত রচয়িতার পরিচয় উদ্ঘাটন, চর্যার ভাষার বিবর্তন নিয়ে যেমন গবেষণা হতে পারে, তেমনি বৌদ্ধধর্মের তন্ত্রযান, বজ্রযান ও বৌদ্ধ দেবদেবী নিয়েও গবেষণা নতুন মাত্রা পাবে বলে ধারণা করা চলে।
ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ প্রায় আট বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে সচেষ্ট ছিলেন নতুন চর্যাপদ সংগ্রহ, সেগুলোর পাঠ ও পাঠান্তর নির্ণয় এবং সম্পাদনা ও চর্যাপদ-সংক্রান্ত সমস্তকাজ পর্যালোচনায়। তাঁরই অসামান্য ফসল নতুন চর্যাপদ নামের এই মহাগ্রন্থ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরিজিন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ প্রণয়নে এবং মুহম্মদ শহীদুলস্নাহ 888sport appsের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান সম্পাদনায় যে-ধরনের নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন ড. শাহেদের নতুন চর্যাপদ সেগুলোর সঙ্গে তুলনীয়। আশা করি, ড. শাহেদ তাঁদের মতোই 888sport app download for androidীয় হয়ে থাকবেন এ-অসাধারণ কাজের জন্য। চর্যাপদ সংগ্রহ, সংকলন, সম্পাদনা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞানগর্ভ ও শ্রমঘন এ-কাজ যে মাইলফলক হয়ে থাকবে তাতে সন্দেহ নেই।

