ছায়ামূর্তি

কে যেন কালো আলখেল্লা গায়ে পায়চারি করে গভীর কুয়াশায় একা

চেনাচেনা মনে হয় … চেনা গন্ধ জড়িয়ে আছে হাওয়ায় …

কেমন করে যেন কুয়াশা ঢুকে পড়ে বুকের ভেতর … সূক্ষ্ম সরীসৃপের মতো …

বরফকুচির মতো ঠান্ডা … মৃত্যুর মতো হিম …

সাপের জিহ্বার মতো লিকলিকে আগন্তুক … তক্ষকের চাতুর্যে …

একেবারে মগজের ভেতর ঢুকে যায় ছায়ামূর্তি …

নদীতে সাঁতার কাটিনি কখনো তবুও বুকের ভেতর ঢুকে যায় নদী

উথাল-পাথাল ঢেউ … ভুবনমোহিনী হাওয়া …

গাঢ় কুয়াশায় কালো আলখেল্লা গায়ে … তবে কি নদী সে?

মৃত্যুর আহ্বানে গঙ্গাসাগর … একা নয় তবু একা যেন …

কখন যেন নিজেই নদী হয়ে যাই গাঢ় অন্ধকারে –

কালো আলখেল্লা গায়ে কে যেন ঢুকে যায় হৃৎপিণ্ডের ভেতর

নান্দনিক কুয়াশায় বসে থাকি একা … আর আমার ছায়ামূর্তি …

আমি অবিনশ্বর হয়ে মিশে রই নদী কুয়াশা আর ছায়ামূর্তির ভেতর –

কালো আলখেল্লা গায়ে আমাকেই আমি আবিষ্কার করি কুয়াশার ভেতর;

এভাবেই কেউ কেউ ছায়ামূর্তি হতে হতে মিলিয়ে যায় অনন্ত কুয়াশায় –

সাপের খোলসের মতো নদীতীরে পড়ে থাকে অস্পষ্ট বিমর্ষ কিছু 888sport sign up bonus …