জুলফিকার মতিনের কবিসত্তা

যে কোনো শোক বুকের কবচে রেখেছি বেঁধে

ভ্রাতৃ-মাতৃ-পিতৃ শোক এমন কিছুই নয়

উপমা বিহীন শোকের নকশী মাঠ

শবদেহ হয়ে চোখের সমুখে আছে।

শোকের অন্য নাম জানা নেই,

            স্বাধীনতা জানা আছে

মৃত্যুর কোন মানে জানা নেই,

পতাকা ওড়ানো আছে

জনজোয়ারের ভাষা জানা নেই

                        দেয়ালে নেতার ছবিই টাঙানো আছে।

শোকের অন্য কি নাম দেব, স্বাধীনতা বলে দাও

সে কি নির্বোধ উচ্ছৃঙ্খল হাসি?

অথবা রাতের গোপন শিয়রে হত্যার আয়োজন?

সাজানো বাসরে নগ্ন বোনের দেহ?

নরম নদীর অববাহিকায় শুধু ধু ধু প্রান্তর?

কিছু জানা নেই, কিছু জানা নেই,

উপমা বিহীন শোকের নকশী মাঠ

শবদেহ হয়ে চোখের সমুখে আছে …

(‘শোকের নকশী মাঠ’, কোন লক্ষ্যে হে নিষাদ)

জুলফিকার মতিন বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের কবি। 888sport app পরিচয়ে তিনি যতটা আলোচিত-আলোকিত, কবি পরিচয়ে ততোটাই অনালেচিত, অনাবিষ্কৃত। আলোচনায় না থাকা বা 888sport app download apkর ভুবনে অনাবিষ্কৃত থাকার সঙ্গে তাঁর কবিকৃতি জড়িত নয়। বরং এই অনালোচিত বা অনাবিষ্কৃত থাকার পেছনে দায়ী আমাদের সমালোচনা-888sport live footballের অনগ্রসরতা। অথচ স্ব-সময়ে তো বটেই, পরবর্তীকালেও বাংলা 888sport app download apkর যে-ধারাবাহিক উত্তরাধিকার তিনি বহন করে চলেছেন, তা তাঁকে মহীরূহ হিসেবে চিহ্নিত না করলেও অনাবিষ্কারের পর্দা সরিয়ে তাঁর 888sport app download apkর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট। জুলফিকার মতিনের 888sport app download apkর বাচনিক দিক, শব্দের বহুমাত্রিক ব্যবহার এবং ভাবনার নিজস্বতায় ছড়িয়ে রয়েছে কিছু বিশেষত্ব।

প্রথম প্রকাশিত বই স্বৈরিণী স্বদেশ তুই, প্রথম প্রকাশ ডিসেম্বর ১৯৭২। দীর্ঘ 888sport app download apkর বই। 888sport live footballমূল্যে বইটি চিহ্নিত কাব্যনাটক হিসেবে। যে-কথাটি কবি জুলফিকার মতিনও তাঁর জলের সংসার কাব্যগ্রন্থের মুখবন্ধে স্বীকার করেছেন। এই গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি বলেন, ‘এই ক্ষুদ্রকায় গ্রন্থখানি প্রকাশের কোন প্রয়োজনই পড়ত না, যদি ১৬.০৩.১৯৮০ থেকে ২৬.০৫.১৯৮২ পর্যন্ত লেখা দলছুট এই 888sport app download apkগুলো চোখের আড়ালেই থেকে যেত। ১৯৭২ সালে আমার ‘স্বৈরিণী স্বদেশ তুই’ বলে যে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল, তাকে কাব্যনাটক বলাই শ্রেয়। তার পর তো দীর্ঘ বিরতি।’ সে হিসেবে তাঁর প্রথম 888sport app download apkর বই কোন লক্ষ্যে হে নিষাদ প্রকাশ পায় ১৯৮৯ সালে। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পেয়েছে – তাইতো সংবাদ নেই, নীলিমাকে চাঁদ দেব বলে, বৈশাখে ঝড় জল রোদের 888sport app download apk, ঘামের ওজন কত ভারী, দুঃখ ভোলার দীর্ঘশ্বাস, এই সংবাদ এই 888sport cricket BPL rateে, কার চরণচিহ্ন ধরে, জলের সংসার। মর্মলোকে লেখা ছিল – কাব্যসংগ্রহের শেষ বই। এ-বইটির প্রকাশকাল ২০১৮ হলেও গ্রন্থভুক্ত 888sport app download apkগুলির রচনাকাল – ১৯৯০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে।

নিজের 888sport app download apk সম্পর্কে কাব্যসংগ্রহের ভূমিকায় জুলফিকার মতিন বলেছেন, ‘কৈশোরে, মনের মধ্যে, কবি হবার একটা বাসনা ছিল নিশ্চয়ই। পুরুষশাসিত সমাজে পৈতৃক সম্পদের উত্তরাধিকার লাভের জন্য পিতৃপরিচয় আবশ্যকীয়। সৃজনশীলতার উত্তরাধিকার, সে মতো, বোধকরি হতেও পারে; আবার না-ও পারে। কথাটা বলছি এ কারণে যে, আমার পিতা, চৌধুরী ওসমান ছবি আঁকতেন। পরে আর ছবি আঁকেননি, শুরু করেছিলেন 888sport app download apk লেখা। বাড়ির পরিবেশও ছিল অনুকূল। 888sport free bet login তো ছিলই। নানাবিধ পত্রপত্রিকাও আসত। তাই, ধরেই নেওয়া যায়, অনুপ্রেরণাটা আসে সেখান থেকে। তারই ফলাফল হিসেবে, দৈনিক ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসরে ‘কচি হাতে মুক্তো ঝরে’ শীর্ষক বিভাগে প্রথম একটি 888sport app download apk মুদ্রিত হয় আমার। সে-ও প্রায় পঞ্চ যুগ পূর্বের কথা। তখন আমার দ্বাদশ বর্ষ। তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত না হওয়ার কোনো কারণও ছিল না। তবে সত্যি বলতে কি, আমি কবি হতে পারিনি। সেজন্য সাক্ষ্যপ্রমাণাদি উপস্থাপিত করাও নিষ্প্রয়োজন। কেননা, প্রথম 888sport app download apk মুদ্রিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে, বয়স যত বৃদ্ধি পেতে থাকে, কবি হওয়ার বাসনাও অপসারিত হতে থাকে ধীরে ধীরে। তা বলে, নিয়মিত হোক, আর অনিয়মিত হোক, 888sport app download apk লেখা থেমে থাকেনি। এখনো যে লিখছি না, তা-ও নয়। এরই মধ্যে লেখালেখির অর্ধশতকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে।’

জুলফিকার মতিন বলেছেন, ‘আমি কবি হতে পারিনি।’ তবে কবি হতে না পারলেও তিনি 888sport app download apk লেখা থামিয়ে দেননি। আর দেননি বলেই এক মলাটের মাঝে আমরা দেখা পেয়েছি এগারোটি কাব্যগ্রন্থের। কবি হতে না পারার যে-আক্ষেপ তিনি শুনিয়েছেন তাঁর 888sport app download apkর পাঠককে, তা ফসকে বলে যাওয়া কথা। কারণ তাঁর 888sport app download apk বারবার তুলে ধরেছে বিতৃষ্ণার পরিবর্তে সুন্দরের পক্ষে দাঁড়ানো কবির অন্তহীন লড়াই। সাধনায় মগ্ন তৃষ্ণা জাগানো কবির চিন্তিত মননের মধ্য থেকে উঠে আসা কথামালার বিশেষত্ব, তাঁর দেখানো প্রতিটি ছবিই বিশ্বাসের। স্ব-সময়ের ভাষা, যাকে 888sport live chatের বিচারে ‘চিৎকার’ বলেও অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা, তাকে সযত্নে সরিয়ে রেখে জুলফিকার মতিন কথা বলেন নিচু স্বরে, পাঠকের সঙ্গে সহজ আন্তরিক সম্পর্কের সূত্র ধরে।

‘আমাকে দুঃখী ভেবে কোন দিন কত ফুল দিতে চেয়েছিলে

দিতে চেয়েছিলে তুমি নিঃস্ব করে জবার বাগান

…    …    …

আমাকে দুঃখী ভেবে কোন দিন বলেছিলে

সেই সব মানুষের কথা লিখে রেখ

ফসল ঝরার দিকে লাবণ্যের কথা

লিখে রেখ জেগে থাকা রাতপ্রহরীরা

বুনো শুয়োরের সাথে পাল্লা দিয়ে ভুলে থাকে

888sport promo code ও শয্যার সুখ

নৈশকালীন।

প্রকৃত মানুষ তারা একবার জন্ম নিলে বারবার মরে

ভাঙতে ভাঙতে নদী বুকের ভেতর এসে পড়ে।

(‘আমাকে দুঃখী ভেবে’)

জুলফিকার মতিন রাজনীতি-সম্পৃক্ত নন, বরং রাজনীতি-সচেতন কবি। সরাসরি অংশ নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। যে-রাজনৈতিক বোধ আমাদের মিলিয়ে দিয়েছিল মুক্তির সংগ্রামে, রাষ্ট্র ও নতুন সমাজের যে তৃষ্ণা আমাদের হাতে তুলে নিতে বাধ্য করেছিল অস্ত্র, সেই অগ্নিঝরা পর্বের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েও তিনি শব্দের বুননে 888sport live chatকে বিসর্জন দেননি। তাঁর স্বকালের কবিদের শব্দে যখন আগুন ঝরেছে, যাকে স্লোগান হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছে, সেখানে খুব সচেতনভাবেই জুলফিকার মতিন তাঁর বিশেষত্বকে শৈল্পিকতার দাবি নিয়ে উপস্থাপন করেন। যেখানে 888sport live chatের কাছে কৌতূহলী পাঠকের আকাঙ্ক্ষার পূর্ণতা আসে, স্বস্তি মেলে।

কড়া নাড়ার শব্দে দরজা খুললেই কিংবা

ঘরের নিরাবয়ব শত বর্ষের নিঃস্তব্ধতা ঘিরে

রাস্তাঘাটে, প্রতিটি কাউন্টারে

                     সর্বত্রই একই দৃশ্য

সারি সারি মুণ্ডুহীন লাশ –

…    …    …

সবার মুখেই উদগ্রীব প্রশ্ন,

                কেমন আছি?

…    …    …

মৃত মানুষের কাছে জীবিত মানুষের খবর পৌঁছানের জন্য

            লাশ হয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য আর কি উপায় আছে?

তাই এই সব সশব্দ প্রতিবাদ

নিরুত্তর মৌনতা

কেমন আছি জানানোর জন্য লাশ হয়ে যাওয়ার বিরতিহীন প্রস্তুতি।

(‘কেমন আছি’)

১৪ই ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালে লেখা 888sport app download apkটির গদ্যাংশ নির্মাণের বিপরীতে বরং সহজ-সুন্দর বর্ণনার ভেতর দিয়েই স্পষ্ট হয়ে ওঠে দুঃসময়ে একজন রাজনীতি-সচেতন কবির বাচনিক  ভঙ্গি। যা তাঁর বিশ্বাস, তা কাব্যপথ বিচ্যুত না হয়ে, আপ্লুত আবেগে ভেসে না গিয়েও অন্য এক রূপে ধরা দেয়। কি সেই রূপ? 888sport live chatের গভীরে তাকালে দেখা যায়, ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে নয় তো নয়ই, শৈল্পিকতার দাবিকে পূরণ করেই তিনি বিশ্বাসকে বাড়িয়ে ধরেন। যার ভেতরে কোনো কৌশল নেই, অথচ অঙ্কিত হয়ে আছে সময়, যাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে বিগলিত প্রেম নেই, প্রচলের স্লোগান নেই, তর্কের বেশে আলুথালু আবেগ নেই, বরং রয়েছে ধনুকের জ্যা বা ছিলার মতো টানটান ভাব। শব্দের সেই গাঁথুনির ভেতরে যে বিশেষত্ব, তা সহজেই মনে হতে পারে আকাক্সিক্ষত। শব্দের এবং ভাবের দ্বৈততা দিয়ে তিনি যে-বোধের স্থিতিস্থাপক শক্তি জমিয়ে রাখেন 888sport app download apkর পরতে পরতে তা ছিলা ছেড়ে দিলে অভিমান কাটিয়ে হয়ে ওঠে এক-একটি তীব্র আগুনের গোলা। শব্দই তার ব্রহ্মাস্ত্র। শব্দের বিন্যাসে বিষয়বৈচিত্র্যের দারুণ খেলায় জুলফিকার মতিন যে-সুবর্ণপ্রাসাদ নির্মাণ করেন, তা বাবুই পাখির কুঁড়েঘরের মতোই অকৃত্রিম। তাঁর 888sport app download apkর ব্যাখ্যা প্রয়োজন হয় না, কিন্তু প্রতীক ও শব্দ প্রয়োগে একান্ত আপনার কথা হিসেবে উপস্থিতির মাধ্যমে তাঁর ভাবনা সহজেই ছড়িয়ে যায়।

অভ্যাসে বারুদ মেশে, হে আমার প্রিয় বান্ধব

মানবের দুঃখ দেখে প্রকৃতির বিধবা বসন

কত কাল ধুয়ে দেবে চোখের নদীতে?

…    …    …

যত দিন ফুল আছে – যত দিন 888sport promo code আছে

আকাশে তারা কাছে অবিরাম সুগন্ধ রয়েছে

তত দিন হে আমার প্রিয় বান্ধব

শুদ্ধতম স্নানে কেউ পারবে না যেতেই কখনও।

(‘হে মানব’)

জুলফিকার মতিন জানেন, 888sport live chatের পথ সাধনার পথ। ফলে বিরক্তিকর এবং অহেতুক লোকপ্রিয়তা অর্জনের চেয়ে তিনি সচেতনভাবেই প্রতিনিয়ত 888sport live chatের সঙ্গে নিজের এক অবিচ্ছেদ্য সেতু নির্মাণে মগ্ন, যা ক্ষণিকের চেয়ে 888sport live chatের অনশ্বর পথের দিশাতেই আচ্ছন্ন। তিনি যেমন খুবই সচেতনতার সঙ্গে এড়িয়ে গিয়েছেন উচ্চকিত শব্দের হই-হুল্লোড়, কিন্তু স্বভাবগত বৈশিষ্ট্যে রাজনৈতিক প্রশ্নগুলিকে চিনিয়ে দিয়েছেন। তিনি এড়িয়ে যাননি নানামাত্রিক দুর্যোগ ও দুর্বিপাককে। বরং সমসাময়িকতাকে তিনি আত্মস্থ করেছেন, যা তাঁকে আচ্ছন্ন করেছে, তাঁকে তিনি 888sport live chatের সুষমায় মুড়িয়েই আন্তরিক থেকেছেন প্রকাশে। ফলে শুরু থেকেই নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের আগ্রহের প্রকাশ ও দৃঢ়তার দেখা মেলে। কাব্যনাট ‘স্বৈরিণী স্বদেশ তুই-এর ভেতর দিয়ে যে দ্রোহ, ভাব ও ভাষায় যে মোহমুক্তির প্রকাশ তিনি পাঠকের সামনে উপস্থাপন করেছিলেন, তা যেমন শুরুতেই তাঁর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বরকে স্পষ্ট করেছিল, তা যে অস্তিত্ব-খুঁজে-ফেরা নবীনের সাময়িক উন্মাদনা নয়, তা পরমের সাধনার পথে আত্মমগ্ন এক 888sport live chatীর নিজেকে নিঃশেষ করে অস্তিত্ব জানান দেওয়া। সেই পৌনঃপুনিকতাতেই জুলফিকার মতিন তাঁর কাব্যধারাকে সচল রেখে আত্মসমর্পণ করেছেন 888sport live chatের কাছে, যা পাঠকের সঙ্গে তাঁর প্রগাঢ় বন্ধন তৈরি করেছে। অভিজ্ঞতালব্ধ উপলব্ধি তাঁর কাব্যভাবনায় ছাপ ফেলেছে; কিন্তু সেই ভাবনা প্রকাশে তিনি সযত্নে এড়িয়ে গেছেন অস্থিরতা ও যাবতীয় কোলাহল। 888sport live chatের কাছে তাঁর নতিস্বীকার রয়েছে, সেই নতির প্রকাশে তিনি প্রতিনিয়ত রূপান্তরের মাধ্যমে বৈচিত্র্যকে পরিস্ফুট করেছেন। ফলে তাঁর 888sport app download apkয় ঘুরেফিরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা, অবরুদ্ধ সময়, দুঃশাসনের বেদনা ক্রম অস্তিত্ব জানান দিলেও তা খারিজ করে দেওয়া যায় না। যতটা সহজে তিনি বলেন,

অবৈধ প্রবেশে আমি অপবিত্র করেছি কি শব্দের সুবর্ণ প্রাসাদ?

888sport app download apk-রমণী দেহ? একগুচ্ছ ভাবনার শুভ্রতম নদী নিরবধি?

(‘প্রবেশ নিষেধ’)

নিজের 888sport app download apk সম্পর্কে জুলফিকার মতিন কি ভাবেন – পাঠকের মনের ভেতরে সেই প্রশ্ন জেগে উঠলে তার উত্তরও রয়েছে – কাব্যসংগ্রহ-এর ভূমিকায়। সেখান তিনি বলেন, ‘আমার পাঠকপ্রিয়তা না থাকা সত্ত্বেও …’ তিনি যে পৌনঃপুনিক নিজেকে প্রকাশের আলোয় এনেছেন, নিজেকে প্রকাশ করতে চেয়েছেন, তার পেছনের পথ নির্মাণ করেছে তাঁর মানসিক ভূমণ্ডল। কবিকে বলা হয়, স্বপ্নদ্রষ্টা-দূরগামী। সেই দূরগামিতার যে অঙ্কুরোদ্গম রাজনীতি-সচেতনতার মধ্য দিয়ে তিনি নিজের ভেতরে রোপণ করেছিলেন, তাই তাঁকে আপন সত্তার গভীর থেকে উস্কে দিয়েছে। তাঁর সংবেদনশীলতা প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান করেছে অস্তিত্বের গভীরতর শেকড়, যেখানে তিনি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পথ ধরে প্রতিটি বাঁক ও বাঁকবদলের আলো-অন্ধকারকে ভাগাভাগি করেছেন পাঠকের সঙ্গে। জীবনের ক্লেদাক্ত দিকগুলি, ইতিহাসের অন্ধগলিপথে হারিয়ে যেতে দেননি তিনি, বরং সময়ের প্রতিনিধি হয়ে টুকে রেখেছেন দিনলিপি, যা 888sport live footballের-888sport live chatের কঠোর কঠিন ভূমিতে তাঁকে হারিয়ে যেতে দেবে না, মনোযোগী পাঠকের দৃষ্টি থেকে উপেক্ষিত হবে না, বরং একাগ্রতায় বারবার পাঠে আগ্রহী করে তুলবে।