
আনিসুজ্জামান
জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে আমার আববার বেশ সৌহার্দ্য ছিল। সেইসূত্রে কলকাতায় আমাদের বাড়িতে তাঁকে দেখেছি অনেকবার। বাড়ির সামনের ঘরটা ছিল আববার হোমিওপ্যাথিক চেম্বার। সেখানেই আববার বন্ধুরা আসতেন – কখনো গল্প করতে, কখনো ওষুধ নিতে। আবেদিন সাহেবকেও আমি ওই ঘরটায় দেখি। পঞ্চাশের মন্বন্তরের সময়ে আমি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সংবাদপত্রে ও সাময়িকপত্রে জয়নুল আবেদিনের অাঁকা দুর্ভিক্ষের ছবির সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে গেছে। তাঁর সম্পর্কে তাই কিছু অতিরিক্ত কৌতূহল ছিল। তার ওপর দীর্ঘদেহী সুদর্শন এই মানুষটির কাছে যেতেই ভালো লাগত। ছোটো বলে তিনি যে আমাকে অবজ্ঞা করতেন না, তাও ছিল তাঁর প্রতি আকর্ষণের কারণ।
একদিন তাঁর শার্টের পকেট থেকে ট্রামের কয়েকটা টিকিট বার করলেন জয়নুল। তার উল্টোপিঠে কালি-কলমে নকশা অাঁকা। মানুষ, গাছপালা, পথঘাট – খুবই আকর্ষণীয়। লুব্ধদৃষ্টিতে আমি তাকিয়ে রইলাম তার দিকে। তিনি বললেন, ‘এগুলো দিতে হবে বেগম সুফিয়া কামালের ছেলেকে। তোমাকে আরেকদিন দেবো।’ সে-প্রতিশ্রুতি অবশ্য তিনি রাখতে পারেননি, হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন।
দেশভাগের পরে 888sport appয় এসে আমরা প্রথমে শান্তিনগরে উঠি। আমাদের এক নিকট প্রতিবেশী ছিলেন আমিনুল ইসলাম। তিনি সদ্য আর্ট ইনসটিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর কাছে জানতে পারি, আবেদিন সাহেবের নেতৃত্বে কয়েকজন 888sport live chatী ও 888sport live chatানুরাগী কেমন আপ্রাণ চেষ্টা করে আর্ট ইনসটিটিউট স্থাপনে সরকারকে সম্মত করান। আবেদিন সাহেব নিজেও সে-সম্পর্কে কিছু কিছু গল্প করতেন আববার কাছে। একবার বলেছিলেন, আর্ট ইনসটিটিউট প্রতিষ্ঠা-সংক্রান্ত একটি ফাইল ছিল এক উপসচিবের কাছে। জয়নুল তাঁর সামনের চেয়ারে বসে অপেক্ষা করছেন কতক্ষণে তিনি ফাইলটা ছাড়বেন, তার জন্যে। উপসচিব বললেন, ‘আবেদিন সাহেব, আপনি তো আর্টিস্ট মানুষ! আমার ছেলের ছাতায় একটু কষ্ট করে তার নামটা লিখে দেবেন? তাহলে তা হারালেও আবার ফিরে পাওয়া যেতে পারে।’ জয়নুল সোৎসাহে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালেন।
আমরা যে-বাড়িটায় থাকতাম, তার নাম ছিল প্রমথ নিবাস। বাড়ির মালিক কলকাতা চলে গিয়েছিলেন। যখন জানা গেল, তিনি বাড়িটা বেচে দেবেন, তখন আববা চেষ্টা করলেন সেটা কিনে নিতে। দরদাম ঠিক হয়ে গেল, কিন্তু সমস্যা দাঁড়ালো মূল্যপরিশোধের উপায় নিয়ে। মালিক টাকাটা চান কলকাতায়, আববা তার ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না। আববা টাকাটা দিতে চান 888sport appয়, কিন্তু তা নিয়ে মালিক কী করে কলকাতায় ফিরে যাবেন, তা নিয়ে ছিল তাঁর দুশ্চিন্তা। একদিন হঠাৎ শোনা গেল, বাড়িটা জয়নুল আবেদিন কিনে নিয়েছেন। আববা বেশ ক্ষুণ্ণ হলেন। আবেদিন সাহেব বন্ধু মানুষ, বাড়ি কিনলেন, অথচ তাঁকে কিছু জানালেন না! এক ভোরে জুনাবুল ইসলাম এসে বাড়ির বাইরে থেকে সীমানার মাপজোক করতে লেগে যান। ঝোপের আড়ালে কাউকে দেখে আববা ‘কে এখানে, কী করে!’ বলে প্রশ্ন করতেই জুনাবুল উঠে দাঁড়ালেন। আমি যতই বলি, উনি আবেদিন সাহেবের ভাই, আববা আমার কথা কানে নেন না। তিনি কঠোর ভাষায় জুনাবুলকে বকে চলেন। আমি লজ্জিত হই, কিন্তু নিরুপায়। জুনাবুল কুণ্ঠিত, কিন্তু আত্মরক্ষায় অসমর্থ। আববা অচিরেই ঠাটারিবাজারে এক বাড়ি কিনে প্রমথ নিবাস ছেড়ে চলে এলেন।
আবেদিন সাহেবের সঙ্গে আমার যোগাযোগে কিন্তু ছেদ পড়েনি। আর্ট ইনসটিটিউটে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, দেখা হয়ে যায় চিত্র-প্রদর্শনীতে, ক্বচিৎ কখনো আমাদের 888sport live football সংসদ বা অন্য কোনো সংগঠনের আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, কচি-কাঁচার মেলায়। তাঁর বাড়িতেও এক-আধবার যে ঢুঁ দিইনি, তাও নয়। ১৯৫৪ সালে 888sport live football সম্মেলনের সময়ে এক চিত্র-প্রদর্শনীর আয়োজন হয়, তার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছিল জয়নুল আবেদিনের – কাজটা যদিও আমিনুল, বিজন ও ইমদাদ মিলে করেছিলেন।
আমরা যখন 888sport app বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তখন দু-বছরের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল বার্ষিকী যুক্তভাবে বের করেছিলাম এবং তাকে দিয়েছিলাম একটি 888sport live footballপত্রিকার রূপ। বেনামিতেও দু-একটা লেখা ছাপিয়েছিলাম বিষয়বৈচিত্র্যের খাতিরে। নির্বাচিত ছাত্র-সংসদ, অ্যাথলেটিক ক্লাব ও সম্পাদনা পরিষদের কোনো ছবি ছাপা হয়নি। আমরা গিয়ে আবেদিন সাহেবকে ধরেছিলাম তার প্রচ্ছদ এঁকে দিতে। তিনি সাদা-কালোয় একটা ছবি এঁকে দিয়েছিলেন – কাদায় আটকানো গরুর গাড়ি, দুজন চাকা ঠেলছে সামনের দিকে (অনেকে বলতেন, বার্ষিকীর প্রকাশ আটকে গিয়েছিল, সহযোগী সম্পাদকেরা তা উদ্ধার করার চেষ্টা করছে) – আর লাল কালিতে লেখা হয় বার্ষিকীর নাম। ছবিটা পরে খুব জনপ্রিয় হয় এবং নানা জায়গায় নানা নামে মুদ্রিত হয়।
ষাটের দশক ধরেই তাঁর সঙ্গে দেখা হতো – বাংলা একাডেমিতে পরিচালক সৈয়দ আলী আহসানের দপ্তরে, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবনে। একবার রাজ্জাক সাহেবদের কলাতিয়া গ্রামে আমরা বেশ কয়েকজন মিলে সারাদিন কাটিয়ে এলাম। আবেদিন সাহেব গিয়েছিলেন সস্ত্রীক, মুনীর চৌধুরী ও আমি সপরিবারে, সঙ্গে আরো কয়েকজন। 888sport app download for androidীয় ও আনন্দময় একটি দিন। সেই দশকেরই একদিনের কথা। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে কেন্দ্রীয় তথ্যমন্ত্রী এক বিবৃতি দিয়ে বলেন যে, বেতার ও টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসংগীতের সম্প্রচার হ্রাস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেননা তা পাকিস্তানের ভাবাদর্শের সঙ্গে সংগতিহীন। আমরা ১৯ জন সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করি। আমি একাই বিবৃতিতে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে দিই। জয়নুল আবেদিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সামনে যখন বিবৃতিটা ধরলাম, তিনি সই করে দিলেন। এর অল্পকাল পরে আমার সম্পাদিত রবীন্দ্রনাথ বইটি প্রকাশ পাওয়ার কথা। আমি আবেদিন সাহেবকে গিয়ে ধরলাম বইটির জন্য রবীন্দ্রনাথের একটা প্রতিকৃতি এঁকে দিতে হবে। তিনি একটু বিরক্তির সঙ্গে বললেন, তুমি কি আমাকে পোর্ট্রেট-আর্টিস্ট মনে করো নাকি? আমি বললাম, তা নয়, এ-বইতে অনেক বিশিষ্ট জনের লেখা থাকছে, আপনার অাঁকা একটা ছবি থাকলে বইয়ের মর্যাদা বাড়ে। তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে যে-ভাবনা নিয়ে আপনি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, সেই ভাবনা থেকেই ছবিটা অাঁকবেন, এই আমার আশা। তিনি নরম হলেন। বললেন, আচ্ছা, রবীন্দ্রনাথের খানদুই ভালো ফটোগ্রাফ নিয়ে এসো, তার থেকে একটা বেছে নিয়ে আমি ছবি এঁকে দেবো। আমি রবীন্দ্র-রচনাবলীর দুটি খন্ড তাঁকে দিয়ে এলাম। কয়েকদিন পরে নিয়ে এলাম অতি সুন্দর একটা প্রতিকৃতি। আমার হাতে সেটা তুলে দিয়ে জয়নুল বললেন, এটা আমি তোমাকে উপহার দিলাম।
বই ছাপা হলো – জয়নুল আবেদিনের অাঁকা রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি বইটির মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দিলো। তাঁকে বই দিয়ে এলাম। ছাপা দেখে তিনি খুশি হলেন। আমি কিন্তু প্রকাশকের কাছ থেকে ছবিটা আর উদ্ধার করতে পারলাম না। তিনি বললেন, প্রেস থেকে সেটা ফিরে পাননি।
এর কিছুকাল পরে আমি 888sport app থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম। আমার ঠাঁই হলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায়। সেখানেই থাকেন জয়নুল আবেদিনের অনুজ জাহেদুর রহিম – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক, আর তাঁর পুত্র মিজানুর রহিম – চারুকলা বিভাগের শিক্ষক। আবেদিন সাহেব কাপ্তাই গিয়েছিলেন তাঁর ভায়রার বাড়িতে বেড়াতে। সেখান থেকে এসেছেন ক্যাম্পাসে, ভাইয়ের বাড়িতে – সঙ্গে তাঁর শ্যালিকা ও শ্যালিকার কন্যা লোপাও আছে। সন্ধ্যার দিকে নিজেই চলে এসেছেন আমার বাড়ি – বসার ঘরে ঢুকে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ছবিটা কোথায়? কোন ছবির কথা বলছেন, তা বুঝতে আমার অসুবিধে হলো না। বললাম, ছাপার পর ওটা আর পাওয়া যায়নি, প্রকাশক বলছেন, প্রেস থেকে হারিয়ে গেছে। আবেদিন সাহেব ক্ষুণ্ণ হয়ে বললেন, তুমি যেমন! ছবিটা কি হারাবার মতো! হয় প্রেসের লোকে নয় প্রকাশক নিয়ে নিয়েছে। তুমি এতো সহজে ছেড়ে দিলে! ওটা আমি তোমাকে উপহার দিয়েছিলাম।
সেবারেই বোধহয় মনপুরা নিয়ে আঁকা তাঁর বিশাল আকৃতির স্ক্রল প্রদর্শিত হয় চট্টগ্রামের মুসলিম ইনসটিটিউট প্রাঙ্গণে। দর্শকের সমাগম দেখে জয়নুল আবেদিন খুব খুশি হয়েছিলেন। সমালোচকেরা সে-স্ক্রলের তুলনা করেছিলেন তাঁর দুর্ভিক্ষের চিত্রমালার সঙ্গে। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ আর প্রকৃতিসৃষ্ট দুর্যোগ – দুয়েরই শৈল্পিক ভাষ্য নির্মিত হলো একই 888sport live chatীর হাতে।
স্বাধীন 888sport appsে তাঁর সঙ্গে আবার যোগাযোগ হলো 888sport appsের সংবিধান-প্রণয়নের সময়ে। সংবিধানের হাতে-লেখা যে-পাঠে গণপরিষদের সদস্যেরা স্বাক্ষর দেবেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন, তা অলংকরণের দায়িত্ব নেবেন জয়নুল আবেদিন। বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে আবেদিন সাহেব একদিন এলেন গণভবনে কিংবা গণপরিষদে – সঙ্গে নিয়ে এলেন সমরজিৎ রায়চৌধুরী, জুনাবুল ইসলাম, হাশেম খান, আবুল বারক আলভীকে। বললেন, পুস্তানিটা হবে তাঁর সংগ্রহের একটি নকশি কাঁথার নকশা দিয়ে, আর প্রতি পৃষ্ঠার চারদিকে দেশীয় মোটিফের ছবি এঁকে দেবেন 888sport live chatীরা। আমি প্রস্তাব করেছিলাম, এ কে এম আবদুর রউফকে দিয়ে মূলপাঠ হাতে লেখানোর – আবেদিন সাহেব তা অনুমোদন করেছিলেন।
এরপর তিনি বিশেষভাবে মনোযোগী হন লোক888sport live chat-জাদুঘর স্থাপনের বিষয়ে। বঙ্গবন্ধুও তাঁর ইচ্ছাপূরণে সাহায্য করেছিলেন। সোনারগাঁর জাদুঘরটি তারই ফল।
আমি চট্টগ্রামে থাকায় এবং এক বছরের জন্যে বিলেত চলে যাওয়ায় আবেদিন সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ একেবারেই ক্ষীণ হয়ে পড়ে। বিলেত থেকে আমার ফিরে আসার আড়াই মাসের মাথায় আমার আববা মারা যান – ফুসফুসের ক্যানসারে। তার ছ-সাত মাসের মধ্যে একই রোগে জয়নুল আবেদিন শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর ব্যক্তিগত 888sport sign up bonus আমার মনে সবসময়ে অমলিন হয়ে থাকবে। সংগঠক হিসেবে তিনি ছিলেন অসাধারণ। আর্ট ইনসটিটিউটের স্বার্থে তিনি অনেক সময়ে অনেক 888sport live chatীর সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেছেন। কাউকে ইনসটিটিউটে শিক্ষক করে নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু সরকারের মুখ চেয়ে তা করতে পারেননি, সঙ্গে সঙ্গে দেখেছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তার যেন একটা ভালো চাকরি হয়। দেশের লোকজীবন ও লোক888sport live chatের প্রতি তাঁর অনুরাগ ছিল প্রবল। সেই আকর্ষণেই কলকাতা আর্ট কলেজের প্রথাগত 888sport live chatচর্চার ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মন্বন্তরের চিত্রমালার মতো বাস্তবধর্মী ছবি তিনি অাঁকতে পেরেছিলেন। মোড়ক-বাঁধার বাদামি কাগজে মোটা তুলি বা হালকা ব্রাশে কালো রং দিয়ে অাঁকা এসব ছবি দুর্ভিক্ষের নিষ্ঠুর সত্য উপলব্ধি করতে যেমন সাহায্য করেছিল, তেমন আর কিছুই বোধহয় করেনি। মনপুরা-স্ক্রলের ছবি সম্পর্কেও এ-কথা সত্য।
তাই বলে তাঁর মধ্যে গোঁড়ামি ছিল না। প্রথমবার বিলেতে গিয়ে স্লেড স্কুলের শিক্ষার ধরন এবং পাশ্চাত্য 888sport live chatকলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয় থেকে তিনি নিজেকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। ফিরে এসে জলরঙে যেসব ছবি এঁকেছিলেন, তাতে তার খানিকটা পরিচয় মেলে। তবে ফিরে ফিরে তিনি এসেছেন সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায়, লোক888sport live chatের সরল সৌন্দর্যের কাছে। বাংলার মানুষ ও প্রকৃতি তাঁকে সৌন্দর্যের সন্ধান দিয়েছিল। মৌখিক আলাপে যখন তিনি ধানখেতের ওপর বাতাস বয়ে যাওয়ার কথা বলতেন কিংবা নদীর তরঙ্গ ও প্রবহমানতার বর্ণনা দিতেন, তখন মনে হতো, আমরাও সে-নান্দনিকতাকে উপলব্ধি করতে পারছি। তাঁর সমস্ত সত্তার গভীরে লোকজ নন্দনতত্ত্ব বাসা বেঁধেছিল। এটাই ছিল তাঁর অর্জন এবং উৎস দানের।


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.