তানভীর মোকাম্মেল মূলত live chat 888sportকার হিসেবে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতিসম্পন্ন হলেও বাংলা 888sport live footballে বিশেষত 888sport app download apk, গল্প, 888sport alternative link এবং 888sport live রচনায়ও তিনি নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। এবং এই নিরিখে ইতোমধ্যেই তিনি বিশিষ্ট একটি অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর live chat 888sport নির্মাণ এবং লেখালেখিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি দখল করে আছে সাতচল্লিশের দেশভাগের প্রভাব-প্রতিক্রিয়া-অভিঘাত এবং একাত্তরে 888sport appsের মহান মুক্তিযুদ্ধ। দর্শক-শ্রোতা এবং পাঠকের মনে খুব স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে, তানভীর মোকাম্মেল যে-বিষয় নিয়ে দীর্ঘ ক্যানভাসে live chat 888sport নির্মাণ করেছেন, 888sport alternative link লিখেছেন – সেই একই বিষয় নিয়ে কেন তিনি গল্প লিখতে গেলেন। মানুষের জীবনে এবং ইতিহাসে এমন কিছু সূক্ষ্ম বিষয় এবং বোধের জায়গা থাকে যেগুলো live chat 888sport এবং 888sport alternative linkের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে হয়তো যথার্থভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। সে-কারণে live chat 888sport নির্মাণ এবং 888sport alternative link লেখার পরও বোধহয় তাঁর অন্তরে এমন কোনো অতৃপ্তি রয়ে গেছে যা থেকে মুক্তি পেতে, অপ্রকাশের ভার অবমুক্ত করার জন্য তিনি গল্পের আশ্রয় নিয়েছেন। কিংবা একই বিষয়কে বিভিন্ন 888sport live chatমাধ্যমে প্রকাশ করে তিনি বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেছেন কিংবা একধরনের নিরীক্ষাধর্মিতার সুপ্ত বাসনা তিনি পূরণ করেছেন। আমার নিজস্ব ধারণা, তানভীর মোকাম্মেল এমনই কোনো বোধ বা লক্ষ্য থেকে ছোটগল্প রচনায় ব্রতী হয়েছেন এবং বলা বাহুল্য, তিনি সফলও হয়েছেন।
সংবাদ, সন্ধানী , কালি ও কলম, শিস্ – দুপার বাংলার এইসব বিশিষ্ট পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পের সংকলন তানভীর মোকাম্মেলের ছোটগল্প নামে প্রকাশিত হয়েছে যুগপৎ দুই বাংলা থেকেই। নিজের গল্প সম্পর্কে কৈফিয়ত দিতে গিয়ে তিনি লিখেছেন – ‘888sport appsের মুক্তিযুদ্ধ, সাতচল্লিশের দেশভাগ এবং আমাদের যাপিত জীবনের নানা বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এসব ছোটগল্পগুলো লেখা।’ শুরুতে তানভীর মোকাম্মেলের ছোটগল্প রচনায় ব্রতী হওয়ার যে সম্ভাব্য কারণের কথা বলা হয়েছে সেই প্রসঙ্গে তিনি নিজেই লিখেছেন – ‘888sport live footballের এই মাধ্যমটি সব সময়ই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। অল্প পরিসরের মধ্যেই কিছু চরিত্র, কোনো অভিজ্ঞতা ও আবহকে সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা সহজ কাজ নয় মোটেই। এ যেন বিন্দুতে সিন্ধুকে ধরার চেষ্টা।’ অর্থাৎ জীবনসিন্ধুকে জীবনবিন্দুতে ধরার প্রয়াস থেকেই তিনি ছোটগল্প রচনায় ব্রতী হয়ছেন।
তানভীর মোকাম্মেলের ছোটগল্পের প্রধান উপজীব্য একাত্তরে 888sport appsের মহান মুক্তিযুদ্ধ। তার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পগুলের মধ্যে রয়েছে – দুটি মৃত্যু, একটি অপ্রেমের গল্প, আলতুর মায়ের পক্ষীভক্ষণ, মুন্নী, সহোদর, জনক, সাইকেল, জজসাহেব, স্বর্ণঋণ, মোনাজাত, কানাই প্রভৃতি। মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলির মধ্যে রয়েছে – পাকিস্তানি শাসকচক্রের রাজনৈতিক কূটকচাল, সত্তরের নির্বাচন, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিবাহিনী গঠন, রাজাকার-আলবদর-আলশামসের গোড়াপত্তন ও বিস্তার, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, 888sport promo codeনিগ্রহ, পুরুষ ও শিশুহত্যা, ধর্মান্তরকরণ, দেশত্যাগ, শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন প্রভৃতি। এগুলোই সেই সময়ের স্বাভাবিক এবং সাধারণ চিত্র। মুক্তিযুদ্ধের গল্প, 888sport alternative link, 888sport app download apk, নাটক, live chat 888sportে ঘুরেফিরে অনিবার্যভাবেই এ-প্রসঙ্গগুলো এসে পড়ে। এসব ঘটনার আড়াল থেকে নতুন ঘটনা, নতুন জীবনদর্শন, ভিন্নতর কোনো চেতনা উপস্থাপন করাই একজন লেখক কিংবা 888sport live chatীর কাজ। অনুভূতির সূক্ষ্ম, সূক্ষ্মতর এবং সূক্ষ্মতম জায়গাগুলো স্পর্শ করাই একজন লেখকের দায় এবং দায়বদ্ধতা। তানভীর মোকাম্মেলের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গল্পগুলো পাঠ এবং পর্যালোচনা করলে মুক্তিযুদ্ধের ভিন্নতর কিছু অর্জন এবং উপলব্ধি পাঠককে নাড়া দিয়ে যায়। প্রসঙ্গত বলতে হয় যে, তানভীর মোকাম্মেলের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায় সবগুলো গল্পেরই পটভূমি খুলনা। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি ফরেস্টঘাট, কালীবাড়ি, দোলখোলা, ডাকবাংলো, সার্কিট হাউস, গল্লামারি, চুকনগর, রূপসাঘাট, ভৈরব নদ, দৌলতপুর, শিরোমণি, ফুলতলা প্রভৃতি স্থানের নাম উল্লেখ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন খুলনার প্রত্যক্ষ কোনো কোনো ঘটনা সরাসরি উঠে এসেছে তাঁর গল্পে। ধরা যাক, একদিনে খুলনার সাতজন বিশিষ্ট নাগরিক, যারা ধর্মীয় পরিচয়ে হিন্দু, তাদের হত্যা করে সাধারণ মানুষের মনে ভীতিসঞ্চার করার জন্য পাকিস্তানি মিলিটারিরা রাস্তায় ফেলে রাখে দীর্ঘসময়। প্রসঙ্গত বলতে হয়, হাসান আজিজুল হকের করতলে ছিন্নমাথা এবং দীপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুলনা একাত্তর : আমার মুক্তিযুদ্ধ বইয়ে এই সাতজন বিশিষ্ট নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেওয়া আছে। তানভীর মোকাম্মেল এই বাস্তব ঘটনাটিকে তাঁর গল্পে বিশেষ জায়গা দিয়েছেন। এমনকি খুলনার মুসলিম লীগের নেতা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আব্দুস সবুর খানের চরিত্র অংকন করেছেন ‘কানাই’ গল্পের আব্দুল গফুর খানের নামের আবরণে। আব্দুল গফুর খানকে নিয়ে রসিকতা করতে গিয়ে লেখক খুলনার একটি ছড়া উল্লেখ করেছেন – ‘আগে খান পিছে খান/মধ্যিখানে গফুর খান’। বঙ্গবন্ধু তাঁর কারাগারের রোজনামচা বইয়েও আব্দুস সবুর খানের নামের আগে ও পিছে ‘খান’ ব্যবহার করা নিয়ে কৌতুক করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে মুসলিম লীগ এবং রাজাকারদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য ছিল তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের বিশেষত 888sport free betলঘু হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের জীবন, বিষয়-সম্পত্তি, 888sport promo code সবই। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং স্বাধীনতাকামী মুক্তবুদ্ধির মানুষ। ‘দুটি মৃত্যু’ গল্পে দেখা যায় খুলনার দক্ষিণে মালঞ্চ নদীর তীরে রায়মঙ্গল গ্রামের অবশিষ্ট হিন্দুরা যখন ধর্মান্তরিত হয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে তখন মানবেন্দ্র রায় ওরফে মনু রায় সিদ্ধান্ত নেয় ভারতে চলে যাওয়ার। কিন্তু মনু রায়ের বৃদ্ধা জননী শশীবালা কিছুতেই স্বামী-শ^শুরের ভিটে ছেড়ে কোথাও যাবে না। শাশুড়ির সঙ্গে সুর মিলিয়ে মনু রায়ের স্ত্রী অন্নপূর্ণাও অনড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পুত্র-কন্যার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মনু রায় স্ত্রী এবং মাকে রেখে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সেই চরম দুঃসময়ে এভাবে মা এবং স্ত্রীকে অরক্ষিত রেখে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পুত্র কন্যার হাত ধরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি পাঠকের মনে খানিকটা অবিশ^াস এবং নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়। যাই হোক, থেকে যায় শশীবালা-অন্নপূর্ণা। এই গ্রামের গোলাম রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসেবে নাম লেখায়। কারণে অকারণে ঘুর ঘুর করতে থাকে মনু রায়ের বাড়ির চারপাশে, কখনো উঠোনে, কখনো উঠে আসে ঘরের বারান্দায়। পাড়া প্রতিবেশী এবং দীর্ঘদিনের পরিচিত বলে গোলাম সহসা বেশিদূর এগোনোর সাহস পায় না। সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য গোলাম একসময় সাহসী হয়ে ওঠে। গ্রামের চেয়ারম্যানও সাফ জানিয়ে দিয়েছে তার পক্ষে কাউকে নিরাপত্তা দেওয়া আর সম্ভব নয়। মনু রায় বর্ডার পেরিয়ে যেতে পেরেছে কিনা সেই নিশ্চিত খবরও আর পাওয়া যায় না। গোলাম একদিন মনু রায়ের দুটো গরু নিয়ে যায়, গোলার ধান পেড়ে নিয়ে যায়। অন্নপূর্ণার শঙ্কা ঘনীভূত হতে থাকে। কিন্তু কী করবে সে? এই পরিস্থিতিতে আশি^নের লক্ষ্মীপুজোর দিন শাশুড়ি শশীবালা মারা যায়। খবরটা গোপন রাখে অন্নপূর্ণা। সেইদিনই বনমালী ঋষির বউকে ডেকে এনে গোলার অবশিষ্ট ধান এবং ঘরের কিছু জিনিসপত্র বিলিয়ে দেয়। বাছুরসহ গরুটাকে চিরকালের জন্য বাঁধন খুলে ছেড়ে দেয়। সন্ধ্যেবেলা তুলসীতলায় প্রণাম সেরে উনুনের জ্বলন্ত চেলাকাঠ এনে ছুড়ে মারে বসতঘরের খড়ের চালে। চারদিক থেকে ঘিরে আসা আগুনে সৎকার হয় শশীবালার মৃতদেহের আর সম্মান রক্ষা হয় অন্নপূর্ণার। এইভাবে শাশুড়ির সৎকার এবং নিজের সম্মান বাঁচানোর আর কোনো বিকল্প ছিল না অন্নপূর্ণার সামনে। এই তো একরকম মুক্তি, মুক্তির যুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের সময়টি বাঙালির জন্য একটি চরম দুঃসময় ছিল। যদিও দুঃসময়ের পরেই নতুন আশার সূর্যোদয় ঘটে, ঘটেওছিল তাই। ধ্বংস এবং মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও যে মানুষের প্রেম-ভালোবাসা, আবেগ কিংবা জীবনতৃষ্ণা শেষ হয়ে যায় না তারই এক অনবদ্য প্রকাশ ঘটেছে ‘একটি অপ্রেমের গল্প’-এ। পাকসৈন্য কর্তৃক তাড়িত হয়ে আসাদ সাহেব এবং শান্তি যখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পরস্পর পরস্পরের সঙ্গী হয়ে উঠল তখন বিপদ, আশঙ্কা নিরাপত্তাহীনতার ভেতর দিয়ে এক ভিন্ন মনস্তত্ত্ব তৈরি হলো। তানভীর মোকাম্মেল লিখেছেন -চারদিকের পলায়নপর মানুষের মাঝে পোড়া গ্রামে তিনি দেখলেন মানবতার ধ্বংস আর শান্তির স্নেহস্পর্শে নিজের অন্তরে অনুভব করলেন নতুন এক সতেজ চারাগাছের জন্মের অনুভূতিও। একাত্তরের মে মাসের রক্তঝরা দিনগুলোতে সারা দেশে যখন ঘটে চলেছে এক প্রবল বিপর্যয়, পুড়ছে গ্রাম, পুড়ছে জীবন, পালাচ্ছে মানুষ, ধ্বংস হচ্ছে সবরকম মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তি, আসাদ সাহেব যেন পেলেন জীবনের নতুন কোনো দীক্ষা (একটি অপ্রেমের গল্প)।
আরেক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আসাদ-শান্তি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে আবার তাদের দেখা হয় খুলনা শহরেই। শান্তি তখন বিধ্বস্ত বাংলামায়ের প্রতীক। স্বাধীনতার পরে আসাদ সাহেব এবং শান্তির হাত ধরাধরি করা লাশ পাওয়া যায় গল্লামারি বধ্যভূমিতে।
‘সহোদর’ গল্পে পরেশ দত্ত, স্ত্রী মালতী রানী এবং তাদের ছেলে মেয়ে দীপালি ও রমেন ওরফে রমু দেশ ছেড়ে পালাবার সময় সীমান্তের কাছাকাছি মিলিটারিদের হাতে ধরা পড়ে। মিলিটারিদের মূল লক্ষ্য দীপালি। বাবা হয়েও পরেশ দত্ত মেয়েকে বাঁচাতে পারে না। মিলিটারিরা দীপালিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দীপালি রমুকে পালিয়ে যেতে বললেও রমু মিলিটারিদের অনুবর্তী হতে থাকে। এক পর্যায়ে রমুকেও ওরা তুলে নেয় ওদের ট্রাকে। দীপালির পরিণতি সহজেই অনুমেয়। চিনিকলের গোডাউনের ভিন্ন কক্ষে ভাইবোনের অবস্থান। রমু মিলিটারিদের ফাই ফরমাশ খাটে। আবার মিলিটারিরাই ওর ওপর আদিম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করে। একদিন আচমকা দিদিকে দেখে ফেলে রমু। উষ্কোশুস্কো এলোমেলো চুল, মলিন ছিন্ন পোশাক, পাগলপারা চেহারা। দেখতে না দেখতেই দিদি হারিয়ে গেল গোডাউনের গেটের ভেতরে। রমুর বিশ^াস এবং প্রতিজ্ঞা –
যে-কোনোভাবেই হোক সে তার বোনকে এই নরক থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। মিলিটারিদের পরাজয় যখন নিশ্চিত হয়ে ওঠে তখন ওরা পালিয়ে যাওয়ার আগে চিনিকলের গোডাউনে কিছু বন্দিকে গুলি করে মেরে রেখে যায়। তারপর লেখকের ভাষাতেই বলা যাক – ‘যুদ্ধ এবং মৃত্যু দুই সহোদরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি’ (সহোদর)। এতো গেল এক অসহায় ভাইয়ের অক্ষম প্রচেষ্টার গল্প। মুক্তিযুদ্ধে এক অসহায় পিতার গল্প ‘জনক’। দেওয়ানগঞ্জ সুগার মিলের ভেতর আধপাগলা একটি লোক সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায় আর বিড়বিড় করে কী যেন বলে। মিলে কর্মরত বিহারি শ্রমিকরা তাকে নিয়ে মজা করে, ইচ্ছেমতো কান ধরে ওঠবোস করায়, চুল ধরে টেনে নিয়ে বেড়ায়। ওদের সন্দেহ লোকটি ভারতের গুপ্তচর। মার খেয়েও লোকটি কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের চেষ্টা করে না। কেবল ফ্যাল ফ্যাল করে অসহায় উদাস দৃষ্টিতে শূন্যে তাকিয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, লোকটির দুই মেয়েকে মিলিটারিরা ওদের ডাকবাংলোয় আটকে রেখেছে। লোকটা তাই সুগার মিল এলাকাতেই ঘোরাফেরা করে। পাগল বলে বিহারিরা আর মারে না। মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে মজা করে। মুক্তিযুদ্ধে একজন পিতার চরম অক্ষম পরাজয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এমন শত সহস্র অসহায় পিতার পরাজয়ের কাহিনি লেখা আছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় খুলনার ফরেস্টঘাটে বিনা বিচারে নিরীহ বাঙালি নিধনের প্রতিকারহীন কষ্টে জর্জরিত এক বিচারকের করুণ পরিণতির গল্প ‘জজসাহেব’। রাতের পর রাত। প্রতি রাত। কোনো সওয়াল জবাব নেই, কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই, আত্মপক্ষ সমর্থন নেই, একজন মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়ে গেল! জজসাহেব ভেবে কোনো কুলকিনারা পান না। জজসাহেবের বাসার চাকর করম আলীর ভাইপো মনসুর মিলিটারি কোর্টে পিয়নের চাকরি করে। সে-ই করম আলীকে খবর দেয় কোন রাতে কতজনকে হত্যা করা হবে। করম আলী এসে সেই খবর জানায় জজ সাহেবকে। রাতে গুলির শব্দ গুনে গুনে জজ সাহেব হত্যার 888sport free bet মিলিয়ে নেন। ভীষণ অসহায় বোধ করেন তিনি। ‘এতকালের সমস্ত শিক্ষা, জীবন সম্পর্কে সমস্ত উপলদ্ধি, সমস্ত বিশ^াসের শেকড়ের গভীরেই যেন তা টান মারে। মনে হয় এই আদালত, আইন শাস্ত্রের মোটামোটা বই, আসামির কাঠগড়া, উকিলের কালো কোট, বিচারকের উঁচু আসন, পেশকারের গম্ভীর চালচলন এসব কিছুই কত অর্থহীন’ (জজসাহেব)। সেলফে সাজানো সারি সারি বাঁধানো আইনের মোটা বইগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন জজ সাহেব আর মাঝে মাঝে গভীরভাবে ভাবেন এরকম এক দুঃসময়ে তাঁর নিজের ভূমিকার কথা। অক্ষমতার কথা। সবিস্ময়ে অনুভব করেন যে পেনাল কোডের সেই বহল উদ্ধৃত পৃষ্ঠাগুলো আজ তাঁর নিজের কাছেই যেন পরিণত হয়েছে কিছু অক্ষরে মাত্র, মনে হচ্ছে পুরোটাই অন্তঃসারশূন্য। মানুষের এই বর্বরতায় মানবসৃষ্ট আইনগুলোই যেন হয়ে পড়েছে তাঁর জন্য যন্ত্রণার এক সীমাহীন উৎস। একদিন একটি মামলার রায়ে গ্রামের একজন সাধারণ মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তখন জজ সাহেবের মনে হয় – ‘মানুষের কি কখনোই কোনো অধিকার আছে আরেকজন মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার। কী অধিকার আছে তার একজন মানুষকে বিচারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার যেখানে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে প্রতিদিন বিনা বিচারে খুন করা হচ্ছে তা বন্ধে তিনি কিছুই করতে পারছেন না। আইনের শাসন? কিন্তু আইন কার জন্য (জজসাহেব)?’ না, জজসাহেব আর ভাবতে পারেন না। বিচারক হয়েও তিনি নিরপরাধ মানুষকে বাঁচাবার জন্য কিছুই করতে পারলেন না। প্রতিকারহীন এক অক্ষমতা আর অসহায়ত্বের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জজসাহেব হাতে তুলে নিলেন করম আলীর রেখে যাওয়া পানির গ্লাস আর সিভিল সার্জনের দেওয়া ঘুমের ওষুধের পুরো একটি পাতা। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে এ এক অসাধারণ আত্মাহুতি। মুক্তিযুদ্ধের এক ভিন্নতর গল্প।
সাতচল্লিশে দেশভাগের পরে পূর্ব পাকিস্তানে থেকে যাওয়া 888sport free betলঘু হিন্দু জনগোষ্ঠীর করুণ পরিণতি, পাকিস্তানি শাসনামলে মুসলিম লীগের দৌরাত্ম্য, 888sport free betলঘুদের বিষয়সম্পত্তি দখল, বিতাড়ন, এরই মধ্যে এক 888sport free betলঘুর নাম কানাই, যে কিনা মুসলিম লীগের সহযোগী হয়ে স্বজাতি স্বসম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী ক্রিয়াকলাপে লিপ্ত। সবশেষে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেশ ছেড়ে ভারতে যাওয়ার পথে নিজ সম্প্রদায়ের মানুষের আক্রোশের বলি হয়ে কানাইয়ের মৃত্যুবরণ ‘কানাই’ গল্পের মূল উপজীব্য। খুলনা শহর যেন গোটা পূর্ব পাকিস্তানের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ হয়ে উঠেছিল তখন। আব্দুস সবুর খানকে আব্দুল গফুর খানের আদলে উপস্থাপন করে লেখক খান সাহেবের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত লোভ-লালসা এবং মুক্তিযুদ্ধের একটি পর্যায়ে এসে তার অসহায় অবস্থানের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। মুসলিম লীগের ভূমিকা 888sport appsবিরোধী তথা হিন্দুবিরোধী হলেও আব্দুল গফুর খানের সকল অপকর্মের সাগরেদ ছিল এই কানাই। কানাইয়ের নিকটজনেরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তার দেশত্যাগের বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না। বরং এই ডামাডোলের মধ্যে জমি বেচাকেনা, জাল দলিল তৈরি বা কখনো কোনো দুর্বল হিন্দু পরিবারকে হুমকি-ধমকিও দিত কানাই। তার মাথার ওপরে তখন ছাতা হয়েছিল খান সাহেব। মার্চ মাসের দিকে যখন যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে মিলিটারিরা খুলনা শহরে প্রবেশ করে স্থানীয় বিহারিদের সাহায্যে ব্যাপকহারে বাঙালি হত্যা শুরু করে তখন বিশেষত হিন্দুদের অবস্থা ভীষণ সঙ্গীন হয়ে পড়ে। দলে দলে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করে। পালাতে গিয়ে চুকনগরে গণহত্যার শিকার হয় বিপুলসংখ্যক মানুষ। এইসব ঘটনায় কানাইয়ের অস্তিত্ব যখন বিপন্ন হয়ে পড়ে তখন সে খান সাহেবের আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং পরামর্শ প্রার্থনা করে। খান সাহেব বলেন, ‘ওই হারামজাদা পাকিস্তানি মিলিটারিগুলো আমার কথাও শোনে না রে। ওদের কাছে আমি তো বাঙালি’ (কানাই)। খান সাহেব কানাইকে ভারতে চলে যাবার পরামর্শ দিলে চাদরে মুখ ঢেকে কানাই রওনা করে। বিগতদিনের অপকর্মের কারণে প্রতিশোধের শিকার হওয়ার আশঙ্কা জেগে থাকে তার মনে। আশঙ্কা সত্যিও হয় তার। বেনাপোল সীমান্তে ওর এলাকারই একজন কানাইকে চিনে ফেলে। তারপর ‘বহু বছরের সঞ্চিত ক্ষোভ, সব হারানোর বঞ্চনা, এক অতি উগ্র জনতার রূপ নিয়ে যেন ঘিরে ফেলল কানাইকে।’ তারপর ‘কানাইয়ের মাথার কিছু মগজ রক্ত ও কাদায় মাখামাখি হয়ে যশোর রোডের কাদামাখা পিচের পথটাতে পড়ে রইল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে (কানাই)।’
888sport appsের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাঙালি হত্যায় পাকিস্তানি মিলিটারিদের সহযোগী হিসেবে একটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল বিহারিরা। দেশভাগের পরপর ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এরা পূর্ব পাকিস্তানে এলেও উর্দুভাষী মাত্রই এরা বিহারি নামে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বেও একাধিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় এরা অংশ নিয়েছিল। ফলে বিহারিদের প্রতি বাঙালিদের তীব্র একটি ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু সকল বিহারিই কী খারাপ? অমানবিক? একটি বিহারি শিশু? একটি বিহারি 888sport promo code? মূলত বিহারিরা পাকিস্তান সরকারের দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। রাজনৈতিক পাশাখেলার শিকার তারা। বিহারিদের জীবনে যে করুণ পরিণতি ঘটেছিল সে-সম্পর্কে 888sport appsের 888sport live footballে বিশেষ কিছুই লেখা হয়নি। এই বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ 888sport alternative linkটি লিখেছেন হরিপদ দত্ত মোহাজের নামে। তানভীর মোকাম্মেলের ‘মুন্ন্নী’ নামক গল্পটিতে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় একটি বিহারি পরিবারের করুণ বিপর্যয় এবং পরিবারের কন্যা মুন্নীর জীবনরক্ষার মানবিক দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত হয়েছে। মুন্নীর শিক্ষক জয়নালমাষ্টার মুন্নীকে বাঙালিদের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য নিজগৃহে এনে আশ্রয় দেন গোপনে। যে-কোনোভাবে ঘটনাটি জানাজানি হলে কেউ কেউ ‘কেউটের বাচ্চা’ মুন্নীকে মেরে ফেলার ঘোষণা দেয়। বাতাসে খবর ভেসে আসে কোথায় কোথায় যেন বিহারিরা বাঙালিদের জবাই করছে, পুড়িয়ে মারছে। সুতরাং একটি বিহারি বাচ্চাকে হত্যা করতে পারলেও কিছুটা প্রতিশোধ নেওয়া হবে। মুন্নীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দায়িত্ব নেয় গ্রামের দুইজন মুক্তিযোদ্ধা মুশফেক ও কালাম। মুন্নীকে গোর দেওয়ার জন্য কবর খুঁড়ে ফেলে অতিউৎসাহীরা। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চা মুন্নীর মানসিক অবস্থা বর্ণনাতীত। মুশফেক ও কালাম রাতের আঁধারে মুন্নীকে নিয়ে চলে যায় কাঞ্চন নদীর দিকে। কেউ কেউ অন্ধকারে কান পেতে থাকে। কেউ বা শুনতে পায় গুলির শব্দ, কেউ বা পায় না। তবে পরের দিন তারা সত্যি সত্যিই কবরে মাটি ভরাট দেখতে পায়। ফলে মুন্নীকে হত্যা করা হয়েছে এমন বিশ^াসই প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু ‘আজ এত বছর পরে কেউ যদি নূরু কমান্ডারের বাড়িতে যান দেখবেন ফরসা রঙের প্রৌঢ় এক মহিলা সাংসারিক নানা কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও মাঝে মাঝে দূরে কাঞ্চন নদীর দিকে তাকিয়ে কেমন জানি বিষণ্ন হয়ে যান (মুন্নী)।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প কিংবা 888sport alternative linkে 888sport promo codeর শ্লীলতাহানির ঘটনা একটি সাধারণ বিষয়। বিষয়টিকে সব সময় নেতিবাচক, ঘৃণাবাচক কিংবা দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার হিসেবে চিহ্নিত করে 888sport promo codeকেই অপমান করা হয়ে থাকে। এবং এইসব ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কোনো কোনো লেখক ‘পুরুষ’ হয়ে ওঠেন। অথচ সেলিনা হোসেন তাঁর ‘যুদ্ধ’ নামক 888sport alternative linkে 888sport promo codeর শ্লীলতাহানিকে ‘যুদ্ধকালীন একটি ক্ষত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অর্থাৎ যুদ্ধে আক্রান্ত 888sport promo code-পুরুষ নির্বিশেষে শরীরের যে-কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতর মতো এটিও একটি ক্ষত কিংবা রক্তক্ষরণ। লেখকের এই দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে নতুনত্ব রয়েছে। তানভীর মোকাম্মেলের গল্পে আমরা এমন কিছু ঘটনা পাই যেগুলোতে নতুনত্ব এবং স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। ধরা যাক ‘দু’টি মৃত্যু’ গল্পের কথাই। মিলিটারি, রাজাকার, আলবদর, আলশামসের নিগ্রহের হাত থেকে বাঁচার জন্য কোনো অসহায় 888sport promo codeকে জলে ডুবে, ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে কিংবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে দেখা যায়। কিন্তু মৃত শাশুড়ির সৎকার এবং নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে নিজেই নিজের চিতা জ্বালিয়ে গৃহদাহ করে সেই আগুনে আত্মাহতি দেবার ঘটনা পাঠকের চোখে অবশ্যই নতুন বলে মনে হবে। ‘জজসাহেব’ গল্পে বিচারহীনভাবে বাঙালি নিধনের কষ্টে একজন জজসাহেবের অপরাধবোধে তাড়িত হয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনাটিও মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের এক বিরল দৃষ্টান্ত। বিহারিদের প্রতি বাঙালিদের তীব্র ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও বিহারি মেয়ে মুন্নীকে বাঁচাবার জন্য দুজন মুক্তিযোদ্ধার মানবিক ভূমিকা প্রচলিত প্রবাহের ব্যতিক্রম। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর সময়ে কানাইয়ের মতো মানুষেরা দেশগ্রামে অনেক আত্মঘাতী কাজ করেছে এক অন্ধ মোহের বশে। বিশেষত একজন 888sport free betলঘু হয়ে মুসলিম লীগের সঙ্গে দোস্তি করে নিজের সম্প্রদায়ের ক্ষতি করার মতো চরিত্র সত্যি সত্যিই তখন ছিল। বাস্তবের সেই রকম একটি চরিত্রকে গল্পের ক্যানভাসে তুলে ধরে তানভীর মোকাম্মেল মুক্তিযুদ্ধের আড়ালের একটি বিশেষ দিকের প্রতি পাঠকের মানোযোগ আকর্ষণ করেছেন। মাদ্রাসাজীবনের বেশিরভাগ খবরই বাইরে আসে না। সেই জীবনের অমানবিক শ^াসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে মুক্তির আকাক্সক্ষা লাভের ব্যাকুলতা নিয়ে তারেক মাসুদ ‘মাটির ময়না’ সিনেমা তৈরি করলেও আমাদের গল্প-888sport alternative linkে এই জীবনের বিশেষ প্রতিফলন দেখা যায় না। ‘ফুটবল’ নামক গল্পটিতে তানভীর মোকাম্মেল একটি মাদ্রাসাছাত্রের মুক্তির প্রচেষ্টা, মুক্তির আকাক্সক্ষা ফুটিয়ে তুলেছেন। ছাত্রটির জন্য এই প্রয়াস একটি মুক্তিযুদ্ধের মতোই। আরেকটি গল্পের নাম ‘নারায়ণের ভিটে’। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরে গ্রামটি ক্রমে হিন্দুশূন্য হতে থাকলে নারায়ণ তার ভিটেখানা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বিক্রির কথাবার্তা সবই যখন প্রায় চূড়ান্ত তখন নারায়ণ হঠাৎ বেঁকে বসে। খরিদ্দার শামসু মিয়াকে বলে, ‘এ ভিটে আমি বেঁচব না। কোনোদিন ভিটে আমি ছাড়ব না।’ ভিটে না ছাড়ার প্রতিজ্ঞা যেন নারায়ণের দেশ না ছাড়ারই অঙ্গীকার। অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার একটি দৃঢ় শপথ যেন তার।
তানভীর মোকাম্মেলের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গল্পগুলিতে মুক্তিযুদ্ধ অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানি সেনাদের সম্মুখসমরের বিবরণ প্রসঙ্গসূত্রে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই এসেছে, তার বেশি নয়। কেননা, আমাদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প-888sport alternative linkে এই বিবরণ বড় বেশি গতানুগতিক এবং পৌনঃপুনিক হয়ে উঠেছে। এই লড়াইটা মুক্তিযুদ্ধের বাইরের দিক। তানভীর মোকাম্মেল মুক্তিযুদ্ধকে মূলত ভেতরের দিক থেকে দেখতে ও দেখাতে চেয়েছেন। সে-কারণে তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পগুলো একটি ভিন্ন মাত্রা নিয়ে হাজির হয়েছে পাঠকের দরবারে।


Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.