দুটি 888sport app download apk

দিলারা হাফিজ
মেয়ে তুমি বড় হচ্ছো
এতোটা বয়স হয়নি মেয়ের
এখনো বোঝে না সে যে
কি কথা যায় না বলা তার স্বরে
কী কথা বলতে হবে কানে কানে
এখনো বোঝে না সে যে
ভাইটি কেন বা হিসি করে রোজ
উঠানে দাঁড়িয়ে
মা তাকে কেন যে বাধ্য করেন
আড়ালেতে গিয়ে
শিশিরের মতো নিঃশব্দ ত্যাগে
এখনো বোঝে না সে যে;
রঙিন খেলা যত সব তার
সবই কেন হাঁড়ি নয়তো পাতিল
মাটির পুতুল ঘটি আর বাটি
এখনো বোঝে না সে যে;
মেয়ে বলে তাই হা-ডু-ডু অথবা
কুস্তি লড়াই ফুটবল খেলা
সকলই বারণ মার্বেল মানা
ছেলে নয় বলে ডিসুম-ডাসুম
সকলই কসম
নিষিদ্ধ কেন পিস্তলে হাত দেওয়া
এখনো বোঝে না সে যে
এখনো বোঝে না সে যে
হঠাৎ কখনো মেহমান এলে
পোলাও-কোর্মা রাঁধা হলে পরে
মেহমান নিয়ে প্রথমে বসেন
বাবা আর ভাই
বুকের মাংস আর দুটি রান
বিধির বিধানে তারা পেয়ে যান
সবশেষে আমি আর মাকে কেন
খেতে হয় শুধু
গলার হাড্ডি মুরগির মাথা কলিজা ও গিলা
এখনো বোঝে না সে যে ॥

888sport promo code

শেষবার আমি সত্য উচ্চারণ করেছি
খনার কর্তিত জিহ্বায়…
তোমরা কি আমাকে এখন চেনো আর,
অনেক আগেই আমি ছেড়ে গেছি
তোমাদের বিস্ময় ভার…
বলা ভালো ছাড়িয়ে গেছি আমি
পরস্পরের দ্রোহের সংসার
কে পায় আমাকে আজ?

যখন আপনা মাংসে হরিণা বৈরী
তখনো চর্যাপদের সাড়ে ছেচল্লিশটি পদজুড়ে
আমারই কা-য়া-তরুবর-পঞ্চ-বি-ডাল –
মেলে দিয়েছে চৌষট্টি… পাখুড়ি
মধ্যযুগের দেড়শো বছরের অন্ধকার বুকে নিয়ে
অন্য কেউ নয় – একা আমি মর্মতলে
ধরে আছি শূন্যপুরাণ আর
মহুয়া মদিনার আত্মপীড়নের 888sport sign up bonusগাথা

ভারতচন্দ্রের আদিরসের অর্গল ভেঙে
বিদ্যাসুন্দরের পূতিগন্ধময় শরীর মাড়িয়ে
রবীন্দ্রনাথের লাবণ্য একা নয় শুধু
অরণ্যবন্দি বাতাসের চাপা দীর্ঘশ্বাসের মতো
আমরা অনেকে যূথবদ্ধ বেরিয়ে পড়েছি
শেষের 888sport app download apkর জ্যোৎস্নালোকে –

নিজের নির্জনে পলায়নপর অমিত রায়
আত্মপ্রেমে ভাসিয়ে দুকূল
তেইশ বসন্তে জেনে যায় শরীরসর্বস্ব নয়
পবিত্র এক ধর্মগ্রন্থের মতো হৃদয়ই পাঠ্য প্রথম

গ্রহণের চাঁদের মতো শরীরের আড়াল থেকে
ছুটে বেরিয়ে এসেছে যখন হৃদয়
শাপগ্রস্ত ঋষি রাজন্যের পাপে তখন
নগরী কাঁদে প্রচণ্ড খরায়
তখনো ‘তপস্বী ও তরঙ্গিনী’র খরভূমিতে দাঁড়িয়ে
আমার মতো কেউ একজন
ঋষ্যমূক পর্বত থেকে ডেকে আনে বৃষ্টির দেবতা
আর্দ্র করে মহাপৃথিবীর করতল…
যুদ্ধ আর মহামারীর মতো উত্তর-তিরিশের
দ্বিধা ও সন্দেহের চাকতি নিক্ষেপ শেষ হলে
মধ্যসমুদ্রের দিশেহীন হালভাঙা নাবিকের মনে
দারুচিনি দ্বীপের মতন জেগে ওঠে
নাটোরের বনলতা সেন –
দুচোখে তার সবুজ ঘাসের দেশ শান্তির নীড়

আমি না ছাড়ি বিশ্বাস
আমাকে না ছাড়ে অবিশ্বাস
এ রকম মেঘকৃষ্ণ দ্বিধার কাল যখন
তখনো পিতা কিংবা পুত্র অথবা
প্রেমিক চিলপুরুষের ইচ্ছের বলয়ে কাঁদে
নামগন্ধহীন এই তুচ্ছ জীবন

না বিংশ শতাব্দী না 888sport cricket BPL rate শতক
উত্তর-আধুনিক সময়ের সাম্পান যখন
ঐতিহ্যেই ভাসমান
তখনো আত্মপীড়নের ক্রান্তিকুলায়
ভিক্ষাপাত্র হাতে কেবলই আমি
খুঁজে ফিরি ভিক্ষালব্ধ জ্ঞান…।