নাট্যস্বপ্নকল্প : হ্যামলেট

ডানদিকে হিমঘর, বাঁয়ে লাল রেলের কলোনি

এরপর স্টেশন আসবে, কালের যাত্রায় হুহু ধ্বনি

ধৈর্য ধশ্রে শুনতে হয় – কেমনে ধৈরজ ধরি, সই?

সে আমার সুরধনি, আমি তার কিছু একটা হই!

পকেটে কমদামি সেন্ট, ট্রেনে কেনা শস্তা চানাচুর,

নাটকে টিকিট কাটা, ধূপছায়া রঙের দুপুর …

বিকেলে টেনশন বাড়ছে, বাড়িতে নির্ঘাত কিছু হবে

তবুও দলবল মিলে যাওয়া চাই বসন্ত-উৎসবে …

তিরিশ তারিখ এলে, মানে আর কি, একদিনের রাজা

পকেটে গরম নোট, আমি কবি সৈয়দ মুর্তাজা!

অফিসে বন্ধুরা আসে – চা কফি সিগ্রেট – কার ফোন?

বাড়িতে অসুস্থ মাঞ্চর ঘুম কাড়ছে বিয়ে হয়নি বোন …

হারানো দিনের কথা ভুলে যাওয়া ভাল, আত্মঘাত?

আত্মজীবনের চেয়ে আরও বেশি বিস্ময়, আঘাত

হ্যামলেটে লেখা আছে – অক্টোবর, সেদিন চব্বিশ ঘুমন্ত পিতার কানে ঢেলে দিল অমৃতটি – বিষ!