নান্দীকারের নাটক : নাচনি

শান্তি সিংহ

Nandi Karer natok

প্রাক্কথন

বরাঙ্গনা গৃহবধূ কিংবা বারবধূ সবাই নিজের মোহিনী শক্তিতে পুরুষের চিত্তজয়ী। ‘নূপুর গুঞ্জরি যাও আকুল-অঞ্চলা/ বিদ্যুৎ চঞ্চলা’ উর্বশী থেকে চর্যাপদে-বর্ণিত চৌষট্টি পদ্ম পাপড়িতে নৃত্যরতা ডোমনি, পুরুষচিত্তে জাগান চাঞ্চল্য।

খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে উৎকীর্ণ-শিলালিপিতে আছে সুতনুকা নামে দেবদাসীর কথা। তাঁকে কামনা করেছেন, দেবদত্ত নামে এক রূপদক্ষ ভাস্কর। একদা ‘দেবদাসী’ নামের নৃত্যগীতদক্ষা সুন্দরীরা দেবতার মনোরঞ্জনের সঙ্গে রাজশক্তিরও মনোরঞ্জন করেছেন। বৌদ্ধ অবদানশতকে নগরনটী বাসবদত্তার কথা জানি।

রাজস্থানিদের কাছে ‘বাই’ মানে বোন। মারাঠি ভাষায় ‘বাই’-এর অর্থ মা কিংবা বড় বোন। তার সঙ্গে সম্ভ্রম বা আদরার্থে ‘জি’ প্রযুক্ত। তখন হয় – বাইজি। অথচ নৃত্যকলা জগতে ‘বাইজি’ শব্দটি অনেকের কাছে হীনার্থক। ইন্ডিয়ান নেশন পত্রিকার সম্পাদক নগেন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি – রাজা নবকৃষ্ণ দেব (১৭৩২-৯৭) কলকাতায় বাইজি নাচ প্রথম চালু করেন। মূলত সাহেবসুবাদের মনোরঞ্জন করে খ্যাতি প্রতিপত্তি অর্জনের জন্য। ‘বাইজি’র সমার্থক শব্দ : খেমটাওয়ালি, তয়ফাওয়ালি, গশ্তি, জান, নাচনি বা নচ-গার্ল ইত্যাদি।

রাজা রামমোহন রায়ের মানিকতলার বাগানবাড়িতে পরমাসুন্দরী নিকি অতুলনীয় নৃত্যছন্দের সঙ্গে মধুর নিক্বণে, ফ্যালি পার্কসেরও চিত্তজয় করেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদা সরস্বতী বাইজির সংগীতসুধা পানে মুগ্ধচিত্ত হয়েছেন, তা জানি জোড়াসাঁকোর ধারে বই থেকে। কলকাতার গহরজান, কৃষ্ণভামিনীর মতন 888sport appয় ছিলেন আমিরজান, রাজলক্ষ্মী, গোবিন্দ রানি প্রভৃতি বিখ্যাত বাইজি। সংগীতবিদ অমিয়নাথ সান্যাল (১৮৯৫-১৯৭৮) আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘এতো বড় বড় বাইজি, যাঁদের লোকে ঘৃণা করে, আমার মতে তাঁরা এক-একজন গান্ধর্বী।’

এক

সম্প্রতি, কলকাতায় নান্দীকার গোষ্ঠীর প্রযোজনায় নাটক নাচনি। দর্শকচিত্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রসিক 888sport alternative link অবলম্বনে নাটক-সংগীত-নির্দেশনায় আছেন পার্থপ্রতিম দেব। অভিনয়ে আছেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার, সোহিনী সেনগুপ্ত, সুমন্ত্র গঙ্গোপাধ্যায়, সর্বানী ভট্টাচার্য এবং আরো অনেকে। কলকাতার অ্যাকাডেমি, রবীন্দ্রসদন, মধুসূদন মঞ্চ, গিরিশমঞ্চ, স্টার থিয়েটারে চলছে নির্ধারিত দিনে এই নাটক।

নান্দীকারের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁদের নান্দনিক প্রয়াসে, মহানগরী কলকাতার 888sport live chatপ্রিয় নর888sport promo codeরা আগ্রহ নিয়ে দেখছেন নাটকটি। দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার নাচনি নাচ ও ঝুমুর গান সম্পর্কে তৈরি হচ্ছে বিশেষ ধারণা।

এই জন্যই নাচনি নাচের দেশ ও কাল সম্পর্কে কিছু জানা প্রয়োজন। ‘ঘন রসময়ী’ 888sport apps। তার পাশেই পশ্চিম বাংলার সুজলা-সুফলা কিছু অঞ্চল। তার দক্ষিণ পশ্চিমে, রাঢ়ভূমি-সংলগ্ন ছোট নাগপুর মালভূমিতে একদা ছিল মানভূম জেলা। হিন্দি ভাষা-বলয় বিহার রাজ্যের অন্তর্গত। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে, মানভূম জেলার পুরুলিয়ায়, বাংলা ভাষার দাবিতে ভাষা-আন্দোলন ক্রমশ প্রবল হয়। লোকসংগীত টুসুগান গেয়ে চলে ভাষা-আন্দোলন ও টুসু-সত্যাগ্রহ। কারণ, জনগণনায় পুরুলিয়ার তখন ৮৭ জন মানুষ বাংলা ভাষাভাষী। অবশেষে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সুপারিশে, ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর, পুরুলিয়া জেলার বঙ্গভুক্তি।

মানভূম আজ মনোভূমে। তবু পুরুলিয়ার বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আজো বলেন – মানভূম তো গান-ভূম! বাংলা লোকসংগীতের ভূমি। এই মানভূম-পুরুলিয়ায় একদা নাচনি নাচ খুবই জনপ্রিয় ছিল। অষ্টাদশ শতক থেকে বিশ শতক। এই মানভূমের জমিদার শ্রেণির ‘বাবু’ সম্প্রদায়, কলকাতার ‘বাবু’ সম্প্রদায়ের মতন নাচনি নাচে বিনোদন খুঁজতেন। বলা বাহুল্য, তাঁদের নৃত্যগীতপ্রীতির অন্তরালে ছিল কাম-প্রবৃত্তির অভিনব চরিতার্থতা। কেউ কেউ লক্ষ্ণৌ থেকে নৃত্যগীতকুশলা বাইজি আনাতেন। তবে অধিকাংশ জমিদার বা ঘাটোয়াল আড়কাঠি-মারফত যৌবনবতী সুন্দরী জোগাড় করতেন। প্রশিক্ষক দিয়ে গ্রাম্যললনাদের নৃত্যগীতে নৈশ-আসরের উপযোগী করে নিতেন।

মানভূমের পঞ্চকোটরাজের আসরে একসময় নাচনি নাচতেন, ঝুমুর গাইতেন, কোকিলকণ্ঠী সিন্ধুবালা। গড় জয়পুররাজ, বাঘমুন্ডিরাজ প্রমুখ রাজা-জমিদারের মতন ইচাগড়ের রাজা উদয়াদিত্য দেব নাচনি নাচের সমঝদার ছিলেন। তাঁর সভাকবি ছিলেন রামকৃষ্ণ গাঙ্গুলি (১২৮৮-১৩৪৮)।

তিনি ছিলেন ঝুমুর কবি ও উচ্চাঙ্গ ঝুমুর888sport live chatী। তাঁর বৈঠকি ঝুমুর (classical thumur) যৌবনরাগ-সংরক্ত চটুল গান ছিল না। অথচ নাচনি নাচের আসরে কামনামদির তরল ঝুমুর গান চলত। নাচনি নাচে নতুন মাত্রা (dimension) আনেন ঝুমুর কবি ও ঝুমুর888sport live chatী রামকৃষ্ণ গাঙ্গুলি। তাঁর ছিল সুভদ্রা, বিধুমুখী ও বেলা নামের তিনজন নাচনি। ব্রাহ্মণসন্তান রামকৃষ্ণ কুলীন সমাজে ‘পতিত’ হন। তবু ইচাগড় রাজার রাসলীলায় 888sport cricket BPL rateজন নাচনি নিয়ে তিনি ঝুমুরগান পরিবেশন করেন।

মানভূম-পুরুলিয়ার মাজি, মুড়া, ঘাসি প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ ‘বাবু’ সম্প্রদায়ের অনুকরণে নাচনি-পোষা শেখেন। এখনো তাঁরাই নাচনি নাচের ধারাটি বাঁচিয়ে রেখেছেন। তার প্রধান দুটি কারণ – ১. স্ত্রী-সংসর্গের অতিরিক্ত ফুর্তিলাভ। ২. নাচনি-নাচিয়ে কাঁচা পয়সা রোজগার।

এখানে গাঁয়ে থাকে একাধিক পাড়া বা টোলা। সেখানে গাঁয়ের মানুষ বাস করেন। সেখান থেকে কিছুটা দূরে একসময় থাকত নাচনির ঘর। সেখানে সান্ধ্য-আসর। নাচ-গান, ফুর্তি। নাচনির ওপর ‘রসিকে’র অধিকার। সে-ই নাচনির মালিক। নাচনির সঙ্গে ‘রসিকে’র গান্ধর্ব-সম্পর্ক। ‘রসিকে’র স্ত্রী-পুত্র-কন্যার সঙ্গে বৈধ সামাজিক সম্পর্ক। ‘রসিকে’র বিষয়-সম্পত্তির অধিকারী স্ত্রী ও সন্তানরা। নাচনির সেখানে কোনো বৈধ অধিকার নেই। নাচনি-সহবাসে পিতৃত্বের দাবি মানতেন না ‘রসিক’।

তাই নাচনির গর্ভসঞ্চার হলেই তাকে নষ্ট করে দিতেন। নাচনির মৃত্যু হলে একদা সামাজিক সৎকার হতো না। মৃতা নাচনির পায়ে দড়ি-বেঁধে, ডোম সম্প্রদায়ের লোক অমানবিকভাবে মৃতদেহ টেনে নিয়ে যেত ভাগাড়ে, অর্থাৎ উপশল্য স্থানে। নাচনির মৃতদেহ তখন শকুন-শেয়ালের খাদ্য হতো।

সবিশেষ উল্লেখ্য, এই বীভৎস সামাজিক রীতি বর্তমানকালে অবলুপ্তপ্রায়। ১৯৬৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল অবধি একটানা একচল্লিশ বছর পুরুলিয়ায় বাস করেছেন এই প্রতিবেদক। সুদীর্ঘiকাল ঝুমুরগান ও নাচনী-নাচ নিয়ে ব্যপ্তগভীর ক্ষেত্র সমীক্ষা (field survey) করার সুযোগ হয়েছে।

মানবাজার থানার মাঝিহিড়া গাঁয়ের একদা লাস্যময়ী নাচনি গীতারানির ঘরে গিয়ে সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ‘রসিক’ নিবারণ মাহাতোর সঙ্গে দেখেছি তাঁর স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। তাঁদের একমাত্র সন্তান পুষ্পবতী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। স্কুল-হস্টেলে থেকেই তার তখন পড়াশোনা।

বাংলা, ঝাড়খন্ড, বিহার, ওড়িশার তখন নামকরা নাচনি, লাস্যময়ী সুন্দরী মালাবতী। পুরুলিয়া শহর থেকে প্রায় পঞ্চাশ মাইল প্রত্যন্ত অঞ্চল হেটজারি গাঁয়ে, সারারাত নাচনি নাচের আসর। তাঁর নাচনি নাচ শেষ হলে সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তাঁর ‘রসিক’ তথা স্বামী বাউরিবন্ধু মাহাতো পাশে দাঁড়িয়ে। কথা প্রসঙ্গে জেনেছি : মালাবতী সন্তানবতী জননী এবং স্বামীসংসর্গে সুখী।

মানভূম-পুরুলিয়ার বিখ্যাত ঝুমুর888sport live chatী ও নাচনি সিন্ধুবালা। পাহাড়ের মালা-গাঁথা দুর্গম বান্দোয়ানে জন্ম। কিশোরী কৃষ্ণকলিকে আড়কাঠি দিয়ে লুট। বারবার পুরুষ বদলেছে। ক্ষমতার তাল ফেরতায়। শেষে বাঘের মতন মহেশ্বর মাহাতো। ডাক নাম চেপা। তাঁর নাচনি ছিল একাধিক। সেরা নাচনি সিন্ধুবালা। চেপা ‘রসিক’।

তাঁর নাচনি চেপী। সিন্ধুবালার ডাকনাম। চেপা মাহাতো হঠাৎ খুন হন। তাঁর বিষয়সম্পত্তি পেয়েছেন বৈধ স্ত্রীর কন্যা খাঁদুবালা। সিন্দুবালা কিছুই ভাগ পাননি। অথচ মহেশ্বর মাহাতোর ভাইপো হৃষিকেশ মাহাতোর কাছে আমৃত্যু আশ্রয় পেয়েছেন সিন্ধুবালা। সেই আশ্রয় ও সম্মানের কথা 888sport live chatীর মুখে বহুবার শুনেছি।

হৃষিকেশ মাহাতোর ছেলে বিকাশ। স্থানীয় পুয়াড়া স্কুলে কিছুদিন পড়েছেন। শিখেছেন গানবাজনা। তিনি তন্বী সুন্দরী নাচনি জ্যোৎস্নার ‘রসিক’ ও স্বামী। হৃষিকেশ মাহাতোর ঘরে ছেলে ও বউমাকে সেই সময় থাকতে দেখেছি।

দুই

উনিশ-বিশ শতকে, মানভূম-পুরুলিয়ায় নাচনির সামাজিক মর্যাদা ছিল না, তবু ‘রসিকে’র ছেলে বা মেয়ের মুখ ‘নাচনি-মা’ কথাটি শোনা যেত। ‘রসিকে’র ছেলে কখনো নাচনি-মাকে নিজের নাচনি হিসেবে দেখত না। নাচনি-মায়ের সঙ্গে গান্ধর্বসম্পর্ক পাততো না। তা সামাজিক রীতিবিরুদ্ধ অনৈতিক-গর্হিত বিষয় হিসেবে দেখা হতো।

অথচ নান্দীকারের নাচনি নাটকে দেখা যায় – ‘রসিক’ ধ্রুবকুমার মঞ্চে গরহাজির। তাঁর নাচনি মঞ্চে নাচছেন। ঢোল বাজাচ্ছেন ‘রসিকে’র পিতা। নাচনি স্বাতীলেখা গাইছেন ঝুমুর। সঙ্গে নাচনি নাচ।

নাটকের কাহিনি অগ্রসর হয়। মঞ্চে আসেন ‘রসিক’ ধ্রুবকুমারের পুত্র পান্ডবকুমার। তিনি ‘রসিক’ হন। নাচনি-মায়ের সঙ্গে গান্ধর্ব-সম্পর্কের কথা বলেন। তারপর নাচনি-মায়ের সঙ্গে ‘রসিক’ পান্ডবকুমার চরিত্রে দেবশঙ্কর হালদার নাচেন। তাঁর পরনে নেই ‘রসিকে’র প্রথাসম্মত ধুতি-পাঞ্জাবি। গলায় নেই উত্তরীয় বা গামছা। প্যান্ট শার্ট-পরিহিত ‘রসিক’ দেবশঙ্কর প্রগলভ ভঙ্গিতে অভিনয় করেন। তাঁর মুখে ঠিকমতো ফোটে না, মানভূঁইঞা-কথা – যা আঞ্চলিক উপভাষা। অতিনাটকীয়তা দিয়ে আসর জমাতে চান তিনি। ‘ব্রাত্যজনের রুদ্ধসংগীত’ ও ‘নিঃসঙ্গ সম্রাট’-খ্যাত অভিনেতার এই অভিনয়ে লালমাটির দেশের লোকজীবন অধরা থেকে যায়।

স্বাতীলেখার উচ্চারণ রীতিতেও যথেষ্ট ত্রুটি দেখা যায়। তবু বিগতযৌবনা নাচনির অভিনয়ে তিনি আন্তরিক।

নাচনি বিজলিবালার চরিত্রে সোহিনী সেনগুপ্ত যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। টাঁড়-বাইদের দেশ মানভূম-পুরুলিয়া। সেখানে নিম্নবর্গের 888sport promo code জীবনের দৈন্য-দারিদ্র্য এবং তার ক্ষোভ-হতাশার মাঝে সুখী সংসার জীবনের রঙিন হাতছানি মানবিক রূপে-রসে সোহিনীর অভিনয়ে ফুটে ওঠে।

অপহৃত যুবতী বিজলিবালার উদ্ধারকালে, মঞ্চে ভূষাকালিমাখা দলবদ্ধ যুবতীদের প্রতীকী নৃত্য, এবং পুরুষদের রণপা-নৃত্য, অভিনব সফল সংযোজন। ঝাঁটা-হাতে বিজলিবালার ঘরে ঝাড়ু দেওয়ার সময় কুলুঙ্গিতে-বসানো ঠাকুরের সামনে ঝাড়ু- দেওয়ার দৃশ্য চোখে লাগে। শুধু তাই নয়, ঝাঁটাকে দুহাতে ধরে, তাকে লৌকিক দেবী ভাদুরূপে কল্পনায়, আবেগে ভাদুগান-গাওয়া ‘রসাভাস’ ঘটায়। কারণ, ভাদুদেবী মানভূমের লোকজীবনে কাশীপুর রাজার কন্যা ও জননী।

নাটকের শেষ দৃশ্য অত্যন্ত দক্ষ অভিনয়ে সোহিনী সেনগুপ্ত ফুটিয়ে তোলেন। মৃতা নাচনি পান্ডবকুমারের জননী। মৃতা নাচনির ‘রসিক’ রুদ্রপ্রসাদ। শোকস্তব্ধ। তখন মৃতা নাচনির পায়ে দড়ি-বাঁধা বীভৎস প্রথার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদিনী হন বিজলিবালা। তাঁর যুগপৎ শোক ও ক্রোধের মানবিক প্রকাশে, দর্শকবৃন্দ মুগ্ধ ও অশ্রুসজল। ক্রোধোন্মত্ত বিজলিবালার অভিনয়ে সোহিনী সেনগুপ্ত অনন্যা 888sport live chatী। সাধুবাদ পাবেন নিশ্চিত।

পরিশেষে নিবেদন : 888sport cricket BPL rate শতকের প্রথম পাদে, মহানগরী কলকাতা থেকে অনেক দূরবর্তী স্থান লালমাটির দেশ মানভূম-পুরুলিয়া। সেখানে একদা সামন্ততান্ত্রিক প্রথায়, দারিদ্র্যক্লিষ্ট তথা অমানবিক 888sport promo code জীবনের অশ্রুসজল দিকটি সমাজ জীবনে যে বীভৎস ক্ষত সৃষ্টি করেছিল, তার ইতিবৃত্তকথা নাটকের গোড়ায় বা শেষে দু-চার কথায় নিবেদন করলে, তৎকালীন দেশ-কাল-সমাজের প্রেক্ষিত নাগরিক দর্শককুলের ধারণায় যথার্থ প্রতীতি ও নতুন অভিঘাত জাগাত, সমাজ888sport apkের আলোয়।