প্রতিভাব-এর সমস্যা

রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য

‘প্রতিভাব’ কথাটি রেসপন্সের বাংলা প্রতিশব্দ। কোনো গল্প বা 888sport app download apk পড়ে, গান শুনে, ছবি ও সিনেমা, নাটক দেখে মনে যে-ভাব আসে তাকেই প্রতিভাব বলে। সব 888sport live chatকর্ম সকলের সমান ভালো লাগে না। কোনোটা মনে ধরে, কোনোটা ধরে না; কোনোটা আবার মনে কোনো দাগই কাটে না।

তবে এ হলো একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। দর্শক/ পাঠক/ শ্রোতা হিসেবে কোনো মানুষের ব্যক্তিগত মনোভাবই এসব ক্ষেত্রে একমাত্র বিধায়ক। 888sport live chat-888sport live football-সমালোচনা বলতে এর চেয়ে বেশি কিছু বোঝায় না। প্রথমত, ভালোলাগা বা না-লাগার কারণটাও যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলতে হবে। আর মার্কসীয় 888sport live chatতত্ত্বে ওইটুকুই যথেষ্ট নয়। 888sport live chatসৃষ্টিকে ঐতিহাসিকভাবে বিচার করাও তার প্রধান কাজ। অর্থাৎ যে-সময়ে 888sport live chatকর্মটি রচনা করা হয়েছিল তার পটভূমিতে সেটিকে দেখতে হবে।

নিছক ব্যক্তিগত ভালোলাগা না-লাগার প্রধান সমস্যা হলো : সেই মত যখন-তখন হঠাৎই পাল্টাতে পারে। আধুনিক বাস্তববাদী 888sport live footballে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে প্রাচীন ও মধ্যযুগের 888sport live footballকে ভালো না-লাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে-দেশে-কালে 888sport live chatীর জন্ম, তাকে হিসাবে না-ধরলে 888sport live chatকর্মটির প্রতি অবিচার করা হয়। দেবদেবী বা মুনিঋষির অভিশাপ দেওয়ার ক্ষমতায় আধুনিক পাঠক আর বিশ্বাস করেন না। না-করাই উচিত; এটি একটি প্রাচীন সংস্কার মাত্র। কিন্তু কালিদাসের শকুন্তলা পড়ার সময়ে সেই অবিশ্বাস দমন করাই উচিত কাজ। নইলে নাটকটি ঠিকমতো অনুভব করা হবে না।

888sport live chatকর্মের সঙ্গে দর্শক ইত্যাদির সম্পর্ক প্রথমে নিশ্চয়ই নান্দনিক : ভালো লাগা বা না-লাগার ব্যাপার। কিন্তু ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে এই প্রতিভাব এত বেশি আলাদা হয় যে, স্রেফ তার ভিত্তিতে কোনো 888sport live chatকর্মের বিশুদ্ধ নান্দনিক বিচারও অসম্ভব। শুধু আলাদা-আলাদা লোক নয়, একই লোক এক-এক সময়ে এক-এক রকম মত দেন। তার কারণও আছে। 888sport live chatকর্মটির সঙ্গে অনেকের আবেগ জড়িয়ে যায়। আর আবেগ বড় অস্থির ব্যাপার। কখন অনুরাগ পরিণত হবে বিরাগে, আর কখন তার উল্টো ঘটবে (বিরাগ পরিণত হবে অনুরাগে) তা কেউ আগাম বলতে পারেন না। তাই নিরঙ্কুশ আবেগজনিত প্রতিভাব কখনোই নির্ভরযোগ্য নয়।

সুকুমার সেনের 888sport sign up bonusকথা থেকে একটি উদাহরণ দিই। ছোটবেলায় বাবার মুখে এই ছেলেভুলোনো গল্পটি তিনি শুনেছিলেন। সংক্ষেপে সেটি এই :

এক বাঘের বাসার কাছে একটা কড়িগাছ ছিল। তাতে অজস্র কড়ি ফলত। বাঘের ভয়ে কোনো লোক গাছের ত্রিসীমানা মাড়াত না। একদিন কাছের গাঁয়ের এক মেয়ে বেড়াতে এসে সে কড়িগাছের সন্ধান পায়। সে বাঘের কথা কিছুই জানত না। তারপর সে গাঁয়ে ফিরে গিয়ে সঙ্গীসাথীদের কড়িগাছের কথা বলে। তারপর একদিন তারা জোট বেঁধে বাঘের বাসার কাছের কড়িগাছে কড়ি পাড়তে আসে দুপুরবেলা। বাঘ তখন বাসায় ছিল না। তারা নিজের মনে কড়ি কুড়োচ্ছে। একজন গাছে উঠে গাছের ডাল নাড়াচ্ছে আর ঝুপঝুপ করে কড়ি পড়ছে। এমন সময় হালুম করে বাঘ এসে হাজির। গাছের তলায় যারা কড়ি কুড়িয়ে আঁচল ভরছিল তারা সব বাঁই বাঁই করে ছুট দিয়ে পালাল। যে-মেয়েটা গাছে উঠেছিল সে আর পালাতে পারল না। সে ধরা পড়ল।

বাঘিনী মারা গিয়েছিল তিন-চারটি ছানা বাঘ রেখে। মেয়েটাকে ধরে বাঘের মনে হল তাকে ঘরের গিন্নি করে রাখবে। রাঁধবে বাড়বে খাবে খাওয়াবে, ছানাদের যতœ করবে। কোনো উপায় না থাকায় মেয়েটা বাঘের কথায় রাজি হলো। সে বাঘের বাসা থেকে বাঘের ছানাদের মানুষ করতে লাগল। মন তার কিন্তু সর্বদা পালাই পালাই করত। একদিন সে বুদ্ধি করে পালাবার উপায় ঠাওরাল। তখন পৌষ মাস শেষ হয়ে আসছে। মেয়েটা বাঘকে বললে, পিঠে খাবার ইচ্ছে হচ্ছে। যোগাড় করে দাও, পিঠে গড়ব। বাঘ রাজি হয়ে সব যোগাড় করে দিলে। পরের দিন মেয়েটা পিঠে করতে বসল। বাঘকে বলে দিলে, আজ দেরি করে বাড়ি ফিরো, পিঠে করতে সময় লাগবে। বাঘ খুশিমনে চরতে বেরিয়ে গেল।

মেয়েটা অমনি উনুন ধরিয়ে তাতে তাওয়া চড়িয়ে একটু তেল ঢেলে দিলে আর বাঘের ছানা তিনটের মাথা কেটে ফেলে তাদের ধড় টাঙিয়ে দিলে গরম তাওয়ার উপর। সেই ধড় থেকে টস্ টস্ করে রক্ত পড়ে আর অমনি পিঠে ভাজার মত শব্দ ওঠে ছ্যাঁক ছোঁক। তারপরে সে বাঘের ঘরে যেসব সোনাদানা ছিল সব নিয়ে বাড়ির দিকে ছুট দিলে। বাঘ মাঝে বাড়ির দিকে এসেছিল কিন্তু বাইরে থেকে ছ্যাঁক ছোঁক শব্দ শুনে পিঠে ভাজা শেষ হয়নি জেনে ফিরে যায়। অনেকক্ষণ পরে ফিরে এসেও সে আবার সেই শব্দ শুনতে পায়। তখন রেগে বাসার মধ্যে ঢুকে ব্যাপারটা বুঝতে পারল, কিন্তু করার কিছু উপায় নেই। মেয়েটা বাড়ি পালিয়েছে। ছানাগুলোর জন্যে বাঘ হায় হায় করতে লাগল। (পৃ ৬৫)।

সুকুমার সেন এরপর মন্তব্য করেছেন :

বাবার কাছে কড়ি-বাঘের গল্পটা অনেকবার শুনেছি। প্রথম অংশটা কড়ি পাড়া থেকে মেয়েটার ধরাপড়া পর্যন্ত আমার খুব সহানুভূতি হয় ধরাপড়া মেয়েটার উপর। কিন্তু শেষের অংশটা মিলনাত্মক হলেও আমার খুব ভালো লাগত না। এখন তো অত্যন্ত নিষ্ঠুর বলে মনে হয়। এখন সহানুভূতি হয় বাঘের উপর। আগে হত মেয়েটার উপর। (পৃ ৬৫)

এই হলো ব্যক্তিসর্বস্ব প্রতিভাবের সমস্যা। প্রথমেই আছে সহানুভূতির দিক।১ অনেকের ক্ষেত্রেই খুব স্বতঃস্ফূর্তভাবে, নিজে না-চাইলেও কোনো-কোনো চরিত্রের সঙ্গে পাঠকের প্রায় একাত্ম হওয়ার একটা ঝোঁক থাকে। তাতে উচিত-অনুচিত বিচারের ক্ষমতা লোপ পায়। এর নাম সমানুভূতি বা এমপ্যাথি। আর তার ফলে অনেক কুপ্রথা বা কুকর্মকেও মেনে নেওয়ার মতো মনের অবস্থা তৈরি হয়। কোনো-কোনো নাট্যকার ও কথা888sport live footballিক এই সমানুভূতিকে আরো পোক্ত করার জন্যে এমন সব পরিস্থিতি ও চরিত্র আমদানি করেন যাতে পাঠক/ দর্শকদের একটা বড় অংশ নাট্যকার বা কথা888sport live footballিকের প্রত্যাশামতো আচরণ করতে প্রভাবিত হন। অনেক সময়ে সেটি সহানুভূতি ছাড়িয়ে সমানুভূতির রূপ পায়। এর জন্যেই জার্মান নাট্যকার বের্টল্ট ব্রেশ্ট (১৮৯৮-১৯৫৬) সমানুভূতি জাগানোর অপচেষ্টাকে সহ্য করতে পারতেন না।  সচেতনভাবে তিনি ওই চেষ্টা থেকে বিরত থাকতেন, আর নিজের নাটকের অভিনেতাদেরও এ-ব্যাপারে সাবধান করে দিতেন। কিন্তু তাতে আর কী হবে? দেশে-দেশে হাজার লক্ষ দর্শক নিজেদের অজান্তেই নাটকের ঘটনা ও চরিত্রের সঙ্গে এমনভাবে মিশে যেতেন যে, নাটকের বক্তব্য তাঁদের কাছে ধরাই পড়ত না।

888sport live chat-888sport live football মানুষের সৃষ্টিশীলতার অন্যতম অভিব্যক্তি। ব্রেশ্ট মনে করতেন, পাঠক/ দর্শক/ শ্রোতা ইত্যাদি সবাইকে 888sport live chatকর্মের সঙ্গে একাত্ম না-হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিচারবুদ্ধিকে শিকেয় তুলে না-রেখে, আবেগ অনুভব করার সঙ্গে বিচারবুদ্ধিকে সজাগ রাখতে হবে।২ নইলে কড়িগাছ আর বাঘের গল্প সম্পর্কে সুকুমার সেনের অনুভূতি যেমন বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে একবার এদিক একবার ওদিক করেছে, তেমনি দোলাচলেই কাটবে। 888sport live chat বিচারের উপযোগী মানসিকতা ও উপযুক্ত ক্ষমতা কোনো দিনই হবে না। রবীন্দ্রনাথের 888sport live football-সমালোচনায় নান্দনিক দিকটি বড় হয়ে দেখা দেয়। কিন্তু তিনিও বুঝতেন : প্রতিভাব-সর্বস্ব আলোচনাকে সমালোচনা বলে না। বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পর একটি বক্তৃতার শেষে তিনি লিখেছিলেন :

রচনা বিশেষের সমালোচনা ভ্রান্ত হইতে পারে – আমাদিগের নিকট যা প্রশংসিত কালক্রমে শিক্ষা রুচি এবং অবস্থার পরিবর্তনে আমাদের উত্তর পুরুষের নিকট তা নিন্দিত এবং উপেক্ষিত হইতে পারে; কিন্তু বঙ্কিম বঙ্গভাষার ক্ষমতা এবং বঙ্গ 888sport live footballের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করিয়া দিয়াছেন, তিনি ভগীরথের ন্যায় সাধনা করিয়া বঙ্গ888sport live footballে ভাব মন্দাকিনীর অবতারণ করিয়াছেন এবং সেই পুণ্যস্রোত স্পর্শে জড়ত্বশাপ মোচন করিয়া আমাদের প্রাচীন ভস্মরাশিকে সঞ্জীবিত করিয়া তুলিয়াছেন – ইহা কেবল সাময়িক মত নহে, এ কথা কোনো বিশেষ তর্ক বা ব্যক্তির উপর নির্ভর করিতেছে না, ইহা একটি ঐতিহাসিক সত্য। (১০ : ২২১-২২)

রবীন্দ্রনাথ একথা লিখেছিলেন বৈশাখ ১৩০১-এ। এটি যে তাঁর সাময়িক মত ছিল না, তারও প্রমাণ আছে। ২৪ শ্রাবণ ১৩৪৫-এ বঙ্কিম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি তৎক্ষণিক বক্তৃতায় তিনি একই কথা বলেছিলেন। সেখানে অবশ্য 888sport live footballিক বঙ্কিমের চেয়ে ভাষা-নির্মাতা বঙ্কিমের ওপরই জোর পড়েছিল বেশি। শান্তিনিকেতনের ছাত্রদের উদ্দেশ করে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন :

বঙ্কিমের জন্য তোমরা যে শোক করছ, তার কি সবটা খাটে? তোমরা তাঁর মহত্ত্বের কি টের পেয়েছো? হয়তো তাঁর গভীর পুস্তকগুলি কিছুই পড়নি। কোনোটাই ভাল করে পড়েছ কিনা সন্দেহ। যে পরিপ্রেক্ষার [চবৎংঢ়বপঃরাব] মধ্যে তাঁকে বোঝা যেতে পারতো তাতো এখন দুর্লভ। তোমরা তাঁকে ঠিক করে বুঝবে কেমন করে? যদিও তখন আমরা অল্পবয়স্ক ছিলাম তবু তাঁর মহত্ত্ব কতক পরিমাণে জানি আমরা।

ভাষা কি ছিল, তাঁর হাতে পড়ে কি হলো? তাঁর বঙ্গদর্শনকে এখনকার মাপকাঠিতে দেখলে চলবে না। তখন তা এক অপরূপ সৃষ্টি (রবীন্দ্রপ্রসঙ্গ ৩ : ১৪০-৪১)

এইভাবে ভাষা ও 888sport live footballকে দেখাই সত্যিকারের দেখা। বিষয়ীগত পক্ষপাত কাটিয়ে ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষায় বিষয়গতভাবে দেখা। বিষয় আর বিষয়ী – কথা দুটি হয়তো সকলের চেনা নয়। অভিধান দেখে খুব একটা সুবিধে হবে না। বরং 888sport live footballের প্রসঙ্গে শব্দ দুটির প্রয়োগ দিয়েই মানে বোঝার চেষ্টা করা যাক।

যে-লোকগল্পটি নিয়ে এই আলোচনা, সেটি হলো ‘বিষয়’। আর গল্পটি যাঁর রচনা (লেখা হয়েছে অনেক পরে, মুখে-মুখে চলেছে তার আগে আরো অনেকদিন) তিনি হলেন ‘বিষয়ী’। তিনি কী ভেবে গল্পটি রচনা করেছিলেন তা জানার কোনো উপায় নেই। তিনি কে, কোথাকার ও কোন সময়ের লোক ইত্যাদি কোনো খবরই জানা যায় না। অর্থাৎ বিষয়ীর ব্যাপারে কিছু না-জানাই আমাদের পক্ষে ভালো হয়েছে। কারণ গল্পটির রচনার পেছনে কী উদ্দেশ্য ছিল – সঠিকভাবে তা কোনো দিনই জানা যাবে না। তাই গল্পটি শুনে বা পড়েই ঠিক করতে হবে : অসম্ভব এই গল্পটি দিয়ে শ্রোতা/ পাঠকের মনে কোন্ ভাব সঞ্চারের চেষ্টা করা হয়েছে।

আগেই দেখানো হয়েছে, প্রতিভাব জনে জনে পাল্টায়, এমনকি  একই শ্রোতা/ পাঠক-এর ক্ষেত্রে কালে কালে সেটি এক-একরকম হতে পারে। আর তা হয়ও। কোন্ গল্প পড়ে/ শুনে কে কী ভাবলেন, সেটি তাই ভরসা করার মতো নয়। এর ওপর যদি রচয়িতার

নাম-পরিচয় জানা থাকত, তারও ছাপ পড়ত প্রতিভাবে। অনেককেই দেখা যায় কে গাইছেন তা জেনে তবে গানটি ভালোমন্দ লাগার কথা বলেন। বিখ্যাত গায়ক হলে তিনি (এখনকার ছেলেমেয়েদের ভাষায়) আপ্লুত হয়ে পড়েন; অচেনা-অজানা গায়ক হলে ওই একই গান তাঁর আর তেমন ভালো লাগে না। এমন লোকদের শ্রোতা হতে বাধা নেই, কিন্তু এঁরা কোনো দিন সংগীত-সমালোচক হতে পারবেন না। তার কারণ : বিষয়-এর চেয়ে বিষয়ী-কেই তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।

888sport live football-সমালোচনার বেলায়ও একই কথা। এই লোকগল্পটির ক্ষেত্রে গল্পকারের নামধাম জানা নেই – এ এক সুবিধে। কিন্তু শুধু নিজের ভালোলাগা বা না-লাগা দিয়ে গল্পটি সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে : গল্পটি যাঁদের জন্য রচনা করা হয়েছিল তাঁরা বাস্তব-অবাস্তবে তফাৎ করতে জানতেন না। বাঘ একটি মানুষের মেয়েকে বিয়ে করছে, দুজনে দুজনের ভাষা বুঝছে ইত্যাদি অবাস্তব ব্যাপার মেনে নিয়েই গল্পটি শুনতে হয়। আর এই ধরনের ছেলেভুলোনো গল্প কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে রচনা করা হয়নি – গল্পে বাঘ থাকলেই খুশি এমন বাচ্চাদের ঘুম তাড়ানো ছাড়া। তাই এ-ধরনের গল্প বিচারের কাজটা 888sport live football-সমালোচকের নয়, বরং লোককথার বিশেষজ্ঞের। হয়তো তার সঙ্গে শিশু-মনস্তত্ত্ব-বিশারদের। অন্তত পরিণত-বয়স্ক শ্রোতা/ পাঠকের প্রতিভাব দিয়ে লোকগল্প বিচার করা যায় না। বিষয়ী এখানে কোনো কাজেই লাগবেন না, শুধু বিভ্রান্ত করবেন।

 

টীকা

১. বাঘ আর মেয়ের গল্পটির অন্য একটি রূপ আছে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর টুনটুনির বই-এ (‘বাঘের রাঁধুনি’)। সেখানে অবশ্য বাঘের ছানা দুটো মেয়েটিকে একেবারেই দেখতে পারত না। কথায় কথায় খালি বলত, ‘আর একটু বড় হলেই আমাদের গায়ে জোর হবে, তখন তোর ঘাড় ভেঙে তোকে খাব।’ ফলে মেয়েটি যখন ছানাদুটিকে কেটে ঝুলিয়ে রাখে, তখন আর সেটি অকারণ নিষ্ঠুরতা থাকে না।

২. বিশদ আলোচনার জন্যে রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য ২০০৩, অধ্যায় ২, পৃ ১৩-১৫ দ্র.।

 

রচনাপঞ্জি

১. উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, টুনটুনির বই, সুবর্ণরেখা, ২০০২ (প্রথম প্রকাশ ১৯১০)।

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্র-রচনাবলী, খ- ১-১৬, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ১৯৮০-২০০১। রবীন্দ্র-প্রসঙ্গ, খ- ৩, চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সংকলিত। খ- ১-৪। আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৯৩-১৯৯৮। রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য। বের্টল্ট ব্রেশ্ট : প্রয়োগের নন্দনতত্ত্ব। অনুষ্টুপ, ২০০৩।

৩. সুকুমার সেন, দিনের পরে দিন যে গেল, আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৮২।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : পার্থসারথি মিত্র, প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায় ও সিদ্ধার্থ  দত্ত।