অথির চক্রবর্তী
একেকটি ঝরাপাতা ফুলগাছের ডায়েরির পৃষ্ঠা। ইষ্টিকুটুম পাখি জানে
ফুলের বনে আগুন লাগলে কত দ্রম্নত ছড়িয়ে যায়, ফুলবন অনেক বেশি
স্পর্শকাতর। ফুলের ছাই চিনেছি আমি, দুঃখঅন্ধ? কানাগলির কানু?
ছাই থেকে আবার আস্ত একটি গোলাপ ভাবতে না পারলে কেউ কখনো
কাউকে ভালোবাসে না।
ইষ্টিকুটুম পাখির রক্তের সিম্ফনি বুকে আমি মুখস্থযাপন থেকে চাইছি ছুটি
বৈদ্যুতিন তরঙ্গের ফণায় জ্বলে যায় এক আজব আলো!
রক্তমাংস ও মননের গন্ধবহ নিজস্বলিপি জন্ম নিচ্ছে এই ফাগুনসরণিতে
ঝরাপাতা গো চুলের ভেতর থেকে শিমফুলের মতো বেরিয়ে
পড়েছে রিবন, শীতের প্রস্থান ও বসমেত্মর ঘোষণার মাঝখানে তাই
এক চাঁদ দারোয়ান পাথরের মতো স্থির।
ঝরাপাতা তুমি রহস্যমুদ্রার মতো ঝরছ কেবল। তোমার ঝরাপাতার প্রচ্ছদে
কার চেহারা ভেসে ওঠে? কার আগাম নাম লিখিতই থাকে রঙিন হরফে?
888sport app download apkর বাণে বিদ্ধ এক দুর্ধর্ষ বাঘ তোমাকে শুধাবে কুশল,
মহুয়াগ্রস্ত গানে। পাতার মর্মরে। ফুলে তুমি পাপড়ির মতো ছিলে
ছিলে হলুদ পাখির পালকের ভেতরে
হলুদ আগুনের রঙে রঙিন না হলে তুমি বাঘ হলুদের অভিশাপ
থেকে মুক্তি পাবে না কোনোদিন!

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.