বিস্মৃত ইতিহাসের বয়ান

১৯৭১ গণহত্যা : যশোর উপশহর

পারভীনা খাতুন – আর্য পাবলিকেশন লি. – 888sport app, ২০২৩ ষ ৫২০ টাকা

স্বাধীনতার ওই সময়ে একদিন আমি আমার বাবার সঙ্গে আসছি, একটি ভ্যানগাড়িতে অনেকগুলো মানুষের পা ঝুলতে দেখা যাচ্ছে। তখন বুঝতাম না, বাবার কাছে জিজ্ঞেস করলাম, বাবা এতগুলো পা একসাথে, একের পর এক মানুষ ওভাবে শুয়ে আছে কেন? বাবা তখন বলেছিলেন, চুপ করো। তারপর আমার মুখ চেপে ধরে বললেন, বাড়ি চলো, পরে বলবো। পরে বুঝেছি যে, ওগুলো মানুষের লাশ ছিল এবং ভ্যানের ওপর একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে কোথাও ফেলবার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। (পৃ ৮৬-৮৭)

বাঙালির অহংকার যে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং বিজয় অর্জন সেগুলোর পেছনে যে কত নির্যাতন, নিপীড়ন, হাহাকার, মৃত্যু এবং সম্পদহানি লুকিয়ে আছে তারই অনুসন্ধান-প্রয়াসের একটি বিশ্বস্ত দলিল পারভীনা খাতুনের ১৯৭১ গণহত্যা : যশোর উপশহর। 888sport appsের স্বাধীনতা পরবর্তীকালে গোটা মুক্তিযুদ্ধের বৃহৎ এবং বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে যেমন বিপুলসংখ্যক গ্রন্থ রচিত হয়েছে, তেমনি সেই অখণ্ড প্রেক্ষাপটের ভিন্ন ভিন্ন পটভূমিতেও রচিত হয়েছে বহু সংখ্যক গ্রন্থ।

প্র্রাতিষ্ঠানিক গবেষণার তাগিদে নানান অবস্থান এবং বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধকে দেখার, দেখানোর এবং উদ্ঘাটনের প্রয়াস পরিলক্ষিত হয়। সেই প্রয়াসের একটি আদর্শ নমুনা পারভীনা খাতুনের এই গ্রন্থটি। স্বাধীনতার প্রায় পরপরই 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা এবং বধ্যভূমি নিয়ে পথিকৃতের মতো কাজ করেছেন গবেষক সুকুমার বিশ্বাস। তারপর একাত্তরে গোটা দেশই যেখানে বধ্যভূমি এবং গণকবর হয়ে উঠেছিল, তখন একক কোনো গবেষকের পক্ষে সবটা খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণে গবেষণার ধারাবাহিকতায় 888sport appsের, বলতে গেলে সর্বত্রই, যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, নিহত বাঙালিদের গণকবর দেওয়া হয়েছে – সেই তথ্য উদ্ঘাটনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকাকে বেছে নিয়ে অনুপুঙ্খভাবে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিক, তথ্যনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে অনেকগুলি যৌক্তিক কারণে 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধকরণ এবং চর্চা স্বাভাবিক গতিতে বহমান থাকেনি। যথাসময়ে ইতিহাস লেখা হয়নি। সময়ের আঁচড়ে ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং স্মারক হারিয়ে গেছে, অনেক মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রত্যক্ষদর্শী ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। এইসব তথ্য-স্মারক-ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনার প্রামাণ্য দলিল এবং তথ্যসূত্র হয়ে থাকতে পারতো। পারভীনা খাতুনের মতো নতুন প্রজন্মের গবেষকরা নিজস্ব দায়বোধ থেকে 888sport appsের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে নতুন করে পাঠ ও পর্যালোচনা করতে এবং সেই লক্ষ্যে গবেষণা ও অনুসন্ধানে তৎপর হচ্ছেন – এটা সত্যিই আশার কথা।

পারভীনা খাতুন ‘গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের অংশ হিসেবে ক্ষেত্রসমীক্ষার অলোকে ১৯৭১ গণহত্যা : যশোর উপশহর গ্রন্থটি রচনা করেছেন। বইয়ে পরিবেশিত তথ্য হিসেবে প্রতিপন্ন করার জন্য শহিদ পরিবারের, নির্যাতিত পরিবারের, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার বা মৌখিক ভাষ্য ব্যবহার করেছেন। ব্যবহার করেছেন মুক্তিযুদ্ধকালীন আলোকচিত্র। গণহত্যা এবং নির্যাতনের পরিষ্কার একটি পটভূমির বিবরণ দিয়েছেন। অবশ্য এর আগে তিনি যশোর উপশহরের ভৌগোলিক অবস্থান, ১৯৭১ সালে স্থানটির অবস্থা কেমন ছিল, বর্তমানে অবস্থা কেমন, এর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ প্রভৃতি বিষয়ের বিবরণ দিয়ে স্থানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্দেশ করেছেন। তিনি দুঃখ করে লিখেছেন, ‘তৎকালীন উপশহরের এই ব্যাপক গণহত্যা ও নির্যাতনের তথ্যাদি এ যাবৎ প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থগুলোর কোথাও স্থান পায়নি।’

(পৃ ১৭)। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের ৪, ৫, ৮ ও ৯ তারিখে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা উপশহর এলাকায় ব্যাপক গণহত্যা চালায়। গবেষক এই চারদিনে ১৮টি গণহত্যার বিবরণ দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে উপশহর আমবাগান গণহত্যা, এস.এম সুলতান ফাইন আর্ট কলেজ গণহত্যা, ডি-ব্লক ১৬২ নম্বর পীর সাহেবের বাড়িতে গণহত্যা, এ ব্লক ২২৬ নম্বর বাড়ির সামনে গণহত্যা, উপশহর খালপাড়ে গণহত্যা, উপশহর পার্কে গণহত্যা, যশোর উপশহর বাবলাতলা ব্রিজে গণহত্যা, হাউজিং এস্টেটে গণহত্যা, ট্রাকস্ট্যান্ড বস্তিতে ইটের স্তূপে গণহত্যা, পলিটেকনিক কলেজে গণহত্যা, গাবতলা সংলগ্ন বিরামপুরে গণহত্যা, বিরামপুর নদীর পাড় চালতাতলা গণহত্যা, বিরামপুর বিমল রায় চৌধুরীর বাড়িতে গণহত্যা, কার্তিক চন্দ্রদের বাড়িতে গণহত্যা, নওয়াপাড়া গণহত্যা, শেখহাটি গণহত্যা ছাড়াও বিচ্ছিন্ন কিছু গণহত্যা। এছাড়া তিনি বিভিন্ন বধ্যভূমি এবং নির্যাতন কেন্দ্রের নামসহ বিস্তারিত বিবরণ দিতে চেষ্টা করেছেন। উপশহরের মতো যথেষ্ট ছোট একটি এলাকায় এত সংখ্যক গণহত্যা ও নির্যাতনের চিত্র মুক্তিযুদ্ধের ভয়ংকরতাকে প্রকটিত করে তোলে। উপশহর এলাকাটি যশোর মূল কেন্দ্র থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। এলাকাটির পত্তন শুরু হয় বলতে গেলে ১৯৬২-৬৩ সালের দিকে। ভারত থেকে আসা বাঙালি মুসলমানদের জন্য যশোর উপশহর এলাকায় ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু হয়। তবে সেখানে বাঙালিদের পাশাপাশি ভারতের বিহার রাজ্য থেকে অনেক মুসলমান বিহারি এসেও বসবাস শুরু করে। বসবাসকালীন বিহারি-বাঙালিদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কলহ-বিবাদ লেগে

থাকত (পৃ ২১)। এই বিরোধও ১৯৭১ সালে বাঙালি-অবাঙালি বা বাঙালি-পাকিস্তানি দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সংঘর্ষে পরিণত হয়। বিহারিরা যেহেতু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষাবলম্বন করে সেহেতু তারাও রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী বাঙালি হত্যায় মেতে ওঠে। এই হত্যাপ্রবণতার শিকার হয় উপশহরের বহুসংখ্যক মানুষ।

পারভীনা খাতুন গণহত্যার স্থানগুলোর কোনোটির তৎকালীন, আবার কোনোটির বর্তমান অবস্থার আলোকচিত্র সংযোজন করেছেন। প্রতিটি গণহত্যার সম্ভাব্য বিবরণ, নিহতের 888sport free bet ও নাম উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আলাদা একটি ছক বা তালিকায় তিনি গণহত্যায় নিহতের নাম, পিতা/ স্বামীর নাম, বয়স, গণহত্যার স্থান, নিহতের পেশা ইত্যাদি উল্লেখ করে একনজরে দেখার মতো একটি চিত্র তৈরি করেছেন। আবার ১৪ জন শহিদের সচিত্র এবং নয়জন শহিদের চিত্র ছাড়াই একটু বিস্তারিত পরিচিতি দিয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাগতভাবেও তাঁরা প্রতিনিধিস্থানীয়। আহত ও নির্যাতিতদেরও অনুরূপ একটি ছক বা তালিকা দিয়েছেন তিনি। এখানেও তিনি যথারীতি ১১ জন আহত ও নির্যাতিতের একটু বিস্তৃত পরিচয় তুলে ধরেছেন। গণহত্যা ও নির্যাতনকারীর পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি উপশহর শান্তি কমিটির সদস্যদের একটি তালিকা দিয়েছেন। এই তালিকায় বাঙালিদের পাশাপাশি অবাঙালি বিহারির 888sport free bet রয়েছে ২০। উপশহর রাজাকারদের তালিকাও দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে সংযুক্ত করেছেন স্বাধীনতার পরে ধৃত কয়েকজন রাজাকারের ছবি। অ্যাকশন পার্টির ১৫ জন সদস্যের তালিকাও সংগ্রহ করেছেন তিনি। শহিদ পরিবারের ২০ জন ও নির্যাতিত পরিবারের ১১ জন সদস্যের মৌখিক ভাষ্য এবং ১৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ উপশহরে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধকালীন সবরকম মানবিক বিপর্যয়ের সত্যতাকে প্রকটিত করে। উল্লি­খিত সকলের ভাষ্যে প্রায়ই একই রকম ঘটনা ও অভিজ্ঞতার কথা জানা যায়। সমগ্র 888sport appsের মানুষের তৎকালীন অভিজ্ঞতা যেন একই রকম। সব এলাকাতেই যেন কমবেশি একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তারপরও যাঁদের মৌখিক ভাষ্য গবেষক উপস্থাপন করেছেন তাঁদের বক্তব্যের মধ্য থেকে সে-সময়ের যে ভয়ংকর চিত্র পাওয়া যায় তা যেন রূপকথা কিংবা কল্পনার নিষ্ঠুরতাকেও হার মানায়। দু-একটি দৃশ্যের উল্লেখ করা যেতে পারে। ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, এখানে মানুষের মাথা কেটে ঝুলিয়ে রাখা হত এলাকায় বাঙালিদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য’ (পৃ ৩৪), ‘অনেকের হাত-পা কেটে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রাখা হয়’ (পৃ ৩৪)। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে আরো জানা যায়, শিশুদের উপরে ছুড়ে দিয়ে গুলি করে হত্যার কথা (পৃ ৩৪), আবার কখনো মানুষকে এখানকার দিঘিতে জীবন্ত অবস্থায় বস্তাবন্দি করে কখনো বা টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়েছে (পৃ ৩৬), জ্যান্ত মানুষকে ঘরের চালে বেঁধে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে (পৃ ১৭)।

অমাবস্যার প্রগাঢ় অন্ধকারেও কোথাও যেন জোনাকির আলোর মতো ক্ষীণ একটি দীপশিখা জ্বলে জ্বলে ওঠে। উপশহর এলাকায় অবাঙালি বিহারিদের আধিপত্য প্রবল ছিল। পাকিস্তানি সেনারা তাদের দোসর হিসেবে এসব বিহারিকে নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে লেলিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতাকামী এমনকি সাধারণ বাঙালিদের প্রতি। বাঙালি নিধন উৎসবে মেতে উঠেছে অশিক্ষিত প্রতিহিংসাপরায়ণ এই বিহারিরা। আবার এইসব বিহারির কেউ কেউ আন্তরিকভাবে দু-একজন বাঙালিকে আশ্রয় দিয়েছে, প্রাণরক্ষা করেছে। শেখ গোলাম জিলানী (৬৩) তাঁর মৌখিক ভাষ্যে বলেছেন : ‘আমি যে একজন বাঙালি ওরা চিনতে পারেনি, তাই আমি অবাঙালিদের সাথে মিশে গিয়ে সব দেখেছি। ঘণ্টাখানেক পর আমাকে যশোর জিলা স্কুলের এক অবাঙালি শিক্ষক ছাত্র হিসেবে চিনতে পেরে উনার বাসায় নিয়ে গোপনে লুকিয়ে রাখেন। এভাবে তিনি আমার জীবন বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা করেন।’ (পৃ ১৩৮)। ‘সন্ধ্যার পরে অবাঙালিরা প্রতি ঘরে গিয়ে বাঙালিদের হত্যা করা শুরু করল। … আউলিয়া ভাইয়ের একজন সহকর্মী অবাঙালি ছিলেন। ঐ রাতে … উনি আমাদের বাসায় ছিলেন। তিনি আমাদেরকে সাবধান করলেন এবং আমাদের বাঁচিয়ে দিয়ে বললেন – এই রাতের মধ্যেই তোমরা এখান থেকে সরে যাও, নইলে তোমাদেরকে আর বাঁচাতে পারবো না, মেরে ফেলা হবে। (পৃ ১৩৮)। ‘আমরা রাতে যখন বাড়ি ছেড়ে চলে যাই, তখন আমার এবং আমার ভাইকে যশোর পুলিশ লাইনের ইমাম সাহেব নিয়ে যান। তিনি অবাঙালি ছিলেন। তিনি এ-১২৮ নং বাড়িতে থাকতেন। তিনি আমাদেরকে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন।’ (পৃ ১৩৯)

বইটির শেষদিকে মুক্তিযুদ্ধকালীন যেসব আলোকচিত্র সন্নিবেশিত হয়েছে, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র সম্পর্কে ধারণা বা খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের অনেকের কাছে ছবিগুলো বিশেষ আলাদা কিছু মনে হবে না। কিন্তু তাঁদের চেনা বা পরিচিত ছবিগুলোর মধ্যে অনেকগুলো বিখ্যাত এবং আলোচিত ছবির ক্যানভাস যে যশোর বা যশোর উপশহর এলাকার, এটা ভেবে তাঁদের মনে নতুন একটি ধারণা জন্মাবে। এইসব ছবির দৃশ্য মানবিক বোধসম্পন্ন মানুষকে কখনো আবেগাপ্লুত, কখনো বিক্ষুব্ধ, কখনো উচ্ছ্বসিত করবে। এসব ছবির ভাষাচিত্র দেওয়ার মতো ভাষা খুঁজে পাওয়াও কঠিন হবে।

বইটির নামকরণে একাত্তরের ‘গণহত্যা’ শব্দটির ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও বইয়ের বিষয়বস্তুতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিক প্রতিফলিত হয়েছে। একাত্তরের নির্মমতার চূড়ান্ত রূপ হত্যা বা গণহত্যা। গবেষক সামগ্রিক বিষয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে গণহত্যাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করার জন্য অনুসন্ধানে তৎপর হয়েছেন। গণহত্যা নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার অভাব রয়েছে। সেই অভাব মোচনের ব্রতে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন পারভীনা খাতুন। এই গ্রন্থটি একটি আঞ্চলিক ইতিহাসের দলিল। আঞ্চলিক ইতিহাসের সমন্বয় বা যোগফলে রচিত হয় জাতীয় ইতিহাস কিংবা একটি দেশের সামগ্রিক ইতিহাস। পারভীনা খাতুনের গবেষণা ১৯৭১ গণহত্যা : যশোর উপশহর বৃহত্তর বা জাতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য দলিল হিসেবে পরিগণিত হবে।