শিউল মনজুর
নদীতে যদি আবারো জেগে ওঠে নতুন চর বুঝে নিতে পারি বসন্ত এসে গেছে। জানালায় যদি উড়ে আসে চড়ুই পাখির ঝাঁক, বুঝে নিতে পারি, পাঠশালার নতুন ম্যাডাম নবান্নের শাড়ি পরেছে আজ।
ফেলে আসা অবিরাম সেইসব দৃশ্যময় বাড়ির ঠিকানায়, চুপি চুপি হেঁটে যাই গোপনে আনমনে। আর চুপি চুপি কোকিলের ডাক শুনি। কুয়াশাভেজা সকালের রোদ জেগে উঠলে, পোস্ট অফিসের মোড়ে, তোমাকে দেখতে যাবো চুপি চুপি।
বনভোজনের গাড়িগুলো দুরন্তগতিতে ছুটে গেলে জেগে ওঠে পাড়া, জেগে ওঠে মহল্লা। আনন্দ-888sport slot gameের বাঁশি বাজিয়ে ক্যাম্পাসে চাঁদা তোলে যুবক-যুবতী। দেখেছি তোমার ঠোঁটে আগুনরাঙা লিপস্টিক। দেখেছি তোমার নয়নে মুখরিত উড়ছে গুচ্ছ গুচ্ছ নানারঙের প্রজাপতি।
ভালোবাসা কাকে বলে বেদনা মুখার্জি? কালবৈশাখি এসে গেলে বুঝে নিতে পারি এই বর্ষায় আমাকে একা একা যেতে হবে বাড়ি। নতুন চর ডুবে যাবে। আমি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে বিরহ-যাতনা নিয়ে ছুটে যাবো কেয়াবন পেরিয়ে পোস্ট অফিসের মোড়ে, যদি বৃষ্টি বালিকা আসে আনন্দ মুখার্জির পত্র নিয়ে – আবারো যাবো বনভোজনে, তোমাকে নিয়ে আগামী মৌসুমে।

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.