তোমার মন্দিরের বাহির দুয়ারে দাঁড়িয়ে রয়েছি এক কোণে
হয়তো একদিন ডেকে নেবে তুমি সেই আশা নিয়ে মনে
কত ভক্ত কত ভণ্ড কত না বাজারি ব্যবসায়ী সন্ন্যাসী
আমি ছাড়া ঢোকে ভেতরে সবাই যদিও দৈনিক আসি
কত কোলাহল কত ধূপধুনো কত না কান্নার রোল
কখনো বা বাজে মহাহট্টগোলে ঢাকের নানান বোল
এত মানুষের এত প্রেম বাণী কান পাতা হয় দায়
কেবল দেখা হয় না বেহুলা তোমায় আর আমায়;
তারপর নীল শরৎ দিনে এক শুভ্র শিশির ভোরে
বেদি থেকে তুমি দাঁড়ালে নেমে আমি রই যেন ঘোরে
ধীরে ধীরে তুমি দুয়ার পেরোলে দাঁড়ালে কাছে এসে
তোমার শরীরে কলমিদামের জলঘ্রাণ ভেসে আসে
হাত দুটো ধরে বললে বেহুলা এ-ঘর তো নয় আমার
চলো ধানক্ষেতে নদীর কিনারে আমি কিষানি বাংলার ॥

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.