ভিন্নরকম 888sport slot gameকাহিনি

রেজা ঘটক

 

১০ সদর স্ট্রিট

রবীন্দ্রনাথের কলকাতা

শাকুর মজিদ

প্রথমা, 888sport app, ২০১৬

৪৫০ টাকা

 

একসময়ে কলকাতাকে সিটি অব প্যালেস, সিটি অব বুকস, সিটি অব জয় নানা নামে ডাকা হতো। এরপর একসময় কলকাতা যেমন রাজধানীর মর্যাদা হারায়, তেমনি ১৯০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করে ইংরেজরাও ভারত ভাগ করে বিদায় নেয়, ঠাকুর পরিবারের জমিদারিরও অবসান ঘটে। কলকাতা পত্তনের সোয়া তিনশো বছর পর নগরটি তাহলে এখন কী নিয়ে আছে? এ-প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে কলকাতার নানা ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরিবেশ, স্থাপত্য, ভাস্কর্য, সংগীত, নাটক, live chat 888sport, পুস্তক, খাবারদাবার, অনুষ্ঠান ও ঘটনায় লেখক, নির্মাতা ও স্থপতি শাকুর মজিদ খুঁজে পেয়েছেন এক রবীন্দ্রনাথকে। শাকুর মজিদের কলকাতা 888sport slot gameে তাই উঠে এসেছে কলকাতায় রবীন্দ্র888sport slot game নিয়ে এক নাতিদীর্ঘ বিশদ গবেষণা ও অনুপুঙ্খ পর্যবেক্ষণ।

১০ সদর স্ট্রিট : রবীন্দ্রনাথের কলকাতা বইটির আঙ্গিক, বর্ণনা, কাঠামো, বিষয়াদি, পাত্রপাত্রী ও ঘটনাবলি তাই শাকুর মজিদের 888sport app 888sport slot gameকাহিনি থেকে একেবারেই ব্যতিক্রম। ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে শাকুর মজিদ প্রায় ২৫ বার কলকাতা 888sport slot game করে কীভাবে সেই কলকাতার রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কার ও অনুধাবন করেছেন, তারই এক মনোজ্ঞ তথ্যবহুল ও সচিত্র বর্ণনা পাওয়া যায় আলোচ্য বইটিতে। যে-কারণে বইটি কেবল 888sport slot gameকাহিনিই নয়, এটি ইতিহাসকে নতুন করে দেখা ও বর্তমানের সঙ্গে তার তুলনামূলক চিত্রের এক যুগলবন্দি মহাসন্নিবেশ, যেখানে কেন্দ্রে অবস্থান করেন ঠাকুর পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সমত্মান পৃথিবী জয় করা কবি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

লেখক বইটিকে মোট তেরোটি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন। প্রথম অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন ‘ঠাকুরদের গ্রাম’। এই অধ্যায়ে তুলে ধরেছেন জোড়াসাঁকো গ্রামে কীভাবে রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষদের আগমন ঘটেছিল, সেই জোড়াসাঁকো বাড়িটির একটি অংশ কীভাবে রবীন্দ্রভারতী জাদুঘরে পরিণত হয়েছে, জোড়াসাঁকোর চিত্রশালার ছবির নিখুঁত বিবরণ, রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কথা, পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা, ঠাকুরবাড়ির আঁতুড়ঘরের বিশদ বর্ণনা, সেখানে কার-কার জন্ম হয়েছিল সেসব ইতিহাস, ঠাকুরবাড়ির উত্তরাধিকারদের সংক্ষেপ্ত বিবরণ, ঠাকুরবাড়ির বহির্মহলের বিচিত্রা ভবনে রক্ষেত রবীন্দ্র-888sport sign up bonusচিহ্নের বিবরণ, ঠাকুরবাড়ির বহির্মহলে অবস্থিত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্ট, ভিজ্যুয়াল আর্ট ও ফ্যাকাল্টি অব আর্টের বিবরণ, গঙ্গাতীরে ছোটবেলায় রবীন্দ্রনাথ যে-বাড়িতে ছিলেন এবং ঠাকুরবাড়ির বউয়েরা গঙ্গাতীরে যেখানে পালকিতে চড়ে স্নান করতে যেতেন, সেই গঙ্গাতীরের বর্ণনার সঙ্গে রয়েছে লেখকের গঙ্গাতীরের ইংরেজ আমলে বানানো প্রিন্সেপ ঘাট দেখার বিশদ বিবরণ।

দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম দিয়েছেন ‘বাবুদের দরদালান’। এই অধ্যায়ে ইংরেজদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ঠাকুর পরিবার ও অন্য বাবুরা যেসব প্রাসাদ বানিয়েছিলেন এবং এতে ইংরেজদের কী প্রভাব ছিল তার বর্ণনা এসেছে।

তৃতীয় অধ্যায় ‘সাহেবের প্রাসাদনগরে’ লেখক বর্ণনা করেন কী করে এ-অঞ্চল ইংরেজ কলোনিভুক্ত হলো। শুধু তাই নয়, প্রাসাদনগরীর রূপ নিতে কীভাবে পাশ্চাত্য স্থাপত্যের প্রভাবে দুষ্ট হয়েছিল, তার বর্ণনা। ইতিহাসের বর্ণনার পাশাপাশি লেখক ওইসব প্রাসাদ ও 888sport sign up bonusসৌধের স্থাপত্য নকশার তুলনামূলক আলোচনাও করেছেন এখানে। লেখক নিজেও একজন পেশাদার স্থপতি। তাই প্রাসাদ ও স্থাপনার ইতিহাসের সঙ্গে স্থাপনার নকশা, কৌশল, স্থাপত্যরীতি ও কোন প্রাসাদ কোন শহরের কোন প্রাসাদের অনুকরণে নির্মিত, সেসব বিষয়ের সংক্ষেপ্ত ধারণা তুলে ধরেন পাঠকদের কাছে, যা 888sport slot gameকাহিনির পাঠকের কাছে এক পরম পাওয়া হিসেবে উঠে এসেছে।

চতুর্থ অধ্যায়ের শিরোনাম ‘ফুর্তির শহর’। এই অধ্যায়ে ‘বাবুদের বিলাস’ ও ‘সিটি অব জয়’, ‘কলকাতার বাইজি’ ও ‘সন্ধ্যা নামে পার্ক স্ট্রিটে’ নামে কয়েকটি উপ-শিরোনামে লেখক অষ্টাদশ শতকের শেষ চতুর্থাংশে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে ইংরেজদের বাবুগিরি ফলানোর নানা দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। পার্ক স্ট্রিটে এখনো ২৫ ডিসেম্বরের বড়দিন আর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ইংরেজ স্টাইলে রমরমা উৎসব হয়, সেসব ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ তুলে ধরেন লেখক নিজের উপস্থিতিসহ।

পঞ্চম অধ্যায়ের শিরোনাম ‘ঠাকুরের নগর’। এই অধ্যায়ে কলকাতা নামের উৎপত্তি থেকে কীভাবে আজকের কসমোপলিটন সিটি কলকাতা তার রূপ, সৌন্দর্য, বিস্তৃতি ও ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ নিয়ে বড় হলো তার এক সংক্ষেপ্ত অথচ পুঙ্খানুপুঙ্খ পরি888sport free betন তুলে ধরে লেখক এখানে একজন সত্যিকারের নগরবিশারদের ভূমিকায় নিজেকে উত্তীর্ণ করেছেন। পাশাপাশি আধুনিক কলকাতার বিভিন্ন স্থাপনা, 888sport sign up bonusসৌধ, ভবন, লেক ও স্থাপত্যের ছবিসহ নিখুঁত বর্ণনায় বইটি একটি নতুন উচ্চতা পেয়েছে। যে-কারণে ১০ সদর স্ট্রিট বইটিকে কেবল 888sport slot gameকাহিনি না বলে এটিকে নগর, স্থাপত্য ও ইতিহাসের একটি অনন্য দলিলের সংশ্রব বলা যায়। বইটি 888sport slot gameকাহিনি পাঠকদের পিপাসা মেটানোর পাশাপাশি বরং নগর ও স্থাপত্য নিয়ে যারা পড়াশোনা করেন, তাঁদের জন্য একটি মূল্যবান আকরগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা পাবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা নগর ও স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাঁদের জন্য বইটি একটি মূল্যবান রেফারেন্স বই হিসেবে একবাক্যে স্থান পাওয়ার যোগ্য।

ষষ্ঠ অধ্যায়ে লেখক কলকাতার ভাস্কর্য নিয়ে লিখেছেন, নাম দিয়েছেন ‘কলকাতার ঠাকুর’। কলকাতার রাস্তা ও ময়দানে বিগত আড়াইশো বছর ধরে যেসব মহান ব্যক্তিত্বের মূর্তি বানিয়ে রাখা ছিল তাঁদের সবগুলোর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিশেস্নষণ করে লেখক দেখিয়েছেন শেষমেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যই সবগুলোর ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে। এ-কারণে এ-অধ্যায়ের শিরোনাম – ‘কলকাতার ঠাকুর’।

কলকাতাকে কেন এবং কীভাবে ‘গ্রন্থনগরী’ বলা হতো বা হয়েছিল – তার বিবরণ আছে সপ্তম অধ্যায় – ‘ঠাকুরের গ্রন্থনগরী’তে। আমরা যে-বাংলায় এখন লিখি বা পড়ি, তার সূচনা হয়েছিল উনিশ শতকে এই কলকাতায়। কলকাতায় গেলে লেখক কী কী বিষয়ে অস্থির থাকেন আর নিজের পিপাসা কোথায় কীভাবে মেটান, তার একটি মনোজ্ঞ বিবরণও রয়েছে এখানে। বটতলা থেকে শুরু করে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত পুরো চষে কলকাতার বইমেলার বর্ণনা দিয়ে যেখানে শেষ করেছেন, সেখানেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

অষ্টম অধ্যায়ের শিরোনাম ‘নাটকপাড়ায় ঠাকুর’। লেখক নিজের লেখা নাটক মহাজনের নাও নিয়ে কলকাতা 888sport slot gameের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি কলকাতার নাটকপাড়ার আদি থেকে বর্তমান সময়ের নানা অনুষঙ্গ, ইতিহাস ও পরি888sport free betন তুলে ধরেছেন। তবে ঘুরেফিরে সর্বত্রই চলে এসেছেন খোদ রবীন্দ্রনাথ।

কলকাতার আদি ও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরনের খাবারের একটি মনোজ্ঞ বর্ণনা আছে নবম অধ্যায় ‘গঙ্গাপাড়ের খাবারে’ -। কলকাতার স্ট্রিট ফুডের বর্ণনা থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ বা নেতাজির পছন্দের খাবারের পাশাপাশি লেখক নিজের পছন্দের খাবারের তালিকাও পাঠকদের শোনান। অন্তত যারা প্রথমবার কলকাতা 888sport slot game করবেন, তাদের জন্য খাবারের এ-অধ্যায়টি খুবই তথ্যভিত্তিক।

দশম অধ্যায়ের শিরোনাম ‘কলকাতার সিনেমা’। এই অধ্যায়ে কলকাতার সিনেমা জগৎ ও সেখানে রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতি বা রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে তৈরি সিনেমার একটি বিশদ বর্ণনার পাশাপাশি কলকাতার সিনেমার একটি পরিচয় ফুটে উঠেছে। তবে কলকাতার বিখ্যাত live chat 888sport নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ রবীন্দ্রনাথের ওপর ‘জীবন 888sport sign up bonus’ নামে নির্মাণ করেছিলেন একটি ডকুমেন্টারি। যেটি ঋতুপর্ণের শেষ ছবি। এটির কথা আসেনি। এমনকি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছেলেমেয়েরা একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণ করেছেন, সেটির কথাও আসেনি। তাই নতুন সংস্করণে এই অধ্যায়ে লেখকের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে অন্তত রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কলকাতায় যত live chat 888sport নির্মিত হয়েছে, সেগুলো যাতে তিনি ভবিষ্যতে অন্তর্ভুক্ত করেন। শাকুর মজিদ নিজেও একজন নির্মাতা। তাই live chat 888sport বিষয়ে লেখকের এ-বইয়ে কিছুটা সংক্ষেপ্ত বর্ণনা হয়তো নতুন পাঠকের পিপাসা মেটালেও পুরনো পাঠকদের জন্য কিছুটা তৃষ্ণা রয়ে যাবে বটে।

একাদশ অধ্যায়ের শিরোনাম ‘ঠাকুরবাড়ির গান’। এই অধ্যায়ে লেখক কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের গানের একটি বিশদ বর্ণনা দেন। রবীন্দ্রনাথের গান গ্রামোফোন রেকর্ড আমল থেকে সিনেমা বা বর্তমান সময়ে ইউটিউবে কীভাবে শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে, তার চেয়েও রবীন্দ্রনাথের গান কলকাতায় কীভাবে কতটা মর্যাদা নিয়ে টিকে আছে, তার একটি মনোজ্ঞ বর্ণনা রয়েছে এ-অধ্যায়ে। এই অধ্যায়ে লেখক অনেক পুরনো পাঠকের মন ভরাতে পারবেন কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে। আশা করি, লেখক রবীন্দ্রনাথের গানের অধ্যায়টি আরো তথ্যবহুল ও বিভিন্ন ঘটনার অনুষঙ্গ টেনে ভবিষ্যতে বড় করার উদ্যোগ নেবেন। এই অধ্যায়টিতে আমার অন্তত মন ভরেনি।

দ্বাদশ অধ্যায়ের শিরোনাম ‘কলকাতা-দর্শন’। এই অধ্যায়ে লেখক কলকাতার বিভিন্ন স্থানের 888sport slot gameের নানা অভিজ্ঞতা ও দর্শনীয় বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস ও বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের কথা সচিত্র তুলে ধরেন। এ-অধ্যায়টি হয়তো লেখকের পুনঃপুন কলকাতা 888sport slot gameে ভবিষ্যতে আরো সমৃদ্ধ হবে। বিশেষ করে লেখক তাঁর পিতামহের খিদিরপুরে একসময়ের বসবাসের স্থানটি যেভাবে আবিষ্কার করার নেশায় ছুটেছেন, সেটি পাঠকদের এক নস্টালজিয়ায় নিয়ে যায়। পূর্বপুরুষদের 888sport sign up bonus বিজড়িত স্থানে আমাদের সবারই এমন নস্টালজিক হওয়ার কথা। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ আটবার বিলেত 888sport slot game করলেও লন্ডনের কেনসাই গ্রিন সিমেট্রিতে নিজের ঠাকুরদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সমাধি সৌধে একবারের জন্যও যাননি। যেটি আজো আমার মনে এক বড় বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। তাহলে কি রবীন্দ্রনাথ প্রিন্স দ্বারকানাথকে অপছন্দ করতেন? সেই অপছন্দ করার রহস্য তাহলে কী!

ত্রয়োদশ অধ্যায়ের শিরোনাম ‘১০ সদর স্ট্রিট : চারুলতার নষ্টনীড়’। লেখক শাকুর মজিদও সত্যজিতের মত কলকাতার রবীন্দ্রনাথকে আবিষ্কারের নেশায় সেই ১০ সদর স্ট্রিটকে কেন্দ্রবিন্দু করেছেন। যা বইটির নামকরণ, ইতিহাস ও ঘটনা পরম্পরার সঙ্গে পাঠককে নতুন করে রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরী যুগলের সেই 888sport sign up bonusময় নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গকে 888sport app download for android করিয়ে দেবে। হয়তো মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্দেশে পুত্রবধূ কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট নষ্ট না করা হলে পাঠকের সেই তৃষ্ণা মেটানোর একটা উপায় ছিল। লেখক শাকুর মজিদ তাই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ১০ সদর স্ট্রিটে এসে রবীন্দ্রনাথকে পুনরায় আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন। হয়তো কাদম্বরী দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সেই অসমাপ্ত কাহিনিকে ১৯০১ সালে ‘নষ্টনীড়’ গল্পেই রবীন্দ্রনাথ বলার চেষ্টা করেছিলেন। নতুবা তারপর রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘজীবন শামিত্মনিকেতনে কাটালেও তাঁর প্রধান আশ্রয় ছিল ১০ সদর স্ট্রিটের সেই 888sport sign up bonusময় বাড়ি বা নষ্টনীড়খানি। শাকুর মজিদ নিজেই বলেছেন – একসময় আমি এও আবিষ্কার করি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গভীর সৃজনশীল মনের ভ্রূণ সঞ্চারে ও তার বিকাশে আছে প্রিয় সদর স্ট্রিটের ১০ নম্বর বাড়ি। এখান থেকেই ১৭ বছরের এক কিশোরের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আর সেই থেকেই গড়ে ওঠা শুরু হয় এই কলকাতার, যা এখন রবীন্দ্রনাথের নগর।

এ-বইটি শাকুর মজিদের অন্য 888sport slot gameকাহিনিগুলো থেকে নিঃসন্দেহে আলাদা। একটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে  একটা শহর সিকি শতাব্দী ধরে কেউ সফর করে লিখেছে, এমন বই আমার চোখে পড়েনি। আর সেই চরিত্রটি যদি হয় রবীন্দ্রনাথ আর শহরটা কলকাতা, তাহলে তো কথাই নেই!

লেখকের আলোকচিত্র অবলম্বনে বইটির প্রচ্ছদ করেছেন 888sport live chatী অশোক কর্মকার। প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। অফসেট প্রিন্ট ও বোর্ড বাঁধাই বইটির পৃষ্ঠা 888sport free bet ২৭২। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪৫০ টাকা। কিন্তু বিদেশে বইটি কত ডলারে বিক্রি হয়, সেই তথ্যটি বইটিতে অনুপস্থিত।