অনর্থ এই সময়ের সাবলীল স্রোতে বয়ে যায় নিঝুম দুপুর,
নিঃসঙ্গ আর্তনাদে চারিদিক মগ্ন-দগ্ধ, তুমুল উত্তাপে অসহায়
জনপদ পুড়ে যায় নগরীর দাপটে, ব্যক্তিবর্গ অহঙ্কার-অসুখে
মহামারী-আক্রান্ত, প্রতিটি মানুষের বাহুমূলে জমেছে নোনা
ঘাম বিন্দু বিন্দু সমুদ্রের বৃষ্টি সফেন, এইভাবেই অপরাধ
জমা হয় গোপন বিচারে, আকাশ থেকে নেমে আসে ওই
সহস্র রাতের কাহিনী – বোবাকান্না, কি ছিল সেই শূন্য সংসারে,
পরিপূর্ণ জলে কীসের সাঁতার, শুধু শুধু ভেসে থাকা যেহেতু
নিজস্ব পুকুরে কোনওভাবেই ডোবা যায় না, উদ্বাহু ঝাঁপ দিয়ে
অন্যের জলে জলকেলী খুবই সহজ ক্রীড়া, জলের নীরব চিৎকার
জলহীনতার ঢেউয়ে ঢেউয়ে, সত্যিই মানুষ কী অসামান্য প্রাণী,
মানুষের মৃত্যু হ’লে কেউ না কেউ বুক চাপড়িয়ে কাঁদে আর
বাতাসকে দায়ী করে। শোকের মধ্যে মানুষের মাথার ওপরে
এক ধরনের পাথর এসে পড়ে, কেন্দ্রত্যাগী যারা অদৃশ্য ছিল
তারাই আজ চুপি চুপি সামনে এসে দাঁড়ায়। সামনের অগাধ
সময়ের অভ্যন্তরে প্রকৃত সময় খুঁজে বেড়ায়, গাছের সামনে
এসে হাঁটু ভেঙে মাথা নিচু করে প্রার্থনা করে – হে বৃক্ষশ্রী
তুষারের মধ্যে জলের যে-রূপ দেখা যায় প্রকৃত জলের সঙ্গে
তার কী প্রভেদ কিংবা বৃষ্টির সঙ্গে শিশিরের, পাতার সঙ্গে
শিকড়ের, বাতাসের সঙ্গে 888sport sign up bonusর, বেদনার সঙ্গে সূক্ষ্ম বোধের,
পরিপূর্ণতার সঙ্গে গভীর জলাশয়ের, মানুষ যেহেতু নিজেকে
কিছুতেই জানতে পারে না তাই তার জীবন চিরকাল উদ্দেশ্য আর
উদ্দেশ্যহীন হয়েই থেকে গেল – এই চিরাস্তিত্ব বন্দোবস্তের মাঝে
তাকে আজীবন মরণের পরেও রয়ে যেতে হবে। নিজেকে বারবার
বদলিয়ে বদলিয়ে সাবানের মতো ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় আর শূন্যে
ভাসে বৃত্তাবদ্ধ বুদ্বুদ্গুলো। তার মধ্যে মানুষের অবিশ্বাসী
মন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অলীক রামধনু রং প্রজাপতির পাখা
হ’য়ে আকাশময় অসংখ্য উড়ে যেতে থাকে অন্ধকারের ভেতরে।

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.