আদনান সৈয়দ
মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত বন্ধুরা
হাসান ফেরদৌস
প্রথমা প্রকাশন
888sport app, ২০১৩
৪০০ টাকা
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের নানান গতিপথ এবং এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো স্বাধীনতার দীর্ঘ বিয়াল্লিশ বছর পরও আমাদের মনের গহিন কোণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে জট পাকিয়ে এখনো বসে আছে। অনেকটা কিঞ্চিৎ ধোঁয়াটে আর কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শত্রু-মিত্রদের চেহারা অনেকটা আবছা আয়নায় যে যার মতো করে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাতে শুধু উপযুক্ত ‘তথ্য ও উপাত্তে’র অভাবে অনেক জানা তথ্যও ইতিহাসের পাতায় আমাদের কাছে নিরন্তর অজানাই থেকে যাচ্ছে। এ বিষয়গুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় রেখে লেখক হাসান ফেরদৌসের সাম্প্রতিকতম গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত বন্ধুরা পাঠকদের জন্য বাড়তি এক আনন্দের খবর। প্রচুর তথ্য ও উপাত্তে ভরপুর গ্রন্থটিতে সংযোজন করে লেখক 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার এক প্রাঞ্জল বর্ণনা দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে লেখক হাসান ফেরদৌস দীর্ঘদিন সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করেছেন। সোভিয়েতদের সঙ্গে ওঠা-বসা থেকে শুরু করে তাদের হৃদয়ের অতলতলে 888sport appsের অবস্থান খুব কাছ থেকে নিবিড়ভাবে দেখারও সুযোগ পেয়েছেন তিনি। লেখক নিজেই গ্রন্থটির ভূমিকায় তা প্রথমেই পরিষ্কার করে নিয়েছেন, ‘স্বাধীনতার পরপর, প্রায় চল্লিশ বছর আগে, আমি সোভিয়েত ইউনিয়নের ছাত্র হিসেবে ছয় বছর কাটাই (১৯৭৩-৭৯)। ভালো-মন্দে মেশানো সে-অভিজ্ঞতা এখন কার্যত ধূসর হয়ে এসেছে। কিন্তু একটি ঘটনা আমার 888sport sign up bonusতে এখনো দীপ্যমান। খারকফ শহরে প্রস্ত্ততি বছরের পাঠ শেষে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে আমরা একটি অবসর নিবাসে এসেছিলাম। সেখানে বিদেশি ছাত্রদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমাকে 888sport apps নিয়ে বলতে বলা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে আমি হল থেকে বেরিয়ে আসছি – দেখি, একটি যু্বক, আমারই বয়সী, হাত তুলে ডাকছে। কাছে যেতেই যুবকটি আমাকে জড়িয়ে ধরল। তার চোখে জল। জানাল, ‘১৯৭১-এ সে ও তার বন্ধুরা গান গেয়ে 888sport appsের উদ্বাস্ত্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছে। এই প্রথম সে নিজ চোখে কোনো 888sport appsিকে দেখল।’
888sport appsের মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ একদিনের কোনো ফসল নয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের প্রতি পশ্চিমিদের বৈষম্যমূলক আচরণ তো বটেই, সেইসঙ্গে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নানাবিধ কূটনৈতিক চাল ও প্রত্যক্ষ রাজনীতির মুষ্টিতে আবদ্ধ ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। সে-কারণেই খুব স্বাভাবিকভাবেই হাসান ফেরদৌসের উৎসাহী কলম মুক্তিযুদ্ধকালে 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে সোভিয়েত ইউনিয়নের নীতিগত অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের ভূমিকাগুলো খুব যত্নের সঙ্গে যথাযথ তথ্য ও উপাত্তের মাধ্যমে পাঠকের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব পাকিস্তানের নির্যাতিত মানুষের পক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। ২৫ মার্চ রাতে ইয়াহিয়া ন্যায়সংগত আলোচনা ভেঙে দেওয়ায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ওপর নেমে এসেছিল বর্বরোচিত আক্রমণ। সোভিয়েত ইউনিয়ন তা জানতে পেরে তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট গদগর্নি ২ এপ্রিল পাকিস্তানের সোভিয়েত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ইয়াহিয়া খানের কাছে একটি বার্তা পাঠান। সে-বার্তায় মূলত 888sport appয় কোনো রকম সামরিক অভিযান না চালিয়ে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক পরিস্থিতির আশু সমাধানের জন্য ইয়াহিয়া খানের প্রতি সোভিয়েত ইউনিয়ন অনুরোধ জানায়। ‘সোভিয়েত প্রশাসন অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জানতে পেরেছে যে, 888sport appয় রাজনৈতিক আলোচনা ভেঙে গেছে এবং সেখানকার সামরিক প্রশাসন স্থানীয় জনগণের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। ঘটনার এ-মোড় পরিবর্তনের কারণ মস্কোর জানা নাই। কিন্তু (আমরা) খোলামেলাভাবে বলছি যে, ভ্রাতৃঘাতী এ-সংঘর্ষ সোভিয়েত জনগণের মনে গভীর উদ্বেগ ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে।’ (পৃ ২৮)। কিন্তু কথা হলো, এ-চিঠিটিকে সে-সময় আইয়ুব খান কতটুকু গুরুত্ব দিয়েছিলেন? তিনি আদৌ কি চিঠিটির মূল বাণী আত্মস্থ করতে পেরেছিলেন? যেখানে পশ্চিম পাকিস্তানের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দুটো দেশই প্রত্যক্ষভাবে এ-যুদ্ধের নীতিগত দিকটির প্রতি তাদের সমর্থন দিয়ে আসছিল। প্রেসিডেন্ট গদগর্নির চিঠির জবাবে ইয়াহিয়া খান যে-বার্তাটি পাঠান, অধিকাংশ ভাষ্যকার মন্তব্য করেছেন, ‘তার ভাষা ছিল রুক্ষ ও কিছুটা অশালীন।’ (পৃ ৩০)।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে 888sport appsের সখ্য একদিনে হয়ে ওঠেনি। এর পেছনে রয়েছে শতবর্ষের পুরনো সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস। লেখক ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত সেসব ঘটনাকে পাশাপাশি সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে পাঠকদের পাতে তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন। গ্রন্থটিতে এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটগুলোকে বিবেচনায় এনে লেখক 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে যথেষ্ট মুন্শিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। রুশ বিপ্লবের প্রতি ছিল ভারতীয় নেতাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সেইসঙ্গে পাহাড়সমান দুর্বলতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও ১৯৩০ সালে তাঁর গ্রন্থ রাশিয়ার চিঠিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজ, রাজনীতি ও সে-দেশের মানুষের বন্ধুত্বের কথা অকপটে দেশবাসীর কাছে জানিয়েছেন। মোট কথা, দেখা যায়, ভারত সেই অনেক আগে থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের বন্ধুত্ব লাভ করতে পেরেছিল অথবা সোভিয়েতরা ভারতীয়দের তাদের বন্ধু হিসেবে দেখার মানসিকতা অর্জন করেছিল। লেখক বলছেন, ‘স্বাধীনতার অনেক আগে, ১৯২৭ সালে, মস্কো সফরের মাধ্যমে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা জওহরলাল নেহরু সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সে-দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোরদার করার পক্ষে যুক্তি দেখান’ (পৃ ৩৪)। যেহেতু 888sport appsের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতের প্রত্যক্ষ সমর্থন ছিল, সে-কারণে ভারতের মিত্র দেশ সোভিয়েত 888sport appsের মুক্তিকামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবে এমনটা আশা করাই ছিল স্বাভাবিক। তবে এ-কথাও মনে রাখতে হবে যে, পশ্চিম পাকিস্তান যেহেতু চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদপুষ্ট ছিল, সে ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রসারিত এই বন্ধুর হাত কতখানি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পেরেছিল।’ পাকিস্তান তার সৃষ্টির পর থেকেই নিজেকে পশ্চিমা গোত্র, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত মিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বতো চেষ্টা চালায়। পাকিস্তান পশ্চিমা শিবিরে ঢুকেছিল অর্থ ও অস্ত্র পাওয়ার আশায়। সে-চেষ্টায় সবার আগে হাত লাগান পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা বলে পরিচিত মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ।’ (পৃ ৪৫)।
888sport appsের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়ন তার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। এই বন্ধুত্বের সঙ্গে তাদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ কতটুকু জড়িত ছিল, সে নিয়েও তাদের চিন্তা ছিল বইকি? এদিকে ভারত যাতে সহসাই 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকেও সোভিয়েত ইউনিয়নের চোখ খোলা ছিল। লেখক বিষয়টি পাঠকদের সামনে স্পষ্টভাবেই উপস্থাপন করেছেন এভাবে – ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন 888sport appsে পাকিস্তানি সেনা অভিযানের তীব্র সমালোচনা করলেও সামরিকভাবে এ-সংকটে জড়াতে সে মোটেও আগ্রহী ছিল না। ভারত যাতে শিগগির কোনো সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ে, সে-ব্যাপারেও দিল্লির নেতাদের পরামর্শ দেয় মস্কো। সোভিয়েতের এই দ্বিধান্বিত পদক্ষেপের কারণ, সে খুব ভালো করেই জানত। চীনকে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে এক দশক ধরে পাকিস্তান ও ভারতকে নিয়ে যে যৌথ নিরাপত্তা-ব্যবস্থার পরিকল্পনা সে করে আসছিল, ভবিষ্যৎ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কোনো এক পক্ষকে সমর্থনের অর্থ হবে তার সে-পরিকল্পনার নিশ্চিত সমাপ্তি।’ (পৃ ৬৪)। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের এই যুদ্ধের কারণে এশিয়া মহাদেশের রাজনীতিতে এক বড় ধরনের ভবিষ্যৎ জটিলতার সৃষ্টি হবে, এমনটা অাঁচ করতে পেরেছিল সে-সময়ের অন্যতম পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র প্রাভদা ১৯৭১ সালের ১ জুন সে-কথারই যেন এক আভাস দেয়। ‘পূর্ব পাকিস্তানের অব্যাহত রক্তপাতের ফলে শুধু যে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে তা নয়, সমগ্র এশিয়ার তথা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।’ (পৃ ৬৪)। এদিকে পশ্চিম পাকিস্তানের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এ-যুদ্ধকে কোনোভাবেই সহজভাবে নিতে চায়নি। সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া তো বটেই, গোটা এশিয়া মহাদেশেও সাম্রাজ্যবাদী ক্ষমতা বিস্তারের কৌশল স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র সর্বান্তঃকরণে চেয়েছিল পাকিস্তান যুদ্ধে জিতুক এবং এশিয়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ প্রসারিত হোক। লেখকের দাবি, ‘যুদ্ধে বিপর্যয় অনিবার্য জেনেও সে-যুদ্ধের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে কিসিঞ্জার সোভিয়েত ইউনিয়নের মাধ্যমে ভারতের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পীড়াপীড়ি করছিলেন এই যুক্তিতে যে, তাদের নির্ভরযোগ্য মিত্র পাকিস্তান নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে জেনেও আমেরিকা যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তার ফলে নতুন মিত্র চীন আমেরিকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখতে দ্বিধা করবে।’ (পৃ ১৮৩)।
বইটির নামকরণ দেখে অনেক পাঠকই হয়তো ফস করে বলে বসবেন যে, ‘সাম্রাজ্যবাদীদের আবার জাত কী?’ সোভিয়েত ইউনিয়ন নিশ্চয়ই তাদের নিজেদের স্বার্থেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পক্ষে তাদের ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। নিশ্চয়ই তাদের স্বার্থ রক্ষার কিছু একটা ছিলই। দেখতে পাই, লেখক হাসান ফেরদৌস পাঠকদের মনের আকাশে উঁকিঝুকি মারা এই সন্দেহটা ঠিক দেখতে পেরেছিলেন বলেই হয়তো তিনি বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা তার লেখায় তুলে আনেন।’ এ-কথা ভোলা সম্ভব নয় যে, ‘১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানকে সরাসরি মদদ জুগিয়েছিল। চীন ও আমেরিকার পাঠানো অস্ত্র দিয়েই পাকিস্তান সেনাবাহিনী 888sport appsে গণহত্যা পরিচালনা করে। রক্তস্নাত সেই নয় মাসে কখনোই একবারের জন্যও তারা সেই গণহত্যার নিন্দা করেনি। আমরা এও দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্র আণবিক রণতরি পাঠিয়ে 888sport apps ও ভারতকে সন্ত্রস্ত করতেও দ্বিধা করেনি। অন্যদিকে মস্কো ভারতকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে শক্তিশালী করেছে, 888sport appsের মুক্তিযোদ্ধারাও ভারতের মাধ্যমে সেই অস্ত্র ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিল।’ (পৃ ২৫৩)।
বলতে দ্বিধা নেই, মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত বন্ধুরা মোট দুশো একাত্তর পৃষ্ঠার এ-বইটি 888sport appsের মুক্তিযুদ্ধের ওপর সাক্ষাৎ এক দলিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের অবদানের পাশাপাশি বইটির পাতায় পাতায় অসংখ্য তথ্য ও পদটীকা সংযোজনে বইটির মান এবং গ্রহণযোগ্যতা পাঠকের কাছে আরো অনেকাংশে বাড়িয়ে দেবে বলেই বিশ্বাস। গ্রন্থ&&টর ঝকঝকে পাতা আর সুনদর বাঁধাই সত্যি দৃষ্টি কাড়ে। গ্রন্থটির সুন্দর ও মননশীল প্রচ্ছদটি করেছেন 888sport live chatী কাইয়ুম চৌধুরী।

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.