মুঠোফোনের গদ্য

বংলাদেশে কতকগুলো জায়গার নাম আছে, সাধুভাষায়, ক্রিয়াপদ, অতীতকাল। যেমন: টাঙ্গাইল। কে যে কী সেখানে টাঙ্গাইলেন জানি না, তবে টাঙ্গাইলেন যে বটে, তা না হয়েই যায় না। না হলে জায়গার নাম টাঙ্গাইল হবে কেন! এমনিভাবে নড়াতে নড়াতে নড়াইল, সরাতে সরাতে সরাইল। এখন এদেশে এসেছে এক নতুন জিনিস – মোবাইল। কে-যে কাকে কবে এদেশে প্রথম মোবাইয়াছিলেন, জানা যায় না, তবে মোবাইল শব্দটা টাঙ্গাইল সরাইল নড়াইলের পাশে একেবারে চিরপরিচিতের মতো করে বসে গেছে। যেন এ আমাদের কত দিনের আপনার জিনিস। হ্যাঁ, শব্দটা ছিল বটে আগে থেকেই, বিশেষ করে বিনা টিকেটে 888sport slot game করতে গিয়ে যারা এক-দু দিন হাজতবাস করেছেন, তারা নিশ্চয় ভুলতে পারবেন না মোবাইল কোর্টের কথা, কিন্তু সাধারণ্যে সেটা মোবিল কোট নামেই পরিচিত ছিল। তাতে একটা বড় কোম্পানির লুব্রিকেন্টের বিজ্ঞাপন হয়ে যায়, গেলেও ক্ষতিবৃদ্ধি কিছুই ঘটে না। যেমন এদেশের লোক মোটর সাইকেলকে বলে হোন্ডা, এ ওকে শুধায়, হোন্ডা কিনছ, কী হোল্ডা? ইয়ামাহা। ভালো হোন্ডা। বা বলা যায়, ডেটল কিনে আনো তো, স্যাভলনটা কিনো, ভালো ডেটল।

তো মোবাইল ফোন জিনিসটা এদেশে এল, এবং দেশবাসীর করতল জয় করে নিল। পকেটটাও জয় করল বটে। এখন দেশে দশ লক্ষেরও বেশি মোবাইল ফোনের গ্রাহক। কল্পনা করা যায়! এবং দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ আগে হোক পরে হোক (প্রিপেইড বা পোস্ট পেইড) প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে মোবাইল ফোনের বিল শোধ করে চলেছে। সঙ্গে দিয়ে চলেছে ভ্যাট এবং আনুষঙ্গিক যা কিছু তেনারা চাইছেন। অথচ ল্যান্ড ফোনের বিল বাকি রাখার ব্যাপারে আমাদের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আর আমাদের এমপি মন্ত্রীরা ইতোমধ্যে বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করে সংবাদপত্রের শিরোনাম হবার গৌরব অর্জন করেছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেরই টিভি লাইসেন্সের নবায়ন করতে বছরে ৫শ টাকা দেওয়া হয়ে ওঠে না প্রধানত আলস্যের কারণে। কিন্তু সেই আমরাই প্রতিবছর ২৪০০ থেকে ৪০০০ টাকা করে দিচ্ছি স্বেচ্ছায় সানন্দে স্যাটেলাইট চ্যানেল দেখব বলে। কী প্রমাণ হয় এ থেকে। এক. বাঙালির ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। দুই. সেবা দিলে তার দাম দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।

মোবাইল ফোন আমাদের আটপৌরে জীবনে সবচেয়ে নবাগত কিন্তু সবচেয়ে সাধারণ (কমন) জিনিসে পরিণত হয়েছে। যে কোনো মধ্যবিত্ত বাসায় এখন দুটো তিনটা মোবাইল ফোন। শুধু যে 888sport app শহরে তা নয়, থানা শহর- গুলোতেও একই অবস্থা। আগে যেমন ছিল হাতঘড়ি, সবার কব্জিতে একটা করে থাকা চাই, এখন হয়েছে মোবাইল ফোন। জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ।

রেডিওর মতোই মোবাইল ফোনেরও আগে আকার আর দাম দুটোই ছিল প্রকাণ্ড। সেটা শুধু দেখা যেত বড়লোকদের হাতে। একটার দাম নাকি তখন ছিল দেড় লাখ টাকা। সেটা হাতে নিয়ে, পুলিশের গোয়েন্দার ওয়াকিটকি যেন, বড়লোকেরা নামতেন বড় বড় গাড়ি থেকে। আমরা সম্ভ্রম নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম। এ নাকি শাঁখের করাত। যেতেও কাটে। আসতেও কাটে, ফোন এলেও বিল দিতে হয়, ফোন করলেও বিল দিতে হয়। শুনে মনে এক ধরনের সুখও হতো। ভাই বড়লোক হওয়ার ঝক্কি দেখেছেন? কথা বলতে হয় মেপে মেপে। ট্যাকসো দিয়ে। আমাদের মোবাইল ফোনও নেই আমাদের এইসব ঝক্কিও নেই, তা যাকে বলে মনোপলি, একচেটিয়াত্ব, তার সুযোগে প্রথম কোম্পানিটা কিছু টাকা-পয়সা করে নিয়েছিল বটে। আমাদের তাতে অসূয়া হয় না, কারণ তারা তাদের পকেটই কেটেছিল, যাদের পকেট ছিল ভারি। আমাদের গঞ্জের রেলস্টেশনেও ছিল এক সময় এ ধরনের একচেটিয়া কারবার, নিরীহ যাত্রী ট্রেনের টিকেট করতে এসেছে, টিকেট কাউন্টারের কর্মচারী কিছুতেই দাম কমাবে না, বলে একদাম, যাত্রী তখন বলে, তুমি না দিলে আর একজন দেবে, কর্মচারী বলে, আর কেউ দেবে না, এ টিকেট শুধু এখান থেকেই পাওয়া যায়, যাত্রী তখন হৃদয়ঙ্গম করতে পারে ব্যাপারটা, ও একটা মাত্র দোকানে পাওয়া যায়, তাই তো বলি, দাম কেন কমায় না।

তারপর একচেটিয়াত্ব গেল ঘুচে, শেষের 888sport app download apkর অমিত রায়ের রয় আর রে উপাধির মতো তার বনেদিত্ব গেল ঘুচে, আর 888sport free bet হলো বৃদ্ধি। হাতে হাতে মোবাইল ফোন। কার হাতে নেই! মাছওয়ালা পানের দোকানদাররা তো শ্রদ্ধেয় ব্যাপার, তাদের আয়-রোজগার খুবই ভালো, তাদের হাতে মোবাইল ফোন তো থাকবেই, ড্রাইভারদের হাতে থাকা বা রাখাটা তো পেশাগত উৎকর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত, সাধারণ ছাত্রছাত্রী, তারাও এখন অনেকে মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখে। তাদের মাসিক খরচের অর্ধেকটা যায় মোবাইলের পেছনে আর বাকি অর্ধেকটা থাকা-খাওয়া চলা-পরা (কখনো কখনো পড়া)-

এইসবের পেছনে। এবং আমরা পরিচিত হতে লাগলাম কতকগুলো শব্দের সঙ্গে। ইনকামিং, আউটগোয়িং, জিপি-জিপি, মোবাইল টু মোবাইল, সিমকার্ড, প্রিপেইড, পোস্ট পেইড ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত শব্দ বোধ হয় মিস কল। মিস কল কী জিনিস? যেটা মিসেস কল নয়, সেটাই মিস কল। আমার ফোনে কল এসেছে, কিন্তু আমি ধরছি না, বা আমি ধরে ফেলার আগেই প্রেরক সংযোগ কেটে দিচ্ছে। তাহলে আমার কাছে একটা মিস কল এল।

মিস কল দিতে যেহেতু পয়সা লাগে না, তাই এটা ব্যাপক জনপ্রিয়। এই শোন, বাসার সামনে এসে তুই একটা মিস কল দিস, আমি বেরিয়ে আসর। বা ছেলে তার ঘরে পড়ছে, বলছে, মা ভাত হলে একটা মিস কল দিওঁ, আমি চলে আসব। আবার মিস কল মিস কল খেলাও খেলা যায়। রাতের বেলা তাকে মনে পড়ছে, কিন্তু কথা বলার মতো সামর্থ্য কারো নেই, প্রিপেইডের কার্ড ফুরিয়ে আসছে, তখন কী আর করা, মিস কল দিয়েই বোঝাতে হয়, ভুলি নাই প্রিয়, ভুলি নাই।

মোবাইল ফোনের একটা মারাত্মক বৈশিষ্ট্য হলো, মোবাইল ফোনে কেউ সত্য কথা বলে না। এইভাবে ঢালাও বলাটা হয়তো উচিত হলো না, তবে আমি কাউকে সত্য কথা বলতে শুনিনি। এতদিন তারওয়ালা ফোনে প্রথম কথাটা বলতে হতো, হ্যালো, এটা কি এত নাম্বার, বা হ্যালো আমি অমুক বলছি, আপনি কে বলছেন, বা আমি কি অমুকের সঙ্গে কথা বলতে পারি। এখন আর সেসব বালাই নেই, আমি জানি আমি কাকে ফোন করেছি, আপনিও জানেন আপনি কার ফোন রিসিভ করছেন, প্রায় ক্ষেত্রে, রং নাম্বারের বালাই নেই, কাজেই ফোন ধরেই প্রথম প্রশ্ন, এই তুমি কোথায়? এই প্রশ্নের জবাবে আমি রাস্তাঘাটে লোকজনকে হরদম শুনি মিথ্যা বলতে। দাঁড়িয়ে আছে বাংলা মোটরে, উত্তরে বলছে, এই তো আমি সংসদ ভবনের সামনে, এসে গেছি, তোরা নেমে পড়, বা রমনা পার্কে বসে থেকে ছেলেটি বলছে, আমি এই তো অফিসে, বসের সামনে।

আর প্রশ্নটাও কত মারাত্মক, ভেবে দেখুন। এই তুমি কোথায়? হ্যালো, আপনি কোথায়? আমি তো কত জায়গাতেই থাকতে পারি, সবটা কি বলা যায়? একবার তো এক তরুণী মোবাইলে ফোন করেছেন, আমি তখন বাথরুমে, ফোন ধরতেই ওপার থেকে বেজে উঠল রিনরিনে কণ্ঠ, হ্যালো, আপনি কই, বাথরুমে? আমি সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল অফ করে দিলাম। বাপরে, আজকাল কি মোবাইল ওয়েব ক্যামেরা হয়ে গেছে, তা দিয়ে কি দেখাও যায়? পরে বেরিয়ে এসে ফোনেই জিজ্ঞেস করলাম, কী করে বুঝলে আমি বাথরুমে ছিলাম। ঝমঝম করে ইকো হচ্ছিল তো, তাই ভাবলাম। যাক, তাহলে দেখা যায় না মোবাইলে।

এ থেকেই বুঝি, মোবাইল ফোন আমাদের একটা বড় সর্বনাশ করতে যাচ্ছে। আমাদের আড়াল তুলে ফেলছে। ব্যক্তিগত বলে আর কিছুই থাকছে না। ব্যাপারটা ভয়াবহ। কাফকার বিচার 888sport alternative linkে আমরা কী দেখি? মিলান কুন্ডেরা বলছেন, জোশেফ কে-র গল্প শুরু হয় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ধর্ষণ দিয়ে। তিনি বিছানায়, দুজন অচেনা লোক এসেছে তাকে গ্রেপ্তার করবে বলে। একদম প্রথম দিন থেকে, তিনি কখনো একা হতে পারেন না, আদালত তাকে অনুসরণ করছে, নজরদারি করছে, কথা বলছে তার সাথে, তার ব্যক্তিগত জীবন নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে একটু একটু করে…

আমাদের প্রত্যেকের জগৎ এখন কাফকার জগতে পরিণত হচ্ছে। আমি যেখানেই যাই আমি অনুসৃত হচ্ছি, আমাকে বলতে হচ্ছে আমি কোথায়, আর হঠাৎ করে ফোন এলে কি মিথ্যা বলা যায়, না, রেস্টুরেন্টে বসে বান্ধবীর সঙ্গে খাচ্ছি না, বাসের হাতলে ঝুলে আছি।

আবার অন্যপিঠে মোবাইল ফোন আমাদের জন্যে হয়ে উঠছে তথ্য জানবার আর জানাবার অধিকার প্রতিষ্ঠার যন্ত্র। এখন আর কঠোর স্বৈরশাসকের পক্ষেও সম্ভব হবে না তথ্য গোপন করা, যদি না মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কই বন্ধ করে দেওয়া হয়। মোবাইলে মোবাইলে এখন সঠিক তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব সর্বত্র, দ্রুত।

আর বিপদে আপদে মোবাইলের যে কত উপকার, সেটা ভুক্তভোগী ও উপভোগীরা ভালোই জানেন। কুড়িগ্রামের চর এলাকায় মানুষের জীবনযাপন দেখতে গিয়েছিলাম এই কার্তিকে। ধরলা নদী পেরিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইনজিন নৌকায় ব্রহ্মপুত্রের উজান বেয়ে পৌঁছলাম এমন সব চরে, মানুষ যেখানে যায় না। সেখানে গিয়ে দেখি একটা বড় চরে আরডিআরএসের কার্যালয়, তাতে সৌরবিদ্যুৎ আর টেলিভিশনের অ্যানটেনা। সেই অ্যানটেনার গোড়ায় নিজের মোবাইল ফোন ধরতেই চলে এল নেটওয়ার্ক। বাহবা, এই পাণ্ডববর্জিত চরেও মোবাইলের নেটওয়ার্ক আছে। চর থেকে ফিলে নাগেশ্বরীর দিকে যাত্রা করেছি মোটর সাইকেলে, তখন রাত হয়ে এসেছে মোটর সাইকেল, গেল মাঝপথে নষ্ট হয়ে। এখন করব কী? এই মোটর সাইকেল ঠেলে নিয়ে কোথাও পৌঁছানো সম্ভব নয়। ভরসা মোবাইল ফোন। যথাস্থানে জানিয়ে, “দিলাম তোমার মোটর সাইকেল নষ্ট হয়ে গেছে, আমর এটা একটা জায়গায় রেখে দিচ্ছি, পরে তোমরা এসে নিয়ে যেও। আমরা বিকল্প যান যোগাড় করে চলে এলাম যথাসময়ে, যথাস্থানে।

আমাদের গ্রামেগঞ্জে কত মহিলা নাকি স্বাবলম্বী হচ্ছেন মোবাইল ফোনো কথা বলতে দেবার ব্যবসা করে। দেশের মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে সানা পৃথিবীতে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হলে আগে যেতে হতো কত দূরে, এখন সেটা সম্ভব গ্রামে নিজের পাড়াতেই। যোগাযোগ ভালো হলে উন্নতির ছোঁয়াও লাগার কথা জনপদগুলোয়, মানুষের জীবনে জীবনে।

মোবাইল ফোনে কবি নির্মলেন্দু গুণ টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে পাঠিয়ে পরে। দুটো কাব্যগ্রন্থ রচনা করে ফেলেছেন – মুঠো ফোনের কাব্য। তাঁর অবশ প্রেরণা ছিল। তিনি সেগুলো পাঠাতেন তার গুণমুগ্ধ পাঠিকাকে। পাঠিকা সেগুলো খাতায় টুকে রাখতেন। ব্যস। কাব্যগ্রন্থ বেরিয়ে গেল। একটা 888sport app download apk সেখান থেকে উদ্ধার করে দেওয়া যেতে পারে… না প্রয়োজনের সময় দুটো বইয়ের একটিও আর খুঁজে পাচ্ছি না। দেখি গুণদাকে মোবাইল করে। পেয়ে গেছি।

হ্যালো, গুণদা, আমি আনিস, বলেন তো এই দুটো লাইনের পরে কী পাগলি আমার ঘুমায়ে পড়েছে মুঠোফোন তাই শান্ত ….

গুণদা বললেন,

আমি রাত জেগে দিচ্ছি পাহারা মুঠোফোনের এই প্রান্ত।

(গুণদা এই লাইন দুটো দিয়ে বলেছেন, গ্রামীণ ফোনের উচিত তাদের এই বিশাল প্রচারের বিনিময়ে নির্মলেন্দু গুণকে উপযুক্ত সম্মানী দেওয়া। আমি কবির এই বক্তব্যকে সমর্থন করি)

আমার তো পাগলি নেই, তাই আমার মুঠোফোন সারাক্ষণই শান্ত থাকেন। আমার বরং পূর্ণেন্দু পত্রীর অবস্থা:

যে টেলিফোন আসার কথা

আসে না

প্রতীক্ষাতে প্রতীক্ষাতে সূর্য ডোবে রক্তপাতে

সব নিভিয়ে একলা আকাশ নিজের শূন্য বিছানাতে একান্তে যার হাসার কথা

হাসে না।

এবার মোবাইল ফোন নিয়ে জানা আমার একমাত্র কৌতুকটা আমি আপনাদের শোনাতে চাই।

একটা গলফ ক্লাবে খেলার অবসরে সবাই আড্ডা দিচ্ছে।

এই সময় টেবিলে একটা মোবাইল ফোন বেজে উঠল। একজন ধরলেন। হ্যালো…

ওগো শুনছ, আমি না একটা হাউজিং কোম্পানির অফিসে। ওদের নতুন ফ্ল্যাটগুলো খুব সুন্দর। একটা বুকিং দিই। কত চাচ্ছে? এক কোটি।

আচ্ছা নব্বই লাখ হলে দিয়ে দাও।

থ্যাংক ইউ। এই শোনো নতুন মার্সিডিজ এসেছে দেখলাম শো রুমে। কত চাচ্ছে?

আশি করে।

আচ্ছা সত্তর হলে নিয়ে নাও।

এই রকম আরো কিছু কেনাকাটা করার অনুমতি দিয়ে ভদ্রলোক ফোনটা রেখে দিলেন।

একটু পরে বললেন, আপনারা কি কেউ জানেন এই মোবাইল ফোনটা কার? জড়িয়ে থাকা নানা করুণ গল্প 888sport app download for android করাও। ১১ সেপ্টেম্বরের বিমান হাইজাক মুঠোফোন নিয়ে এ ধরনের রসিকতা করা সম্ভব। আবার সম্ভব একে নিয়ে হবার পরে এক যাত্রী মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তার স্ত্রীকে: আমাদের বিমান হাইজাক হয়ে গেছে, জানি না কী হবে, শুধু একটা কথাই বলতে পারি, আই লাভ ইউ… মেসেজটা এসেছে, ওই যাত্রী আর ফিরে আসেননি।