শব্দশঙ্খ

নদী জল জোছনার সমুদ্রকথা

হলুদ খামে লুকনো পুরনো সেই চিঠি

বুকের ওমে জড়ানো নানা ভাস্কর্য কথা

একাকিত্বের শূন্যতা যখন শব্দশঙ্খ হয়ে বেজে ওঠে

কিছু ভাববো না কিছু লিখবো না ভেবেও

জাগতিক বৃক্ষতলে দাঁড়িয়ে দেখি

অনেক অন্তর্ধানের মাঝেও জেগে ওঠে এক তৃষ্ণার্ত নির্মাণ

মনের মাঝে নিজেই রচনা করি সাধন ক্ষেত্র

মহাবৃক্ষটির কাছে হাত পেতে দাঁড়ায়

প্রেম দাও ছায়া দাও … দাও অনন্ত আশ্রয়

হে কালের বৃক্ষরাজি তোমার ভেতর যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত

নতুন নতুন প্রাণশিখার জন্ম দাও নিত্যদিন

হে ধবল জোছনা হে একান্নবর্তী সুন্দরী

তোমার সৌন্দর্যে ধ্যানে আমাকে স্নাত করো

হে সমুদ্র সখা তুমি ভাসিয়ে নাও তোমার বিশালতায়

হে পরম নিঃসঙ্গতা …

শূন্যতাভেদী অক্ষর হয়ে

আমার কলমে ঝরে পড়ো আমৃত্যু।