(হোর্হে লুইস বোর্হেসের দি মেকার গ্রন্থে পাওয়া একজনের কাহিনি)
তার বেঁচে-থাকা ছিল মহাবিশ্ব অংকনের ব্রত
এঁকেছেন চিন্তাস্রোত, স্বপ্নরেখা, দর্শনের ধারা
স্বর্বংসহা মৃত্তিকার বহুস্তর শরীর ও মন
প্রেমের চোখের মতো তারাদের ঠোঁটচাপা হাসি
চাঁদের উপুড় বাটি, পাহাড়ের ধ্যানের আলোক
এঁকেছেন যুদ্ধজাহাজ, বারুদের জটিল ভাণ্ডার
প্রাসাদের হাড়গোড়, মৃত কূপ, শূন্য আস্তাবল
পড়ন্ত স্তনের মতো সিঁড়িধাপে থিতু অন্ধকার
খোজাদের রতি888sport sign up bonus মরে মরে পাথরের কাঁড়ি
দুষণের বিষরজ্জু, আঁট হওয়া বাতাসের শ্বাস
মানুষের মৃত্যু নিয়ে তামাশার ছদ্ম প্রকরণ!
এঁকেছেন বহুবিধ পাখি, বনজ-ফলদ বৃক্ষ
সবুজের অবিরল কোলাহলে ফুল ফুটে থাকা
হতে পারে মৃতপ্রায় – তবু নদী নৃত্যপটিয়সী
বইয়ের প্রখর দীপ্তি, সৃষ্টিঋদ্ধ কালি ও কলম
বিশাল ক্যানভাস তার বাড়িটির সীমানাপ্রাচীর
ঘরের দেয়াল-মেঝে, সবুজাভ বাগানের ঘাস
লাগোয়া পুকুরজলে ঝুঁকে-থাকা ছাতিমের ডাল
এঁকেছেন শদ্বৈশ্বর্য, নৈঃশব্দ্যের স্বতঃকোলাহল
মহাবিশ্ব কতটুকু মূর্ত হলো!? বিস্ময়ে দেখেন –
এতদিন, যত আঁকিবুঁকি – সবই আত্মপ্রতিকৃতি

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.