সম্পর্কের সাতকাহন

আলম খোরশেদ

কয়েক বছর আগে, কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম পত্নী নার্গিসকে নিয়ে কবি, গল্পকার ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর লেখা সমনামী 888sport alternative linkখানি পড়ে রীতিমতো মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেটি যে কেবল সুপরিকল্পিত, সুবিন্যস্ত ও সুলিখিতই ছিল তা নয়, এর গোটা অবয়বে লেখকের একনিষ্ঠ অভিনিবেশ ও অনুসন্ধানী গবেষণার চিহ্নটুকু ছড়িয়ে ছিল, যা একজন বড় ঔপন্যাসিকের সাধারণ চারিত্র্য। জীবনীনির্ভর বা ইতিহাসের কোনো কালপর্ব কিংবা বিশেষ কোনো জনপদভিত্তিক কথা888sport live footballের প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে এই লেখকের। সেজন্যেই সম্ভবত কিছুদিন আগে পত্রিকান্তরে বিশ্বজিৎ চৌধুরীর নতুনতম 888sport alternative link দূর-সম্পর্কের পটভূমি হিসেবে ধীরাজ-মাথিনের সেই বহুবিখ্যাত ঐতিহাসিক প্রণয়গাঁথার উলেস্নখ দেখতে পেয়ে গ্রন্থটি পাঠে আগ্রহ জাগে মনে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বইখানি হস্তগতও হয় এবং কালক্ষেপণ না করে তার পাঠাস্বাদনে লিপ্ত হই। পড়তে গিয়ে অবশ্য লক্ষ করি, এটি স্রেফ যখন পুলিশ ছিলাম গ্রন্থখ্যাত ধীরাজ ভট্টাচার্যের সঙ্গে টেকনাফের মগি কন্যা মাথিনের ঐতিহাসিক প্রেমোপাখ্যানের 888sport live footballিক উপস্থাপনামাত্র নয়। এতে সব মিলিয়ে নর888sport promo codeর মোট সাতটি সম্পর্কের গল্প, কখনো সমান্তরালভাবে, কখনো  অগ্রপশ্চাতে, যুগপৎ অতীত ও বর্তমানের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত মুন্শিয়ানার সঙ্গে বয়ান ও গ্রন্থনা করেছেন কুশলী গল্প-বলিয়ে বিশ্বজিৎ চৌধুরী, যার ইঙ্গিত রয়েছে এই রচনার শিরোনামায়।

কাহিনিসূত্র অবশ্য সামান্যই। দুই দম্পতি : জিনাত ও রায়হান এবং দীপা ও শাহরিয়ার, তাদের যৌথবন্ধু শোভনের সঙ্গে দলবেঁধে কক্সবাজারে বেড়াতে আসে। সেখান থেকে এক পর্যায়ে তারা রায়হানের চিকিৎসকজীবনের প্রথম কর্মস্থল টেকনাফেও বেড়াতে যায়, বিশেষ করে বহুশ্রুত ধীরাজ-মাথিনের প্রণয়ের স্মারক ‘মাথিনের কূপ’খানি দেখার বাসনায়। তাদের এই 888sport slot game-অবকাশে দুই দম্পতির নিজস্ব সম্পর্কের অমস্নমধুর টানাপড়েনের পাশাপাশি, ফ্ল্যাশব্যাকে ফুটে ওঠে দীপার সঙ্গে শোভনের পূর্বপ্রণয়ের 888sport sign up bonus ও সংরাগের চলচ্ছবি। এর সমান্তরালে, বিগত অতীতের মঞ্চে সংঘটিত ধীরাজ-মাথিনের মূল প্রণয়নাট্য এবং তার নান্দীমুখ হিসেবে ইংরেজ প্রশাসক মুলান্ড সাহেবের তরুণী ও লাস্যময়ী পত্নীর সঙ্গে ধীরাজের একটি সংক্ষক্ষপ্ত অথচ সংরক্ত সম্পর্কের গল্পও উঠে আসে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো দুখানি সম্পর্কগাঁথা, যথাক্রমে রায়হানের বন্ধু টেকনাফের দারোগা তোফায়েলের সঙ্গে অসমবয়সী মগ মেয়ে সামিনার (পরিবর্তিত নাম) অস্বাভাবিক দাম্পত্যকথা এবং খোদ রায়হানের সঙ্গে, টেকনাফে তার প্রথম পদায়নের সময়, মাথিন নামী আরেক মগি-বালার, মন দেওয়া-নেওয়ার কিস্সা। এই নিয়ে মোট সাতটি সম্পর্ক বর্ণনার ভেতর দিয়ে প্রেম, প্রত্যাখ্যান, বিচ্ছেদ, পরিণয় ও দাম্পত্যের চিরকালীন গল্প শোনান আমাদের বিশ্বজিৎ চৌধুরী, ভিন্নধারার এক সমকালীন ভাষা ও ভঙ্গিতে, তাঁর এই দূর-সম্পর্ক 888sport alternative linkের সাতকাহনে।

গ্রন্থের নামটিও বেশ চিত্তাকর্ষক। সাধারণত বাঙালির চলতি বুলিতে দূরসম্পর্ক কথাটির মধ্যে আক্ষরিকভাবেই যেন এক ধরনের মানসিক দূরত্ব ও অবজ্ঞার ভাব ফুটে ওঠে। বিশ্বজিৎ সামান্য একটি হাইফেনের ব্যবহারে ধীরাজ-মাথিনের সম্পর্কের কালিক দূরত্বটুকুকে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি 888sport alternative linkের চরিত্রসমূহের মধ্যেকার মানসিক দূরত্ব অতিক্রমী এক নতুন সম্পর্কসেতু নির্মাণের আভাসও যেন দেন, যেটি তাঁর বর্ণিত প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রেই কমবেশি দেখতে পাই আমরা। বিশ্বজিৎ তাঁর চৌকস কলমে ধীরাজ-মাথিন সম্পর্কের বহুমাত্রিকতাকে অনেক বেশি মানবিক, সত্যনিষ্ঠ ও হৃদয়স্পর্শী করে তুলে ধরেন এবং বলা বাহুল্য এ-কাজে তিনি খোদ ধীরাজের লেখা কালজয়ী দুটি বই এবং এ-বিষয়ে রচিত অপরাপর গ্রন্থসমূহের সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু 888sport app সম্পর্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে তাঁকে পুরোটাই নির্ভর করতে হয়েছে নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও অনুভব, কল্পনাপ্রতিভা এবং অবশ্যই একজন সুলেখকের সুবিবেচনাবোধের ওপর। এক্ষেত্রেও তিনি যে যথেষ্ট সফল হয়েছেন সেটি বোঝা যায় 888sport alternative linkে বর্ণিত প্রতিটি সম্পর্কের ক্রমপরিণতি এবং ছোট-বড় প্রতিটি চরিত্রের ক্রমবিকাশের দিকে নজর দিলেই। 888sport alternative linkটির কলেবর তেমন বড় নয়, সাকল্যে একশ পৃষ্ঠার; কিন্তু এই সীমিত পরিসরেই তিনি এমন সুসংহতভাবে তাঁর কাহিনিজাল বিসত্মার করেন যে, প্রতিটি সম্পর্কের গল্পকেই যেন আলাদাভাবে একেকটি স্বয়ংসম্পূর্ণ আখ্যান বলে মনে হয়। একইভাবে প্রতিটি চরিত্রও, তা সে থানার কনস্টেবল হরকি বড়ুয়া কী ধীরাজের সহকর্মী মজিদ সাহেবই হন, যেন সম্পূর্ণ রক্তমাংসের মানুষ হিসেবেই তাদের নিজস্ব ব্যক্তিত্বের বিভা ও পূর্ণতা নিয়ে প্রতিভাত হন আমাদের সামনে।

এই 888sport alternative linkের আরো একটি ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, লেখক তাঁর কোনো চরিত্র বা ঘটনাকে স্রেফ সাদা-কালো রঙে, একমাত্রিক আঙ্গিকে নির্মাণ করেন না; বরং তাদের ভালো-মন্দ, ইতি-নেতি, বিচ্যুতি ও স্ববিরোধসহই নির্মাণ করেন। নিজে একটি নির্মোহ দূরত্বে দাঁড়িয়ে, অত্যন্ত নৈর্ব্যক্তিকভাবে তাদের অবলোকন করেন, চটজলদি কোনো অবস্থান বা পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় না নিয়ে। একই কথা সত্য আনুষঙ্গিক ও পারিপার্শ্বিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নেও। বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে উৎখাত হয়ে কক্সবাজার, টেকনাফ অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায় এবং স্থানীয় সমাজ-রাজনীতিতে এর অভিঘাত বিষয়ে তাঁর অবস্থান, বিশেস্নষণ ও উপস্থাপনার মধ্যেও এই সমগ্রবাদী দৃষ্টিভঙ্গি চোখে পড়ে, যা একজন মহৎ ঔপন্যাসিকের অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।

তাই বলে যে এ-888sport alternative linkের কোনো ত্রম্নটি কিংবা সীমাবদ্ধতা নেই তা তো নয়। এবারে সবিনয়ে সেগুলো সম্পর্কেই দুটি কথা বলতে চাই, এবং সেটি স্রেফ সমালোচকের দায়িত্ব সম্পন্ন করার নিমিত্তে মাত্র নয়। বর্তমান আলোচকের মনে এই প্রতীতি জন্মেছে যে, বিশ্বজিৎ চৌধুরীর মধ্যে একজন প্রকৃত সংবেদী ও 888sport live chatসফল কথা888sport live footballিক হয়ে-ওঠার যাবতীয় গুণাবলি ও সম্ভাবনা বিদ্যমান। তাই তিনি যদি এই বিষয়গুলোকে একটু আমলে নেন এবং প্রণিধানসহযোগে বিবেচনা করেন, তাহলে হয়তো তাঁর ভবিষ্যৎ 888sport live footballকর্মে আমরা এর একটি ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাব, এমন আন্তরিক প্রত্যাশা থেকেই এ কথাগুলো বলা।

প্রথমেই বলতে হয় তাঁর ভাষাব্যবহারের কথা। বিশ্বজিতের গদ্য এমনিতে বেশ স্বাদু, প্রাঞ্জল ও গতিশীল। কিন্তু তাতে যে খুব একটা সৃজনশীলতার ছাপ রয়েছে সে-কথা বলা যাবে না। বরং প্রায়শই বহুব্যবহারে জীর্ণ, ব্যঞ্জনারহিত শব্দ, শব্দবন্ধ, বাক্যাংশ ও বিশেষণ ব্যবহারের ফলে তাঁর গদ্য গতানুগতিকতার গ– পেরিয়ে প্রাতিস্বিকতা অর্জনে সমর্থ হয় না। কিছু দৃষ্টান্ত দিই : পাগলের মতো চুমু খাওয়া, কুলকুল করে ঘামতে থাকা, ঘুম ভেঙে ধড়ফড়িয়ে উঠে বসা, বুক টনটন করে ওঠা, দিগ্ভ্রান্ত নাবিকের মতো ভেসে চলা, বাতাস ভারি হয়ে ওঠা, মাথায় রক্ত উঠে যাওয়া, কবুতরের মতো কেঁপে কেঁপে ওঠা, ফোঁস করে ফণা তোলা, শাঁই শাঁই করে গাড়িচলা, কাকভেজা চেহারা, বাঁদরমুখো সাহেব ইত্যাকার, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ক্লিশে’ (ক্লিশে কথাটাও বোধ হয় এতোদিনে ক্লিশে হয়ে গেছে!) হয়ে যাওয়া কথাগুলোর প্রয়োগ এড়িয়ে তিনি যদি নতুনতর, সৃজনধর্মী, অভিনব কিছু প্রকাশভঙ্গির কথা ভাবতে পারতেন, যা তাঁর মতো একজন প্রতিভাবান কবির পক্ষে খুবই সম্ভব, তাহলে এই গ্রন্থটি এক অন্যতর মাত্রা পেত সন্দেহ নেই।

আর ভাষার কথা উঠল বলে এই সুযোগে মুদ্রণপ্রমাদের কথাটাও সেরে নেওয়া যাক। গ্রন্থটির প্রকাশক ‘প্রথমা’ বিষয়বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ, উন্নতমানের গ্রন্থ প্রকাশ করে অল্প সময়ে যে-সুনাম অর্জন করেছে তার সুকৃতি বোধ হয় অনেকাংশেই বিনষ্ট হয়ে যাবে তাড়াহুড়ো করে প্রকাশ করা এইসব গ্রন্থের দৃষ্টিকটুরকম মুদ্রণপ্রমাদের কারণেই। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রচুর মুদ্রণপ্রমাদের নমুনা নিচের তালিকাটি থেকে পাওয়া যাবে : সেবাকাধম, প্ররোচণা, ধাতস্ত, তাড়িয়ে তাড়িয়ে, কাকলী, ঠান্ডা, ইতিমধ্যে ইত্যাদি। এর বাইরে রয়েছে, শব্দলোপ (শরীরটার দিকে জিনাত ভাবীর কথা মনে পড়ল), শিথিল বাক্য (সরতেও যেন পা চলছিল না, ছেলেপুলে না হলে এই একটা সুবিধা), অশুদ্ধ প্রয়োগ (চটকা মেরে পড়ে থাকা) জাতীয় ভাষিক দুর্বলতাও। এগুলো অবশ্যই সচেতন পাঠকের মসৃণ পাঠাভিজ্ঞতায় বিঘ্ন ঘটায় এবং শেষবিচারে রসহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আরেকটা কথা, কাহিনির প্রয়োজনেই এই গ্রন্থে প্রচুর ইংরেজি বাক্যের প্রয়োগ রয়েছে, বিশেষ করে অবাঙালি চরিত্রসমূহের সংলাপে, যার অনেক কটাকে ঠিক তাদের স্বাভাবিক বচনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে মনে হয়নি, তার ওপর ভুলভালও রয়েছে বেশ। যেমন : এক. ইউ আর কামিং ফ্রম ক্যালকাটা আই বি? দুই. ইউ ওয়্যার এ ফিল্ম অ্যাক্টর বিফোর ইউ জয়েন্ট আই বি? তিন. আই ক্যান্ট বেয়ার উইথ দেয়ার হাইট হ্যান্ডেড ম্যানার। চার. বাট নাউ আই রিয়েলাইজ দিজ অল আর বুলশিট। এই বিষয়গুলো সম্পর্কেও লেখক/ সম্পাদকের যথেষ্ট সচেতনতা জরুরি বলে মনে করি।

এছাড়া, এই আলোচকের মনে হয়েছে, রায়হানের প্রেমিকার নামটি ‘মাথিন’ রাখা ঠিক হয়নি। লেখক হয়তো এর মাধ্যমে ‘যুগ যুগ ধরে সব মাথিনেরাই প্রেমিকের হাতে এমনভাবে প্রতারিত হয়’ জাতীয় একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন পাঠকদের। কিন্তু এতে গ্রন্থের মূল চরিত্র মাথিনের প্রতি যেমন অবিচার করা হয়, তেমনি পাঠকের মনেও কিছুটা পাঠবিভ্রান্তির সুযোগ করে দেওয়া হয় বইকি। এই গ্রন্থের অপর চরিত্র শাহরিয়ারের একটা মুদ্রাদোষ রয়েছে, সংলাপের মাঝখানে সে কোনো একটা কঠিন তৎসমগন্ধী শব্দ প্রয়োগের সময় থমকে যায়, পুরোটা উচ্চারণ করতে পারে না, তখন অন্য কাউকে সেটা সম্পূর্ণ করে দিতে হয়, যেমন ‘প্রতারণা’ শব্দটি উচ্চারণের সময় সে ‘প্রতা’ পর্যন্ত বলে কিছুতেই আর এগোতে পারে না, তখন পাশ থেকে কেউ না কেউ ‘রণা’ অংশটি তাকে জুগিয়ে দেয়। এটা প্রথম প্রথম হাসির খোরাক জোগালেও এক পর্যায়ে তা খোদ লেখকেরই মুদ্রাদোষে পরিণত হয়ে যায়। ফলে সেটি আর মজার উৎস না হয়ে বিরক্তির উদ্রেক করে। 888sport alternative linkের শেষটুকুকে বেশ খানিকটা বায়োস্কোপীয় বলেও মনে হয়েছে। এমন একটি স্তরান্বিত, বহুরৈখিক 888sport alternative linkের পরিসমাপ্তিটুকু আরো খানিকটা সূক্ষ্মতা ও গভীরতা দাবি করে বলে এই আলোচকের বিশ্বাস।

সবশেষে, লেখকের কাছে একটি ব্যক্তিগত অনুরোধ। গ্রন্থের একটি অধ্যায়ে লেখক গত শতকের তিনের দশকের কাছাকাছি সময়ের চাটগাঁ শহরের একটি কাল্পনিক দৃশ্য নির্মাণ করেন, যা বেশ উপভোগ্য হয়েছে তাঁর বর্ণনার গুণে। কিন্তু তাঁর সে-বর্ণনায় তিনি যদি ঐতিহাসিক গ্রন্থ, মানচিত্র, ডায়েরি, চিঠিপত্র ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে কিঞ্চিৎ ক্লেশ স্বীকার করে ওই সময়কার চাটগাঁর রাসত্মাঘাট, দালানকোঠা, প্রকৃতি-পরিবেশের কিছুটা প্রামাণিক বিবরণ দিতে পারতেন তাহলে নিঃসন্দেহে ব্যাপারটি বেশ চিত্তাকর্ষক হতো। বিশেষ করে গল্পটা যেহেতু থানা-পুলিশ আর ইংরেজ সাহেবদের নিয়েই আবর্তিত হচ্ছিল, সেহেতু তৎকালীন চট্টগ্রাম শহরে চলমান ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের ইঙ্গিত কিংবা উলেস্নখ থাকাটা বেশ জরুরি ছিল। আমি নিশ্চিত এই 888sport live chatোত্তীর্ণ, সুখপাঠ্য 888sport alternative linkের আরো একাধিক সংস্করণ হবে অচিরেই। তখন আশা করি লেখক গ্রন্থের এই অপূর্ণতাটুকু কিছুটা হলেও ঘুচিয়ে দিতে সচেষ্ট হবেন। বিশ্বজিৎ চৌধুরীকে অভিনন্দন। r