পুবের গাছে হেলান দেয়া মই, বাঁশকাঠি, রে বুনো Ñ শুয়োরের তেজে
মাল সাজা, শাঁ শাঁ বায়ু ঝেটিয়ে দিক শ্যাওড়ার দানো
কাচা মাটিতে বাঁধ হচ্ছে, বাঁধ মানেই তো ঘেরের মধ্যে খলবল
ধান বিলি দিয়ে চোখ খুটে খা, গতরে দাগ ধরলে
হেই ভাটি! দক্ষিণে গোলপাতা তেল-সিঁদুরে উবুজুবু
ঘন্টি বাঁধ ছেলের কোমরে : টুং-টাং লাফ দিক ছাগ-শিশু
পায়ের নিচে পলি, ইলিশ উজিয়ে ডিম তোলা অব্দি নদী ঝলমল
ওদিকে পাছায় লেপটে আছে তাঁতির হাতের তালু;
কুমোর উল্টিয়ে পড়ে, কামটেরা থির নেই Ñ খালের কচ্ছপ
ঝুলতে-ঝুলতে সন্ধ্যারাতে ভোজ হয়, বাজা রে বাজা!
ঝাল পেটে পড়তে না পড়তে চুরমুর ভেঙে পড়লো মেঘ
খোসাগুলো পুড়ছে, কে না পোড়ে? বাগদির ডুলো পুড়ে খাক।
উত্তর থেকে নামতে-নামতে থৈ-থৈ, বাকি তো পাতালপশ্চিমে তাও মেলে, দাও মেলে Ñ চৌদ্দপুরুষের চৌহদ্দি তো নয়
জয় আর দখল বরাবর, অধিকার তো পরাজয়েরও পিঠে-পিঠে সয়!
মাতাল টলোমলো যেন শিশু এলোমেলো কাঠি লজেন্সের লালা
জালা ভার্তি ফুটছে, খৈ হচ্ছে, ডাল ফাটছে, পাতা ঝরছে
যতো ফ্যাসাদ শিশু আর মাতালের এই গোল হওয়া, আংটা হওয়া নিয়ে
ছাড়েও না ধরেও না, কবিরাজের গুলি Ñ টলেও না, গলেও না
নদী ফুরিয়ে চর হলো, পুকুর ফুরিয়ে কচুবাগান হলো
কোথায় আর সাগর? ঘোরের ভেতর ডুমুরতলায় ফিঙে নাচে
বনমোরগের নলি ছিঁড়ে ফেলে পেট; ও মা ঘরের শিশু ঘরে রাখ
বিবিদের জঙ্গি মিছিল যাচ্ছে, সাথে চাকা, ফাঁকা পেলেই চেপে দেবে।
মরা বিকেলে ইঁদুরেরা গর্তে ঘুমায়, কখনও সাপ।
সীমানা ডিঙিয়ে-ডিঙিয়ে আলো নেমে যাচ্ছে আর ছায়ারা
যেন গতর বিছিয়ে সাঁতরায়
এপার ওপার দেখা হয়নি, দেখা হয়নি খেয়াঘাটের ভাটা
বালি ফুরোলেই পাঁক, আরো নিচে তিরতির বয়ে যায় অন্যধারা
সদর থেকে এসেছে পাকা বোতল, জমাট ছিঁপি আগল দিলেই সুধা!
তহবিলদার কী চড়নদার, তেলের ওপর টগবগ করছে বাজনাদার
তলের তেল ভেসে ওঠে, গমক-ঝমক দেয়
ঘোঁৎমোৎ গেরাফি ও পাটাতনে, পুরানো কায়দার সাথে
ভটভট ফটফট, চিলিক মারে জল, ডিলিক মারে পানি।
মুর্দাফরাসের উদোম শরীরে আদ্য উৎসব
ভাসতে থাকে, ডুবতে থাকে, ঝুলতে থাকে…
পায়ের তলায় ঠাঁই নেই তো আগুন-মাটিতে সাপটাসাপটি,
আলের পর আর ভেঙে প্রবাহিত যে তরল
তা ভেতর ভেঙে থিতু হ’তে দেয় না, মানে না যাপনের শর্ত
নষ্ট মাটি ও ভ্রষ্ট দখলদারি নিয়ে পলাতক শকুন
মগডালে বাসা বাঁধে, উপরে অখণ্ড আকাশ আর নিচে পঙ্গপাল;
একবেলা একদিন ক’রে যুগও কেটে যায়, শিশুও তরুণ হয়!

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.