তুমি লিখেছ গোলাপ আর ভালোবাসার আখ্যান
মৃত আর অনন্ত-প্রাণতার গল্প
তুমি বেছে নিয়েছ ঠিক মধ্যাহ্ন, যেন রূপকথা;
অথচ তখনো এ-নগরে ঈষৎ শীত, দেয়ালে প্রজাপতি
জলাশয়ের ওপরে জমাট কুয়াশা
ঘাসে নিবিড় শিশির
তখনো রাতগুলোই সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর, রহস্যময় এবং মধুর
আমাকে চমকে দিয়েছে তোমার সাহস
যা দুর্লভ
আর তারচেয়ে বেশি আতঙ্ক-সঞ্চারক
কিন্তু এ তো আমার জানাই ছিল
অন্তত বছর তিনেক আগে ছায়ান্ধকার এক কক্ষে
আকসি¥কভাবে উদ্ভূত তোমার জটিল হাসির মধ্যে
এর একটা ইশারা লুকিয়ে ছিল
তখনো দুপুর
তখনই সর্বনাশ
তুমি ভাবো আমি সর্বজ্ঞ। তোমার সব অলিগলি আমার চেনা।
যেহেতু তুমি চিনে ফেলেছ আমার যাবতীয় বলিরেখা।
স্বেদের আঘ্রাণ।
যেহেতু তুমি ঘনিয়ে আনতে পেরেছ আমার বিপদ।
তুমি একটি সন্ধ্যাও আমাকে দিলে
বিকেলও দিতে চেয়েছিলে, আমার ঘুম ভাঙেনি
শরীরে অবসাদ নিয়ে আমি বিছানায় লেপ্টে ছিলাম
এতে তোমার কী বিরক্তি!
এত সাহস তোমার।
এ-সন্ধ্যার কথা তুমি কোনোদিন ভুলতে পারবে না
কেননা আর কোনো সন্ধ্যাই এত দুলবে না, দোলে না, দোলেনি
তোমার কণ্ঠ এত কাঁপবে না, কাঁপেনি
সাহসের এত বিপর্যয় আর কখনো ঘটবে না, ঘটে না, ঘটেনি
ভাবো, স্বরচিত এ সন্ধ্যাকে মুছে ফেলতে তোমার কী
অসামান্য আয়োজন।
তুমি আসঙ্গের বিপরীতে টেনে আনলে সঙ্গকে
মনে রেখো, যে পালায়, সে সবসময় বাঁচে না।
কিছু জয়ে লেগে থাকে বিপন্নতার হাহাকার।
তুমি ক্ষমা কর আমার সাদামাটা মোবাইলকে
পরিহাস কর পুরনো মডেলের গাড়িকে
তুমি ভাবো আমারও আঙুল ফুলতে পারে কলাগাছের মতো
কেননা আমার জন্যে তুমি সহ্য করেছ কিছু দুর্নাম।
তুমি ভাবো ভালোবাসা অর্জনের জন্যে এটাই মূল্যবান মুদ্রা
অথচ তুমি জানো না
উদ্ধত রেফটাকে আমি কোথায় গেঁথে দিতে পারি
জানবে না আমার সাহসের সীমানা চুরি ও লুকোচুরি, ইনসমনিয়া।

Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.